তালাক

পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৪৬-(২/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... নাফি (রহঃ) এর সূত্রে ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আমি আমার স্ত্রীকে ত্বলাক (তালাক) দিলাম, তখন সে ঋতুমতী ছিল। উমর (রাযিঃ) বিষয়টি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আলোচনা করলে তিনি বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তাকে রাজ'আত (পুনঃ গ্রহণ) করে। অতঃপর পবিত্র হয়ে পুনরায় আর একটি মাসিকে ঋতুমতী হওয়া পর্যন্ত তাকে স্থিতাবস্থায় রেখে দিবে। পরে যখন পবিত্র হবে তখন তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগে (যৌন সঙ্গম মুক্ত তুহর কালে) তাকে ত্বলাক (তালাক) দিবে কিংবা তাকে (স্ত্রীরূপে) রেখে দিবে। কেননা, এটাই হল সে ইদ্দাত যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের তলাক (তালাক) দেয়ার জন্য আল্লাহ তা'আলা আদেশ করেছেন। রাবী উবায়দুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমি শায়খ নাফি’ (রহঃ) কে বললাম, ধার্য করা হল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫১৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫১৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৭ | 3547 | ۳۵٤۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৪৭-(.../...) আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও ইবনুল মুসান্না (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... উবায়দুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে এ সানাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে নাফি’ (রহঃ) এর উদ্দেশে, উবায়দুল্লাহ (রহঃ) এর বক্তব্যটি এতে উল্লিখিত হয়নি। এছাড়া ইবনুল মুসান্না (রহঃ) তার রিওয়ায়াতে বলেছেন فَلْيَرْجِعْهَا সে যেন প্রত্যাহার করে এবং আবূ বাকর (রহঃ) বলেছেন فَلْيُرَاجِعْهَا সে যেন ফিরিয়ে নেয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫১৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫১৮) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৮ | 3548 | ۳۵٤۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৪৮-(৩/...) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... নাফি (রহঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইবনু উমার (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রীকে তার ঋতুকালীন অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে (ইবনু উমারকে) হুকুম দিলেন যে, স্ত্রীকে সে রাজ'আত (পুনঃপ্রহণ) করে নিবে। এরপর তাকে অপর একটি ঋতুতে ঋতুমতী হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিবে। অতঃপর (ঋতু হতে) পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। পরে তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগেই তাকে ত্বলাক (তালাক) দিবে। এটাই হল সে ইদ্দাত যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের ত্বলাক (তালাক) দেয়ার জন্য মহামহীয়ান আল্লাহ হুকুম করেছেন। রাবী (নাফি') বলেন, পরবর্তীতে স্ত্রীর হায়য অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) প্রদানকারী পুরুষ (এর মাসআলা) সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে ইবনু উমার (রাযিঃ) বলতেন, যদি তুমি তাকে এক কিংবা দু'ত্বলাক (তালাক) দিয়ে থাক, নিশ্চয় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হুকুম দিয়েছেন যে, সে তাকে রাজ’আত করে নিবে। অতঃপর আর একটি হায়যে ঋতুমতী হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে, এরপর পবিত্রতা (তুহর) পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। অতঃপর স্পর্শ (যৌন সঙ্গম) করার আগেই ত্বলাক (তালাক) দিবে (যদি ইচ্ছা কর)। আর যদি তুমি তাকে তিন ত্বলাক (তালাক) দিয়ে থাক তবে তুমি তোমার প্রতিপালকের অবাধ্য হয়েছ তোমার স্ত্রীকে ত্বলাক (তালাক) দেয়ার ব্যাপারে তিনি তোমাকে যে আদেশ প্রদান করেছেন সে ব্যাপারে এবং সে স্ত্রী তোমার সঙ্গ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫১৯) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৯ | 3549 | ۳۵٤۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৪৯-(৪/...) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, ইবনু উমর (রাযিঃ) বলেছেন, আমি আমার স্ত্রীকে ত্বলাক (তালাক) দিলাম- তখন সে ঋতুমতী ছিল। উমর (রাযিঃ) তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলেন। ফলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হলেন। পরে বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তাকে রাজ'আত করে নেয়- যতক্ষণ না যে হায়য কালে তাকে ত্বলাক (তালাক) দিয়েছে সেটি ব্যতীত আর একটি হায়যে সে ঋতুমতী হয়। তখন যদি তাকে ত্বলাক (তালাক) দেয়া তার মনঃপুত হয় তবে যেন তার হায়য থেকে পবিত্র হওয়া অবস্থায় তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগে তাকে তলাক (তালাক) দেয়। তিনি আরো বললেন, এটিই হল ইদ্দাতের (সময় নির্ণয়ের) জন্য ত্বলাক (তালাক) প্রদান যেমন আল্লাহ হুকুম করেছেন। (সালিম বলেন) আবদুল্লাহ (রাযিঃ) তাকে এক ত্বলাক (তালাক) দিয়েছিলেন। সেটি তার ত্বলাক (তালাক) গণনা করা হল (অর্থাৎ এক ত্বলাক (তালাক) ধরা হল) এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ অনুসারে আবদুল্লাহ (রাযিঃ) তাকে (স্ত্রীকে রাজ'আত করে নিয়েছিলেন)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২০) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫০ | 3550 | ۳۵۵۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫০-(.../...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... (পূর্বোক্ত সানাদের ন্যায়) যুহরী (রহঃ) সূত্রে ঐ সানাদে বর্ণিত। তবে এতে রাবী (সরাসরি ইবনু উমারের উক্তি উদ্ধৃত করে) বলেছেন যে, ইবনু উমর (রাযিঃ) বলেছেন, পরে আমি তাকে রাজ'আত করে নিলাম এবং তাকে যে ত্বলাক (তালাক) টি দিয়েছিলাম তা তার জন্য একটি ত্বলাক (তালাক) রূপে হিসাব করা হল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২১) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫১ | 3551 | ۳۵۵۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫১-(৫/...) আবূ বাকুর ইবনু আবূ শায়বাহ, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু নুমায়র (রহিমাহুমুল্লাহ) ..... সালিম (রহঃ) সূত্রে ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজের স্ত্রীকে তার ঋতুবতী অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) বিষয়টি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকাশে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, তাকে আদেশ কর যেন সে তাকে রাজ’আত করে নেয়। পরে যেন তাকে তুহর (পবিত্র) অবস্থায় কিংবা গর্ভাবস্থায় (অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে) ত্বলাক (তালাক) দেয়।* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২৩, ইসলামীক সেন্টার৩৫২২) ________________________________________ * এ বর্ণনার প্রেক্ষিতে উম্মাতের ইজমা হল, হায়য অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দেয়া হারাম। আর ত্বলাক (তালাক) দিলে গুনাহগার হবে। হাদীসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুজু তথা ত্বলাক (তালাক) প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়াতে স্পষ্টভাবে জানা গেল যে, ত্বলাক (তালাক) পতিত হয়েছে এবং রাজ’আত করা মুস্তাহাব। এটাও স্পষ্ট হল যে, ত্বলাক (তালাক) প্রদানের স্থান হল তুহর তথা পবিত্র অবস্থা। আর হাদীসের শেষে যে, ত্বলাক (তালাক) দিবে তুহর বা গর্ভাবস্থায় এ দ্বারা জানা গেল যে, গর্ভাবস্থায় ত্বলাক (তালাক) প্রদান জায়িয। ইমাম শাফি'ঈ এবং অধিকাংশ আলিম যেমন ত্বাউস, হাসান, ইবনু সীরীন ও অন্যান্যদের মতও এটাই। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫২ | 3552 | ۳۵۵۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫২-(৬/...) আহমাদ ইবনু উসমান ইবনু হাকীম আল আওদী (রহঃ) ..... 'আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) এর সূত্রে ইবনু উমর (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজের স্ত্রীকে- যখন সে হায়য অবস্থায় ছিল- ত্বলাক (তালাক) দিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তাকে হুকুম কর যেন সে তাকে (স্ত্রীকে) রাজ’আত করে নেয়। অবশেষে সে আর একটি হায়যে ঋতুমতী হবার পরে আবার পবিত্র হলে, তখন তাকে ত্বলাক (তালাক) দিবে কিংবা (স্ত্রীরূপে) রেখে দিবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২৩) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৩ | 3553 | ۳۵۵۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫৩-(৭/...) ‘আলী ইবনু হুজর আস্ সাদী (রহঃ) ... ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বিশ বছর আমি এ অবস্থায় অবস্থান করলাম যে, আমি অবিশ্বস্ত মনে করি না এমন লোক আমাকে এ মর্মে হাদীস শোনাচ্ছিল যে, ইবনু উমর (রাযিঃ) তার স্ত্রীর ঋতুবতী অবস্থায় তাকে তিন ত্বলাক (তালাক) দেয়ার পরে তাকে রাজ’আত করে নেয়ার জন্য তিনি আদিষ্ট হয়েছিলেন। আমি এ বর্ণনাকারীদের প্রতি অনাস্থা ও সন্দেহ পোষণ করছিলাম না অথচ আমি ছিলাম প্রকৃত হাদীসের পরিচয় লাভে বঞ্চিত। অবশেষে আমি আবূ গাল্লাব ইউনুস ইবনু জুবায়র আল বাহিলী (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। তিনি ছিলেন স্থিরমতি-আস্থাভাজন। তিনি আমাকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি (নিজে) ইবনু উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি (ইবনু উমর) তাঁকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি তার স্ত্রীকে তার হায়য চলাকালে এক ত্বলাক (তালাক) দিয়েছিলেন। তখন তাকে রাজ’আত করে নেয়ার জন্য তিনি আদিষ্ট হলেন। তিনি (আবূ গাল্লাব) বলেছেন, তবে আর কী! যদি নাকি তিনি (ইবনু উমার) অপারগ হয়ে থাকেন ও নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। (তাতে কার কী আসে যায়) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২৪) পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫৪-(.../...) আবূ রবী ও কুতায়বাহ্ (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... (পূর্বোক্ত সানাদের রাবী) আইয়্যুব (রহঃ) এর সূত্রে ঐ সানাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন .... উমর (রযিঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে হুকুম করলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২৫) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৫ | 3555 | ۳۵۵۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫৫-(৮/...) আবদুল ওয়ারিস ইবনু আবদুস সামাদ (রহঃ) ..... আইয়্যুব (রহঃ) এর সূত্রে এ সানাদে রিওয়ায়াত করেছেন। এ সানাদের হাদীসে রাবী বলেছেন, পরে উমার (রাযিঃ) এ বিষয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়ার জন্য তার (ইবনু উমারের) প্রতি আদেশ প্রদান করলেন। যাতে অবশেষে তাকে (স্ত্রীকে) যৌন সঙ্গমবিহীন তুহর (পবিত্র) অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দিতে পারে। তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেন, তার (স্ত্রীর) ইদ্দাত (ইদ্দত) (এর সময়) এর পূর্ব ভাগে (আগমন কালে) তাকে ত্বলাক (তালাক) দিবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২৬) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৬ | 3556 | ۳۵۵٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫৬-(৯/...) ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম আদ দাওরাকী (রহঃ) ..... (মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন সূত্রে) ইউনুস ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাযিঃ) কে বললামঃ এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তাকে ত্বলাক (তালাক) দিল (এর হকুম কি?)। তিনি বললেন, তুমি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) কে জান কি সে তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দিয়েছিল? তখন উমর (রাযিঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে হুকুম করলেন যে, সে (ইবনু উমার) তাকে (স্ত্রী) রাজ’আত করে নিবে। এরপর তার ইদ্দাতের (নিশ্চয়তাযুক্ত সময়ের) প্রতীক্ষায় থাকবে। ইউনুস (রহঃ) বলেন, তখন আমি তাকে (ইবনু উমারকে) বললাম, কোন পুরুষ যখন তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দিবে তখন ঐ ত্বলাক (তালাক) টি হিসাবে গণনা করা হবে কি? তিনি বললেন, তবে আর কি যদি নাকি সে অক্ষম হয়ে গিয়ে থাকে কিংবা বোকামি করে থাকে (তাহলে কি তার এ কাজের পরিণতি দেখা দিবে না?) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৭ | 3557 | ۳۵۵۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫৭-(১০/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার স্ত্রীকে ত্বলাক (তালাক) দিলাম- তখন সে হায়য অবস্থায় ছিল। তখন উমর (রাযিঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে তার কাছে বিষয়টি আলোচনা করলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যেন তাকে রাজ'আত করে নেয়। পরে যখন সে (হায়য হতে) পবিত্র হবে তখন ইচ্ছা করলে তাকে ত্বলাক (তালাক) দিবে। রাবী ইউনুস (রহঃ) বলেন, আমি ইবনু উমর (রাযিঃ) কে বললাম, সেটি (ত্বলাক) কি হিসাবে করা হবে? তিনি বললেন, কোন বিষয় তাকে বাধা দিবে- বলত যদি সে অপরাগ হয়ে থাকে এবং আহম্মকি করে থাকে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫২৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২৮) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৮ | 3558 | ۳۵۵۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫৮-(১১/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি 'উমার (রাযিঃ) কে তার সে স্ত্রী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যাকে তিনি ত্বলাক (তালাক) দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, তাকে আমি ত্বলাক (তালাক) দিয়েছিলাম- যখন সে হায়য অবস্থায় ছিল। আমি বিষয়টি উমর (রাযিঃ) এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আলোচনা করলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তার স্ত্রীকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়। পরে যখন সে পাক হবে তখন যেন সে (ইচ্ছা করলে) তার পাক অবস্থায় তাকে ত্বলাক (তালাক) দেয়। ইবনু উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, তবে কি হায়য অবস্থায় প্রদত্ত ত্বলাক (তালাক) টি কি আপনি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, আমি কেন সেটা গণনায় ধরবো না? যদি আমি অক্ষম হই অথবা নির্বুদ্ধিতা প্রকাশ করি (তাহলে কি আমার এ কাজ গণনায় আসবে না)? (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫২৯) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৯ | 3559 | ۳۵۵۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৫৯-(১২/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দেই। উমার (রাযিঃ) বিষয়টি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তার স্ত্রীকে রাজ’আত করে। পরে যখন সে পবিত্র হবে তখন যেন সে (ইচ্ছা করলে) তাকে পবিত্র অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দেয়। আমি ইবনু উমর (রাযিঃ) কে বললাম, তবে কি হায়য অবস্থায় প্রদত্ত ত্বলাক (তালাক) টি কি আপনি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, তবে কী করব। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩০) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬০ | 3560 | ۳۵٦۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৬০-(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব ও আবদুর রহমান ইবনু বিশর (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... (পূর্বোক্ত সানদের ন্যায়) শু'বাহ (রহঃ) সূত্রে এ সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। তবে এ দু'জনের হাদীসে يراجعها এর স্থলে لِيَرْجِعْهَا (তাকে ফিরিয়ে আনে) রয়েছে এবং এদের হাদীসে আরো রয়েছে যে, আনাস (রহঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনি কি সেটি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, তবে আর কী হবে? (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩১) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬১ | 3561 | ۳۵٦۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৬১-(১৩/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... ইবনু ত্বাউস (রহঃ) এর পিতা (তাউস) সূত্রে বর্ণিত যে, তিনি স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) প্রদানকারী পুরুষ (এর মাসআলা) সম্পর্কে ইবনু উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসিত হতে শুনলেন। তখন ইবনু উমর (রাযিঃ) বললেন, তুমি আবদুল্লাহ ইবনু উমার কে জান কি? লোকটি বলল, হ্যাঁ। ইবনু উমর (রাযিঃ) বললেন, তিনি তো তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দিয়েছিলেন। তখন উমার (রাযিঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে তাকে সংবাদ অবহিত করলে তিনি তাকে (স্ত্রীকে) পুনঃগ্রহণ করে নেয়ার জন্য তাকে আদেশ প্রদান করলেন। ইবনু তাউস (রহঃ) বলেন, আমি তাকে (পিতাকে) এর অধিক বলতে শুনিনি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩২) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬২ | 3562 | ۳۵٦۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৬২-(১৪/...) হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... আবূ যুবায়র (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ‘আযযাহ এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) আবদুর রহমান ইবনু আয়মান (রহঃ) কে ইবনু উমর (রাযিঃ) এর কাছে প্রশ্ন করতে শুনলেন, আবূ যুবায়র (রহঃ) তখন শুনছিলেন- “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার হায়য অবস্থায় ত্বলাক (তালাক) দিল তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?” ইবনু উমর (রাযিঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ইবনু উমার (রাযিঃ) তার স্ত্রীকে ত্বলাক (তালাক) দিল যখন সে ঋতুমতী ছিল। উমর (রাযিঃ) এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, 'আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) তার স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তাকে ত্বলাক (তালাক) দিয়েছে। "নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, সে যেন তাকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়। সুতরাং (এভাবে) তিনি তাকে (স্ত্রীকে) ফিরিয়ে নিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেন, যখন (হায়য হতে) পবিত্র হয়ে যাবে তখন (ইচ্ছে করলে) যেন ত্বলাক (তালাক) দেয় কিংবা রেখে দেয়। ইবনু উমর (রাযিঃ) বলেন, এবং (এ সময়) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিলাওয়াত করলেনঃ (অর্থ) "হে নাবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের ত্বলাক (তালাক) দিতে ইচ্ছা কর তখন তাদের ত্বলাক (তালাক) দিও তাদের ইদ্দাতের (সময় আগমনের) অগ্রভাগে"- (সূরা আত ত্বলাক ৬৫ঃ ১)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩৩) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬৩ | 3563 | ۳۵٦۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৬৩-(.../...) হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... আবূ যুবায়র (রহঃ) এর সূত্রে ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে পূর্বোক্ত বর্ণনার ন্যায় রিওয়ায়াত করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩৪) পরিচ্ছদঃ ১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক দেয় তবে ত্বলাক হয়ে যাবে এবং ত্বলাক প্রদানকারীকে রাজ'আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে ৩৫৬৪-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবূ যুবায়র (রহঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি উরওয়াহ (রহঃ) এর আযাদকৃত গোলাম আবদুর রহমান ইবনু আয়মান (রাযিঃ) কে ইবনু উমর (রাযিঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করতে শুনেছেন আর আবূ যুবায়র (রহঃ) তখন হাজ্জাজ (রহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ শুনছিলেন এবং তাতে কিছু অধিক তথ্য রয়েছে। ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, উরওয়ার মাওলা বলে রাবী বিচ্যুতির শিকার হয়েছেন। মূলত হবে "আযযার মাওলা"। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩৫) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬৫ | 3565 | ۳۵٦۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২. তিন ত্বলাক প্রসঙ্গে ৩৫৬৫-(১৫/১৪৭২) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এবং আবূ বাকর (রাযিঃ) এর যুগে ও উমার (রাযিঃ) এর খিলাফাতের প্রথম দু' বছর পর্যন্ত তিন ত্বলাক (তালাক) এক ত্বলাক (তালাক) সাব্যস্ত হত। পরে উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিঃ) বললেন, লোকেরা একটি বিষয়ে অতি ব্যস্ততা দেখিয়েছে যাতে তাদের জন্য ধৈর্যের (ও সুযোগ গ্রহণের) অবকাশ ছিল। এখন যদি বিষয়টি তাদের জন্য কার্যকর সাব্যস্ত করে দেই...(তবে তা-ই কল্যাণকর হবে)। সুতরাং তিনি তা তাদের জন্য বাস্তবায়িত ও কার্যকর সাব্যস্ত করলেন।* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩৬) ________________________________________ *ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে শুরু করে উমার (রাযিঃ)-এর যুগ পর্যন্ত তিন ত্বলাক গণনা করা হতো। অতঃপর মানুষের মধ্যে ত্বলাক প্রদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার ধমকী স্বরূপ এক বৈঠকে প্রদত্ত ত্বলাক কে তিন ত্বলাক হিসাবেই গণ্য করার নির্দেশ জারি করা হয়। যা ছিল রাজনৈতিক ও সাময়িক। (তাহতাবী হাশিয়াহ দুবরে মুখতার ৬ষ্ঠ খণ্ড ১১৫ পৃষ্ঠা বৈরুত ছাপা, জামিউর রূমুজ ১ম খণ্ড ৫০২ পৃষ্ঠা মাজমাউল আনহর শারহ মুনতাফাল আবহর ২য় খণ্ড ৬ পৃষ্ঠা, দুররল মুনতাফা ফী শারহিল মুলতাকা ২য় খণ্ড ৬ পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬৬ | 3566 | ۳۵٦٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২. তিন ত্বলাক প্রসঙ্গে ৩৫৬৬-(১৬/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইবনু রাফি' (রহঃ) ..... তাউস (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আবূ আস্ সাহবা (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে বললেন, আপনার সে সব (বিরল ও অভিনব প্রকৃতির হাদীস) হতে কিছু উপস্থাপন করুন না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বাকর (রাযিঃ) এর যুগে তিন ত্বলাক (তালাক) কি এক (ত্বলাক (তালাক)) ছিল না? তিনি বললেন, তা ছিল তো; পরে যখন উমর (রাযিঃ) এর যুগে লোকেরা বেধড়ক ও উপর্যপরি ত্বলাক (তালাক) দিতে লাগল তখন উমর (রাযিঃ) সেটিকে (অর্থাৎ তিন তলাকের যথার্থ বিধি)– তাদের জন্য কার্যকর করলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬৭ | 3567 | ۳۵٦۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২. তিন ত্বলাক প্রসঙ্গে ৩৫৬৭-(১৭/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... আবূ আস্ সাহবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বাকর (রাযিঃ) এর সময়ে কি তিন ত্বলাক (তালাক) কে এক ত্বলাক (তালাক) ধরা হত? তিনি বলেন, হ্যাঁ এরূপই ছিল। তবে উমার (রাযিঃ) এর যামানায় লোকেরা বেধড়ক ও উপর্যপরি ত্বলাক (তালাক) দিতে লাগল। অতঃপর তিনি সেটিকে যথার্থভাবে কার্যকর করেন (অর্থাৎ তিন ত্বলাকে পরিণত করেন।)* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৩৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩৮) ________________________________________ * কোন ব্যক্তি যদি, তার স্ত্রীকে বলে “তোমার উপর তিন ত্বলাক" তবে এর হুকুম সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের মাঝে মতভেদ আছে। (ক) ইমাম শাফিঈ, মালিক, ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) এবং জমহুর তথা অধিকাংশের মতে "তিন ত্বলাক পতিত হবে।" (খ) তাউস (রহ) আহলে যাহির এর মতে “তার উপর এক ত্বলাক বর্তাবে।" এর স্বপক্ষে হাজ্জাজ বিন আরত্বাতা এবং মুহাম্মাদ বিন ইসহাক থেকেও একটি রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। আর এ সকল হাদীসের আলোকে এ মতটিই শক্তিশালী। এক বৈঠকে এক সঙ্গে তিন তলাক (তালাক) দিলে, এক তলাক (তালাক) গণ্য হবে। আর তিন মাসে তুহর অবস্থায় তিন ত্বলাক দিলে তিন ত্বলাক বলে গণ্য করা হয়। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬৮ | 3568 | ۳۵٦۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে ৩৫৬৮-(১৮/১৪৭৩) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... হিশাম দাসতাওয়ায়ী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) ..... সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) সূত্রে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে (লিখিতরূপে) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (সাঈদ) বলেছেন যে, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) স্ত্রীকে নিজের জন্য হারাম করা সম্বন্ধে বলতেন যে, তা কসম (ইয়ামীন) সাব্যস্ত হবে, তার কাফফারাহ আদায় করবে। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) (এ প্রসঙ্গে) আরো বলেছেন, (পবিত্র কুরআনের) لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ‏ (আয়াত উদ্ধৃত করে) "তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ" (সূরা আল আহযাব ৩৩ঃ ২১)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩৯) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬৯ | 3569 | ۳۵٦۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে ৩৫৬৯-(১৯/...) ইয়াহইয়া ইবনু বিশ্র আল হারীরী (রহঃ) ..... সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে নিজের জন্য হারাম (ঘোষণা) করলে তা কসম সাব্যস্ত হবে, তার কাফফারাহ আদায় করবে। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪০) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭০ | 3570 | ۳۵۷۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে ৩৫৭০-(২০/১৪৭৪) মুহাম্মদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... উবায়দ ইবনু উমায়র (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে এ মর্মে হাদীসের খবর প্রদান করতে শুনেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আসর পরবর্তী সময় হুজরাসমূহে আবর্তন কালে) যায়নাব বিনত জাহশ (রাযিঃ) এর গৃহে অবস্থান করে সেখানে মধু পান করেন। আয়িশাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি ও হাফসাহ মিলে এরূপ যুক্তি-পরামর্শ করলাম যে, আমাদের দু'জনের মাঝে যার কাছেই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (প্রথমে) আগমন করবেন সে বলবে- “আমি আপনার মুখে মাগাফীর’-এর দুর্গন্ধ পাচ্ছি।* আপনি মাগাফীর খেয়েছেন।” পরে তিনি এদের কোন একজনের কাছে গেলে সে তাকে অনুরূপ বলল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং আমি তো যায়নাব বিনতু জাহশ এর ঘরে মধু পান করেছি এবং পুনরায় কখনো পান করব না। তখন নাযিল হল- (অর্থঃ) “হে নাবী। আল্লাহ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন, আপনি তা হারাম করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনা করছেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। আল্লাহ তোমাদের শপথ হতে মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহ তোমাদের সহায়; তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। স্মরণ কর-নাবী তার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন। অতঃপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিয়েছিল এবং আল্লাহ নাবীকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন নাবী এ বিষয় কিছু ব্যক্ত করলেন; কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা তার সে স্ত্রীকে জানালেন তখন সে বলল, কে আপনাকে তা অবহিত করল? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত। যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুঁকে পড়েছে- আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন"- (সূরা আত তাহরীম ৬৬ঃ ১-৪)। এতে “যদি তোমরা উভয়ে তাওবাহ কর (অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর) দ্বারা ‘আয়িশাহ ও হাফসাহ্ (রাযিঃ) উদ্দেশ্য। এবং "যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন" দ্বারা বরং আমি মধুপান করেছি এবং আর কখনো পান করবো না উদ্দেশ্য"। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪১) ________________________________________ * মাগাফীর হল এক প্রকার গাছ যা খুবই দুৰ্গন্ধযুক্ত। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭১ | 3571 | ۳۵۷۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে ৩৫৭১-(২১/...) আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল 'আলা ও হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহিমাহুমাল্লাহ) (আবূ উসামাহ সূত্রে) ..... হিশামের পিতা (উরওয়াহ্) সূত্রে আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্ট দ্রব্য (হালুয়া) ও মধু পছন্দ করতেন। তার নিয়ম ছিল- আসরের সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায়ের পরে স্ত্রীদের ঘরে ঘরে এক চক্কর গিয়ে আসতেন এবং তাদের সান্নিধ্যে-সন্নিকটে গমন করতেন। এভাবে তিনি হাফসাহ (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং তার কাছে স্বাভাবিকভাবে আবদ্ধ থাকার সময়ের চেয়ে অধিক সময় আবদ্ধ রইলেন। আমি (আয়িশাহ্) এ বিষয় জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলা হল- তাকে (হাফসাকে) তার গোত্রের কোন মহিলা এক পাত্র মধু হাদিয়া দিয়েছিল। তাই সে তা থেকে কিছু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পান করিয়েছিল। (আয়িশাহ বলেন) আমি বললাম, ওহে আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তার জন্য কৌশলের ফাঁদ পাতব। আমি বিষয়টি সাওদাহ্ এর সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং তাকে বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার কাছে আগমন করলে তিনি তো তোমার সন্নিকটে আসবেন, তখন তুমি তাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন। তখন তিনি তো তোমাকে বলবেন- 'না'। তখন তুমি তাকে বলবে, (তবে) এ দুর্গন্ধ কিসের?- আর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হতে দুৰ্গন্ধ পাওয়া যাবে- এটা ছিল তার কাছে অতি অসহনীয় বিষয়। তখন তিনি তোমাকে বলবেন- হাফসাহ আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। তুমি তখন তাকে বলবে, ঐ মধুর মৌমাছি- উরফুত (গাছের কষ) চুষেছে।" আর আমিও তাকে এভাবেই বলব। আর তুমিও হে সফিয়াহ! তাই বলবে। পরে যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওদাহ (রাযিঃ)-এর কাছে গেলেন- 'আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, সাওদাহ্ (রাযিঃ) এর বর্ণনা- “কসম সে সত্তার যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই! তুমি আমাকে যা কিছু বলেছিলে তা তার কাছে প্রকাশ করেই দিচ্ছিলাম প্রায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন দরজায়- তোমার ভয়ে (তা আর করা হল না)। পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকটবর্তী হলে সে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি বললেন, 'না'। সে (সাওদাহ্) বলল, তবে এ ঘ্রাণ কিসের? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাফসাহ আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। সাওদাহ্ বলল, (তবে তাই) তার মৌমাছি উরফুত বা মাগাফিরের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করেছে।” পরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আগমন করলে আমিও তাকে অনুরূপ বললাম। অতঃপর সফিয়্যাহ্ (রাযিঃ) এর কাছে গেলে সেও অনুরূপ বলল। পরে (আবার) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাহ এর নিকট গেলে সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আপনাকে তা পান করতে দিব না? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তার প্রতি আমার কোন চাহিদা নেই।” আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, সাওদাহ (রাযিঃ) বলতে লাগল, আল্লাহর কসম আমরা তো তাকে (একটি প্রিয় পানীয় হতে) বঞ্চিত করে দিয়েছি। আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, চুপ থাক। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪২) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭২ | 3572 | ۳۵۷۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে ৩৫৭২-(.../...) (ইমাম মুসলিম এর শাগরিদ) আবূ ইসহাক ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, হাসান ইবনু বিশর (রহঃ) আবূ উসামাহ্ (রহঃ) এর সূত্রে আমাকে অবিকল এ হাদীস শুনিয়েছেন। সুওয়ায়দ ইবনু সাঈদ (রহঃ) আলী ইবনু মিসহার ও হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (রহঃ) এর সূত্রে ঐ সানাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৩) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৩ | 3573 | ۳۵۷۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৭৩-(২২/১৪৭৫) আবূ তাহির ও হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া আত তুজীবী (রহিমাহমাল্লাহ) ..... আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রহঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীদের ইখতিয়ার প্রদানে আদিষ্ট হলে বিষয়টি আমাকে দিয়ে সূচনা করলেন। তিনি বললেন, “আমি তোমার কাছে একটি বিষয় উপস্থাপন করছি, তোমার পিতা-মাতার সঙ্গে পরামর্শ না করা পর্যন্ত তুমি তাতে তাড়াহুড়া না করলে তোমার কোন লোকসান হবে না।” “আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিশ্চিত অবগত ছিলেন যে, আমার মা-বাপ আমাকে তার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাবার পরামর্শ দিতে প্রস্তুত হবেন না। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইখতিয়ারের বিষয়ের বিবরণ প্রদানে) বললেন, আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ "হে নাবী আপনি আপনার স্ত্রীদের বলে দিন! তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর, তবে এসো আমি তোমাদের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সঙ্গে তোমাদের বিদায় দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তার রসূল ও আখিরাত কামনা কর তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন”— (সূরা আল আহযাব ৩৩ঃ ২৮-২৯)। আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ এ ব্যাপারে আবার আমার মা-বাপের সঙ্গে পরামর্শ করব? আমি তো আল্লাহ এবং তার রসূল ও আখিরাতকেই ইখতিয়ার করছি"। তিনি বলেন, পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যান্য স্ত্রীগণ তেমনই করেন যেমন আমি করেছিলাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৪) পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৭৪-(২৩/১৪৭৬) সুরায়জ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ..... মুআযাহ আল আদাবিয়্যাহ্ (রহঃ) এর সূত্রে আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আপনি তাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট স্থান দিতে পারেন"- (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৫১) আয়াত নাযিল হবার পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন এক স্ত্রীর পালার দিনে (অন্যদের জন্য) আমাদের কাছে অনুমতি চাইতেন। তখন মুআযাহ্ (রহঃ) তাকে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার নিকট অনুমতি চাইলে আপনি তাকে কী বলতেন? তিনি বললেন, আমি বলতামঃ এ বিষয়টি আমার অধিকারে থাকলে তো কাউকে আমি আমার উপর অগ্রাধিকার দিতাম না। অর্থাৎ অনুমতি প্রার্থনার বিষয়টি অধিকারমূলক ছিল না। বরং তা ছিল নৈতিক ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সৌজন্যমূলক আচরণ মাত্র। সুতরাং সেখানে অনুমতি না দেয়ার অবকাশ ছিল না। অন্যথায় আমি অনুমতি প্রদানে রায়ী হতাম না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৫) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৫ | 3575 | ۳۵۷۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৭৫-(.../...) হাসান ইবনু ঈসা (রহঃ) ..... আসিম (রহঃ) এর সূত্রে পূর্বোক্ত সানাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৬) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৬ | 3576 | ۳۵۷٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৭৬-(২৪/১৪৭৭) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তা ত্বলাক (তালাক) মনে করিনি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৭ | 3577 | ۳۵۷۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৭৭-(২৫/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ..... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে ইখতিয়ার প্রদানে আমার কোন পরোয়া নেই- একবার শতবার কিংবা হাজারবার যদি সে আমাকে পছন্দ করে থাকে। আর আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। এতে কি ত্বলাক (তালাক) হয়ে গিয়েছে? (না এতে ত্বলাক হয়নি) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৮) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৮ | 3578 | ۳۵۷۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৭৮-(২৬/...) মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। কিন্তু তা (ইখতিয়ার প্রদান করা) ত্বলাক (তালাক) বলে গণ্য হয়নি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৯) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৯ | 3579 | ۳۵۷۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৭৯-(২৭/...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। এরপর আমরা তাকে গ্রহণ করলাম। এটা আমাদের উপর ত্বলাক (তালাক) বলে গণ্য হয়নি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫০) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮০ | 3580 | ۳۵۸۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৮০-(২৮/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আবূ কুরায়ব (রহিমাহুমুল্লাহ) ...... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। এরপর আমরা তাকে গ্রহণ করলাম। এটা আমাদের উপর ত্বলাক (তালাক) বলে গণ্য হয়নি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫১) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮১ | 3581 | ۳۵۸۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৮১-(.../...) আবূ রবী' আয যাহরানী (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে আসওয়াদ (রহঃ) এর সূত্রে মাসরূক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫২) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮২ | 3582 | ۳۵۸۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না ৩৫৮২-(২৯/১৪৭৮) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বাকর (রাযিঃ) এসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তিনি তার দরজায় অনেক লোককে উপবিষ্ট দেখতে পেলেন। তবে তাদের কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এরপর তিনি আবূ বাকর (রাযিঃ) কে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করলে তিনি প্রবেশ করলেন। এরপর উমর (রাযিঃ) এলেন এবং তিনি অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তখন তাকেও প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হল। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে চিন্তাযুক্ত ও নীরব বসে থাকতে দেখলেন আর তখন তার চতুস্পার্শ্বে তার সহধর্মিণীগণ উপবিষ্টা ছিলেন। তিনি [বর্ণনাকারী জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ)] বলেন, “উমর (রাযিঃ) বললেন নিশ্চয়ই আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এমন কথা বলব যা তাকে হাসাবে। এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি যদি খারিজাহ এর কন্যাকে [উমার (রাযিঃ) এর স্ত্রী] আমার কাছে খোরপোষ তলব করতে দেখতেন তাহলে (তৎক্ষণাৎ) আপনি তার দিকে অগ্রসর হয়ে তার স্কন্ধে আঘাত করতেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে উঠলেন এবং বললেন, আমার চতুস্পার্শ্বে তোমরা যাদের দেখতে পাচ্ছ তারা আমার কাছে খোরপোষ দাবী করছে। অমনি আবূ বাকর (রাযিঃ) আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর দিকে ছুটলেন এবং তার গর্দানে আঘাত করলেন। উমার (রাযিঃ)ও দাঁড়িয়ে গেলেন এবং হাফসাহ (রাযিঃ) এর দিকে অগ্রসর হয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করলেন। তারা উভয়ে বললেন, তোমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন জিনিস দাবী করছ যা তার কাছে নেই। তখন তারা (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণ) বললেন, আল্লাহর কসম আমরা আর কখনো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এমন জিনিস চাইব না যা তার কাছে নেই। এরপর তিনি তাদের (তার সহধর্মিণীগণের) থেকে এক মাস কিংবা উনত্রিশ দিন পৃথক রইলেন। এরপর তার প্রতি এ আয়াত নাযিল হল- (অর্থ) "হে নাবী! আপনি আপনার সহধর্মিণীদের বলে দিন, তোমরা যদি পার্থিব জীবনের ভোগ ও এর বিলাসিতা কামনা কর, তাহলে এসো আমি তোমাদের ভোগ-বিলাসের ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় করে দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও পরকালকে কামনা কর তাহলে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণা আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন"- (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ২৮-২৯)। তিনি [জাবির (রাযিঃ)] বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘আয়িশাহ্ (রাযিঃ) কে দিয়ে (আয়াতের নির্দেশ তামীল করতে) শুরু করলেন। তখন তিনি বললেন, হে আয়িশাহ্! আমি তোমার কাছে একটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয়ে আলাপ করতে চাই। তবে সে বিষয়ে তোমার পিতামাতার সঙ্গে পরামর্শ না করে তোমার ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করাই আমি পছন্দ করি। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার ব্যাপারে আমি কি আমার পিতা-মাতার কাছে পরামর্শ নিতে যাব? (এর কোন প্রয়োজন নেই)। না, বরং আমি আল্লাহ, তার রসূল ও আখিরাতকেই বেছে নিয়েছি। তবে আপনার সকাশে আমার একান্ত নিবেদন, আমি যা বলেছি সে সম্পর্কে আপনি আপনার অন্যান্য সহধর্মিণীগণের কারো কাছে ব্যক্ত করবেন না। তিনি বললেন, তাদের যে কেউ সে বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি অবশ্যই তাকে তা বলে দিব। কারণ আল্লাহ আমাকে কঠোরতা আরোপকারী ও অত্যাচারীরূপে নয় বরং সহজ পন্থায় (শিক্ষাদানকারী) হিসেবে প্রেরণ করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫৩) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮৩ | 3583 | ۳۵۸۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫. স্ত্রী হতে দূরে থাকার কসম করা, স্ত্রী হতে বিরত থাকা ও তাদের অবকাশ দেয়া এবং আল্লাহ তা'আলার বাণী- “যদি তারা যিহারে লিপ্ত হয়” ইত্যাদি প্রসঙ্গে ৩৫৮৩-(৩০/১৪৭৯) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... উমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণ থেকে সাময়িকভাবে পৃথক হয়ে গেলেন, তখন আমি মসজিদে নাবাবীতে প্রবেশ করলাম। আমি দেখতে পেলাম লোকেরা হাতে কংকর নিয়ে নাড়াচাড়া করছে (যা দুশ্চিন্তার সময় স্বাভাবিকভাবে ঘটে থাকে)। তারা বলাবলি করছিল যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণকে ত্বলাক (তালাক) দিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনা ছিল তাদের উপর পর্দার নির্দেশ আসার পূর্বেকার। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি আজই প্রকৃত ঘটনা জেনে নিব। তাই আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) এর নিকটে গেলাম। আমি তাকে বললাম, হে আবূ বাকর তনয়া! তোমার অবস্থা কি এ পর্যায়ে নেমে গিয়েছে যে, তুমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কষ্ট দিচ্ছ? তিনি বললেন, হে খাত্ত্বাবের পুত্র! আমার ব্যাপার নিয়ে আপনি মাথা ঘামাচ্ছেন কেন? আগে নিজের ঘরের খবর নিন। তিনি বলেন, তখনই আমি হাফসাহ বিনতু উমর (রাযিঃ) এর কাছে এলাম। আমি তাকে বললাম, হে হাফসাহ! তোমার অবস্থা এই পর্যায়ে গড়িয়েছে যে, তুমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কষ্ট দিচ্ছ? আল্লাহর কসম! আমি জানতে পেরেছি যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে ভালবাসেন না। আর আমি না হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই তোমাকে ত্বলাক (তালাক) দিয়ে দিতেন। এ কথা শুনে তিনি অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। তখন আমি তাকে বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায় আছেন? সে হাফসাহ (রাযিঃ) বলল, তিনি ঐ চিলেকোঠায় অবস্থান করছেন। আমি সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করলাম। তখন আমি দেখতে পেলাম যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চৌকাঠটি ছিল খেজুর গাছের কাণ্ড দিয়ে নির্মিত যা দিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠানামা করতেন। আমি রাবাহ-কে ডাকলাম এবং বললাম, হে রাবাহ আমার জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট থেকে প্রবেশের অনুমতি নিয়ে এসো। তখন রাবাহ কামরার দিকে দৃষ্টিপাত করল। এরপর আমার দিকে ফিরে তাকাল। কিন্তু সে কিছুই বলল না। আমি বললাম, হে রাবাহ! তুমি আমার জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে এসো। এরপর রাবাহ কামরার দিকে দৃষ্টিপাত করল এবং আমার দিকে ফিরে তাকাল। কিন্তু সে এবারও কিছুই বলল না। তখন আমি উচ্চৈঃস্বরে বললাম, হে রাবাহ! তুমি আমার জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে এসো। সে সময় আমি ভেবেছিলাম যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয়ত ধারণা করছেন আমি আমার কন্যা হাফসার কারণেই এখানে এসেছি। আল্লাহর কসম! যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার গর্দান উড়িয়ে দিবার নির্দেশ দিতেন তাহলে আমি অবশ্যই তার গর্দান উড়িয়ে দিতাম। এ সব কথা আমি উচ্চৈঃস্বরেই বলছিলাম। তখন সে (রাবাহ) আমাকে ইশারায় উপরে উঠতে বলল। তখন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে প্রবেশ করলাম। সে সময় তিনি খেজুর পত্র নির্মিত একটি চাটাইয়ের উপর কাত হয়ে শোয়া ছিলেন। আমি সেখানে বসে পড়লাম। তিনি তার চাঁদরখানি তার শরীরের উপরে টেনে দিলেন। তখন এটি ছাড়া তার পরনে অন্য কোন কাপড় ছিল না আর বাহুতে চটাইয়ের দাগ বসে গিয়েছিল। এরপর আমি স্বচক্ষে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামানাদির দিকে তাকালাম। আমি সেখানে একটি পাত্রে এক সা' (আড়াই কেজি পরিমাণ) এর কাছাকাছি কয়েক মুঠো যব দেখতে পেলাম। অনুরূপ বাবলা জাতীয় গাছের কিছু পাতা (যা দিয়ে চামড়ায় রং করা হয় ) কামরার এক কোণায় পড়ে আছে দেখলাম। আরও দেখতে পেলাম ঝুলন্ত একখানি চামড়া যা পাকানো ছিল না। তখন তিনি বলেন, এসব দেখে আমার দু' চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে গেল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে খাত্ত্বাবের পুত্র! কিসের তোমার কান্না পেয়েছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর নাবী! কেন অমি কাদব না। এই যে চাটাই আপনার শরীরের পার্শ্বদেশে দাগ বসিয়ে দিয়েছে। আর এই হচ্ছে আপনার কোষাগার। এখানে সামান্য কিছু যা দেখলাম তাছাড়া তো আর কিছুই নেই। পক্ষান্তরে ঐ যে রোমক বাদশাহ ও পারস্য সম্রাট, কত বিলাস ব্যসনে ফলমূল ও ঝরণায় পরিবেষ্টিত হয়ে আড়ম্বরপূর্ণ জীবন যাপন করছে। আর আপনি হলেন আল্লাহর রসূল এবং তার মনোনীত ব্যক্তি। আর আপনার কোষাগার হচ্ছে এই! তখন তিনি বললেন, হে খাত্ত্বাব তনয়! তুমি কি এতে পরিতুষ্ট নও যে, আমাদের জন্য রয়েছে আখিরাত আর তাদের জন্য দুনিয়া (পার্থিব ভোগ বিলাস)। আমি বললাম, নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট। এরপর উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি যখন প্রবেশ করেছিলাম তখন তার চেহারায় রাগের ছাপ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। এরপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সহধর্মিণীগণের কোন আচরণ আপনার মনোকষ্টের কারণ হয়েছে কি? আপনি যদি তাদের ত্বলাক (তালাক) প্রদান করে থাকেন (তাতে আপনার কিছু আসে যায় না) সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনার সঙ্গে আছেন। তার সকল মালাক, জিবরীল, মীকাঈল, আমি, আবূ বাকর (রাযিঃ) সহ সকল ঈমানদার আপনার সঙ্গে আছেন। তিনি [উমার (রাযিঃ)] বলেন, আল-হামদুলিল্লাহ, আমি যখনই কোন কথা বলি তাতে প্রায়ই আমি আশাবাদী যে, আল্লাহ আমার কথা সত্য প্রমাণিত করবেন। তখন ইখতিয়ার সম্পর্কিত এ আয়াত নাযিল হল “যদি নাবী তোমাদের সকলকে ত্বলাক (তালাক) দিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতিপালক তোমাদের পরিবর্তে তাকে তোমাদের চাইতে উৎকৃষ্টতর সহধর্মিণী দিবেন"। (সুরাহ আত তাহরীম ৬৬ঃ ৫) “আর তোমরা দু’জন যদি নাবীর বিরুদ্ধে একে অপরের সাহায্য কর তবে জেনে রাখ, আল্লাহই তার বন্ধু এবং জিবরীল (আঃ), সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণও। অধিকন্তু সমস্ত মালায়িকাহও তার সাহায্যকারী।" (সুরাহ আত তাহরীম ৬৬ঃ ৪) আয়িশাহ্ বিনতু আবূ বাকর (রাযিঃ) ও হাফসাহ্ (বিনতু উমার) (রাযিঃ) এ দু'জন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যান্য সহধর্মিণীগণের উপর প্রাধান্য বিস্তার করে আসছিল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তাদের ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন? তিনি বললেন, না। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি মাসজিদে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম মুসলিমরা (চিন্তামুক্ত হয়ে) মাটির কংকর মারছে এবং বলছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণকে ত্বলাক (তালাক) দিয়ে দিয়েছেন। এখন আমি কি তাদের কাছে গিয়ে জানিয়ে দিব যে, আপনি আপনার সহধর্মিণীদের ত্বলাক (তালাক) দেননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ তোমার মনে চাইলে। এভাবে আমি তার সঙ্গে আলাপ করতে লাগলাম। পরিশেষে দেখলাম তার চেহারা থেকে রাগের ছাপ একেবারে মুছে গেছে এবং তিনি এমনভাবে হাসি দিলেন যে, তার দাত দেখা গেল। তার দাঁত ছিল সকলের চাইতে সুন্দর। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখান থেকে নিচে নেমে এলেন এবং আমিও খেজুর গাছের কাণ্ড নির্মিত (সিড়ির) কাষ্ঠ ধরে নিচে নেমে এলাম। তবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে নিচে নামলেন যেন তিনি সমতল জমিনে হাটছেন। তিনি তার হাত দিয়ে কাণ্ডটি স্পর্শ করেননি। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো এ বালাখানায় উনত্রিশ দিন অবস্থান করছেন। তিনি বললেন, মাস উনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে। এরপর আমি মাসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে ঘোষণা করলাম, তিনি তার সহধর্মিণীগণকে ত্বলাক (তালাক) দেননি। তখন এ আয়াত নাযিল হল- “যখন শান্তি কিংবা ভয়ের কোন সংবাদ তাদের কাছে আসে তখন তারা তা প্রচার করে দেয়। যদি তারা বিষয়টি আল্লাহর রসূল এবং নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিদের নিকট উপস্থাপন করত তাহলে তাদের মধ্যে যারা তথ্য অনুসন্ধানী তারা এর যথার্থতা নিরূপণ করতে সক্ষম হত।” মোটকথা আমি উমার (রাযিঃ) এ বিষয়টির সঠিক তথ্য নির্ণয়ে সক্ষম হয়েছিলাম। তখন আল্লাহ তা'আলা ইখতিয়ার সম্পর্কিত আয়াত নাযিল করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫৪) পরিচ্ছদঃ ৫. স্ত্রী হতে দূরে থাকার কসম করা, স্ত্রী হতে বিরত থাকা ও তাদের অবকাশ দেয়া এবং আল্লাহ তা'আলার বাণী- “যদি তারা যিহারে লিপ্ত হয়” ইত্যাদি প্রসঙ্গে ৩৫৮৪-(৩১/...) হারূন ইবনু সাঈদ আয়লী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ এক বছর যাবৎ ইচ্ছা পোষণ করে আসছিলাম যে, একটি আয়াত সম্পর্কে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করব। কিন্তু আমি তার গাম্ভীর্যের কারণে তাকে জিজ্ঞেস করতে সাহস পাইনি। একবার তিনি হাজ্জ (হজ্জ/হজ) পালনের জন্য রওনা হলেন, আমিও তার সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম। যখন আমরা কোন এক রাস্তা দিয়ে চলছিলাম এ সময় তিনি (প্রকৃতির) প্রয়োজনে পিলুগাছের ঝোপের দিকে গেলেন। আমি তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলাম। তিনি তার প্রয়োজন পূরণ করে ফিরে এলেন। এরপর আমি তার সঙ্গে রওনা করলাম। (এক সুযোগ পেয়ে) আমি বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণের মধ্যে থেকে কোন দু’জন তার অপ্রিয় কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করেছিল? তিনি বললেন, তারা ছিল হাফসাহ (রাযিঃ) ও ‘আয়িশাহ (রাযিঃ)। তিনি [আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)] বলেন, আমি তাকে [উমর (রাযিঃ) কে] বললামঃ আল্লাহর কসম! দীর্ঘ এক বছর যাবৎ এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করব বলে মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করে আসছিলাম, কিন্তু আপনার ভয়ের কারণে সাহস পাইনি। তিনি [উমর (রাযিঃ)] বললেন, কখনো এরূপ করবে না বরং আমার কাছে কোন বিষয়ের জ্ঞান আছে বলে তোমার ধারণা হলে তুমি অবশ্যই সে সম্পর্কে আমার কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিবে। যদি তা আমার জানা থাকে তাহলে তোমাকে অবহিত করবই। রাবী [আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)] বলেন, তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! জাহিলিয়্যাত যুগে আমরা নারী জাতির জন্য কোন অধিকার স্বীকার করতাম না। এরপর আল্লাহ তাদের অধিকার সম্পর্কে যা অবতীর্ণ করার অবতীর্ণ করলেন এবং তাদের জন্য যা নির্ধারণের ছিল তা নির্ধারণ করে দিলেন। তিনি বলেন, আমি কোন একদিন এক বিষয়ে চিন্তা করছিলাম। এমন সময় আমার স্ত্রী আমার কাছে এসে বলল, আপনি যদি এরূপ এরূপ করতেন তাহলে বেশ ভাল হত। আমি তাকে বললাম, তোমার কী হয়েছে? তুমি এখানে এলে কেন? আমি যে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি তাতে তুমি নাক গলাচ্ছ কেন? তখন সে বলল, হে খাত্ত্বাবের পুত্র! আপনি তো আমাকে মুখ খুলতেই দিচ্ছেন না, কী আশ্চর্য! অথচ আপনার (স্নেহের) কন্যাটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে প্রতি উত্তর করে, যার ফলে তিনি সারাদিন রাগান্বিত অবস্থায় অতিবাহিত করেন। উমার (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি (তড়িঘড়ি) আমার চাঁদর গুটিয়ে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম এবং সোজা হাফসার কাছে পৌছলাম। আমি তাকে বললাম, হে আমার কন্যা! তুমি নাকি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথার প্রত্যুত্তর করে থাক, যাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা দিন রাগান্নিত থাকেন? হাফসাহ (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমরা সত্যিই তার কথার প্রত্যুত্তর দিয়ে থাকি। তখন আমি বললাম, জেনে রাখ! আমি তোমাকে আল্লাহর শাস্তির ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসন্তুষ্টির ভীতি প্রদর্শন করছি। হে আমার কন্যা! ঐ মেয়েটি যেন তোমাকে ধোকায় ফেলতে না পারে যাকে তার সৌন্দর্য ও তার প্রতি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুরাগ গর্বিতা করে ফেলেছে (এর দ্বারা তিনি ‘আয়িশাহ (রাযিঃ) কে বুঝাতে চাইছেন)। এরপর আমি সেখান থেকে বেরিয়ে উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তার সাথে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। আমি তার সঙ্গে কথা বললাম। তখন উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) আমাকে বললেন, কী আশ্চর্য হে খাত্তাবের পুত্র! তুমি সব কিছুতেই দখল নিতে চাচ্ছ? এমন কি তুমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সহধর্মিণীগণের মধ্যকার বিষয়ে দখল নিতে চাচ্ছ? তিনি বলেন, এ বিষয়ে উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর কথা আমাকে এমনভাবে জব্দ করল যে, আমি হতোদ্যম হয়ে পড়লাম। তাই আমি তার নিকট হতে কেটে পড়লাম। এদিকে আমার একজন আনসার বন্ধু ছিলেন। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাজলিসে অনুপস্থিত থাকলে তিনি আমাকে জানাতেন এবং তিনি তার মাজলিসে অনুপস্থিত থাকলে আমি তার কাছে এসে তাকে (আলোচ্য বিষয়ে) জানাতাম। সে সময়ে আমরা জনৈক গাসসানী বাদশার আক্রমণের আশংকা করছিলাম। কারণ তখন আমাদের মাঝে সংবাদ (গুজব) ছড়িয়ে পড়েছিল যে, সে আমাদের উপর হামলার পায়তারা করছে। তাই ভয়-ভীতি ও দুশ্চিন্তায় আমাদের অন্তর ছিল আচ্ছন্ন। ইত্যবসরে আমার আনসারী বন্ধুটি এসে দরজা খটখটাতে লাগলেন এবং বললেন, খুলে দিন আমি বললাম, তাহলে গাসসানীরা কি এসেই পড়ল। তিনি (আমার আনসারী বন্ধুটি) বললেন, (না, গাসসানীরা আসেনি) তবে তার চাইতেও সাংঘাতিক কিছু। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণকে ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন। উমার (রাযিঃ) বললেন, তখন আমি বললাম, হাফসাহ ও আয়িশার নাক ধূলোয় মলিন হোক। এরপর আমি আমার কাপড়-চোপড় পরিধান করলাম এবং ঘর থেকে বেরিয়ে সরাসরি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তার বালাখানায় দেখতে পেলাম। সেটা ছিল এমন ছাদযুক্ত কামরা যাতে খেজুর কাণ্ড নির্মিত সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক সিঁড়ির কামরার দরজায় পাহাড়ারত ছিল। তখন আমি তাকে বললাম, আমি 'উমার। আমাকে অনুমতি এনে দাও। সে অনুমতি নিয়ে এলে আমি ভিতরে প্রবেশ করে এ ঘটনা বিশদভাবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে খুলে বললাম। আমি যখন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর ঘটনা পর্যন্ত পৌঁছলাম, তখন তিনি মুচকি হাসি দিলেন। তিনি তখন একটি সাদামাটা চাটাইয়ের উপর (কাত হয়ে শায়িত) ছিলেন, তার ও চাটাইয়ের মাঝখানে অন্য কিছুই ছিল না। তার মাথার নিচে ছিল চামড়ার তৈরি একটি বালিশ যার মধ্যে খেজুর গাছের ছাল ভর্তি ছিল। তার পায়ের কাছে ছিল স্তুপীকৃত বাবলা জাতীয় গাছের কিছু পাতা এবং শিয়রের কাছে ঝুলন্ত ছিল একটি কাচা চামড়া। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শরীরের পার্শ্বদেশে চাটাই-এর দাগ দেখতে পেলাম, এতে আমি কাঁদলাম। তিনি বললেন, (হে খাত্ত্বাব তনয়) তুমি কাঁদছ কেন? তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! পারস্য সম্রাট ও রোমক সম্রাট কত বিলাসব্যসনে কাটাচ্ছে আর আপনি হলেন আল্লাহর রসূল, (আপনার অবস্থা এই)। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (হে উমার) তুমি কি এতে পরিতুষ্ট নও যে, তাদের জন্য কেবল দুনিয়া (পার্থিব ভোগ-বিলাস) আর তোমার জন্য রয়েছে আখিরাত (চিরস্থায়ী সুখ শান্তি)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫৫) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮৫ | 3585 | ۳۵۸۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫. স্ত্রী হতে দূরে থাকার কসম করা, স্ত্রী হতে বিরত থাকা ও তাদের অবকাশ দেয়া এবং আল্লাহ তা'আলার বাণী- “যদি তারা যিহারে লিপ্ত হয়” ইত্যাদি প্রসঙ্গে ৩৫৮৫-(৩২/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি 'উমার (রাযিঃ) এর সঙ্গে রওনা হয়ে যখন মাররুয যাহরান নামক স্থানে পৌছলাম, তখন তিনি বিস্তারিতভাবে হাদীস বর্ণনা করেন। সুলায়মান ইবনু বিলাল বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। অবশ্য তিনি [ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)] বলেনঃ আমি 'উমার (রাযিঃ) কে বললাম, সে দু'জন মহিলার ঘটনা আমাকে বলবেন কি? তিনি বললেন, তারা ছিল হাফসাহ ও উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ)। তিনি তার বর্ণনায় আরও উল্লেখ করেন যে, এরপর আমি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) হুজরার দিকে এলাম তখন সব ঘরেই কান্নাকাটি অব্যাহত ছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীগণের সঙ্গে এক মাস ঈলা করেছিলেন। যখন উনত্রিশ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল তখন তিনি তাদের কাছে ফিরে এলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫৬) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮৬ | 3586 | ۳۵۸٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫. স্ত্রী হতে দূরে থাকার কসম করা, স্ত্রী হতে বিরত থাকা ও তাদের অবকাশ দেয়া এবং আল্লাহ তা'আলার বাণী- “যদি তারা যিহারে লিপ্ত হয়” ইত্যাদি প্রসঙ্গে ৩৫৮৬-(৩৩/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (দীর্ঘদিন যাবৎ) মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করে আসছিলাম যে, ঐ দু'জন মহিলা সম্পর্কে উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করব যারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার অপ্রিয় কাজে একে অপরকে সহযোগিতা দান করেছিল। আমি দীর্ঘ একটি বছর অপেক্ষা করলাম কিন্তু আমি তাকে জিজ্ঞেস করার সুযোগ পেলাম না। শেষ পর্যন্ত মাক্কায় (মক্কায়) রওনা হবার পথে আমি তার সফর সঙ্গী হলাম। পথযাত্রায় তিনি যখন মাররুয যাহরান নামক স্থানে পৌছলেন তখন তিনি তার প্রয়োজন পূরণের (ইসতিনজা ইত্যাদির জন্য) ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন। এরপর তিনি বললেন, আমাকে এক বদনা পানি দাও। আমি এক বদনা পানি সহ তার কাছে উপস্থিত হলাম। যখন তিনি হাজত সমাধান করে ফিরে এলেন তখন আমি (ওযুর) পানি ঢেলে দেয়ার জন্য তার কাছে গেলাম। তখন আমি সে প্রশ্নের কথা স্মরণে আনলাম। এরপর আমি তাকে বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন! সে মহিলা দু’জন কারা ছিল? তখন আমার কথা শেষ না হতেই তিনি বললেন, সে দু'জন ছিল ‘আয়িশাহ (রাযিঃ) ও হাফসাহ (রাযিঃ)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৮৭ | 3587 | ۳۵۸۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫. স্ত্রী হতে দূরে থাকার কসম করা, স্ত্রী হতে বিরত থাকা ও তাদের অবকাশ দেয়া এবং আল্লাহ তা'আলার বাণী- “যদি তারা যিহারে লিপ্ত হয়” ইত্যাদি প্রসঙ্গে ৩৫৮৭-(৩৪/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল হান্যালী ও মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমর (রহিমাছমাল্লাহ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণের মধ্যে থেকে দু’জন মহিলা সম্পর্কে উমার (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করার জন্য বহুদিন যাবৎ আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলাম যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেনঃ “তোমাদের দু'জনের হৃদয় অন্যায় প্রবণ হয়েছে মনে করে তোমরা যদি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো তাহলে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন"। (সূরা আত তাহরীম ৬৬ঃ ৪) পরিশেষে উমর (রাযিঃ) হাজ্জ (হজ্জ/হজ) পালনের জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লেন এবং আমিও হজ্জ পালনের জন্য তার সফরসঙ্গী হলাম। এরপর (হাজ্জ (হজ্জ/হজ) সমাপন করে ফেরার পথে) আমরা কোন এক রাস্তা দিয়ে চলার সময় উমার (রাযিঃ) এক পার্শ্বে মোড় নিলেন। আমিও পানির বদনাসহ তার সঙ্গে রাস্তার পাশে গেলাম। তিনি তার হাজত পূরণ করলেন এবং আমার কাছে এলেন। আমি তার উভয় হাতে পানি ঢাললাম, তিনি ওযু করে নিলেন। তখন আমি বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণের মধ্যে সে দু'জন মহিলা কারা ছিল যাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ উমর (রাযিঃ) বললেন, হে ইবনু আব্বাস। এতো তোমার জন্য আশ্চর্যের বিষয় বলে মনে হচ্ছে (তুমি এত বিলম্বে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কেন?) যুহরী (রহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! তিনি [উমর (রাযিঃ)] জিজ্ঞাসিত বিষয়টি (ইবনু আব্বাসের এ বিষয়ে বিলম্বে প্রশ্ন করাকে) অপছন্দ করলেও তা বর্ণনা করতে কিছুই গোপন করলেন না। তিনি বললেন, তারা দু’জন ছিল হাফসাহ ও আয়িশাহ (রাযিঃ)। এরপর তিনি ঘটনার বিবরণ দিতে লাগলেন। তিনি বললেন, আমরা কুরায়শ বংশের লোকেরা (জাহিলিয়্যাত যুগে) আমাদের স্ত্রীদের উপর প্রভুত্ব করে চলতাম। যখন আমরা মাদীনায় এলাম তখন এমন লোকদের দেখতে পেলাম যাদের উপর তাদের স্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করছিল। এমনি পরিবেশে আমাদের নারীরা তাদের (মাদীনাহবাসীদের) নারীদের অভ্যাস রপ্ত করতে শুরু করে দেয়। তিনি বলেন, সে সময় মাদীনার উচ্চভূমির অধিবাসী বানু উমাইয়্যাহ্ ইবনু যায়দের বংশধরদের মধ্যে আমার বসতবাটি ছিল। এরপর একদিন আমি আমার স্ত্রীর উপর রাগান্বিত হলাম। সে আমার কথার প্রত্যুত্তর করতে লাগল। আমি আমার সঙ্গে তার প্রত্যুত্তর করাকে খুবই অপ্রিয় মনে করলাম। সে বলল, আপনার সঙ্গে আমার কথার প্রত্যুত্তর করাকে অপছন্দ করছেন কেন? আল্লাহর কসম নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণও তো তার সঙ্গে কথার প্রত্যুত্তর করে থাকে। এমনকি তাদের কেউ কেউ তাকে সারা দিন রাত বিচ্ছিন্ন করে রাখে। তখন আমি রওনা করে (আমার মেয়ে) হাফসার কাছে চলে এলাম। এরপর আমি তাকে বললাম, তুমি কি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে প্রত্যুত্তর কর? সে বলল, হ্যাঁ। আমি বললাম, তোমাদের মধ্যে কি কেউ তাকে সারা দিন রাত বিচ্ছিন্ন করে রাখে? সে বলল, হ্যাঁ। আমি বললাম, তোমাদের যে কেউ এরূপ আচরণ করে সে আসলেই দুর্ভাগা ও ক্ষতিগ্রস্ত। তোমাদের মধ্যে কি কেউ বিপদমুক্ত ও নিরাপদ হতে পারে যদি আল্লাহ তার রসূলের ক্রোধের কারণে ক্রুদ্ধ হন। এরূপ হলে তো তার ধ্বংস অনিবার্য। তুমি কখনো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে তার কথার প্রত্যুত্তরে লিপ্ত হয়ো না এবং তার কাছে কোন কিছু দাবী করবে না, তোমার মনে যা চায় তা আমার কাছে চাইবে। তোমার সতীন তোমার চাইতে অধিকতর সুন্দরী এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তোমার তুলনায় অধিকতর প্রিয়পাত্রী। সে যেন তোমাকে ধোকায় পতিত না করে ফেলে। এর দ্বারা তিনি [উমর (রাযিঃ)] আয়িশাহ (রাযিঃ) কে বুঝাতে চাইছেন। তিনি বলেন, আমার একজন আনসারী প্রতিবেশী ছিলেন। আমরা দুই বন্ধু পালাক্রমে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে (তার মাজলিসে) যেতাম। একদিন তিনি উপস্থিত থাকতেন, অপরদিন আমি উপস্থিত হতাম। এভাবে তিনি আমাকে ওয়াহী ইত্যাদির খবর দিতেন, আমিও অনুরূপ খবর তাকে পৌছাতাম। সে সময় আমরা বেশ করে আলোচনা করতে ছিলাম যে, গাসসানী বাদশাহ নাকি আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ঘোড়ার ক্ষুরে নাল লাগাচ্ছে। একদিন আমার বন্ধু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলেন এবং ইশার সময় (রাত্রিকালে) আমার কাছে (ফিরে) এলেন। তিনি এসে আমার ঘরের দরজা খটখটালেন এবং আমাকে ডাকলেন। আমি তার ডাক শুনে তার কাছে ছুটে এলাম। তিনি বললেন, একটা বিরাট কাণ্ড ঘটে গেছে। আমি বললাম, সে কী? গাস্সানীরা তাহলে এসে গেছে নাকি? তিনি বললেনঃ না, তারা আসেনি বরং ব্যাপার তার চাইতেও সাংঘাতিক ও দীর্ঘতর। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীদের ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন। তখন আমি বললাম, হাফসাহ হতাশ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি পূর্ব থেকেই ধারণা পোষণ করে আসছিলাম যে, এমন একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে। এরপর আমি ফাজরের সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় পরিধান করলাম। আমি ঘর থেকে বেরিয়ে সরাসরি হাফসার কাছে উপস্থিত হলাম। তখন সে কাঁদছিল। আমি বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তোমাদেরকে ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন। সে (শ্বাসরুদ্ধ করে) বলল, আমি জানি না। তবে তিনি তার ঐ বালাখানায় নির্জনবাস করছেন। তখন আমি তার কৃষ্ণাঙ্গ খাদিমের কাছে বললাম, উমারের (প্রবেশের) জন্য অনুমতি প্রার্থনা করো। এরপর সে ভিতরে প্রবেশ করল এবং পরক্ষণেই বেরিয়ে এসে আমার দিকে তাকাল। এরপর সে বলল, আমি তাঁর (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) কাছে আপনার কথা উত্থাপন করেছি কিন্তু তিনি নীরব আছেন (কিছুই বলছেন না)। অতঃপর আমি চলে এলাম এবং মিম্বারের কাছে এসে বসে পড়লাম। তখন আমি দেখতে পেলাম সেখানে একদল লোক বসা আছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। আমি খানিকটা বসলাম। এরপর আমার মনের প্রবল আকাঙ্খা আমার উপর প্রভাব বিস্তার করল। তখন আমি সে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটির কাছে চলে এলাম এবং তাকে বললাম, 'উমারের জন্য ভিতরে প্রবেশের অনুমতি নিয়ে এসো। সে ভেতরে প্রবেশ করল এবং বেরিয়ে এসে আমাকে বলল, আমি আপনার বিষয়টি তার সামনে উত্থাপন করেছি কিন্তু তিনি নীরব আছেন। আমি যখন পিছনে ফিরে চললাম অমনি সে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি আমাকে ডাক দিয়ে বলল, আপনি প্রবেশ করুন; তিনি আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন। আমি ভিতরে প্রবেশ করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম দিলাম। আমি দেখতে পেলাম, তিনি খেজুর পাতার তৈরি একটি চাটাই এর উপর হেলান দিয়ে আরাম করছেন যা তার পাজরে চাটাইয়ের দাগ বসিয়ে দিয়েছে। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি আপনার সহধর্মিণীগণকে ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন? তিনি তার মাথা উচিয়ে আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেন, না। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। হে আল্লাহর রসূল! আপনি বিষয়টি ভেবে দেখুন; আমরা যখন মাদীনায় এলাম তখন দেখতে পেলাম, এখানকার পুরুষ লোকদের উপর তাদের স্ত্রীরা প্রভুত্ব বিস্তার করে আসছে। এতে তাদের দেখাদেখি আমাদের স্ত্রীরাও তাদের অভ্যাস রপ্ত করতে শুরু করে দিয়েছে। একদিন আমি আমার স্ত্রীর প্রতি রাগান্বিত হলাম। অমনি সে আমার কথার প্রত্যুত্তর শুরু করে দিল। আমি তার প্রত্যুত্তর করাকে খুবই খারাপ মনে করলাম। সে বলে ফেলল, আপনার সঙ্গে প্রত্যুত্তর করাকে আপনি এত খারাপ মনে করছেন কেন? আল্লাহর কসম! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণও তো তার কথার প্রত্যুত্তর করে থাকে, এমনকি তাদের কেউ কেউ তাকে সারা দিন রাত বিচ্ছিন্ন করে রাখে। আমি বললাম, তাদের মধ্যে কেউ এমন আচরণ করলে সে হতভাগ্য ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে থেকে কারো উপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হওয়ার কারণে যদি আল্লাহ ক্রুদ্ধ হয়ে যান তাহলে তার পতন ও ধ্বংস অনিবার্য। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃদু স্বরে হেসে উঠলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি হাফসার কাছে গিয়ে তাকে বলে দিয়েছি যে, তোমার সতীন সৌন্দর্যে তোমার তুলনায় অগ্ৰগামিনী এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তোমার চাইতে অধিকতর আদরিণী- তা যেন তোমাকে ধোকার জালে আবদ্ধ করতে না পারে। এতে আবার তিনি মুচকি হাসি দিলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনার সঙ্গে একান্তে আলাপ করতে চাই। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, করতে পার। অতঃপর আমি বললাম এবং মাথা উঠিয়ে তার কোঠার (এদিক ওদিক) তাকিয়ে দেখলাম। আল্লাহর কসম! আমি সেখানে তিনখানি চামড়া ব্যতীত নয়ন জুড়ানো তেমন কিছু দেখতে পাইনি। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন যেন তিনি আপনার উম্মাতকে প্রাচুর্য দান করেন। পারসিক ও রোমকদের তো বৈষয়িক সুখ সমৃদ্ধ দান করা হয়েছে অথচ তারা আল্লাহর ইবাদাত (আনুগত্য) করে না। তখন তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, হে খাত্তাবের পুত্র! তুমি কি সন্দেহের জালে আচ্ছন্ন আছো। আসলে তারা তো এমন সম্প্রদায় যাদের পার্থিব জীবনে ক্ষণিকের তরে সুখ সমৃদ্ধি দান করা হয়েছে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি তার সহধর্মিণীগণের আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে কসম করেছিলেন যে, দীর্ঘ একমাস তাদের সঙ্গে একত্রে অতিবাহিত করবেন না। শেষাবধি আল্লাহ তাকে এ আচরণের জন্য তিরস্কার করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫৮) পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৫৯৪-(৪০/...) হাসান ইবনু ‘আলী আল হুলওয়ানী ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... ফাতিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আবূ আমর ইবনু হাফস্ ইবনু মুগীরাহ (রাযিঃ) এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি তাকে চূড়ান্ত তিন ত্বলাক (তালাক) দিলেন। তখন তিনি ফাতিমাহ বিনত কায়স (রাযিঃ) ভাবলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যাবেন এবং তার স্বামীর ঘর থেকে অন্যত্র অবস্থানের ব্যাপারে তার নিকট থেকে সিদ্ধান্ত জেনে নিবেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশ দিলেন যে, তুমি অন্ধ ইবনু উম্মু মাকতুমের ঘরে চলে যাও। মারওয়ান (উমাইয়্যা গভর্নর) ত্বলাক (তালাক) প্রাপ্তা মহিলার (স্বামীর) ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে তার (আবূ সালামার) বর্ণনার সত্যতা অস্বীকার করেন। উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, আয়িশাহ্ (রাযিঃ) ও ফাতিমাহ বিনতু কায়স এর বিষয়টি (স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করা) প্রত্যাখ্যান করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৬৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৬৪) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৯৫ | 3595 | ۳۵۹۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৫৯৫-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... ইবনু শিহাব (রহঃ) এ সানাদে উরওয়ার উক্তিসহ বর্ণনা করেছেন যে, “আয়িশাহ (রাযিঃ) ফাতিমার উক্ত ঘটনা অস্বীকার করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৬৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৬৫) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৯৬ | 3596 | ۳۵۹٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৫৯৬-(৪১/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... উবায়দুল্লাহ ইবনু 'আবদুল্লাহ ইবনু উতবাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, আবূ আমর ইবনু হাফস্ ইবনু মুগীরাহ (রাযিঃ) আলী ইবনু আবূ তলিব (রাযিঃ) এর সঙ্গে ইয়ামানে গমন করেন। এরপর তিনি তার স্ত্রী ফাতিমাহ বিনতু কায়সকে অবশিষ্ট এক তলাকের কথা বলে পাঠালেন (দু' তালাক আগেই দিয়েছিলেন)। তিনি হারিস ইবনু হিশাম ও আবূ রাবী'আকে নিজের পক্ষ থেকে তার (স্ত্রীকে) খোরপোষ হিসেবে কিছু দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। তখন তারা দু'জন তাকে (ফাতিমাকে) বললেন, আল্লাহর কসম তোমার জন্য কোন খোরপোষ নেই। তবে তুমি গর্ভবতী হলে ভিন্ন কথা। এরপর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন এবং তাদের দু'জনের উক্তি সম্পর্কে তাকে অবহিত করলেন। তখন তিনি তাকে বললেন, তোমার জন্য কোন খোরপোষ নেই। এরপর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কোথায় যাব? তিনি বললেন, ইবনু উম্মু মাকতুমের কাছে চলে যাও। সে অন্ধ মানুষ। তুমি প্রয়োজনবোধে তার নিকট গাত্র বস্ত্র খুলতে পারবে এবং সে তোমাকে দেখতে পাবে না। এরপর যখন তার ইদ্দাত পূর্ণ হল তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উসামাহ ইবনু যায়দের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিলেন। পরবর্তীকালে (উমাইয়্যাহ্ গভর্নর) মারওয়ান এ হাদীসের সত্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার উদ্দেশে কাবীসাহ ইবনু যুআয়বকে তার কাছে পাঠান। তখন তিনি তার (কাবীসার) কাছে এ হাদীস বর্ণনা করেন। এ খবর শুনে মারওয়ান বললেন, একজন মহিলা ছাড়া অন্য কারো কাছে আমি এ হাদীস শুনিনি। আমরা এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশুদ্ধ মত গ্রহণ করব যার উপর আমরা মুসলিম জনসাধারণকে পেয়েছি। ফাত্বিমাহ্ বিনতু কায়স (রাযিঃ) এর নিকট মারওয়ানের মন্তব্য পৌছলে তিনি বলেন, আমার ও তোমাদের মধ্যে কুরআনই চূড়ান্ত মীমাংসাকারী। আল্লাহ বলেছেনঃ "তোমরা তাদেরকে তাদের ঘর থেকে বের করে দিয়ো না।" তিনি বলেন, এ আয়াত সে সব মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য যাদের জন্য রাজ'আতের অধিকার আছে। তাই তিন তলাকের পর নতুন করে আর কী থাকতে পারে? এরপর তোমরা কী করে বলতে পার যে, যে মহিলা গর্ভবতী নয় তার জন্য কোন খোরপোষ নেই? এরপরও তোমরা তাকে কিসের ভিত্তিতে তোমাদের ঘরে আটক করে রাখবে? (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৬৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৬৬) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৯৭ | 3597 | ۳۵۹۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৫৯৭-(৪২/...) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... শা'বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তার (ফাতিমাহ বিনতু কায়স) কাছে গেলাম এবং তার ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তার স্বামী তাকে বায়িন ত্বলাক (তালাক) দিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, এরপর আমি বাসস্থান ও খোরপোষের জন্য তার বিরুদ্ধে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বিচারপ্রার্থী হলাম। তিনি বলেন, তিনি আমার পক্ষে বাসস্থান ও খোরপোষের রায় দেননি। উপরন্তু তিনি আমাকে ইবনু উম্মু মাকতুমের ঘরে ইদ্দাত পালনের নির্দেশ দিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৬৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৬৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৯৮ | 3598 | ۳۵۹۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৫৯৮-(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... শা'বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাতিমাহ বিনত কায়স (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৬৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৬৮) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৯৯ | 3599 | ۳۵۹۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৫৯৯-(৪৩/...) ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব (রহঃ) ..... শা'বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ফাতিমাহ বিনতু কায়স এর কাছে গেলাম। তখন তিনি আমাদেরকে ইবনু ত্বাব নামক টাটকা খেজুর দ্বারা আপ্যায়িত করলেন এবং গম ও মূলত ছাতুর শরবত পান করালেন। এরপর আমি তাকে তিন ত্বলাক (তালাক) প্রাপ্তা মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যে, সে ইদ্দাত পালন করবে কোথায়? তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে তিন ত্বলাক (তালাক) দিয়েছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আমার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ইদ্দাত (ইদ্দত) পালনের অনুমতি দিলেন (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৬৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৬৯) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০০ | 3600 | ۳٦۰۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০০-(৪৪/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... ফাত্বিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তিন ত্বলাক (তালাক) প্রাপ্ত মহিলা সম্পর্কে বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষ কোনটাই নেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭০) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০১ | 3601 | ۳٦۰۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০১-(৪৫/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল হান্যালী (রহঃ) ..... ফাতিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে তিন ত্বলাক (তালাক) দিলেন। এতে আমি তার ঘর থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার ইচ্ছা করলাম। (এ পর্যায়ে) আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার চাচাত ভাই 'আমর ইবনু উম্মু মাকতুমের বাড়িতে চলে যাও এবং তার ঘরেই ইদ্দাত পালন করতে থাক। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭১) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০২ | 3602 | ۳٦۰۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০২-(৪৬/...) মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু জাবালাহ্ (রহঃ) ..... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদের সঙ্গে সেখানকার বড় মসজিদে বসা ছিলাম। শা'বীও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি ফাতিমাহ বিনতু কায়স বর্ণিত হাদীস প্রসঙ্গে বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষের সিদ্ধান্ত দেননি। তখন আসওয়াদ তার হাতে এক মুঠো কংকর নিয়ে শা'বীর দিকে নিক্ষেপ করলেন। এরপর বললেন, সর্বনাশ! তুমি এমন ধরনের হাদীস বর্ণনা করছ? (অথচ) উমর (রাযিঃ) বলেছেন, আমরা আল্লাহর কিতাব এবং আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর সুন্নাত এমন একজন মহিলার উক্তির কারণে ছেড়ে দিতে পারি না। আমরা জানি না, সে স্মরণ রাখতে পেরেছে অথবা ভুলে যে তার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষ আছে। আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ “তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ থেকে বহিষ্কার করে দিয়ে না এবং তারাও যেন ঘর থেকে বের না হয়। তবে তারা স্পষ্ট কোন অশ্লীলতায় লিপ্ত হলে ভিন্ন কথা”— (সূরা আত ত্বলাক ৬৫ঃ ১)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭২) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০৩ | 3603 | ۳٦۰۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০৩-(.../...) আহমাদ ইবনু আবদাল্লাহ আয যাব্বী (রাযিঃ) ..... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে উক্ত সানাদে আবূ আহমাদ আম্মার ইবনু রুযায়ক সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭৩) পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০৪-(৪৭/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... আবূ বকর ইবনু আবূ জাহম ইবনু সুখায়র আল আদাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাতিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তার স্বামী তাকে তিন ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষের অধিকার দেননি। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, তোমার ইদ্দাত পূর্ণ হলে তুমি আমাকে জানাবে। এরপর আমি তাকে ইদ্দাত পূর্ণ হওয়ার কথা জানালাম। তখন মু'আবিয়াহ (রাযিঃ), আবূ জাহম (রাযিঃ) ও উসামাহ (রাযিঃ) তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠান। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মু'আবিয়াহ তো একজন গরীব মানুষ, তার কোন ধনসম্পদ নেই। আর আবূ জাহম-সে তো স্ত্রীদের প্রহারকারী। তবে উসামাহ- তাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পার। তখন তিনি তার হাতের ইশারায় বললেন, উসামাহ্ তো এরূপ। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ ও তার রসূলের আনুগত্য করাই তোমার জন্য কল্যাণকর। তিনি বললেন, তখন আমি তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম। (আল্লাহ আমাকে প্রাচুর্য ও বিত্তবৈভবে পরিপূর্ণ করে দিলেন) ফলে আমি ঈর্ষার কেন্দ্রে পরিণত হলাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭৪) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০৫ | 3605 | ۳٦۰۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০৫-(৪৮/...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... আবূ বাকর ইবনু আবূ জাহম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাতিমাহ বিনতু কায়সকে বলতে শুনেছি যে, আমার স্বামী আবূ আমর হাফস্ ইবনু মুগীরাহ (রাযিঃ) আইয়্যাশ ইবনু আবূ রাবী'আহ-কে আমার নিকটে আমাকে ত্বলাক (তালাক) দেয়ার সংবাদ দিয়ে পাঠান। তিনি তার সাথে আমার খোরপোষের জন্য পাঁচ সা' (এক সা' সাড়ে তিন কেজির সমান) খেজুর এবং পাঁচ সা' যব পাঠিয়ে দেন। তখন আমি তাকে বললাম, আমার জন্য কি খোরপোষ এ পরিমাণ? আমি তোমাদের ঘরে ইদ্দাত করব না। তিনি (আইয়্যাশ) বললেন, না তা হতে পারে না। তিনি (ফাত্বিমাহ) বললেন, আমি তখন কাপড় চোপড় পরিধান করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে বললেন, সে তোমাকে কত ত্বলাক (তালাক) দিয়েছে? আমি বললাম, তিন ত্বলাক (তালাক)। তিনি বললেন, সে (আয়্যাশ) ঠিকই বলেছে। তোমার জন্য কোন খোরপোষ নেই। তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনু উম্মু মাকতুমের ঘরে গিয়ে ইদ্দাত পালন কর। সে একজন অন্ধ মানুষ। তুমি প্রয়োজনবোধে সেখানে কাপড় চোপড় খুলে রাখতে পারবে। এরপর তোমার ইদ্দাত পূর্ণ হলে তুমি আমাকে জানাবে। তিনি (ফাত্বিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ) বলেন, আমার ইদ্দাতকাল অতিবাহিত হলে বেশ কয়েকজন লোক আমার কাছে বিয়ের পায়গাম পাঠালেন। তার মধ্যে মু'আবিয়াহ ও আবূ জাহমও ছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মু'আবিয়াহ তো একজন গরীব মানুষ, নগণ্য সম্পদের অধিকারী আর আবূ জাহম তো নারীদের প্রতি কঠোর (অথবা বললেন) সে স্ত্রীদের লাঠিপেটা করে অথবা এরূপ কিছু বললেন। তবে উসামাহ ইবনু যায়দকেই গ্রহণ করা তোমার জন্য উচিত হবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭৫) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০৬ | 3606 | ۳٦۰٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০৬-(৪৯/...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... আবূ বাকর ইবনু আবূ জাহম (রাযিঃ) বলেন, আমি এবং আবূ সালামাহ ইবনু আবদুর রহমান ফাত্বিমাহ বিনতু কায়স এর কাছে গেলাম। এরপর আমরা তাকে (তার ত্বলাক (তালাক) সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, আমি আবূ আমর হাফস্ ইবনু মুগীরার স্ত্রী ছিলাম। একবার তিনি নাজরানের যুদ্ধে রওনা হয়ে গেলেন। এরপর আবূ বকর ইবনু আবূ জাহম (রাযিঃ) ইবনু মাহদী বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় এতটুকু বেশি উল্লেখ করেছেন যে, “তিনি (ফাত্বিমাহ বিনতু কায়স) বলেন, আর আমি তাকে বিয়ে করলাম। এরপর আল্লাহ ইবনু যায়দের দ্বারা আমাকে সম্মানিত করলেন এবং আমাকে তার মাধ্যমে উচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭৬) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০৭ | 3607 | ۳٦۰۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০৭-(৫০/...) উবায়দুল্লাহ ইবনু মু'আয আল আম্বারী (রহঃ) ..... আবূ বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাযিঃ) এর শাসনামলে আমি এবং আবূ সালামাহ্ (রাযিঃ) ফাতিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তখন তিনি আমাদেরকে সুফইয়ানের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করে বললেন যে, তার স্বামী তাকে বায়িন ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০৮ | 3608 | ۳٦۰۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০৮-(৫১/...) হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... ফাত্বিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে তিন ত্বলাক (তালাক) দিলেন। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জন্য বাসস্থান এবং খোরপোষের ফায়সালা দেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭৮) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬০৯ | 3609 | ۳٦۰۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬০৯-(৫২/১৪৮১) আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... হিশাম (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ ইবনুল আস (রাযিঃ) আবদুর রহমান ইবনু হাকাম এর কন্যাকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি তাকে তিন ত্বলাক (তালাক) দেন এবং তাকে তার থেকে বের করে দেন। উরওয়াহ (রহঃ) এতে তাদের ভৎসনা করেন। তারা বললেন, ফাত্বিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ)ও তো ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। উরওয়াহ বলেন, আমি আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর কাছে এলাম এবং তার কাছে এ ঘটনা উপস্থাপন করলাম। তিনি বললেন, ফাতিমাহ বিনতু কায়স এর জন্য কোন কল্যাণ নেই যে, সে এ হাদীস বর্ণনা করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৭৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৭৯) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১০ | 3610 | ۳٦۱۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬১০-(৫৩/১৪৮২) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... ফাত্বিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার স্বামী আমাকে তিন ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন, আমার আশংকা হয় যে, তিনি আমার উপর চড়াও হবেন। তখন তিনি তাকে অন্যত্র চলে যাবার নির্দেশ দিলেন এবং তিনি চলে গেলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮০) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১১ | 3611 | ۳٦۱۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬১১-(৫৪/১৪৮১) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু কায়স এর জন্য এ কথা বলায় কোন কল্যাণ নেই যে, তিন ত্বলাক (তালাক) প্রাপ্তা মহিলার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষ নেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮১) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১২ | 3612 | ۳٦۱۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা* স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই ৩৬১২-(.../...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু কাসিম (রহঃ) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রহঃ) আয়িশাহ্ (রাযিঃ) কে বললেন, হাকামের অমুক মেয়েটির সম্পর্কে আপনি কি অবহিত নন যে, তার স্বামী তাকে বায়িন ত্বলাক (তালাক) দিয়েছেন? এরপর সে ঘর থেকে বের হয়েছে। তিনি বললেন, আপনি কি ফাতিমার উক্তি শুনেননি? তখন তিনি (উরওয়াহ্) বললেন, তার উক্তি বর্ণনার মধ্যে তার জন্য কোন কল্যাণ নেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮২) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১৩ | 3613 | ۳٦۱۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. বায়িন ত্বলাকপ্রাপ্তা মহিলা এবং বিধবার জন্য ইদ্দাত পালনকালে প্রয়োজনে দিনের বেলায় ঘরের বাইরে যাওয়া জায়িয ৩৬১৩-(৫৫/১৪৮৩) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ইবনু মায়মূন, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ও হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহিমাহুমুল্লাহ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার খালা ত্বলাক (তালাক) প্রাপ্ত হন। এরপর তিনি তার (খেজুর বাগানের) খেজুর পাড়ার ইচ্ছা করলেন। এক ব্যক্তি তাকে বাইরে যেতে বাধা দিলেন। তখন তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ তুমি তোমার বাগানের খেজুর পাড়ার জন্য বাইরে যেতে পার। কারণ সম্ভবত তা থেকে অন্যদের সদাকাহ করবে অথবা অন্য কোন ভাল কাজ করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৩) পরিচ্ছদঃ ৮. বিধবা ও অন্যান্য ত্বলাকপ্রাপ্তা মহিলার সন্তান প্রসবের সাথে সাথে ইদ্দাত পূর্ণ হওয়া ৩৬১৪-(৫৬/১৪৮৪) আবূ তাহির ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... উবায়দুল্লাহ ইবনু 'আবদুল্লাহ ইবনু আরকাম যুহরীকে নির্দেশ দিয়ে লিখলেন যে, তিনি যেন সুবায়'আহ বিনতু হারিস আসলামীর কাছে চলে যান। এরপর তাকে তার হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। যখন তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ফাতাওয়া চাইছিলেন এবং তিনি তাকে যা বলেছিলেন তখন উমর ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবাকে লিখে পাঠালেন যে, সুবায়'আহ তাকে জানিয়েছেন- তিনি বানু আমির ইবনু লুঈ গোত্রের সা'দ ইবনু খাওলার স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন বাদরী সাহাবী এবং বিদায় হাজজের (হজ্জের/হজের) সময় ওফাত পান। সে সময়ে তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তার স্বামীর ইন্তিকালের অব্যবহিত পরেই তিনি সন্তান প্রসব করেন। এরপর যখন তিনি নিফাস থেকে পবিত্র হলেন, তখন বিবাহের পয়গামদাতাদের জন্য সাজসজ্জা করতে লাগলেন। তখন বানু আবদুদ দার গোত্রের আবূ সানাবিল ইবনু বা'কাক নামক এক ব্যক্তি তার কাছে এলেন। তখন তিনি তাকে বললেন, মতলব কী? আমি তোমাকে সাজসজ্জা করতে দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবত তুমি বিবাহ প্রত্যাশী? আল্লাহর কসম চার মাস দশদিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তুমি বিয়ে করতে পারবে না। সুবায়'আহ বললেন, যখন সে লোকটি আমাকে এ কথা বলল, তখন কাপড়-চোপড় পরিধান করে সন্ধ্যাবেলা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চলে এলাম। এরপর আমি তাকে সে বিষযে জানিয়ে দিলাম। তিনি আমাকে জানিয়ে দিলেন যে, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই আমার ইদ্দাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তিনি আমাকে আরও নির্দেশ দিলেন যে, আমি ইচ্ছা করলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারি। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, সস্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরপরই প্রসূতির জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে আমি দূষণীয় মনে করি না, যদিও সে তখন নিফাসের ইদ্দাত পালনরত থাকে। তবে নিফাস থেকে পবিত্র হওয়ার পূর্বে স্বামী যেন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম না করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৪) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১৫ | 3615 | ۳٦۱۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৮. বিধবা ও অন্যান্য ত্বলাকপ্রাপ্তা মহিলার সন্তান প্রসবের সাথে সাথে ইদ্দাত পূর্ণ হওয়া ৩৬১৫-(৫৭/১৪৮৫) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না আল আনাযী (রহঃ) ..... সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রহমান (রাযিঃ) ও ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) এর কাছে সমবেত হলেন। তারা এমন একজন মহিলার কথা আলোচনা করছিলেন যিনি তার স্বামীর ইনতিকালের কয়েক দিন পরেই সন্তান প্রসব করেছেন। তখন ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, তার ইদ্দাত হবে দু'টির মধ্যে দীর্ঘতরটি। আবূ সালামাহ (রাযিঃ) বললেন, তার ইদ্দাত পূর্ণ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে তারা দু’জনে বিতর্ক শুরু করে দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি আমার ভাতিজা আবূ সালামার পক্ষে। এরপর তারা সবাই ইবনু আব্বাসের মুক্তদাস কুরায়বকে উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর কাছে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠালেন। সে তাদের কাছে এসে বলল যে, উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) বলেছেন, সুবায়'আহ আসলামিয়াহ তার স্বামীর ইনতিকালের কয়েক রাত পরই সন্তান প্রসব করেন এবং তিনি সে বিষয়টি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থাপন করেন। তখন তিনি তাকে বিবাহ করার অনুমতি দেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৫) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১৬ | 3616 | ۳٦۱٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৮. বিধবা ও অন্যান্য ত্বলাকপ্রাপ্তা মহিলার সন্তান প্রসবের সাথে সাথে ইদ্দাত পূর্ণ হওয়া ৩৬১৬-(.../...) মুহাম্মদ ইবনু রুমূহ, আবূ বাকর ইবনু শায়বাহ ও আমর আন নাদি (রহিমাহুমুল্লাহ) ..... ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) থেকে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে লায়স (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে "তারা সাবাই উম্মু সালামার কাছে সংবাদ পাঠালেন" এবং তিনি (লায়স) কুরায়বের নাম উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৬) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১৭ | 3617 | ۳٦۱۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬১৭-(৫৮/১৪৮৬) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়নাব বিনতু আবূ সালামাহ (রাযিঃ) তাকে এ তিনটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি (হুমায়দ ইবনু নাফি) বলেন, যায়নাব (রাযিঃ) বলেছেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী উম্মু হাবীবাহ (রাযিঃ) এর পিতা আবূ সুফইয়ান ইনতিকাল করেন তখন আমি তার কাছে গেলাম। আমি দেখতে পেলাম যে, উম্মু হাবীবাহ (রাযিঃ) হলদে বর্ণের মিশ্রিত সুগন্ধি আনলেন অথবা অন্য কোন প্রসাধনী চেয়ে পাঠালেন। এরপর তা থেকে একটি বালিকাকে নিজ হাতে লাগিয়ে দিলেন। এরপর তিনি তার দু'কপালে হাত মুছে নিলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে সে মহিলার জন্য তার কোন আত্মীয়ের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়। তবে বিধবা তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করতে পারবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১৮ | 3618 | ۳٦۱۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬১৮-(.../১৪৮৭) যায়নাব (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী) যায়নাব বিনতু জাহশ (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। সে সময় তার ভাই ইনতিকাল করেছিলেন। আমি দেখলাম, তিনিও সুগন্ধি চেয়ে পাঠালেন এবং তার থেকে স্পর্শ করলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান রাখে তার জন্য মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা হালাল নয়। তবে স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করা যাবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬১৯ | 3619 | ۳٦۱۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬১৯-(.../১৪৮৮) অতঃপর যায়নাব (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার মা উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, একবার এক মহিলা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার কন্যাকে রেখে তার স্বামী ইন্তিকাল করেছেন। তার (শোক পালন করতে গিয়ে) চোখে অসুখ হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা কি তার চোখে সুরমা ব্যবহার করতে পারি? তখন রসূলুল্লাহ বললেনঃ 'না'। এরপর সে দুই কি তিন বার জিজ্ঞেস করল। প্রতিবারই তিনি বললেন, না। এরপর তিনি বললেন, তার ইদ্দাত তো চারমাস দশদিন। অথচ জাহিলিয়্যাহ যুগে তোমাদের একজন মহিলা বছরান্তে উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২০ | 3620 | ۳٦۲۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২০-(.../১৪৮৯) হুমায়দ (রাযিঃ) বলেন, আমি যায়নাবকে বললাম, এ যাবৎ উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করার তাৎপর্য কী ছিল? তখন যায়নাব (রাযিঃ) বললেন, সে কালে কোন স্বামী ইন্তিকাল করলে স্ত্রীকে একটি সংকীর্ণ কক্ষে (কুঠরীতে) প্রবেশ করতে হত। ছিড়ে-ফাড়া কাপড়-চোপড় পরিধান করতে হত। সে কোন প্রসাধনী দ্রব্য স্পর্শ করতে পারত না কিংবা অন্য কোন সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহার করত না। এমনিভাবে দীর্ঘ একটি বছর কেটে যেত। এরপর তার সামনে আনা হত গাধা, বকরী কিংবা পাখী জাতীয় কোন প্রাণী এবং সে ঐ প্রাণীকে স্পর্শ করে ইদ্দাত পূর্ণ করত। সে যে প্রাণীকে স্পর্শ করত তা খুব কমই বাচত। এরপর সে ঐ সংকীর্ণ কুঠরী থেকে বের হয়ে আসত। তখন তার হাতে উটের বিষ্ঠা দেয়া হত এবং সে তা ছুড়ে মারত। এরপর সে তার পছন্দসই প্রসাধনী সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহারের প্রতি মনোযোগী হত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২১ | 3621 | ۳٦۲۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২১-(৫৯/১৪৮৬) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... হুমায়দ ইবনু নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যায়নাব বিনত উম্মু সালামাকে বলতে শুনেছি যে, উম্মু হাবীবাহ (রাযিঃ) এর একজন নিকট আত্মীয় ইনতিকাল করেন। এরপর তিনি হলুদ বর্ণের সুগন্ধি চেয়ে পাঠান এবং তার দু' বাহুতে মেখে নিলেন। এরপর তিনি বললেন, আমি তা এজন্য করলাম যে, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে কারো মৃত্যুতে তিনদিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়। তবে স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করা যাবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৮) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২২ | 3622 | ۳٦۲۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২২-(.../১৪৮৭-১৪৮৮) আর যায়নাব (রাযিঃ) এ হাদীসখানা তার মা উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী যায়নাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৮) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২৩ | 3623 | ۳٦۲۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২৩-(৬০/১৪৮৮) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... হুমায়দ ইবনু নাফি' (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যায়নাব বিনতু উম্মু সালামাকে তার মায়ের সূত্রে বলতে শুনেছি যে, এক মহিলার স্বামী মারা গেল। লোকেরা তার চোখের ব্যাপারে আশংকাবোধ করল। তখন তারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। তারা তার কাছে মহিলার চোখে সুরমা ব্যবহারের অনুমতি চাইল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জাহিলিয়্যাত যুগে স্বামীর মৃত্যুতে তোমাদের কেউ কেউ সাদা-মাটা কাপড়-চোপড় কিংবা ছিড়ে-ফাড়া বস্ত্র পরিধান করে একটি সংকীর্ণ কক্ষে পুরো এক বছর (ইদ্দাত পালনের জন্য) অতিবাহিত করত। এরপর কোন কুকুর তার নিকট দিয়ে অতিক্রম করলে সে উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করে বাইরে বের হয়ে পড়ত। এ কুসংস্কারের পরিবর্তে চারমাস দশদিন পর্যন্ত প্রতীক্ষা করতে তোমরা কি সক্ষম হবে না? (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৮৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৮৯) পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২৪-(.../...) উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয (রহঃ) ..... হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি চোখে সুরমা ব্যবহার সংক্রান্ত উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীস এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণের মধ্যে থেকে কোন একজনের বর্ণিত হাদীস উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় এতটুকু বেশি উল্লেখ করেছেন “মুহাম্মাদ ইবনু জাফার (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। যায়নাব তার নাম উল্লেখ করেননি।” - (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯০) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২৫ | 3625 | ۳٦۲۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২৫-(৬১/১৪৮৬-১৪৮৮) আবূ বকর ইবনু শায়বাহ ও আমর আন নাকিদ (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... হুমায়দ ইবনু নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি যায়নাব বিনতু আবূ সালামাকে উম্মু সালামাহ্ ও উম্মু হাবীবাহ (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন। তারা উল্লেখ করেন যে, জনৈকা মহিলা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলো। তিনি তার (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) কাছে উত্থাপন করলেন যে, আমার মেয়ের স্বামী মারা গিয়েছে। (তার শোক পালন করতে গিয়ে) তার চোখে অসুখ হয়েছে। সে এখন তার চোখে সুরমা ব্যবহার করতে চায়। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (জাহিলিয়াত যুগে স্বামীর মৃত্যুতে) তোমাদের কেউ এক বছর পূর্তি পর্যন্ত উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত। আর এখন তো মাত্র চারমাস দশদিন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯১) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২৬ | 3626 | ۳٦۲٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২৬-(৬২/১৪৮৬) আমর আন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... যায়নাব বিনতু আবূ সালামাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী হাবীবাহ (রাযিঃ) এর কাছে তার পিতা আবূ সুফইয়ানের ইনতিকালের খবর পৌঁছল তখন তৃতীয় দিনে তিনি হলুদ বর্ণের সুগন্ধি চেয়ে পাঠালেন এবং তার দু'হাতে গায়ে ভাল করে তা মেখে নিলেন। আর বললেন, আমার এর কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে তার পক্ষে কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়। তবে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি স্বতন্ত্র। কেননা সে তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯২) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২৭ | 3627 | ۳٦۲۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২৭-(৬৩/১৪৯০) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, কুতায়বাহ ও ইবনু রুমূহ (রহিমাহুমুল্লাহ) ..... হাফসাহ (রাযিঃ) কিংবা আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে পৃথকভাবে অথবা তাদের দু'জন থেকে যৌথভাবে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মহিলা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিবসের প্রতি ঈমান রাখে কিংবা যে মহিলা আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে কোন মৃতের জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা হালাল নয়। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯৩) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২৮ | 3628 | ۳٦۲۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২৮-(.../...) শায়বান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... নাফি (রহঃ) থেকে লায়স বর্ণিত হাদীসে অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯৪) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬২৯ | 3629 | ۳٦۲۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬২৯-(৬৪/...) আবূ গাসসান আল মিসমাঈ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... সফিয়্যাহ বর্ণিত আবূ উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী উমারের কন্যা হাফসাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। রাবী কর্তৃক বর্ণিত এ বর্ণনাটি লায়স ও ইবনু দীনার বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তবে তার বর্ণনায় এতটুকু বেশি উল্লেখ আছে "কারণ সে তার (স্বামীর) জন্য চারমাস দশদিন শোক পালন করবে।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯৫) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬৩০ | 3630 | ۳٦۳۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬৩০-(.../...) আবূ রবী' ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... সফিয়্যাহ বিনতু আবূ উবায়দ (রহঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈক সহধর্মিণী সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তাদের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯৬) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬৩১ | 3631 | ۳٦۳۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬৩১-(৬৫/১৪৯১) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ, আমর আন নাকিদ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহিমাহুমুল্লাহ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যে মহিলা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার কোন মৃতের জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন না করে। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯৭) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬৩২ | 3632 | ۳٦۳۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬৩২-(৬৬৯৩৮) হাসান ইবনু রবী' (রহঃ) ..... উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মহিলা তার কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশি শোক পালন করবে না। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন পর্যন্ত শোক পালন করবে। এ সময় সীমায় (ইদ্দাতের মেয়াদকালে) সে রঙিন কাপড় চোপড় পরিধান করবে না। তবে কালো রঙে রঞ্জিত চাঁদর পরিধান করতে পারবে। সে চোখে সুরমা লাগাবে না এবং কোন সুগন্ধি ব্যবহার করবে না এবং সে হায়য থেকে পবিত্র হলে (পবিত্রতার নিদর্শন স্বরূপ) কুসত ও আযফার নামক সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯৮) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) / অধ্যায়ঃ ১৯। ত্বলাক্ব (তালাক) (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৬৩৩ | 3633 | ۳٦۳۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬৩৩-(.../...) আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আমর আন নাকিদ (রহঃ) ..... হিশাম (রহঃ) থেকে উপরোক্ত হাদীসে অনুরূপ বর্ণিত। তবে এ হাদীসে 'আমর আন্ নাকিদ ও ইয়াযীদ ইবনু হারূন (রহঃ) উভয়ে বর্ণনা করেছেন যে, সে তার হায়য থেকে পবিত্র হওয়ার পর কুস্ত্ব ও আযফার নামক সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৯৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৯৯) পরিচ্ছদঃ ৯. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম ৩৬৩৪-(৬৭/…) আবু রবী আয-যাহরানী (রহ) ... উম্মু আতিয়্যাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদেরকে কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন পর্যন্ত শোক পালনের নিয়ম ছিল। আমরা চোখে (ইদ্দতকালীন) সময়ে সুরমা লাগাতাম না, কোন প্রকার সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করতাম না এবং রঙ্গিন কাপড়-চোপড় পরতাম না। তবে আমাদের মধ্য থেকে কোন মহিলা যখন হায়য থেকে পবিত্র হয়ে গোসল করত তখন দুর্গন্ধ দূর করার জন্য তাকে কুসত ও আযফার নামক সুগন্ধি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৬০০, ইসলামিক সেন্টার ৩৬০০) পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সুন্নাত পদ্ধতি ১১৭৫। ইউনুস ইবনু জুবাইর (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ইবনু উমার (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, এক লোক তার স্ত্রীকে হায়িয থাকাবস্থায় তালাক দিয়েছে। তিনি বললেন, তুমি কি আবদুল্লাহ ইবনু উমারকে চেন? সে তার স্ত্রীকে হায়িয থাকাবস্থায় তালাক দিয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উমার (রাঃ) (এর বিধান প্রসঙ্গে) প্রশ্ন করেন। তিনি তাকে নিজ স্ত্রীকে ফেরত নিতে হুকুম দিলেন। বর্ণনাকারী উমর (রাঃ) বলেন, আমি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে) প্রশ্ন করলাম, এ তালাকও কি গণনা করা হবে? তিনি বললেনঃ কেন হবে না! তুমি কি মনে কর, যদি কোন লোক অপারগ হয় বা আহম্মকি করে (তাতে কি তালাক কার্যকর হবে না)। -সহীহ, ইবনু মজাহ (২০২২), বুখারী, মুসলিম ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৭৬ | 1176 | ۱۱۷٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সুন্নাত পদ্ধতি ১১৭৬। সালিম (রাহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তার স্ত্রীকে হায়িয থাকা অবস্থায় তালাক দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উমার (রাঃ) এর বিধান জানতে চাইলেন। তিনি বললেনঃ তাকে তার স্ত্রীকে ফিরত নেওয়ার হুকুম দাও। অতঃপর সে যেন তাকে তুহরে (পবিত্র অবস্থা চলাকালে) অথবা গর্ভাবস্থায় তালাক দেয়। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০২৩), মুসলিম ইবনু উমারের সূত্রে ইউনুস ইবনু জুবাইর (রাহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। ইবনু উমার হতে সালিম (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসটিও হাসান সহীহ। এ হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ আমল করেছেন। তালাকের সুন্নাত (আইনানুগ) পদ্ধতি প্রসঙ্গে তাদের মত হলঃ যে তুহরে সঙ্গম করা হয়নি সেই তুহরে তালাক দেওয়া। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, তুহর অবস্থায় তিন তালাক দিলে তাও সুন্নাত নিয়মে হয়ে যাবে। এই মত ইমাম শাফিঈ ও আহমাদের। আর একদল আলিম বলেছেন, সুন্নাত পদ্ধতি মুতাবেক তালাক হবে এক তালাক দেওয়া হলে কিন্তু একসাথে তিন তালাক দেওয়া হলে তা হবে না। এই মত সুফিয়ান সাওরী ও ইসহাকের। গর্ভবতী স্ত্রীলোক প্রসঙ্গে তাদের মত হল, যে কোন সময়ই তাকে তালাক দেয়া যায়। এই মত শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের। অন্য এক দল আলিম বলেছেন, প্রতি মাসে এক তালাক করে দিবে (তিন তালাক একসাথে দিবে না)। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৭৭ | 1177 | ۱۱۷۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২. যে ব্যাক্তি নিজ স্ত্রীকে বায়িন তালাক দিয়েছে ১১৭৭ ৷ আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ ইবনু রুকানা (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (রুকানা) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার স্ত্রীকে কাটাছিড়া (বাত্তা শব্দে) তালাক দিয়েছি। তিনি প্রশ্ন করেনঃ এটা দ্বারা তোমার কি উদ্দেশ্য ছিল? আমি বললাম, এক তালাক। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলার শপথ! আমি বললাম, আল্লাহ্ তা'আলার শপথ (সত্য বলছি)। তিনি বললেনঃ তোমার যা উদ্দেশ্য ছিল তাই হয়েছে। যঈফ, ইবনু মাজাহ (২০৫১) আবূ ঈসা বলেনঃ আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র উল্লেখিত সূত্রেই জেনেছি। আমি এই হাদীস সম্পর্কে মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেনঃ এর সনদে অস্থিরতা আছে। ইবনু আব্বাস হতে বর্ণিত আছে যে, রুকানা তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী ও অপরাপর আলিমদের মধ্যে সোজাসুজি ও নিশ্চিত (বাত্তা) তালাক নিয়ে মতপার্থক্য আছে। উমার (রাঃ) বাত্তা তালাককে এক তালাক গণ্য করেছেন কিন্তু আলী (রাঃ) এটাকে তিন তালাক গণ্য করেছেন। একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, এটা তালাক প্রদানকারীর নিয়াতের উপর নির্ভর করবে। সে এক তালাকের নিয়াত করলে এক তালাক বলবৎ হবে, তিন তালাকের নিয়াত করলে তিন তালাক বলবৎ হবে এবং দুই তালাকের নিয়াত করলে এক তালাক বলবৎ হবে। সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসী আলিমদের এই মত। ইমাম মালিক বলেছেন, সে স্ত্রীর সাথে (বিয়ের পর) সহবাস করে থাকলে বাত্তা তালাকের মাধ্যমে তিন তালাকই বলবৎ হবে। ইমাম শাফিঈ বলেছেন, সে এক তালাকের নিয়াত করলে এক তালাক, দুই তালাকের নিয়াত করলে দুই তালাক এবং তিন তালাকের নিয়াত করলে তিন তালাকই বলবৎ হবে। ________________________________________ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৭৮ | 1178 | ۱۱۷۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. তোমার ব্যাপার তোমার হাতে ১১৭৮৷ হাম্মাদ ইবনু যাইদ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, আমি আইউবকে প্রশ্ন করলাম, হাসান (বাসরী) ব্যতীত আরো কোন ব্যক্তি “আমরুকে বিয়াদিকে" (তোমার ব্যাপার তোমার হাতে) কথাটিকে তিন তালাক বিবেচিত করেছেন বলে আপনার জানা আছে কি? তিনি বলেন। হাসান ব্যাতিত আর কেউ এমনটি বলেছেন বলে আমার জানা নেই। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ তা'আলা মাফ করুন। কাতাদা আমাকে সামুরা গোত্রের মুক্ত ক্রীতদাস কাসীরের সূত্রে বলেছেন, তিনি আবূ সালামা হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ “(এরূপ বলায়) তিন (তালাক) বিবেচিত হবে”। আইউব বলেন, আমি কাসীরের সাথে দেখা করে তাকে এই হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি তা চিহ্নিত করতে পারেননি। আমি কাতাদার নিকটে এসে ব্যাপারটা তাকে জানালে তিনি বলেন, সে (কাসীর) ভুলে গেছে। যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ (৩৭৯) বিবৃতিটি হাসানের এটাই সহীহ। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধু সুলাইমান ইবনু হারব হতে হাম্মাদ ইবনু যাইদের সূত্রেই জেনেছি। আমি ইমাম বুখারীকে এ হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সুলাইমান ইবনু হারব হাম্মাদ ইবনু যাইদের সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এটা আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে মাওকৃফ হাদীস হিসেবেও বর্ণিত হয়েছে এবং আবূ হুরাইরার এ হাদীস মারফু হিসেবে জানা যায়নি। আলী ইবনু নাসর হাদীসের হাফিয ছিলেন। (স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে) “তোমার ব্যাপার তোমার হাতে” তবে এর ফায়সালা কি হবে এ বিষয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমদের মধ্যে মতের অমিল আছে। সা হাবীদের মাঝে উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর মতে এতে এক তালাক বলবৎ হবে। একাধিক তাবিঈ ও তাদের পরবর্তীদেরও এই মত। অপর দিকে উসমান ইবনু আফফান ও যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর মতে স্ত্রী যা নির্ধারণ করবে তাই বলবৎ হবে (এক, দুই অথবা তিন তালাক যেটা গ্রহণ করবে তাই হবে)। আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, স্বামী স্ত্রীর হাতে তার ব্যাপারটি ছেড়ে দেয়ার পর সে (স্ত্রী) নিজেকে তিন তালাক দিল। স্বামী এটা ফিরিয়ে দিয়ে বলল, আমি তাকে শুধু এক তালাকেরই অধিকার দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে স্বামীকে শপথ করতে হবে। সে শপথ করলে তার বিবৃতিই মেনে নেয়া হবে। সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসী আলিমগণ উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর মত গ্রহণ করেছেন। ইমাম মালিক বলেছেন, স্ত্রী যা নির্ধারণ করবে তাই হবে। ইমাম আহমাদেরও এই মত। ইমাম ইসহাক (রাহঃ) ইবনু উমার (রাঃ)-এর মত গ্রহণ করেছেন। ________________________________________ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৭৯ | 1179 | ۱۱۷۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. স্বাধীনতা প্রদান প্রসঙ্গে ১১৭৯। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তার স্ত্রী হিসাবে থাকা বা না থাকার) স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আমরা তাকে গ্রহণ করলাম। এতে কি তালাক হল? — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৫২) একইরকম হাদীস আইশা (রাঃ) হতে মাসরুকের বরাতে আবুয যুহা হতে বর্ণিত আছে। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। স্ত্রীকে যদি তার স্বামী তার সাথে থাকা বা না থাকার স্বাধীনতা দেয় তবে এর ফলাফল কি হবে সে বিষয়ে আলিমদের মধ্যে মত পার্থক্য আছে। উমার ও ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, স্ত্রী নিজের প্রতি (স্বামী হতে পৃথক হওয়ার) ইখতিয়ার প্রয়োগ করলে তবে তাতে এক বাইন তালাক হবে। তাদের আরো একটি মত উল্লেখ আছে যে, তাতে এক রিজঈ তালাক হবে। আর যদি স্বামীর সাথে থাকাকেই স্ত্রী ইখতিয়ার করে তবে কোন তালাক হবে না। আলী (রাঃ) বলেছেন, সে নিজেকে বেছে নিলে এক বাইন তালাক হবে এবং স্বামীকে বেছে নিলে এক রিজঈ তালাক হবে। যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেন, তিন তালাক হবে যদি সে নিজেকে ইখতিয়ার করে এবং এক তালাক হবে যদি সে স্বামীকে ইখতিয়ার করে। উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর মতকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ ফিকহবিদ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ গ্রহণ করেছেন। এই মত গ্রহণ করেছেন সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী আলিমগণও। কিন্তু আলী (রাঃ)-এর মতকে ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহঃ) গ্রহণ করেছেন। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮০ | 1180 | ۱۱۸۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫. তিন তালাকপ্রাপ্তা নারী ইদ্দাত চলাকালে বাসস্থান ও ভরণ-পোষণ পাবে না ১১৮০। শাবী (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কাইসের মেয়ে ফাতিমা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বলেনঃ তুমি বাসস্থান এবং ভরণ-পোষণ কোনটাই পাবে না। মুগীরা (রাহঃ) বলেন, আমি ইবরাহীম নাখঈর নিকট একথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, উমার (রাঃ) বলেছেন, আমরা আল্লাহ তা'আলার কিতাব ও আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে একজন মহিলার কথায় ছেড়ে দিতে পারি না। সে স্মরণ রেখেছে না ভুলে গেছে তা আমাদের সঠিক জানা নেই। তিন তালাকপ্রাপ্তার জন্য উমার (রাঃ) বাসস্থান ও খরচ-পাতির ব্যবস্থা করেছেন। শাবী (রহঃ) হতে আরও বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি কাইসের মেয়ে ফাতিমা (রাঃ)-এর নিকট এলাম এবং তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ফায়সালা দিয়েছেন তাকে সে সম্বন্ধে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন যে, তাকে তার স্বামী শেষ তালাক দিলে তিনি বাসস্থান ও খরচ-পাতির জন্য তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বাসস্থান ও খরচ-পাতির ব্যাবস্থা করার সিদ্ধান্ত দেননি। দাউদের বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি (ফাতিমা) বলেন, উম্মু মাকতুমের ছেলের ঘরে আমাকে ইদ্দাত পালনের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দেন। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৩৫, ২০৩৬) এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। হাসান বাসরী, আতা ইবনু আবু রাবাহ ও শাবীর মতে তালাকপ্রাপ্তাকে স্বামীর জন্য আবার তার বিয়ের বন্ধনে ফিরিয়ে আনার সুযোগ না থাকলে সে (স্ত্রী) ইদ্দাতকালের জন্য বাসস্থান ও খরচ-পাতি পাবে না। ইমাম আহমাদ ও ইসহাকও একথা বলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী, যেমন উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেছেন, ইদ্দাত কালের জন্য তিন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বাসস্থান ও খরচ-পাতি পাবে। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী ফাকীহগণ। ইমাম মালিক, লাইস ইবনু সা’দ ও শাফিঈ আরো বলেছেন, সে বাসস্থান পেলেও। খরচ-পাতি পাবে না। শাফিঈ আরো বলেন, আমরা তার বাসস্থান পাওয়ার কথাটি আল্লাহ্ তা'আলার কিতাবের নির্দেশ অনুযায়ীই বলেছি। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ “তোমরা (ইদ্দাতকালে) তাদের বাসস্থান হতে তাদেরকে বের করে দিও না এবং তারাও যেন বের না হয়। তবে তারা সুস্পষ্ট কোন অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়লে তবে ভিন্ন কথা” (সূরাঃ তালাক- ১)। আলিমগণ বলেন, এখানে পুরুষের পরিবার-পরিজনের সাথে অসভ্য আচরণ করাকেই ‘অশ্লীলতা’ বলে বুঝানো হয়েছে। তারা ফাতিমাকে বাসস্থান ও খরচ-পাতির ব্যবস্থা না করার কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি তার স্বামীর সাথে অসদাচরণ করেছিলেন। ইমাম শাফিঈ বলেন, এ ধরণের তালাকপ্রাপ্তা মহিলার খরচ-পাতির ব্যবস্থা করাটা স্বামীর উপর বাধ্যতামূলক নয়। এর প্রমাণ হচ্ছে ফাতিমা বিনতি কাইস সম্পর্কিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮১ | 1181 | ۱۱۸۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. বিয়ের আগেই তালাক দেয়া প্রকৃতপক্ষে কোন তালাক নয় ১১৮১। আমর ইবনু শুআইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তান যে সকল জিনিসের মালিক নন সে সকল জিনিসের মানত জায়িয নয়, সে যার মালিক নয় তাকে সে মুক্তি দিতে পারে না এবং তার সাথে যার বিয়ে হয়নি তাকে সে তালাকও দিতে পারে না। – হাসান সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৪৭) আলী, মুআয ইবনু জাবাল, জাবির, ইবনু আব্বাস ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ অনুচ্ছেদের মধ্যে যে কয়টি হাদীস বর্ণিত আছে সেগুলোর মধ্যে এ হাদীসটিই সবচেয়ে উত্তম। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী মত দিয়েছেন। এই মত দিয়েছেন আলী ইবনু আবূ তালিব, ইবনু আব্বাস, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ), সাঈদ হুসাইন, শুরাইহ, জাবির ইবনু যাইদ প্রমুখ একাধিক ফিকহবিদ সাহাবী ও তাবিঈও। ইমাম শাফিঈ একইরকম কথা বলেছেন। ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, কোন এলাকার কোন নির্দিষ্ট মহিলাকে বিয়ে করার কথা উল্লেখ করে তালাক দিলে সে তালাক কার্যকর হবে (কেউ যদি বলে, আমি অমুক বংশ বা অমুক এলাকার অমুক মেয়ে বিবাহ করলে সে তালাক, এ ক্ষেত্রে বিয়ে বিধিবদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে তালাক হয়ে যাবে)। শাবী, ইবরাহীম নাখঈ ও অপরাপর আলিম বলেন, তালাক অবতীর্ণ হবে যদি সময় নির্দিষ্ট করে বলা হয়। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী ও মালিক ইবনু আনসও। তারা বলেন, সঠিকভাবে কোন মহিলার নাম, অথবা সঠিক সময় নির্ণয় করে, অথবা কোন শহরের নাম স্পষ্টভাবে বলা হলে, যেমন আমি অমুক শহরের অমুক মেয়ে বিয়ে করলে (সে তালাক), এসব অবস্থায় তালাক কার্যকর হবে। এ প্রসঙ্গে ইবনুল মুবারাক (রাঃ) কঠোর নীতি অবলম্বন করেছেন। তিনি বলেছেন, কোন লোক যদি এরূপ করে তবে আমি বলি না যে, তার জন্য ঐ মহিলাটি হারাম হবে। আহমাদ (রাহঃ) বলেন, সে যদি বিয়ে করে তবে আমি তাকে তার স্ত্রীকে ত্যাগ করার হুকুম দেই না। ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর হাদীস অনুযায়ী ইসহাক (রাহঃ) নির্দিষ্ট নারীর ক্ষেত্রে তালাক সংঘটিত হওয়ার পক্ষপাতী হওয়া সত্ত্বেও এইরূপ বিয়েকে জায়িয মনে করেন। তিনি বলেন, যদি ঐ মহিলাকে শপথ করার পরও সে লোক বিয়ে করে তবে আমি একথা বলি না যে, তার জন্য ঐ মহিলাটি হারাম হবে। আর ইসহাক (রাহঃ)-এর মত অনির্দিষ্ট নারীর ক্ষেত্রে আরও উম্মুক্ত। এক ব্যক্তি প্রসঙ্গে ইবনুল মুবারাককে প্রশ্ন করা হল যে, সে শপথ করে বলেছে যে, সে বিয়ে করবে না, করলে তালাক হয়ে যাবে। পরে দেখা গেল যে, সে বিয়ে করতে চাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে বিয়ের সুযোগ আছে বলে যেসব ফিকহবিদ মত দিয়েছেন, তাদের মতের অবলম্বনে এই লোক কি বিয়ে করতে পারবে? এর উত্তরে ইবনুল মুবারাক বললেন, যদি এসব ফিকহবিদের মতের প্রতি সে লোক এই সমস্যায় জড়িত হওয়ার পূর্বে আস্থাবান হয়ে থাকে তাহলে সে লোকের তাদের মত গ্রহণের সুযোগ আছে। কিন্তু পূর্ব হতেই যে লোক তাদের এ মত পছন্দ করেনি এবং সে যখন পরবর্তীতে এ সমস্যায় জড়িয়ে পড়লো তখন তাদের মত গ্রহণ করতে চায়, তাদের মত গ্রহণের সুযোগ তার আছে বলে আমি মনে করি না। ________________________________________ হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮২ | 1182 | ۱۱۸۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. দাসীর ক্ষেত্রে দুই তালাক ১১৮২। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দাসীর বেলায় দুই তালাক এবং তার ইদ্দাত দুই হাইযকাল। যঈফ, ইবনু মাজাহ (২০৮০) এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। মুযাহির ইবনু আসলামের সূত্রেই শুধু এ হাদীসটি মারফু বলে জানা যায়। এ হাদীসটি ব্যতীত মুযাহিরের বর্ণিত আর কোন হাদীস আছে কি-না তা আমরা অবগত নই। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগন এ হাদীস অনুযায়ী অভিমত দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকেরও এই অভিমত। ________________________________________ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮৩ | 1183 | ۱۱۸۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৮. স্ত্রীকে মনে মনে তালাক দেয়ার ধারণা করলে ১১৮৩। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে পর্যন্ত আমার উন্মাত কোন মনের কথা প্রকাশ না করে অথবা সে অনুযায়ী কাজ না করে, সে পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলা তা উপেক্ষা করেন (ক্ষমা করেন)। - সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৪০), বুখারী, মুসলিম এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ আলিমগণ মত দিয়েছেন। কোন লোক তার মনে মনে তালাকের কথা ভাবলে তা মুখে উচ্চারণ না করা পর্যন্ত এর কোন আইনগত কার্যকারিতা নেই। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮৪ | 1184 | ۱۱۸٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. প্রকৃতপক্ষে অথবা ঠাট্টাচ্ছলে তালাক দেওয়া ১১৮৪। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি বিষয়ে প্রকৃতপক্ষে বললেও এবং ঠাট্টাচ্ছলে বললেও যথার্থ বলে বিবেচিত হবেঃ বিয়ে, তালাক ও রাজআত (তালাক প্রত্যাহার)। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৩৯) এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিম মত দিয়েছেন। আবদুর রামানের পিতা হাবীব এবং দাদা আরদাক আল-মাদানী। আমার মতে ইবনু মাহাক অর্থাৎ মাহাকের ছেলের নাম ইউসুফ। পরিচ্ছদঃ ১০. খোলার বর্ণনা ১১৮৫/১। মুআওবিয ইবনু আফরার মেয়ে রুবাই (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে তিনি খোলা’ (তালাক) করান। তাকে এক হায়িযকাল সময় ইদ্দাতের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দেন অথবা নির্দেশ দেওয়া হয়। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৫৮) ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, রুবাই বিনতু মুআওবিয (রাঃ)-এর হাদীসে তাকে এক হায়িযকাল সময় ইদ্দাত পালনের নির্দেশই সহীহ। ________________________________________ ১১৮৫/২। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে সাবিত ইবনু কাইস (রাঃ)-এর স্ত্রী তার স্বামীর নিকট হতে খোলা (তালাক) নেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এক হায়িযকাল সময় ইদ্দাত পালনের নির্দেশ দেন। — সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস আবূ ঈসা বলেন এ হাদীসটি হাসান গারব। আলিমদের মধ্যে খোলা তালাকপ্রাপ্তা মহিলার ইদ্দাত পালনের মেয়াদ প্রসঙ্গে মত পার্থক্য আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অন্যান্য আলিমগণ বলেছেন, তালাকপ্রাপ্তা মহিলার মত খোলা গ্রহণকারিণী মহিলাকেও ইদ্দাত পালন করতে হবে তিন হায়িযকাল সময়। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, কুফাবাসী আলিমগণ, আহমাদ ও ইসহাকের মতও তাই। অপর একদল সাহাবী ও বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, এক হায়িযকালই হচ্ছে খোলা গ্রহণকারিণীর ইদাতের সময়। ইসহাক (রাহঃ) বলেন, কোন লোক এই মত গ্রহণ করলে সেটাই হবে শক্তিশালী মাযহাব। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮৬ | 1186 | ۱۱۸٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১১. খোলা দাবিকারিণী নারী প্রসঙ্গে ১১৮৬। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ খোলা তালাক দাবিকারিণী নারীরা মুনাফিক। — সহীহ, সহীহা (৬৩৩), মিশকাত তাহকীক ছানী (৩২৯০) এ হাদীসটিকে উল্লেখিত সনদসূত্রে আবু ঈসা গরীব বলেছেন। এর সনদ খুব একটা মজবুত নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ “যে সকল নারী স্বামীর নিকট হতে কোন বিবেচনাযোগ্য কারণ ছাড়াই খোলা তালাক গ্রহণ করে সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না”। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮৭ | 1187 | ۱۱۸۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১১. খোলা দাবিকারিণী নারী প্রসঙ্গে ১১৮৭। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বামীর নিকট হতে যেসব নারী কোন বিবেচনাযোগ্য কারণ ছাড়াই তালাক চায় তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধও হারাম। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৫৫) আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এটি অন্য একটি সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু মারফুভাবে নয়। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮৮ | 1188 | ۱۱۸۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. মহিলাদের সাথে উদার ব্যবহার ১১৮৮। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহিলারা পাঁজরের বাকা হাড়ের মত। তুমি যদি সেটাকে সোজা করতে যাও তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তুমি ফেলে রাখ (সোজা করার চেষ্টা না কর) তবে তার বাকা অবস্থায়ই তুমি ফায়দা উঠাতে পারবে। — সহীহ, তা’লীকুর রাগীব (৩/৭২-৭৩), মুসলিম, বুখারী অনুরূপ আবু যার, সামুরা ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ গারীব বলেছেন এবং এর সনদসূত্র উত্তম। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৮৯ | 1189 | ۱۱۸۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৩. স্ত্রীকে পিতার নির্দেশে তালাক দেওয়া প্রসঙ্গে ১১৮৯। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমার বিবাহিত এক স্ত্রী ছিল যাকে আমি ভালোবাসতাম, কিন্তু তাকে আমার পিতা পছন্দ করতেন না। তিনি আমাকে নির্দেশ দেন তাকে তালাক প্রদানের জন্য। কিন্তু আমি তা অস্বীকার করি। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে আমি উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ হে উমারের- পুত্র আবদুল্লাহ! তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দাও। – হাসান, ইবনু মাজাহ (২০৮৮) এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আমরা এই হাদীসটির সাথে শুধুমাত্র ইবনু আবূ যিব-এর সূত্রেই পরিচিত হতে পেরেছি। ________________________________________ হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯০ | 1190 | ۱۱۹۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৪. কোন নারী যেন তার বোনের তালাক প্রার্থনা না করে ১১৯০। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন নারী যেন বোনের পাত্র খালি করে নিজের পাত্র পূরণের জন্য তার তালাক প্রার্থনা না করে। — সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (১৮৯১) উম্মু সালামা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯১ | 1191 | ۱۱۹۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৫. বুদ্ধি ও স্মৃতি নষ্ট হওয়া লোকের তালাক ১১৯১। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তালাক মাত্রই বলবৎ হয়, কিন্তু বুদ্ধি ও স্মৃতি নষ্ট হওয়া ব্যক্তির তালাক বলবৎ হয় না। খুবই দুর্বল। সহীহ কথা হল হাদীসটি মাওকুফ, ইরওয়া (২০৪২) আবূ ঈসা বলেনঃ আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আতা ইবনু আজলানের সূত্রেই মারফু হিসাবে জেনেছি। কিন্তু তিনি হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল এবং হাদীস বর্ণনায় ভুলের শিকার হতেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী মত দিয়েছেন। তাদের মতে নির্বোধ ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না। কিন্তু যে উন্মাদ কখনও জ্ঞান ফিরে পায় আবার কখনও জ্ঞানহারা হয়ে পড়ে সে যদি হুশ থাকাকালে তালাক দেয় তবে তা বলবৎ হবে। ________________________________________ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯২ | 1192 | ۱۱۹۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৬. তালাকের সংখ্যা ১১৯২। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, লোকেরা (জাহিলী যুগে) যেমন ইচ্ছা নিজ স্ত্রীকে তালাক দিত। এমনকি সে শতবার বা ততোধিক তালাক দেবার পরও তাকে ইদ্দাতের মধ্যে ফেরত নিলে সে পুরা দস্তর তার বিবি বিবেচিত হত। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছল যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল, আল্লাহ্ তা'আলার শপথ! আমি তোমাকে এমন তালাকও দিব না যে, তুমি আমার নিকট হতে আলাদা হয়ে যাবে এবং তোমাকে কখনো (স্থান) সহায়তাও দিব না। তার স্ত্রী বলল, এ কেমন কথা? সে বলল, আমি তোমাকে তালাক দিব এবং ইদ্দাত শেষ হওয়ার আগে ফিরিয়ে নিব। তোমার সাথে বারবার এমনই করতে থাকব। স্ত্রীলোকটি আইশা (রাঃ)-এর নিকটে এসে তাকে এ ঘটনা জানালো। আইশা (রাঃ) নীরব রইলেন। এর মাঝে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাযির হলেন। তিনি তাকে ব্যাপারটি অবগত করলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকলেন। এসময় কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হলঃ "তালাক দুইবার। তারপর হয় তাকে যথারীতি ফিরিয়ে নিবে, অন্যথায় সঠিক পন্থায় মুক্ত করে দিবে"-(সূরাঃ বাকারা- ২২৯)। আইশা (রাঃ) বলেন, এরপর থেকে যে লোক আগে তালাক দিয়েছে আর যে লোক দেয়নি উভয়ই ভবিষ্যতের জন্য নতুনভাবে তালাকের অধিকার লাভ করলো। যঈফ, ইরওয়া (৭/১৬২) হিশাম ইবনু উরওয়া (রাহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে উপরে উল্লেখিত হাদীসের মতই হাদীস বর্ণিত আছে। কিন্তু এই সূত্রে উরওয়া (রাহঃ) আইশা (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি। এই বর্ণনাটি ইয়ালা ইবনু শাবীবের বর্ণিত হাদীসের তুলনায় অনেক বেশী সহীহ। ________________________________________ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯৩ | 1193 | ۱۱۹۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৭. গর্ভবতী বিধবার ইদ্দাত সন্তান জন্মগ্রহণ করা পর্যন্ত ১১৯৩। আবুস সানাবিল ইবনু বাকাক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, সুবাইআ (রাঃ) সন্তান প্রসব করেন তার স্বামী মারা যাবার তেইশ বা পঁচিশ দিন পর। তিনি নিফাস হতে পবিত্র হয়ে পুনরায় বিয়ে করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু কেউ কেউ সেটাকে খারাপ বলে মনে করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তিনি বললেনঃ সে ইচ্ছা করলে এটা করতে পারে, কেননা, তার ইদ্দাত পূর্ণ হয়ে গেছে। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০২৭) এ হাদীসটি আরো একটি সনদসূত্রে বর্ণিত হয়েছে। উম্মু সালামা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবুস সানাবিল (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখিত সনদ সূত্রে মাশহর ও গারীব। আবুস সানাবিলের নিকট হতে আল-আসওয়াদ হাদীস শুনেছেন কি-না তা আমাদের জানা নেই। ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেছেন, আবুস সানাবিল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পরও বেঁচে ছিলেন কি-না তা আমাদের জানা নেই। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিম মত দিয়েছেন যে, যদি কোন গর্ভবতী মহিলার স্বামী মৃত্যুবরণ করে তবে তার সন্তান জন্মের সাথে সাথে তার বিয়ে করা হালাল (জায়িয), যদিও তার ইদ্দাত (চার মাস দশদিন) পূর্ণ না হয়। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক। অপর একদল সাহাবী ও অন্যদের মতে “দুই মেয়াদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘতর মেয়াদ" হবে তার ইদ্দাতকাল। কিন্তু প্রথমোক্ত মতই অনেক বেশি সহীহ। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯৪ | 1194 | ۱۱۹٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৭. গর্ভবতী বিধবার ইদ্দাত সন্তান জন্মগ্রহণ করা পর্যন্ত ১১৯৪। সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, গর্ভবতী বিধবা স্ত্রীলোকের ইদ্দাত প্রসঙ্গে আবু হুরাইরা, ইবনু আব্বাস ও আবু সালামা ইবনু আবদুর রাহমান (রাঃ) আলোচনা করলেন, যে স্বামীর মৃত্যুর পরপর সে সন্তান প্রসব করে (তার ইদ্দাত কখন পূর্ণ হবে)। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, দুই মেয়াদের মধ্যে দীর্ঘতর মেয়াদই হবে তার ইদ্দাতকাল। আবূ সালামা (রাঃ) বললেন, সন্তান জন্মের সাথে সাথে তার বিয়ে করা বৈধ হবে। আবু হুরাইরা (রাঃ) বললেন, আমি আমার ভাইয়ের ছেলে আবু সালামার সাথে একমত। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী উম্মু সালামা (রাঃ)-এর নিকট বিষয়টি সমাধানের জন্য (লোক) পাঠান। তিনি বললেন, সুবাইয়া আসলামিয়া তার স্বামী মারা যাবার অল্পদিন পরই সন্তান প্রসব করে। সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফাতওয়া জানতে চাইলে তিনি তাকে বিয়ের অনুমতি দেন। — সহীহ, ইরওয়া (২১১৩), সহীহ আবু দাউদ (১১৯৬), আবু ঈসা এ হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। হাদিস নম্বরঃ ১১৯৫ | 1195 | ۱۱۹۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. যে নারীর স্বামী মারা গেছে তার ইদ্দাত আবু সালামা (রাঃ)-এর মেয়ে যাইনাব (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি অধস্তন বর্ণনাকারী হুমাইদ ইবনু নাফিকে নিম্নোক্ত তিনটি হাদীস প্রসঙ্গে জানিয়েছেন। ১১৯৫। তিনি (যাইনাব) বলেছেনঃ (এক) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী উম্মু হাবীব (রাঃ)-এর পিতা আবু সুফিয়ান (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর আমি তার নিকট গেলাম। তিনি কস্তুরি মিশ্রিত হলুদ বর্ণের খালুক নামক সুগন্ধি নিয়ে ডাকলেন। তিনি একটি বালিকার গায়ে তা মাখালেন, তারপর তা নিজের উভয় গালে লাগালেন। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার সুগন্ধি মাখার তেমন কোন প্রয়োজন ছিল না। আমি তা শুধুমাত্র এজন্যই মাখলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা'আলা ও আখিরাত দিবসের উপর যে মহিলা ঈমান রাখে, তার পক্ষে কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশি শোক প্রকাশ করা জায়িয নয়। শুধুমাত্র স্বামীর জন্য শোক পালন হবে চার মাস দশ দিন। সহীহ, ইরওয়া (২১১৪), সহীহ আবূ দাউদ (১৯৯০, ১৯৯১), বুখারী, মুসলিম ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯৬ | 1196 | ۱۱۹٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. যে নারীর স্বামী মারা গেছে তার ইদ্দাত ১১৯৬। (দুই) যাইনাব (রাহঃ) বলেন, জাহশের মেয়ে যাইনাব (রাঃ)-এর ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমি তার নিকট গেলাম। তিনিও সুগন্ধি নিয়ে ডাকলেন এবং তা ব্যবহার করলেন। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ আমার সুগন্ধি মাখার তেমন কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের উপর যে মহিলা ঈমান রাখে তার পক্ষে কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশি শোক প্রকাশ করা জায়িয নয়। শুধু স্বামীর জন্য শোক পালন হচ্ছে চার মাস দশ দিন। — সহীহ, প্রাগুক্ত ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯৭ | 1197 | ۱۱۹۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. যে নারীর স্বামী মারা গেছে তার ইদ্দাত ১১৯৭। (তিন), যাইনাব (রাহঃ) বলেন, আমি আমার মা উম্মু সালামা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এক মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মেয়ের স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে। ইদানীং তার দুই চোখে অসুখ দেখা দিয়েছে। আমরা তার চোখে সুরমা লাগাতে পারব কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না। মহিলাটি দুই কি তিনবার এই প্রশ্ন করল এবং প্রতি বারেই তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ না। তারপর তিনি বললেনঃ এটা তো মাত্র চার মাস দশ দিনের ব্যাপার। জাহিলী যুগে তোমাদের কোন মহিলাকে এক বছর পর্যন্ত শোক পালন শেষে বিষ্ঠা নিক্ষেপ করে ইদ্দাতকে সমাপ্ত করতে হত। — সহীহ, প্রাগুক্ত মালিক ইবনু সিনানের কন্যা এবং আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-এর বোন ফুরাইআ ও উমার (রাঃ)-এর কন্যা হাফসা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, যাইনাব (রাহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী ও অন্যান্য আলিম মত দিয়েছেন। তাদের মতে যে মহিলার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে সে মহিলা ইদাতের সময় সুগন্ধি ও সাজসজ্জা বর্জন করবে। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯৮ | 1198 | ۱۱۹۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৯. কাফফারা আদায়ের পূর্বে যিহারকারী সহবাস করলে ১১৯৮ সালামা ইবনু সখর আল-বায়ায়ী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, যিহার করার পর কাফফারা আদায়ের পূর্বে স্ত্রীর সাথে সঙ্গমকারী ব্যক্তি প্রসঙ্গে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমতাবস্থায় তার একটি মাত্র কাফফারাই হবে। — সহীহ, প্রাগুক্ত আবু ঈসা বলেন এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস অনুযায়ী বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ আলিম মত দিয়েছেন। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (একই কাফফারা হবে)। অপর কিছু আলিম বলেন, যিহার করার কাফফারা আদায়ের পূর্বে সহবাস করলে দুটি কাফফারা আদায় করতে হবে। এই মত দিয়েছেন আবদুর রাহমান ইবনু মাহদীও। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১১৯৯ | 1199 | ۱۱۹۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৯. কাফফারা আদায়ের পূর্বে যিহারকারী সহবাস করলে ১১৯৯। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, এক লোক যিহারের পর তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে। তারপর সে লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার স্ত্রীর সাথে আমি যিহার করেছি এবং কাফফারা আদায়ের পূর্বে সহবাস করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা তোমায় রাহাম করুন! তোমাকে কোন জিনিস এ কাজে লিপ্ত হতে উদ্বুদ্ধ করল? সে বলল, আমি চাদের আলোতে তার পায়ের অলংকার দেখতে পেয়েছিলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা তোমাকে যা হুকুম করেছেন তা পালনের পূর্বে আর তার ধারে-কাছেও যেও না। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৬৫) এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্ গারীব বলেছেন। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১২০০ | 1200 | ۱۲۰۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২০. যিহারের কাফফারা ১২০০। আবু সালামা ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রাহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, বায়াযা গোত্রের সালমান ইবনু সাখর আনসারী তার স্ত্রীকে রামাযান মাসের জন্য তার মায়ের পিঠের সাথে তুলনা করল (যিহার করল)। এই মাসের অর্ধেক গত হওয়ার পর এক রাতে সে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করল। তারপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বিষয়টি তাকে জানালো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ একটি গোলাম আযাদ কর। সে বলল, এটা করার সামর্থ্য আমার নেই। তিনি বললেনঃ একাধারে দুই মাস রোযা রাখ। সে বলল, আমার সামর্থ্য নেই এটা করার। তিনি বললেনঃ ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াও। সে বলল, এটা করারও আমার সামর্থ্য নেই। তখন ফারওয়া ইবনু আমর (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে এই খেজুরের ঝুড়িটা দাও যাতে ষাটজন মিসকীনকে সে খাওয়াতে পারে। আরাক এমন বড় ঝুড়িকে বলা হয় যাহাতে ১৫ অথবা ১৬ সা’ খেজুর ধরে। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৬২) আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস অনুযায়ী যিহারের কাফফারা নির্ধারণের ব্যাপারে আলিমগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সালামানকে সালামা আল-বায়াযীও বলা হয়। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১২০১ | 1201 | ۱۲۰۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২১. ঈলা প্রসঙ্গে ১২০১। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বিবিদের সাথে ঈলা করে একটি হালাল বিষয়কে নিজের জন্য হারাম করে নিলেন তারপর এই হারামকে হালাল করলেন এবং পরে শপথ (ভঙ্গের)-এর কারণে কাফফারা দিলেন। যঈফ, ইরওয়া (৪৭৫২) এ অনুচ্ছেদে আনাস ও আবূ মূসা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ উল্লেখিত হাদীসটি আলী ইবনু মুসহির এবং অন্যান্যরা দাউদ-এর সূত্রে ইমাম শাবী (রাহঃ) হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে মাসরূক ও আইশা (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই। এই (মুরসাল) বর্ণনাটি মাসলামা ইবনু আলকামার বর্ণনার চেয়ে অনেক বেশী সহীহ। কোন লোক চার মাস বা তার বেশী সময় নিজ বিবির নিকটে না যাওয়ার (সহবাস না করার) কসম করলে তাকে ঈলা' বলে। চার মাস চলে গেলে এবং এর মধ্যে স্ত্রীর নিকটে না গেলে তার পরিণতি কি হবে তা নিয়ে আলিমদের মাঝে মতের অমিল আছে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল সাহাবী ও বিশেষজ্ঞ আলিমদের মতে চার মাস চলে যাবার পর সে ক্ষান্ত হবে এবং নির্ধারণ করবে যে, হয় তাকে ফেরত নিবে অথবা তালাক দিবে। মালিক ইবনু আনাস, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের এই অভিমত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপর একদল সাহাবী ও বিশেষজ্ঞ আলিমদের মতেঃ চার মাস চলে গেলে স্বাভাবিকভাবে এক বাইন তালাক হয়ে যাবে। সুফিয়ান সাওরী ও কূফাবাসী ফকীহগণের এই মত। ________________________________________ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১২০২ | 1202 | ۱۲۰۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২২. লিঅানের বর্ণনা ১২০২। সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, মুসআব ইবনু যুবাইরের শাসনামলে এক জোড়া লিআনকারী (দম্পতি) প্রসঙ্গে আমাকে প্রশ্ন করা হলঃ তাদেরকে আলাদা করে দেয়া হবে কি-না। আমি এই প্রসঙ্গে কি বলব তা সঠিক অনুমান করতে পারলাম না। আমি আমার ঘর হতে বেরিয়ে সোজা আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর ঘরের দরজার সামনে এলাম এবং তার সাথে সাক্ষাতের জন্য প্রবেশের অনুমতি চাইলাম। আমাকে বলা হল, তিনি দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। তিনি ভিতর হতে আমার কথা শুনে বললেন, ইবনু জুবাইর ভিতরে প্রবেশ কর। নিশ্চয়ই কোন জরুরী বিষয় নিয়ে তুমি এসেছ। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ভিতরে গেলাম। তিনি তার বাহনের হাওদার নিচের মোটা কাপড় বিছিয়ে তার উপর শুয়ে ছিলেন। আমি বললাম, হে আবদুর রাহমানের পিতা! লিআনকারী দম্পতিকে কি একে অপর হতে আলাদা করতে হবে? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! হ্যাঁ, এ প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম অমুকের ছেলে অমুক প্রশ্ন করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তাকে প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমাদের মাঝে কোন লোক তার স্ত্রীকে খারাপ কাজে (যিনায়) জড়িত দেখে তখন সে কি করবে, এ প্রসঙ্গে আপনি কি মত পোষণ করেন? যদি সে মুখ খুলে তবে একটা ভয়ানক কথা বলল, আর সে চুপ থাকলে তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চুপ রইল। বর্ণনাকারী (ইবনু উমার) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা শুনে নীরব রইলেন এবং কোন উত্তর দিলেন না। তিনি (ফিরে যাওয়ার পর) আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন, আপনাকে যে বিষয়ে ইতিপূর্বে প্রশ্ন করেছিলাম তাতে আমি নিজেই জড়িয়ে পড়েছি। এমন সময় আল্লাহ তা'আলা সূরা নূরের আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ “নিজেদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে যে সকল লোক যিনার অভিযোগ তোলে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের আর কোন সাক্ষী থাকে না তবে তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে চারবার আল্লাহ তা'আলার নামে শপথ করে বলবে..... যদি সে সত্যবাদী হয়” (৬-১০)। তিনি লোকটিকে ডেকে এনে তাকে এ আয়াতগুলো পাঠ করে শুনান, তাকে উপদেশ দিয়ে ভালোভাবে বুঝান। তিনি তাকে বললেনঃ দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তি হতে অনেক হালকা। তিনি বললেন, না, সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! তাকে আমি মিথ্যা অপবাদ দেইনি। তারপর তিনি স্ত্রীলোকটির প্রতি মনোনিবেশ করলেন এবং তাকেও উপদেশ দিয়ে উত্তমভাবে বুঝালেনঃ দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তি হতে খুবই হালকা। স্ত্রীলোকটি বলল, না, সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন। সে সত্য কথা বলেনি। বর্ণনাকারী (ইবনু উমার) বলেন, তারপর প্রথমে পুরুষকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শপথ করালেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার নাম সহকারে চারবার শপথ করে সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি (অভিযোগের ব্যাপারে) সত্যবাদী। তিনি পঞ্চম বারে বললেন যে, তিনি (আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে) মিথ্যাবাদী হলে তার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। তারপর তিনি স্ত্রীলোকটিকে লিআন করান। সে চারবার আল্লাহ তা'আলার নাম উচ্চারণ সহকারে শপথ করে সাক্ষ্য দিল যে, তার বিরুদ্ধে উঠানো অভিযোগে সে (স্বামী) মিথ্যাবাদী। সে পঞ্চম বারে বলল, সে (স্বামী) সত্যবাদী হলে তবে তার নিজের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। তারপর তাদের বিয়ে বন্ধন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিন্ন করে দিলেন। — সহীহ, সহীহ আবু দাউদ (১৯৫৫), মুসলিম সাহল ইবনু সাদ, ইবনু আব্বাস, হুযাইফা ও ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীস অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ আলিমগণ আমল করেন। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১২০৩ | 1203 | ۱۲۰۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২২. লিঅানের বর্ণনা ১২০৩। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক লোক তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিআন করল। তাদের বিয়ে বন্ধনকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিন্ন করে দেন এবং সন্তানটিকে তার মায়ের সাথে সম্পৃক্ত করেন। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৬৯), নাসাঈ এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ আলিমগণ আমল করেন। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী / গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] / অধ্যায়ঃ ১১/ তালাক ও লিআন (كتاب الطلاق واللعان عن رسول الله ﷺ) হাদিস নম্বরঃ ১২০৪ | 1204 | ۱۲۰٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৩. স্বামী মৃত্যুর পর স্ত্রী কোথায় ইদ্দাত পালন করবে? ১২০৪। যাইনাব বিনতু কাব ইবনু উজরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তাকে মালিক ইবনু সিনান (রাঃ)-এর মেয়ে এবং আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-এর বোন ফুরাইআ (রাঃ) জানিয়েছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসেন একটা প্রশ্ন করার উদ্দেশ্যে যে, ইন্দাতের জন্য তার নিজের বংশ খুদরা গোত্রে যেতে পারেন কি-না। তার স্বামী তার কয়েকটি পলাতক গোলামের খোজে গিয়েছিলেন। তিনি যখন পত্যাবর্তন করতেছিলেন তখন তাদের সাথে সাক্ষাৎ ঘটে এবং তারা সেখানে তাকে মেরে ফেলে। ফুরাইআ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আমার বাবার বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে আবেদন করলাম। কেননা, আমার জন্য আমার স্বামী তার নিজস্ব কোন ঘর রেখে যাননি, এমনকি ভরণ-পোষণের খরচপাতিও নয়। ফুরাইআ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হ্যাঁ বললেন। তিনি বলেন, তারপর আমি ফিরে চললাম। আমি শুধু (তার) হুজরা অথবা মাসজিদের নিকটে পৌছলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আবার ডাকলেন বা আমাকে ডাকার নির্দেশ দিলেন। আমাকে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি বলেছিলে? ফুরাইআ (রাঃ) বলেন, আমার স্বামী সম্পর্কে পূর্বে আমি যে ঘটনা বলেছিলাম তার নিকট তা আবার বললাম। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ঘরেই থাক ইদ্দাত পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত। ফুরাইআ (রাঃ) বলেন, আমি এখানে ইদ্দাত পালন করলাম চার মাস দশদিন। তিনি বলেন, তারপর উসমান (রাঃ) খালীফা হওয়ার পর তিনি আমার কাছে লোক পাঠিয়ে এ বিষয়টি জানতে চাইলেন। আমি এ প্রসঙ্গে তাকে জানালাম। তিনি এর অনুসরণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী ফায়সালা দিয়েছেন। — সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০৩১) এ হাদীসটি কাব ইবনু উজরা (রাঃ) হতে অন্য একটি সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ মত দিয়েছেন। তাদের মতে, ইদ্দাতের সময় পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ইদ্দাত পালনকারী স্বামীর ঘর হতে যাবে না। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে অপর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তৎপরবর্তী আলিমগণ বলেন, মহিলা তার ইচ্ছামত যে কোন জায়গায় ইদ্দাত পালন করতে পারে। স্বামীর ঘরে ইদ্দাত পালন না করলেও কোন সমস্য নেই। আবু ঈসা বলেন, কিন্তু প্রথমোক্ত মতই অনেক বেশি সহীহ। পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯২. উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ সারাখসী (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী ছিল ঋতুমতী। তখন উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর সমাধান চাইলেন। তিনি বললেন, আবদুল্লাহ তার স্ত্রীকে ঋতুমতী অবস্থায় তালাক দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আবদুল্লাহকে বলে দাও সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয় এবং হায়য থেকে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাকে দূরে রাখে। এরপর সে আবার ঋতুমতী হয়ে যখন পবিত্র হবে, তখন সে যদি ইচ্ছা করে তবে তার সাথে সহবাস করার পূর্বেই তাকে তালাক দেবে, আর যদি সে ইচ্ছা করে তাহলে তাকে রেখে দেবে। এটাই তার ঐ ইদ্দত, যে অনুযায়ী আল্লাহ্ তা'আলা আদেশ করেছেন, স্ত্রীদের তালাকের ব্যাপারে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০১৯, ইরওয়া ২০৫৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৩ | 3393 | ۳۳۹۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯৩. মুহাম্মাদ ইবন সালামা (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়। তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তাকে বল, যেন তাকে ফিরিয়ে নেয় এবং পাক হওয়া পর্যন্ত তাকে দূরে রাখে। পরে হায়যের পর পাক হলে যদি সে ইচ্ছা করে তাকে রাখবে, আর যদি ইচ্ছা করে তালাক দেবে-স্পর্শ করার পূর্বে। ইহাই ঐ ইদ্দত, যে অনুযায়ী আল্লাহ্ তা'আলা স্ত্রীদের তালাকের ব্যাপারে আদেশ করেছেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৪ | 3394 | ۳۳۹٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯৪. কাছীর ইবন উবায়দ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবিত থাকাকালে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম হায়য অবস্থায়। উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এই ঘটনা বললেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হয়ে বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। এরপর এক হায়য হওয়া পর্যন্ত তার থেকে দূরে থাকবে এবং যতক্ষণ না সে পবিত্র হবে। এরপর সে যদি তাকে তালাক দিতে চায়, তাহলে তার পাক অবস্থায় তাকে তালাক দেবে-সহবাস করার পূর্বে। এই তালাক হলো ইদ্দতের অনুযায়ী, যেমন আল্লাহ্ তা'আলা নাযিল করেছেন। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলেন, আমি তাকে ফিরিয়ে আনলাম; আর আমি তাকে যে তালাক দিয়েছিলাম, তাকে এক তালাক হিসাবে গণ্য করলাম। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১২৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৫ | 3395 | ۳۳۹۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯৫. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... ইবন জুরায়জ (রহঃ) বলেন, আমাকে আবু যুবায়র সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি আবদুর রহমান ইবন আয়মন (রহঃ)-কে ইবন উমরের নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছেন, আর তখন আবু যুবায়র (রাঃ) শোনেন। কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিলে আপনি তা কিরূপ মনে করেন? তিনি তাকে বললেনঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) তাঁর স্ত্রীকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে হায়য অবস্থায় তালাক দিলে উমর (রাঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। এ কথা বলে তিনি আমার দেওয়া তালাক ফিরিয়ে রদ করলেন। তিনি বললেনঃ যখন সে পাক হবে, তখন ইচ্ছা হলে তাকে তালাক দেবে; আর না হয় তাকে রেখে দেবে। ইবন উমর (রাঃ) বলেনঃ এরপর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمْ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১২৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইবনু জুরায়জ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৬ | 3396 | ۳۳۹٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯৬. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে আল্লাহ্ তা'আলার বাণী (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمْ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ) সম্পর্কে বর্ণিত যে, এর অর্থ ইদ্দতের পূর্বে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২০৫৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৭ | 3397 | ۳۳۹۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২. সুন্নত তালাক ৩৩৯৭. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ সুন্নত তালাক হলো, যে পাক অবস্থায় সহবাস করা হয়নি। তাতে এক তালাক দেওয়া। এরপর যখন হায়য় হওয়ার পর পাক হয়, তখন তাকে আর এক তালাক দেওয়া। এরপর যখন সে আবার হয়েয থেকে পাক হয়, তখন আরো এক তালাক দেওয়া, এরপর সে এক হায়েয পর্যন্ত ইদ্দত পালন করবে। আ'মাশ (রহঃ) বলেন, আমি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি এরূপ বললেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২০৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৮ | 3398 | ۳۳۹۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২. সুন্নত তালাক ৩৩৯৮. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুন্নত তালাক হলো স্ত্রীকে সহবাস ব্যতীত পাক অবস্থায় এক তালাক দেওয়া। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২০৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৯ | 3399 | ۳۳۹۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. হায়েয অবস্থায় এক তালাক দিলে এর হুকুম কি? ৩৩৯৯. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাঁহার স্ত্রীকে হয়েয অবস্থায় এক তালাক দেন। তখন উমর (রাঃ) গিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ সংবাদ দিলে তিনি তাকে বললেন, আবদুল্লাহকে বল, সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে, এবং যখন সে গোসল করবে, তখন তাকে অন্য হয়েয পর্যন্ত সহবাস করবে না, যখন অন্য হায়েয হতে গোসল করবে, তখন তাকে তালাক দেওয়ার আগে স্পর্শ করবে না। যদি তাকে রাখতে চায়, তবে রেখে দেবে। ইহাই সেই ইদ্দত- আল্লাহ পাক যার আদেশ করেছেন যে, স্ত্রীদেরকে ইদ্দতে তালাক দেবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০০ | 3400 | ۳٤۰۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. হায়েয অবস্থায় এক তালাক দিলে এর হুকুম কি? ৩৪০০. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলেন, এই খবর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন, তাকে বল, সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়; এরপর তাকে তালাক দেয় পাক অবস্থায় অথবা গর্ভাবস্থায়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১২৬–১২৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০১ | 3401 | ۳٤۰۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইদ্দত ব্যতীত তালাক ৩৪০১. যিয়াদ ইবন আইয়ুব (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার নিকট ফিরিয়ে দেন। পরে তিনি তাকে পাক-পবিত্র অবস্থায় তালাক দেন। পরিচ্ছদঃ ৫. ইদ্দত ব্যতীত তালাক দিলে এর হুকুম কি? ৩৪০২. কুতায়বা (রহঃ) ... ইউনুস ইবন জুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-কে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, যে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। তখন তিনি বলেনঃ তুমি কি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-কে চিন? তিনি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেন, তখন উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে আদেশ করলেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়। এরপর তার ইদ্দতের অপেক্ষা করবে। তখন তাকে আমি বললামঃ এই তালাকের জন্যই কি ইদ্দত পালন করবে? তিনি বললেনঃ আস, যদি সে ফিরিয়ে না নেয় এবং মুর্খতার পরিচয় দেয়, তাহলে কি সে তালাক গণ্য হবে না? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইউনুস ইবন জুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৩ | 3403 | ۳٤۰۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫. ইদ্দত ব্যতীত তালাক দিলে এর হুকুম কি? ৩৪০৩. ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... ইউনুস (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-কে বললাম; এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি আবদুল্লাহ ইবন উমর কে চিন, সে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়। তখন উমর (রাঃ) তার এ বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য বাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে, তিনি তাকে এ নির্দেশ দেন যে, সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়; এরপর তার ইদ্দতের অপেক্ষা করে। আমি তাকে বললামঃ যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়, তখন এই তালাকের জন্যও কি তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে? তিনি বললেনঃ থাম, যদি সে ফিরিয়ে না নেয় এবং মূর্থিতার পরিচয় দেয়, তাহলে কি সে তালাক গণ্য হবে না? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইউনূস বিন উবাইদ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৪ | 3404 | ۳٤۰٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. একত্রে তিন তালাক ৩৪০৪. সুলায়মান ইবন দাউদ (রহঃ) ... ইবন মাখরামা (রহঃ) আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন তাঁর পিতা হতে, তিনি বলেনঃ আমি মাহমুদ ইবন লবীদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এক ব্যক্তি সম্বন্ধে সংবাদ দেওয়া হলো, সে তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক দিয়েছে। এ কথা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে বললেনঃ সে কি আল্লাহর কিতাব নিয়ে খেলা করছে? অথচ আমি তোমাদের মাঝেই রয়েছি! তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কি তাকে হত্যা করবো না? ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। মিশকাত ৩২৯২। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইবন মাখরামা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৫ | 3405 | ۳٤۰۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. এতে অনুমতি ৩৪০৫. মুহাম্মদ ইবন সালাম (রহঃ) ... মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইবন শিহাব আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, সাহল ইবন সা'দ সাঈদী তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, উওয়াইমির আজলানী আসিম ইবন আদীর নিকট আগমন করলো এবং বললোঃ হে আসিম! তুমি কি মনে কর, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়, তাহলে সে কি তাকে হত্যা করবে? যদ্দরুন লোকেরাও তাকে হত্যা করবে অথবা কি করবে? হে আসিম! তুমি আমার পক্ষ হয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর। তখন আসিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রশ্নকারীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলেন এবং ঐ স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা শুনলেন, তা আসিম অতিশয় গুরুতর মনে করলো। আসিম ঘরে ফিরে আসলে উওয়াইমির (রাঃ) তার নিকট এসে বললোঃ হে আসিম ! রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বলেছেন? আসিম উওয়াইমির (রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি তো আমার নিকট ভাল খবর নিয়ে আসোনি, আমি যা জিজ্ঞাসা করেছি, তাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হয়েছেন। উওয়াইমির বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হবে না। এরপর উওয়াইমির লোকের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আগমন করে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে কী বলেন, যে তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে, ফলে আপনারাও তাকে হত্যা করবেন অথবা সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার এবং তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে ফয়সালা নাযিল হয়েছে। অতএব তুমি গিয়ে তাকে নিয়ে এসো। সাহল (রাঃ) বলেন, এরপর উভয়ে এসে লি আন’ করলো। আর তখন আমি অন্যান্য লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম। যখন উওয়াইমির লি'আন শেষ করলো। তখন সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমি তাকে রাখি, তাহলে লোকেরা বলবে, আমি তার উপর মিথ্যা তোহমাত লাগিয়ে ছিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ করার পূর্বেই সে তাকে তিন তালাক দিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৬৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৬ | 3406 | ۳٤۰٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. এতে অনুমতি ৩৪০৬. আহমদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... শা'বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমি আলে খালিদের কন্যা। আর আমার স্বামী অমুক আমার নিকট তালাকের খবর পাঠিয়েছে। আমি তার অভিভাবকের নিকট খোরপোষ এবং বাসস্থান চাইলে তারা তা আমাকে দিতে অস্বীকার করেছে। ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তারা বললোঃ সে তার নিকট তিন তালাকের খবর পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খোরপোষ এবং বাসস্থান স্ত্রীর জন্য ঐ সময় দেওয়া হবে যখন তাকে ফিরিয়ে আনার অধিকার স্বামীর থাকে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহাহ ১৭১১, সহীহ জামে' আস-সগীর ২৩৩৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ শা‘বী (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৭ | 3407 | ۳٤۰۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. এতে অনুমতি ৩৪০৭. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন তালাকপ্ৰাপ্ত নারীর জন্য কোন খোরপোষ ও বাসস্থান নেই। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩৫–২০৩৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৮ | 3408 | ۳٤۰۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. এতে অনুমতি ৩৪০৮. আমর ইবন উসমান (রহঃ) ... আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কাছে ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আবু আমর ইবন হাফস মাখযুমী তাকে তিন তালাক দিলে খালিদ ইবন ওয়ালীদ বনী মাখযুমের সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু আমর ইবন হাফস (রাঃ) ফাতিমাকে তিন তালাক দিয়েছে, এখন কি সে খোরপোষ পাবে? তখন তিনি বললেনঃ তার জন্য কোন খোরপোষ এবং বাসস্থান নেই। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৯ | 3409 | ۳٤۰۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৮. স্বামী-স্ত্রীর সংগত হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন সময়ে তিন তালাক দিলে ৩৪০৯. আবু দাউদ সুলায়মান ইবন সায়ফ (রহঃ) ... ইবন তাউস (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন। আবু সাহবা ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট এসে বললোঃ হে ইবন আব্বাস! আপনি কি জানেন না, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এবং আবু বকর ও উমর (রাঃ)-এর প্রথম যুগে তিন তালাককে এক তালাক ধরা হতো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১২২, সহীহ আবু দাউদ ১৯১০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবন তাউস (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১০ | 3410 | ۳٤۱۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. সংগত হওয়ার পূর্বে তালাক ৩৪১০. মুহাম্মদ ইবন 'আলা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলো যে তার স্ত্রীকে তালাক দিলে সে অন্য স্বামী গ্ৰহণ করলো। সে স্বামী তার সাথে নির্জনবাস করলো। এরপর সে তাকে তালাক দিল সহবাসের পূর্বে, সে কি প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না; যতক্ষণ না দ্বিতীয় স্বামী তার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে, আর সেও তার স্বাদ গ্ৰহণ করবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১১ | 3411 | ۳٤۱۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. সংগত হওয়ার পূর্বে তালাক ৩৪১১. আব্দুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্দুল হাকম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রিফা'আ' কুরাযীর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আবদুর রহমান ইবন যুবায়রকে বিবাহ করেছি। আল্লাহর কসম তার নিকট আমার এই কাপড় খণ্ডের মত ব্যতীত আর কিছু নেই। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মনে হয় তুমি আবার রিফা'আর নিকট ফিরে যেতে চাও, তা হতে পারে না, যতক্ষণ না তুমি তার মধুর স্বাদ গ্ৰহণ কর, আর সে তোমার মধুর স্বাদ গ্রহণ করে। পরিচ্ছদঃ ১০. নিশ্চিত তালাক ৩৪১২. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রিফাআ কুরাযীর স্ত্রী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলেন, তখন আবু বকর (রাঃ) তাঁর নিকট ছিলেন। সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি রিফাআ কুরাযীর বিবাহাধীনে ছিলাম, সে আমাকে 'আলবাত্তা' অর্থাৎ তিন তালাক দেয়। এরপর আমি আবদুর রহমান ইবন যুবায়রকে বিবাহ করি। আর আল্লাহর কসম! ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই কাপড়ের প্রান্ত ভাগের ন্যায় ব্যতীত তার নিকট কিছু নেই। এই বলে সে তার চাদরের অগ্রভাগ তুলে ধরে। তখন খালিদ ইবন সাঈদ ছিল দরজায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামন তাকে অনুমতি না দিয়ে বললেনঃ হে আবু বকর! তুমি কি শুনছ না, এই মহিলা জোরে জোরে সশব্দে যা বলছে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে! এরপর তিনি বললেনঃ তুমি কি আবার রিফা'আর নিকট প্রত্যাবর্তন করতে চাও? তা হতে পারে না, যতক্ষণ না তুমি তার মধু পান কর আর সে তোমার মধু পান করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৩ | 3413 | ۳٤۱۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১১. “তোমার ব্যাপার তোমার হাতে” বলে তালাক দেয়া ৩৪১৩. আলী ইবন নসর ইবন আলী (রহঃ) ... হাম্মাদ ইবন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আইয়ূব (রাঃ)-কে বললাম, তুমি কি কাউকেও (أَمْرِكِ بِيَدِكِ) অৰ্থাৎ "তোমরা ব্যাপার তোমার হাতে" বলায় তাতে তিনি তালাক বলতে শুনেছ- হাসান ব্যতীত? তিনি বললেনঃ না। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহু ক্ষমা কর। কাতাদা আবু সালাম (রাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, এরূপ বললে- তিন তালাক হয়ে যাবে। এরপর আমি কাছীর (রহঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি তাকে চিনতে পারলেন না। এরপর আমি কাতাদা (রহঃ)-এর নিকট ফিরে আসলাম এবং তাকে এ সংবাদ দিলাম। তিনি বললেনঃ সে ভুলে গেছে। আবু আবদুর রহমান বলেন, এটা মুনকার হাদীস। ________________________________________ তাহক্বীকঃ মারফু’ হিসেবে হাদিসটি যয়ীফ কিন্তু হাসান বসরী (রহঃ) এর কথা হিসেবে হাদিসটি সহীহ। তিরমিযী ১১৯৪। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হাম্মাদ ইবনু যাইদ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৪ | 3414 | ۳٤۱٤ • বাংলা • العربية ৩৪১৪.* ________________________________________ * এই নাম্বারের কোন হাদিস ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বইতে পাওয়া যায় নি। সকল হাদিস ঠিক আছে, শুধু এই নাম্বারটা বাদ পড়েছে। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৫ | 3415 | ۳٤۱۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৫. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রিফা'আর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে বললো, আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দেয়। এরপর আমি আবদুর রহমান ইবন যুবায়র (রাঃ)-কে বিবাহ করি। কিন্তু তার নিকট কাপড়ের আঁচলের মত ব্যতীত কিছু নেই। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে বললেনঃ মনে হয় তুমি রিফা'আর নিকট ফিরে যেতে চাও। না, তা হয় না; যতক্ষণ না সে তোমার স্বাদ গ্ৰহণ করে আর তুমি তার স্বাদ গ্ৰহণ কর। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৬ | 3416 | ۳٤۱٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৬. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিল। এরপর সে অন্য স্বামী গ্ৰহণ করলো, কিন্তু সে তাকে স্পর্শ করার (সংগত হওয়ার) পূর্বেই তালাক দিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হলোঃ সে কি প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে ? তিনি বললেন, না। হালাল হবে না, যতক্ষন দ্বিতীয় স্বামী তার স্বাদ গ্রহণ করে। যেমন প্রথম স্বামী স্বাদ গ্ৰহণ করেছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৭ | 3417 | ۳٤۱۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৭. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, গুমায়সা অথবা রুমায়সা নাম্নী এক মহিলা তার স্বামী সম্বন্ধে অভিযোগ নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলো যে, সে তার নিকট আসে না। অল্পক্ষণ পরেই তার স্বামী আসলো এবং বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সে মিথ্যুক। আমি তার নিকট যেয়ে থাকি, কিন্তু সে তার প্রথম স্বামীর নিকট ফিরে যেতে চায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা হতে পারে না, যতক্ষণ না তুমি তার মধুর স্বাদ গ্ৰহণ কর। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/৩০০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৮ | 3418 | ۳٤۱۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৮. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, সে তার স্ত্রীকে তালাক দিল। এরপর তাকে অন্য এক ব্যক্তি বিবাহ করলো এবং সে তার সাথে সহবাস করার পূর্বে তাকে তালাক দিল। সে কি তার প্রথম স্বামীর নিকট ফিরে যেতে পারবে? তিনি বললেনঃ না, যতক্ষণ না সে স্বামী তার স্বাদ গ্রহণ করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ১৯৩৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৯ | 3419 | ۳٤۱۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৯. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিল। পরে অন্য এক ব্যক্তি তাকে বিবাহ করলো। সে দরজা বন্ধ করে পর্দা ঝুলিয়ে দিল। এরপর তার সাথে সহবাস করার পূর্বে তাকে তালাক দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে না। যতক্ষণ না দ্বিতীয় স্বামী তার সাথে সহবাস করে। ইমাম আবু আবদুর রহমান নাসাঈ (রহঃ) বলেনঃ হাদীসটি অধিক সঠিক। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২০ | 3420 | ۳٤۲۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৩. তিন তালাকপ্রাপ্ত নারীকে হালাল করা ৩৪২০. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন সে সব নারীদের, যারা উল্কি আঁকায় এবং উল্কি আঁকার জন্য নির্দেশ দেয়। আর যে নারী নিজের চুলের সাথে অন্যের চুল মিলায় এবং যে নারী এরূপ করার আদেশ করে। আর যে সুদ খায় এবং সুদ খাওয়ায়, আর যে হালাল করে এবং যার জন্য হালাল করা হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ১৮৯৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২১ | 3421 | ۳٤۲۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৪. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে সামনা-সামনি তালাক দেওয়া ৩৪২১. হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ কিলাবিয়া গোত্রের মহিলাটি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ আমি আল্লাহর নিকট আপনার থেকে পানাহ চাই। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি এক মহান সত্তার আশ্রয় গ্রহণ করেছ। তুমি তোমার পরিজনের সাথে মিলিত হও। পরিচ্ছদঃ ১৫. স্ত্রীর নিকট পুরুষের তালাক পাঠান ৩৪২২. উবায়দুল্লাহ ইবন সায়ীদ (রহঃ) ... আবু জাহম পুত্র আবু বকর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাতিমা বিনতে কায়সকে বলতে শুনেছি, আমার স্বামী আমার নিকট তালাক প্রেরণ করলে আমি আমার কাপড় পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলাম। তিনি বললেনঃ তোমাকে কয় তালাক দিয়েছে? আমি বললামঃ তিন তালাক। তিনি বললেনঃ তোমার জন্য কোন খোরপোেষ নেই। তুমি তোমার চাচাত ভাই ইবন উম্মে মাকতুমের গৃহে ইদ্দত পালন কর। কেননা সে অন্ধ। তুমি তার সামনে তোমার কাপড় খুলতে পারবে। আর যখন তোমার ইদ্দত পূর্ণ হবে, তখন আমাকে সংবাদ দেবে। এ হাদীস এখানে সংক্ষেপে বৰ্ণিত হয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৬/২০৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৩ | 3423 | ۳٤۲۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৫. স্ত্রীর নিকট পুরুষের তালাক পাঠান ৩৪২৩. উবায়দুল্লাহ ইবন সায়ীদ (রহঃ) ... ফাতিমা (রাঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ________________________________________ হাদিসের মানঃ তাহকীক পাওয়া যায়নি পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৪ | 3424 | ۳٤۲٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৬. (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) উক্ত আয়াতের তাফসীর। ৩৪২৪. আবদুল্লাহ ইবন আব্দুস সামাদ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার নিকট এক ব্যক্তি এসে বললোঃ আমি আমার স্ত্রীকে আমার উপর হারাম করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি মিথ্যা বলছো। সে তোমার উপর হারাম নয়। এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ عَلَيْكَ) তোমার উপর দাসমুক্ত করার ন্যায় কঠিন কাফফার ওয়াজিব হয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। ইরওয়া ২০৮৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৫ | 3425 | ۳٤۲۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৭. এই আয়াতের অন্য ব্যাখ্যা ৩৪২৫. কুতায়বা (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি উবায়দ ইবন উমোয়র (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়নাব (রাঃ) এর নিকট অবস্থান করতেন এবং তাঁর নিকট মধু পান করতেন। আমি এবং হাফসা (রাঃ) পরামর্শ করলাম, আমাদের মধ্যে যার নিকটই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেন, সে যেন বলেঃ আমি আপনার থেকে মাগাফির-এর গন্ধ পাচ্ছি। এরপর তিনি তাদের একজনের নিকট আগমন করলে, তিনি তাকে তা বললেন। তখন তিনি বললেনঃ বরং আমি তো যায়নবের নিকট মধু পান করেছি। তিনি আরও বললেনঃ আমি আর পুনরায় তা পান করবো না। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) আর আয়েশা এবং হাফসা (রাঃ) সম্বন্ধে নাযিল হয়ঃ (إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ) আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উক্তিঃ বরং আমি মধু পান করেছি। এর জন্য (وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا) আয়াত নাযিল হয়। এর সমস্তই আতা (রহঃ)-এর হাদীসে রয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আতা ইবনু আবী রাবাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৬ | 3426 | ۳٤۲٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪২৬. মুহাম্মদ ইবন হাতিম (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন কা'ব ইবন মালিক (রাঃ) বলেনঃ আমি কা'ব ইবন মালিককে তার কথা বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি যখন তাবুক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে অংশ গ্ৰহণ করা থেকে বিরত রইলেন। তাতে তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত এসে আমাকে বললোঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে আদেশ করেছেন যে, আপনি যেন আপনার স্ত্রী থেকে দূরে থাকেন। তখন আমি বললামঃ আমি তাকে তালাক দেব, না কি করবো। তিনি বললেনঃ না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললামঃ তুমি তোমার পরিবারের নিকট যাও, তাদের নিকট থাকে, যতক্ষণ না আল্লাহর পক্ষ হতে এ ব্যাপারে কোন ফয়সালা আল্লাহ তা'আলা করে দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯১২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৭ | 3427 | ۳٤۲۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪২৭. মুহাম্মদ ইবন জাবালা এবং মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন কা'ব ইবন মালিক তাঁর পিতা হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কা'ব ইবন মালিককে বলতে শুনেছিঃ তিনি ঐ তিন ব্যক্তির একজন, যার গুনাহ ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এবং আমার অন্য দুই সাথীর নিকট সংবাদ পাঠান যে, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক। তখন আমি ঐ দূতকে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমি কি আমার স্ত্রীকে তালাক দেব, না কি করবো? তিনি বললেনঃ না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললামঃ তুমি তোমার পরিবারের লোকদের নিকট যাও এবং তাদের সাথে থাক। তখন সে তাদের নিকট চলে যায়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৮ | 3428 | ۳٤۲۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪২৮. ইউসূফ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... ইবন শিহাব (রহঃ) বলেন, আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন কা'ব ইবন মালিক আমাকে সংবাদ দিয়েছেন, আবদুল্লাহ ইবন কা'ব বলেছেনঃ আমি ক’ব (রাঃ)-কে তার ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি, যখন তিনি তাবুক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যোগদান করা থেকে বিরত থাকেন, এতে তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত আমার নিকট এসে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে আপনার স্ত্রী হতে দূরে থাকতে আদেশ করেছেন। তখন আমি জিজ্ঞাসা করিঃ আমি কি তাকে (স্ত্রীকে) তালাক দেব, না কি করবো? তিনি বলেন, না, বরং আপনি তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। আমার দুই সাথীর নিকটও এই সংবাদ পাঠানো হয়। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলিঃ তুমি তোমার পরিবারে গিয়ে তাদের সাথে থাক। যতক্ষণ না আল্লাহ্ তা'আলা এ ব্যাপারে কোন ফয়সালা করে দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইবনু শিহাব আয-যুহরী (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৯ | 3429 | ۳٤۲۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪২৯. মুহাম্মাদ ইবন মা'দান ইবন ঈসা (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবন কা'ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কা'বকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এবং আমার দুই সাথীর নিকট এই বলে দূত পাঠালেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাদেরকে আপনাদের বিবিগণ হতে দূরে থাকতে আদেশ করেছেন। তখন আমি দূতকে বললাম, আমার স্ত্রীকে তালাক দেব, না কি করবো? তিনি বললেনঃ না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন। তার কাছে যাবেন না। তখন আমার স্ত্রীকে বললামঃ তুমি তোমার পরিবারস্থ লোকদের নিকট গিয়ে তাদের সাথে থাক। যতদিন আল্লাহ তা'আলা এ ব্যাপারে কোন ফয়সালা করে দেন। তখন সে তাদের নিকট চলে গেল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উবায়দুল্লাহ ইবন কা'ব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩০ | 3430 | ۳٤۳۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪৩০. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন কা'ব ইবন মালিক তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত আমার নিকট এসে আমাকে বললেন, আপনি আপনার স্ত্রী হতে দূরে থাকুন। তখন আমি বললাম, আমি কি তাকে তালাক দেব? তিনি বললেন, না, কিন্তু তার কাছে যাবেন না। এতে তিনি “তুমি তোমার পরিবারের সাথে গিয়ে থাক” উল্লেখ করেন নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩১ | 3431 | ۳٤۳۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৯. ক্রীতদাসের তালাক ৩৪৩১. আমার আলী (রহঃ) ... উমর ইবন মুআত্তিব (রহঃ) বলেন, বনী মওফলের গোলাম আবু হাসান তাকে সংবাদ দিয়েছেন, তিনি বলেছেনঃ আমি এবং আমার স্ত্রী উভয়ে ছিলাম ক্রীতদাস, এমতাবস্থায় আমি তাকে দুই তালাক দিলাম। এরপর আমরা উভয়ে মুক্ত হলাম। আমি ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, যদি তুমি তাকে ফিরিয়ে নাও, তবে সে তোমার নিকট এক তালাকের উপর থাকবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ ফয়সালা করেছেন। পরিচ্ছদঃ ১৯. ক্রীতদাসের তালাক ৩৪৩২. মুহাম্মদ ইবন রাফে' (রহঃ) ... মুআত্তিব (রহঃ) বনী নওফলের ক্রীতদাস আবু হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে ক্রীতদাস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলো যে, সে তার স্ত্রীকে দুই তালাক দিয়েছে। এরপর তাদের উভয়কে মুক্ত করা হয়েছে। সে কি তাকে আবার বিবাহ করতে পারবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। বলা হলো কিরূপে? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ ফয়সালা দিয়াছেন। আবদুর রাযযাক (রহঃ) বলেন, ইবন মুবারক মা’মার (রহঃ)-কে বলেনঃ এই আবু হাসান কে? সে তো নিজের উপর বড় পাথর তুলে নিল, অর্থাৎ এ বর্ণনা যদি সঠিক না হয়, তাহলে অসংখ্য অবৈধ বিবাহের পাপের বোঝা তার উপর বর্তবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উমর ইবন মুআত্তিব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৩ | 3433 | ۳٤۳۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২০. নাবালেগের তালাক ৩৪৩৩. রবী' ইবন সুলায়মান (রহঃ) ... কাছীর ইবন সায়েব (রহঃ) বলেন, কুরাইযার ছেলেরা আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, বনী কুরাইযার যুদ্ধে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পেশ করা হলে তাদের মধ্যে যে বালিগ হয়েছে এবং যার নাভীর নীচের পশম গজিয়েছে, তাদেরকে হত্যা করা হলো এবং যে বালিগ হয়নি এবং তাদের নাভীর নীচের পশমও গজায়নি, তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ কাছীর ইবন সায়েব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৪ | 3434 | ۳٤۳٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২০. নাবালেগের তালাক ৩৪৩৪. মুহাম্মদ ইবন মানসূর (রহঃ) ... আতিয়্যা কুরাযী (রাঃ) বলেন, বনী কুরাইযার ব্যাপারে সা'দ (রাঃ) এর বিচারক নিযুক্ত হওয়ার দিন আমি ছিলাম একজন বালক। তখন তারা আমার ব্যাপারে সন্দেহ করলো। তখন তারা আমার নাভীর নীচের পশম গজানো দেখলে না, তাই আমি রেহাই পেলাম। আমি সেই বালক, এখন তোমাদের মধ্যে রয়েছি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৫৪১, মিশকাত ৩৯৭৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আতিয়্যা কুরাযী (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৫ | 3435 | ۳٤۳۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২০. নাবালেগের তালাক ৩৪৩৫. উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) বলেন, উহুদের যুদ্ধের দিন তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পেশ করা হলে, তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন না, তখন তিনি ছিলেন ১৪ বছর বয়সের। আর পরিখার যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল পনের বছর, তখন তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৫৪৩, ইরওয়া ১১৮৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৬ | 3436 | ۳٤۳٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২১. যার তালাক কার্যকর হবে না ৩৪৩৬. ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন প্রকার ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। ১. নিদ্ৰিত ব্যক্তি, যাবত না সে জাগ্রত হয়। ২. নাবিলেগ, যতক্ষণ না সে বলেগ হয়, এবং ৩ উন্মাদ, যাবত না সে জ্ঞান ফিরে পায়, অথবা সে রোগমুক্ত হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৪১, ইরওয়া ২৯৭, সহীহুল জামে’ ৩৫১৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৭ | 3437 | ۳٤۳۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২২. মনে মনে তালাক দেওয়া ৩৪৩৭. ইবরাহীম ইবন হাসান ও আব্দুর রহমান ইবন মুহাম্মদ ইবন সাল্লাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয়, আল্লাহ তা’আলা তা ক্ষমা করে দেবেন, যতক্ষণ না সে তা করে অথবা বলে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ২০৪০, ইরওয়া ২০৬২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৮ | 3438 | ۳٤۳۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২২. মনে মনে তালাক দেওয়া ৩৪৩৮. উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয় বা খটকা লাগে, আল্লাহ্ তাআলা তা ক্ষমা করে দেবেন, যতক্ষণ না সে তা করে অথবা বলে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৯ | 3439 | ۳٤۳۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২২. মনে মনে তালাক দেওয়া ৩৪৩৯. মূসা ইবন আব্দুর রহমান (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেবেন আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয়, যতক্ষণ না সে তা বলে, অথবা তা করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪০ | 3440 | ۳٤٤۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৩. ইঙ্গিতে তালাক ৩৪৪০. আবু বকর ইবন নাফে' (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন পারশিক প্রতিবেশী ছিল, যে উত্তমরূপে সুরুয়া পাকাতে পারতো। সে একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর থেদমতে আগমন করলো, তখন তাঁর নিকট আয়েশা (রাঃ) ছিলেন, তখন সে তার দিকে হাতের ইশারায় প্রবেশের ইচ্ছা প্রকাশ করলো। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইঙ্গিত করলেন আয়েশা (রাঃ)-এর দিকে অর্থাৎ তিনি রয়েছেন। তখন অন্য একজন তাঁর দিকে হাতে দুই কি তিনবার ইঙ্গিত করলে যে, না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪১ | 3441 | ۳٤٤۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৪. কথা বলে, তার একটি অর্থ উদ্দেশ্য করা ৩৪৪১. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... আলকামা ইবন ওক্কাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের সকল কাজের ফলাফল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যাক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়ত করে। অতএব যার হিজরত আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের দিকে হয়, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকেই হবে। আর যদি কারো হিজরতের উদ্দেশ্য দুনিয়া উপাৰ্জন করা হয়, অথবা কোন রমণীকে বিবাহ করা হয়, তাহলে তার হিজরত হবে যার জন্য সে হিজরত করেছে। পরিচ্ছদঃ ২৫. কোন কথা বলে, এর বাহ্যিক অর্থ না নেয়া ৩৪৪২. ইমরান ইবন বাককার (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দেখ, আল্লাহ তা'আলা কিরূপে আমার থেকে কুরাইশের গালি ও অভিসম্পাত দূর করেছেন। তারা তো গালি দিতেছে মুযাম্মাম বলে, এবং অভিসম্পাত দিতেছে মুযাম্মাম বলে, অথচ আমি হলাম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৩ | 3443 | ۳٤٤۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৬. মত প্রকাশের জন্য সময় দেয়া ৩৪৪৩. ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) বলেছেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আদেশ করা হলো, তাঁর স্ত্রীদেরকে এখতিয়ার দিতে, তখন তিনি আমার থেকে আরম্ভ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমার নিকট একটি কথা বলবো, তুমি এ ব্যাপারে তাড়াহুড়া না করে তোমার মাতাপিতার সাথে পরামর্শ করে উত্তর দেবে। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ তিনি জানতেন, আমার মাতা-পিতা কখনও আমাকে আদেশ করবেন না তার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে। তিনি বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত পাঠ করেনঃ "হে নবী! আপনি আপনার ভার্যগণকে বলে দিন, যদি তোমরা পার্থিব জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ কামনা কর, ইত্যাদি"। তখন আমি বললামঃ এ ব্যাপারে আমি আমার মাতাপিতার কি অনুমতি গ্ৰহণ করবো? আমি আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল এবং পরকালকে গ্ৰহণ করবো। আয়েশা (রাঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যান্য স্ত্রীগণ আমি যা করি তারাও তা-ই করলেন। আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁদেরকে বললেন, আর তারা তাকেই গ্রহণ করলেন, তখন তা তালাক হয়নি তাকে গ্রহণ করার দরুন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৪ | 3444 | ۳٤٤٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৬. মত প্রকাশের জন্য সময় দেয়া ৩৪৪৪. মুহাম্মাদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখন (إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ) নাযিল হয়, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট উপস্থিত হয়ে আমাকেই প্রথম বলেন, হে আয়েশা! আমি তোমার নিকট একটি কথা বলবো, তুমি তাতে তাড়াহুড়া না করে বরং তোমার মাতাপিতার সাথে পরামর্শ করে উত্তর দেবে। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন, আমার মাতাপিতা কখনও আমাকে তঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আদেশ করবেন না। তিনি এরপরও আমার নিকট এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا) তখন আমি বললামঃ এ ব্যাপারে কি আমি আমার মাতাপিতাকে জিজ্ঞাসা করবো? আমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকেই গ্রহণ করছি। আবু আব্দুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ এই রেওয়ায়ত ভুল, বরং প্রথম বৰ্ণনাই সঠিক। আল্লাহ সম্যক অবগত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৫ | 3445 | ۳٤٤۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৫. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার প্রদান করলে আমরা তাকেই গ্ৰহণ করলাম। তাতে কি তালাক হয়েছিল? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৫২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৬ | 3446 | ۳٤٤٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৬. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীদেরকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন, তাতে তালাক হয়নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৭ | 3447 | ۳٤٤۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৭. মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণকে ইখতিয়ার দিলে তাতে তালাক হয়নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৮ | 3448 | ۳٤٤۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৮. মুহাম্মাদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন, তাতে কি তালাক হয়েছিল? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৯ | 3449 | ۳٤٤۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৯. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ যয়ীফ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ইখতিয়ার প্রদান করলে আমরা তাঁকেই গ্রহণ করলাম, তাতে আমাদের উপর কিছুই আরোপিত হয়নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫০ | 3450 | ۳٤۵۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৫০. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়েশা (রাঃ)-এর একজন দাস ও একজন দাসী ছিল। তিনি বলেন, আমি তাদেরকে আযাদ করার ইচ্ছা করলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা প্রকাশ করলাম। তিনি বললেনঃ দাসীর পূর্বে দাসকে আযাদ করা। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। ইবন মাজাহ ২৫৩২। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫১ | 3451 | ۳٤۵۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৯. দাসীর ইখতিয়ার ৩৪৫১. মুহাম্মদ ইবন সালামা (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাবীরা (রাঃ)-এর মধ্যে তিনটি সুন্নত ছিল। একটি এই যে, তাকে আযাদ করা হলে তার স্বামী সম্বন্ধে তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হয়, দুই, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে আযাদ করবে, মীরাস সেই পাবে। তিন. একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, ডোগে গোশত রান্না হচ্ছে তখন তাঁর সামনে রুটি এবং ঘরের তরকারী উপস্থিত করা হলে, তিনি বলেনঃ আমি কি ডোগে গোশত দেখিনি? তখন তারা বললেনঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ঐ গোশত বারীরাকে সাদকা দেওয়া হয়েছে, আর আপনি তো সাদকার বস্তু খান না। তখন রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ উহা তার জন্য তো সাদকা, কিন্তু তা আমাদের জন্য হাদিয়া। পরিচ্ছদঃ ২৯. দাসীর ইখতিয়ার ৩৪৫২. মুহাম্মদ ইবন আদম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, বারীরার মধ্যে তিনটি বিষয় ছিল, ১, তার মালিকগণ তাকে বিক্রি করার ইচ্ছা করলে এবং তাকে মীরাছ-এর শর্ত আরোপ করলে আমি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রকাশ করি। তিনি বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। কেননা, মীরাছ যে আযাদ করবে, সে-ই পাবে। ২. তাকে আযাদ করা হলে রাসূলুল্লাহ হয় তাকে (তার স্বামী) সম্বন্ধে ইখতিয়ার দিলে সে নিজকেই গ্রহণ করলো। ৩. তাকে সাদক দেওয়া হতো, আর সে তা থেকে আমাদের হাদিয়া দিত। আমি এ বিষয়টি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ তোমরা তা খেতে পার; কেননা, তাতো তার জন্য সাদাকা, আর আমাদের জন্য হাদিয়া। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৩ | 3453 | ۳٤۵۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩০. যে দাসী আযাদ হলো এবং তার স্বামী আগে থেকেই আযাদ তার ইখতিয়ার প্রসংগে ৩৪৫৩. কুতায়বা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ আমি বারীরাকে ক্রয় করলে তার মনিবরা তার মীলাছ দাবী করলো। আমি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এটি বর্ণনা করলে, তিনি বললেনঃ তুমি তাকে আযাদ করে দাও। কেননা, মীরাছ অভিভাবকত্ব যে মুক্ত করে, সে-ই পাবে। তখন আমি তাকে আযাদ করে দিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে তার স্বামী সম্বন্ধে তাকে ইখতিয়ার দিলে, তিনি বলেন, যদি সে এত এতও দান করে, তা হলেও আমি তার নিকট যাব না। সে নিজেকে গ্ৰহণ করলো, তখন তার স্বামী ছিল স্বাধীন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। তবে (وكان زوجها حرا) এ অংশটুকু শায। ইবন মাজাহ ২০৭৪, সহীহ জামে' আস-সগীর ৭১৫৯, ইরওয়া ১৩০৮, ১৬৯৪, ১৭২৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৪ | 3454 | ۳٤۵٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩০. যে দাসী আযাদ হলো এবং তার স্বামী আগে থেকেই আযাদ তার ইখতিয়ার প্রসংগে ৩৪৫৪. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বারীরাকে ক্রয় করতে মনস্থ করলে তার মনিবারা মীরাছের শর্ত আরোপ করে। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। কেননা, যে আযাদ করবে, মীরাছ সে-ই পাবে। তার নিকট কিছু গোশত আনা হলে, বলা হলোঃ ইহা ঐ গোশত, যা বারীরাকে সাদকারূপে দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেনঃ তা তার জন্য সাদক কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইখতিয়ার দেন। আর এ সময় তার স্বামী আযাদ ছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। তবে (وكان زوجها حرا) এ অংশটুকু শায। মাহফুয হল (أنه كان عبدا)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৫ | 3455 | ۳٤۵۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩১. যে দাসী আযাদ হয়েছে এবং তার স্বামী দাস, তার ইখতিয়ার সম্পর্কে ৩৪৫৫. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরা নিজের ব্যাপারে তার মালিকের কাছ থেকে দাসত্বের মুক্তি চুক্তি লিখিয়ে নেয় যে, সে নয় বছরে তার মালিককে নয় আউকিয়া প্রতি বছর এক উকিয়া করে আদায় করলে, সে তাকে মুক্ত করে দেবে। এরপর সে আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট সাহায্য প্রার্থ হয়ে আগমন করলে তিনি বলেন, না, তবে যদি তারা চায়, তাহলে আমি তাদেরকে একত্রে সব পাওনা আদায় করে দেব। আর মীরাছ হবে আমার জন্য। বাবীরা এরপর তার মালিকদের নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে তাদের সাথে আলোচনা করলে তারা তা মানলো না। তারা বললো, মীরাছ আমাদের থাকবে। তখন বারীরা (রাঃ) আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট এসে তার মালিক যা বলেছে, তা তাঁকে বললেন। ইত্যাবসরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেন। আয়েশা (রাঃ) বললেনঃ তা হয় না, মীরাছ আমারই থাকবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কি ব্যাপার? তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! বারীরা তার মালিকের দাসত্ব মুক্তির অর্থ আদায়ের ব্যাপারে আমার নিকট সাহায্য চাইলে, আমি বললামঃ না, তা হবে না, যদি তারা ইচ্ছা করে, তবে আমি একসঙ্গে তাদের পাওনা আদায় করে দেব, কিন্তু মীরাছ আমার থাকবে। সে তার মালিকের নিকট একথা বললে তারা তা মানতে অস্বীকার করে এবং বলে, মীরাছ আমাদের থাকবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় করে নাও তাদের জন্য মীরাছের শর্তে। কেননা, মীরাছ যে মুক্ত করবে তারই থাকবে। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে আল্লাহর হামদ ও প্রশংসা বর্ণনার পর বললেনঃ মানুষের কী হলো, তারা এমন এমন শর্ত করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। তারা বলেঃ অমুককে মুক্ত করে তার মীরাছ আমি পাব। আল্লাহর কিতাব অধিক সত্য। আল্লাহ্ তা'আলা যে শর্ত ঠিক করেছেন, তা খুবই মজবুত। আর যে শর্ত আল্লাহর কিতাবে নেই, তা বাতিল, অসত্য। যদিও তা একশত শর্তও হয়। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারীরা (রাঃ)-কে তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার প্রদান করেন, আর সে ছিল দাস। তখন সে নিজের স্বামীকে ছেড়ে দেয়। উরওয়া (রহঃ) বলেনঃ যদি তার স্বামী স্বাধীন হতো তাহলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইখতিয়ার দিতেন না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৫২১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৬ | 3456 | ۳٤۵٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩১. যে দাসী আযাদ হয়েছে এবং তার স্বামী দাস, তার ইখতিয়ার সম্পর্কে ৩৪৫৬. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরা (রাঃ)-এর স্বামী ছিল দাস। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৭ | 3457 | ۳٤۵۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩১. যে দাসী আযাদ হয়েছে এবং তার স্বামী দাস, তার ইখতিয়ার সম্পর্কে ৩৪৫৭. কাসিম ইবন যাকারিয়া ইবন দীনার (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কয়েকজন আনসারী হতে বারীরা (রাঃ)-কে ক্ৰয় করেন। তারা মীরাছের শর্ত আরোপ করে। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে আযাদ করে, সে-ই মীরাছের হকদার। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইখতিয়ার প্রদান করেন। আর তার স্বামী ছিল দাস। একদা বারীরা (রাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে গোশত হাদিয়া দিলে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আমার জন্য এর কিছু রেখে দিলে ভাল হতো। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ এ তো বারীরাকে সাদকা স্বরূপ দান করা হয়েছে। তখন তিনি বলেন, তা তার জন্য তো সাদকা কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। সহীহ আবু দাউদ ১৯৩৬, ইরওয়া ৬/২৭৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৮ | 3458 | ۳٤۵۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩১. যে দাসী আযাদ হয়েছে এবং তার স্বামী দাস, তার ইখতিয়ার সম্পর্কে ৩৪৫৮. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বারীরা (রাঃ)-এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। আমি বলিঃ আমার ইচ্ছা আমি বারীরা (রাঃ)-কে ক্রয় করি, আর তার মালিকের জন্য মীরাছের শর্ত করি। তিনি বলেন, তুমি তাকে ক্রয় কর। কেননা, যে মুক্ত করে মীরাছ তারই। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারীরাকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন তার স্বামীর ব্যাপারে, আর তার স্বামী ছিল দাস। এরপর রাবী বলেনঃ আমি জানি না, তিনি দাস না স্বাধীন। একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গোশত আনা হলে তার পরিবারস্থ লোক বললেনঃ ইহা কেহ বারীরাকে সাদকা দিয়েছে। তিনি বললেন, তা তার জন্য সাদকা ছিল, এখন তা আমাদের জন্য হাদিয়া। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। সহীহ আবু দাউদ ১৯৩৬, ইরওয়া ৬/২৭৪। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৯ | 3459 | ۳٤۵۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩২. ঈলা ৩৪৫৯. আহমদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাকাম বসরী (রহঃ) ... আবু যুহা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু ইয়াকুব (রহঃ) বলেনঃ আমরা তাঁর নিকট মাসের উল্লেখ করলে আমাদের কেউ বললোঃ মাস ত্রিশ দিনের হয়ে থাকে, আবার কেউ বললো, উনত্রিশ দিনের। এর মধ্যে আবু যুহা বললেনঃ ইবন আব্বাস (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। একদিন আমরা সকালে উঠে দেখলাম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণ ক্ৰন্দন করছেন এবং তাদের প্রত্যেকের নিকট তাদের পরিবারের লোক উপস্থিত রয়েছে। এরপর আমি মসজিদে গিয়ে দেখলাম, মসজিদ লোকে ভর্তি। তিনি বললেন, এরপর উমর (রাঃ) আসলেন, এবং উপরে উঠে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কক্ষে ছিলেন। উমর (রাঃ) তাকে সালাম করলেন, কিন্তু কেউ তাঁর সালামের জওয়াব দিলেন না। তিনি আবার সালাম করলেন, এবারও কেউ সালামের উত্তর দিলেন না। তিনি আবার সালাম করলেন, কিন্তু কেউ সালামের উত্তর দিলেন না। তিনি ফিরে এসে বিলাল (রাঃ)-কে ডাকলেন। বিলাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আপনি কি আপনার স্ত্রীগণকে তালাক দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ না। বরং আমি তাদের সাথে এক মাসের জন্য ঈলা করেছি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথায় উনত্রিশ দিন ছিলেন। এরপর তিনি সেখান থেকে অবতরণ করে তার স্ত্রীদের নিকট গমন করেন। ________________________________________ ঈলা - অর্থ কসম খাওয়া - শরীয়তের পরিভাষায় স্ত্রীর নিকট না যাওয়ার কসম খাওয়া। অর্থাৎ স্ত্রীর সাথে চারমাস দশ দিন বা বেশী দিনের জন্য সংগত না হওয়ার কসম করা। চারমাসের ভিতরে স্ত্রীর সাথে সংগত হলে কাফফারা দিতে হবে। চারমাস দশ দিনের মধ্যে সংগত না হলে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হবে। - তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবু যুহা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬০ | 3460 | ۳٤٦۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩২. ঈলা ৩৪৬০. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস বিবিদের নিকট না যাওয়ার কসম করলেন, এ সময় তিনি উনত্রিশ দিন প্রকোষ্ঠে অবস্থান করলেন। তারপর তিনি অবতরণ করলে লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি এক মাসের ঈলা করেন নি? তিনি বললেনঃ মাস উনত্রিশ দিনেরও হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬১ | 3461 | ۳٤٦۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৩. যিহার ৩৪৬১. হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলো, যে তার স্ত্রীর সাথে যিহার করেছিলো। আর কাফফারা আদায় করার পূর্বেই সে তার সাথে সহবাস করে। সে এসে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার স্ত্রীর সাথে যিহার করেছি এবং কাফফারা আদায়ের পূর্বে তার সাথে সহবাস করেছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কেন এরূপ করলে? সে বললোঃ আমি চাদের আলোতে তার পায়ের মল দেখলাম। তিনি বললেনঃ এখন তুমি আল্লাহর আদেশ পালন না করা পর্যন্ত তার নিকট গমন করো না। পরিচ্ছদঃ ৩৩. যিহার ৩৪৬২. মুহাম্মদ ইবন রাফে' (রহঃ) ... ইকরামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে যিহার করে কাফফারা আদায় করার পূর্বেই তার সাথে সহবাস করলো। এরপর সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা বর্ণনা করলো। তিনি বললেনঃ কোন বস্তু তোমাকে এক কাজের প্রতি উদ্ধৃদ্ধ করলো? সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। আমি তার পায়ের মল দেখলাম, অথবা সে বললোঃ আমি চাঁদের আলোতে তার পায়ের গোছা দেখলাম। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার উপর যা আদায় করা জরুরী, তা আদায় না করা পর্যন্ত তুমি তার থেকে দূরে থাকবে। ________________________________________ যিহার - স্ত্রীকে মাতা অথবা অন্য কোন মাহরাম মহিলার এমন কোন অঙ্গের সাথে তুলনা করা, যেই অঙ্গের দিকে নজর করা নিষিদ্ধ। যেমন কেহ স্ত্রীকে বললোঃ তুমি আমার নিকট আমার মাতার পৃষ্ঠ তুল্য , একে যিহার বলা হয়। - তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইকরিমা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৩ | 3463 | ۳٤٦۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৩. যিহার ৩৪৬৩. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... ইকরামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার স্ত্রীর সাথে যিহার করি এবং কাফফারা দেওয়ার পূর্বেই তার সাথে সহবাস করি। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি এরূপ করলে কেন? আর এ কাজ করার জন্য তোমাকে কে উদ্বুদ্ধ করলো? সে বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! চাঁদের আলোতে তার সুন্দর পায়ের গোছা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তোমার উপর যা আদায় করা জরুরী তা আদায় না করা পর্যন্ত দূরে থাক। ইমাম নাসাঈ (রহঃ) বলেনঃ ইসহাক তার বর্ণিত হাদীসে, "তুমি তার থেকে দূরে থাক' বৰ্ণনা করেছেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইকরিমা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৪ | 3464 | ۳٤٦٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৩. যিহার ৩৪৬৪. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর শোকর যিনি শব্দসমূহ শ্রবণ করে থাকেন। খাওলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে তার স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ করলো। সে তার কথা আমার নিকট গোপন রাখলো। তখন আল্লাহ্ তা’আলা আয়াত নাযিল করলেন, আল্লাহ্ তা'আলা ঐ মহিলার কথা শ্ৰবণ করেছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক করছে এবং আল্লাহর নিকট অভিযোগ করছে। আর আল্লাহ তা'আলা তোমাদের উভয়ের প্রশ্নোত্তর শ্রবণ করছেন। নিশ্চয় আল্লাহ শ্রবণকারী এবং দর্শনকারী। এরপর আল্লাহ তা’আলা যিহার এবং এর কাফফারার আদেশ নাযিল করলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ১৮৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৫ | 3465 | ۳٤٦۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৫. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলারা স্বীয় স্বামীর সাথে মনোমালিন্য করে এবং খুলা করে, তারা মুনাফিক এবং ধোঁকাবাজ। ________________________________________ কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর কাছে পাওনা ছেড়ে দেয় এবং তাকে বলে, এর বিনিময়ে তুমি আমাকে ছেড়ে দাও, একে খুলা তালাক বলে। - তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহাহ ৬৩২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৬ | 3466 | ۳٤٦٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৬. মুহাম্মদ ইবন সালামা (রহঃ) ... হাবীবা বিনতে সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি সাবিত ইবন কায়সের স্ত্রী ছিলেন। হাবীব (রাঃ) বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব ভোরে নামায পড়তে গেলেন। তিনি হাবীবা বিনতে সাহলকে দরজায় পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কে? হাবীব (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি হাবীব বিনতে সাহল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ কি ব্যাপার, তুমি কেন এসেছ? তিনি বললেন ? আমার মধ্যে এবং আমার স্বামীর মধ্যে মিল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যখন সাবিত ইবন কায়স আগমন করলো, তখন তিনি বললেন, এই যে হাবীব বিনতে সাহল! আল্লাহ যা ইচ্ছা করেছেন, তা-ই সে বলছে। হাবীব (রাঃ) বলে উঠলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই ব্যক্তি যা আমাকে দান করেছে, তা আমার নিকট রয়েছে। তিনি সাবিত ইবন কায়সকে বললেনঃ তুমি যা দিয়েছ তা তার থেকে নিয়ে নাও। সাবিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ মত তাকে যা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে নিলেন। আর হাবীবা বিনতে সাহল (রাঃ) তার পরিজনদের মধ্যে অবস্থান করলেন, অর্থাৎ সাবিতের ঘর থেকে চলে গেলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১০২–১০৩, সহীহ আবু দাউদ ১৯২৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হাবীবা বিনতে সাহল (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৭ | 3467 | ۳٤٦۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৭. আযহার ইবন জামিল (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাবিত ইবন কায়সের স্ত্রী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সাবিত ইবন কায়সের অভ্যাস এবং ধর্মের ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু আমি ইসলামে নাশোকরীকে অপছন্দ করি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি তাকে বাগান ফিরিয়ে দেবে? সে বললোঃ হ্যাঁ, দেব। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবিত ইবন কায়সকে বললেনঃ তুমি তোমার বাগান নিয়ে নাও এবং তাকে এক তালাক দিয়ে দাও। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৮ | 3468 | ۳٤٦۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৮. হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ আমার স্ত্রী এমন যে, কেউ তাকে গায়ে হাত দেয়, সে তাকে নিষেধ করে না। তিনি বললেনঃ যদি তুমি ইচ্ছা কর, তবে তাকে তালাক দিয়ে দাও। ঐ লোকটি বললোঃ কিন্তু আমার ভয় হয়, আমার মন তার সাথে লেগে থাকবে এবং সবর করতে না পেরে আমি গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাব। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি এরূপ করতে না পার, তবে তাকে নিজের কাজে লাগাও। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৯ | 3469 | ۳٤٦۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার স্ত্রী সে এমন, যে কোন ব্যক্তি তার গায়ে হাত দিলে সে তাকে বাধা দেয় না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও। সে ব্যক্তি বললোঃ আমি তাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি তাকে রেখে দাও। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭০ | 3470 | ۳٤۷۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৫. লি'আন প্ৰথা আরম্ভ হওয়া সম্পর্কে ৩৪৭০. মুহাম্মদ ইবন মা'মার (রহঃ) ... আসিম ইবন আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আজলান গোত্রের উওয়াইমির আমার নিকট এসে বললোঃ হে আসিম! এ ব্যাপারে তোমার মত কি, কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর সাথে দেখলো, যদি ঐ স্ত্রীর স্বামী তার বন্ধুকে হত্যা করে, তাকে কি তোমরা হত্যা করবে? অথবা কি করবে? অতএব হে আসিম! তুমি আমার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা কর। আসিম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলে, তিনি তা অপছন্দ করলেন। এরপর উওয়াইমির তার নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলো, হে আসিম! তুমি কি করেছ? তিনি বললেনঃ কি করবো, তুমি কল্যাণ নিয়ে আস নাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই কথা উত্থাপন করাকে অপছন্দ করেছেন। উওয়াইমির (রাঃ) বললেন : আল্লাহর কসম! আমি ইহা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করবো। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা তোমার ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে আয়াত নাযিল করেছেন। অতএব, তাকে (তোমার স্ত্রীকে) ডেকে আনো। সাহল (রাঃ) বললেনঃ এ সময় আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। যখন উওয়াইমির (রাঃ) সেই মহিলাকে নিয়ে আসলো এবং উভয়ে লি”আন করলো এবং উওয়াইমির কসম করে বলতে লাগলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমি তাকে রেখে দেই তা হলে আমাকে মিথ্যা দোষারোপকারী বলা হবে। এ বলে তিনি তাকে তালাক দিয়ে দিলেন। এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বলার পূর্বেই পৃথক করে দিলেন। ইহাই পরে লি'আনের নিয়ম হয়ে গেল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৬৬, ইরওয়া ২১০০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আসিম ইবন আদী (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭১ | 3471 | ۳٤۷۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৬. গর্ভাবস্থায় লি'আন করা ৩৪৭১. আহমদ ইবন আলী (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উওয়াইমির আজলানী এবং তার স্ত্রীর মধ্যে লি আন করান। আর এ সময় উওয়াইমির আজলানীর স্ত্রী গর্ভাবস্থায় ছিল। হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭২ | 3472 | ۳٤۷۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৭. ব্যভিচারে স্ত্রীর সাথে যদি নির্দিষ্ট কোন পুরুষ জড়িত থাকে এ ব্যাপারে লি'আন ৩৪৭২. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল আ'লা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি হিশামের কাছে জিজ্ঞাসা করলো, ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে, যে তার স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করেছে। তখন হিশাম বৰ্ণনা করলে যে, রাবী মুহাম্মদ (রহঃ) আনাস (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করেছিল, কেননা সকলেই অবগত ছিল যে, এ ব্যাপারে তার জানা আছে। এরপর আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করলেন, হিলাল ইবন উমাইয়া স্বীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করে এবং যার সাথে সে ব্যভিচার করতো, তার নাম শরীক ইবন সাহিমা ছিল। আর শরীক ইবন সাহমা বারা ইবন মালিক (রাঃ)-এর মায়ের দিক থেকে ভাই ছিলেন। আন্যাস ইবন মালিক (রাঃ) বলেন, ঐ ব্যক্তিই প্রথম লি”আন করেছিল। এই জন্য লি'আনের নিয়ম পদ্ধতি তার লি'আনের দ্বারা জানা যায়। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ের মধ্যে লি'আন করার আদেশ দেন এবং বলেন, তোমরা ইহা দেখতে থাকে। যদি সে সাদা রং লটকান চুল এবং ত্রুটিযুক্ত চোখ বিশিষ্ট বাচ্চা প্রসব করে, তবে তা হবে হিলাল ইবন উমাইয়ার। আর যদি সে হাল্কা পাতলা পা বিশিষ্ট সুরমা রং এর চক্ষু, আর কোঁকড়ান চুল বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে ঐ সন্তান হবে শরীক ইবন সাহমা-এর। আনাস (রাঃ) বলেন, আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, সে সুরমা চক্ষু, কোঁকড়ান চুল এবং হাল্কা পা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১৮৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আব্দুল আ’লা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৩ | 3473 | ۳٤۷۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৮. লি'আনের নিয়ম ৩৪৭৩. ইমরান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) ... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইসলামে সর্বপ্রথম লি”আন করার নিয়ম হিলাল ইবন উমাইয়া (রাঃ) হতে আরম্ভ হয়। কেননা, তিনি তার স্ত্রীকে শরীক ইবন সমহার সাথে ব্যভিচারের অপবাদ দেন এবং রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এ সংবাদ দেন। তিনি তাকে বলেন, চারজন সাক্ষী আনো, তা না হলে তোমার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে এবং তা তোমার পিঠে পড়বে, তিনি তাকে কয়েকবার এ কথা বললেনঃ তখন হিলাল বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর শপথ, আল্লাহ জানেন আমি সত্যবাদী এবং আল্লাহ্ তা'আলা আপনার উপর আদেশ অবতীর্ণ করবেন। যাতে আমার পিঠ শান্তি হতে নিষ্কৃতি পাবে। এভাবে কথা চলছিল, এমন সময় লি”আনের আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি যিানার অপবাদ আরোপ করে, অথবা নিজেরা ব্যতীত কোন সাক্ষী নেই। তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী এবং পঞ্চমবারে সে বলবে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার উপর আল্লাহর লা'নত হোক। আর স্ত্রীর উপর হতে শাস্তি এভাবে রহিত হবে যে, যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে চারবার। এভাবে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যা বলছে এবং পঞ্চমবারে বলে, তার উপর আল্লাহর গযব, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয়। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিলালকে ডাকলেন, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী, আর পঞ্চমবারে বলেঃ যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার উপর আল্লাহর লা'নত। এরপর স্ত্রী লোককে ডাকা হলো, সেও আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলে, ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী। বর্ণনাকারী বলেন, যখন চারবার অথবা পাঁচবার সাক্ষ্য দেওয়া হলো, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এই মহিলাকে বিরত রাখ, কেননা, এই সাক্ষ্য ঐ রমণীর জন্য ধ্বংসের কারণ হবে, অর্থাৎ আল্লাহর গযব বৃথা যাবে না। বর্ণনাকারী বলেনঃ তখন ঐ রমণী বিব্রত রইলো, আমাদের ধারণা হলো, সে বুঝতে পেরেছে এবং সে এখন স্বীকার করবে। কিন্তু সে বললোঃ আমি আমার সম্প্রদায়কে সর্বদার জন্য কলংকিত করবো না। এই কথা বলে সে কসম পূর্ণ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এই মহিলার প্রতি লক্ষ্য রোখ, যদি সে ফর্সা, কোঁকড়ান চুল বিকৃত গড়নের সস্তান প্রসব করে, তবে সে হবে হিলাল ইবন উমাইয়ার সন্তান। আর যদি সে বাদামী রংয়ের এলোমেলো চুল বিশিষ্ট মধ্যম গড়নের এবং পাতলা পা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে সে সন্তান হবে শরীক ইবন সাহমার সন্তান। রাবী বলেনঃ সে বাদামী রংয়ের সন্তান প্রসব করলো, যে কোঁকড়ান চুল, মধ্যম গড়ন পাতলা পা বিশিষ্ট ছিল, সেই সন্তান প্রসবের পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি আল্লাহর কিতাবের আদেশ না হতো, তা হলে তোমরা আমাকে দেখতে, আমি তার কি অবস্থা করতাম। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৪ | 3474 | ۳٤۷٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৯. ইমামের আল্লাহুম্মা বাইয়্যন বলা ৩৪৭৪. ঈসা ইবন হাম্মদ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট লি'আনের উল্লেখ তুলে আসিম ইবন আলী (রাঃ) সে সম্পর্কে কিছু বললেন এবং পরে প্রস্থান করলেন। এরপর তার নিকট তার গোত্রের এক ব্যক্তি এসে অভিযোগ উত্থাপন করলেন, সে তার স্ত্রীর সাথে এক ব্যক্তিকে পেয়েছে। আসিম ইবন আদী (রাঃ) একথা শুনে বললেন, আমার বলার জন্যই আমার উপর এই মুসীবত এসেছে। এরপর আসিম ইবন আদী (রাঃ) তাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে নিয়ে গেলেন এবং ঐ ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বর্ণনা করলেন। আর ঐ ব্যক্তি ছিল গৌর বর্ণের, হাল্কা পাতলা গড়ন এবং সরু চুল বিশিষ্ট। আর যে ব্যক্তির সাথে তার স্ত্রীকে পেয়েছিল, তার গায়ের রং ছিল বাদামী, পায়ের গোছা এবং শরীর ছিল মাংসল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (اللَّهُمَّ بَيِّنْ) অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আপনি এই মাসআলার বিধান প্রকাশ করে দিন। বর্ণনাকারী বলেন, যখন ঐ স্ত্রীলোকটি বাচ্চা প্রসব করলো, তখন দেখা গেল সে ঐ ব্যক্তির মতই হয়েছে, যার কথা তার স্বামী বলেছিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে লি’আন করার আদেশ দেন। যে মজলিসে ইবন আব্বাস (রাঃ) এই হাদীস বর্ণনা করলেন, সেই মজলিসে এক ব্যক্তি বললেনঃ এই মহিলা কি সেই মহিলা, যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি আমি কাউকে সাক্ষ্য প্রমাণ ব্যতীত রজম করতাম, তা হলে এ মহিলাকে রজম করতাম? ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ না, এই মহিলা মুসলমানদের মধ্যে ইসলামে যার ব্যাভিচার প্রকাশ পেয়েছিল, কিন্তু প্রমাণ বা স্বীকারোক্তি ছিল না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১৮৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৫ | 3475 | ۳٤۷۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৯. ইমামের আল্লাহুম্মা বাইয়্যন বলা ৩৪৭৫. ইয়াহইয়া ইবন মুহাম্মদ ইবন সাকান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে লি'আনের আলোচনা হলে আসিম ইবন আদী (রাঃ) সে সম্পর্কে কিছু বললেন এবং প্রস্থান করলেন। তার গোত্রের এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ হলে সে বললোঃ সে তার স্ত্রীর সাথে এক ব্যক্তিকে পেয়েছে। তিনি তাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে গেলেন, এবং যার সাথে তার স্ত্রীকে পেয়েছিলেন, তার কথা বললো। আর সেই ব্যক্তি ছিল গৌর বর্ণের, হাল্কা-পাতলা গড়নের সরু চুল বিশিষ্ট। আর সে যার সাথে তার স্ত্রীকে পেয়েছিল, তার গায়ের রং বাদামী এবং পায়ের গোছা ছিল মাংসল, মোটা লোক আর তার ছিল কোঁকড়ান ছােট চুল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ্! আপনি প্রকাশ করে দিন। রাবী বলেন, ঐ স্ত্রীলোকটি ঐ লোকের মত বাচ্চা প্রসব করলো, যার কথা তার স্বামী বলেছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ের মধ্যে লি'আন করান। ইবন আব্বাস (রাঃ) যে মজলিসে এই হাদীস বর্ণনা করলেন, সেই মজলিসের এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলোঃ এই মহিলা কি সেই মহিলা, যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, যদি আমি কাউকে প্রমাণ ব্যতীত রজম করতাম, তা হলে এই মহিলাকে রজম করতাম? ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ না, সেই মহিলা হচ্ছে যার মন্দ কাজ (যিানা) মুসলমানদের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু প্রমাণ বা স্বীকারোক্তি ছিল না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৬ | 3476 | ۳٤۷٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪০. লি'আনকারীদের মুখে পঞ্চমবারে হাত রাখার আদেশ ৩৪৭৬. আলী ইবন মায়মুন (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুই ব্যক্তিকে লি’আন করার আদেশ দেন, তখন এক ব্যক্তিকে আদেশ করেন যে, যখন সে পঞ্চমবার সাক্ষ্য দিতে থাকবে, তখন তার মুখের উপর হাত রাখবে। কেননা, এই পঞ্চমবারের সাক্ষ্য আল্লাহ তা’আলার শাস্তিকে অবধারিত করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২/২০১, সহীহ আবু দাউদ ১৯৫২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৭ | 3477 | ۳٤۷۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪১. লি'আন করানোর সময় নসীহত করা ৩৪৭৭. আমর ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... সাঈদ ইবন যুবায়র (রহঃ) বলেন, ইবন যুবায়র (রাঃ)-এর শাসনামলে এক ব্যক্তি আমার কাছে লি”আনকারীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলোঃ লি'আনের পরে ঐ দুইজনের মধ্যে কি পৃথক করে দেয়া হবে? ইবন যুবায়র (রাঃ) বলেনঃ আমি কি উত্তর দেব কিছুই বলতে পারলাম না। এরপর আমি উঠে ইবন উমর (রাঃ)-এর ঘরে গেলাম এবং আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আবু আবদুর রহমান! লি'আন করার পর কি স্বামী-স্ত্রী উভয়কে পৃথক করে দেয়া হবে? ইবন উমর (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি বললেনঃ সর্বপ্রথম এ কথাটি জিজ্ঞাসা করেছেন অমুকের পুত্র অমুক। ইবন উমর (রাঃ) তার নাম উল্লেখ করেন নি। আর সে বলেছিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমাদের কোন ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর সাথে অশ্লীল কাজ করতে দেখে, যদি সে বলে, তবে তো তা বড় মুসীবতের কথা। আর যদি না বলে, তবে এমন মন্দ কাজের উপর চুপ রইলো, তিনি তাকে কোন উত্তর দিলেন না। এরপর সে ব্যক্তি আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ যে কথা আমি আপনার নিকট জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমি নিজেই সেই মুসীবতে পড়েছি। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা সূরা নূরের এ আয়াত নাযিল করেনঃ (وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ) হতে (غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ) অর্থাৎ, আর যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী ... পঞ্চমবারে সে বলেঃ তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব। (সূরা নূরঃ ৬–৯) পর্যন্ত। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে প্রথমে নসীহত করেন এবং বলেন, পরীকালের শান্তি অপেক্ষা ইহকালের শাস্তি অতি সহজ। সেই ব্যক্তি তাঁর নসীহত শ্ৰবণ করে বলতে লাগলোঃ আল্লাহ্ তা'আলার কসম! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, আমি মিথ্যা বলছি না। এরপর তিনি স্ত্রীলোকটিকে নসীহত করলেন এবং তাকে স্মরণ কবিয়ে দিলেন। সেই স্ত্রীলোকটিও বলতে লাগলোঃ আল্লাহ্ তা'আলার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, এ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী। পুরুষ লোকটি সাক্ষ্য প্রদান আরম্ভ করলো। সে আল্লাহর নাম নিয়ে চারবার সাক্ষ্য প্ৰদান করলো, পঞ্চমবারে সে বললোঃ যদি সে মিথ্যা কথা বলে থাকে, তবে তার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। তারপর স্ত্রীলোকটিও আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দিল, নিশ্চয় সে মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবারে সে বললোঃ যদি পুরুষ লোকটি সত্যবাদী হয়, তবে তার নিজের উপর আল্লাহর গযব পড়বে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে পৃথক করে দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২১০২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৮ | 3478 | ۳٤۷۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪২. লি'আনকারীদের মধ্যে পৃথকীকরণ ৩৪৭৮. আমর ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... সাঈদ ইবন যুবায়র (রহঃ) বলেন, মুসআব (রাঃ) লি'আনকারীদের পৃথক করে দেননি। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমরের নিকট তা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী আজলানের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পৃথক করে দিয়েছিলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯৫৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৯ | 3479 | ۳٤۷۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৩. লি'আনের পর তওবা করতে বলা ৩৪৭৯. যিয়াদ ইবন আইউব (রহঃ) ... সাঈদ ইবন যুবায়র (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলামঃ যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, তাহলে কি হবে? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী আজলানের স্বামী-স্ত্রী থেকে পৃথক করে দেন এবং বলেন, আল্লাহ্ তা'আলার জানা আছে, তোমাদের মধ্যে কোন একজন মিথ্যাবাদী, যদি তোমাদের মধ্যে কোন একজন তাওবা করে, তবে ভাল, তিনি উভয়কে একথা তিনবার বলেন। কিন্তু উভয়ে তা করতে অস্বীকার করলে তিনি তাদেরকে পৃথক করে দেন। তিনি বলেনঃ লি'আনকারী পুরুষ ব্যক্তিটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলোঃ ঐ স্ত্রী লোকটির নিকট আমার মাল আছে, আমি তা পাব কি না? তিনি বললেনঃ যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে তুমি ঐ স্ত্রীকে নিজের কাজে ব্যবহার করেছ, কাজেই ঐ মাল তুমি পাবে না। আর যদি তুমি মিথ্যা বলে থাকে, তাহলে ঐ মাল নেয়া এবং ফেরৎ পাওয়া মুশকিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯৫৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮০ | 3480 | ۳٤۸۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৪. লি’আনকারীদের একত্র হওয়া ৩৪৮০. মুহাম্মদ ইবন মানসূর (রহঃ) ... সাঈদ ইবন জুবাইর (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-এর নিকট লি'আনকারীদের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লি'আনকারী পুরুষ এবং স্ত্রীকে বলেন, তোমাদের ব্যাপার আল্লাহর দায়িত্বে। তোমাদের একজন নিশ্চয় মিথ্যাবাদী, তোমার তার উপর কোন কর্তৃত্ব নেই। পুরুষ লোকটি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তার কাছে আমার মাল রয়েছে। তিনি বললেনঃ তার কাছে এখন তুমি কিছুই পাবে না, অর্থাৎ যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে তুমি তো তার লজ্জাস্থান ব্যবহার করেছ, এর বিনিময়ে তোমার মাল নিয়েছ, আর যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে ঐ মাল চাওয়ার তুমি উপযুক্ত নও এবং তোমার মর্যাদার পরিপন্থী। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮১ | 3481 | ۳٤۸۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৫. লি'আনের কারণে পিতার সন্তান না পাওয়া ৩৪৮১. কুতায়বা (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষ এবং স্ত্রীলোকটির মধ্যে লি’আন করার আদেশ দেন এবং তাদের পৃথক করে দেন, আর সন্তানকে তার মায়ের হাতে ন্যাস্ত করেন। পরিচ্ছদঃ ৪৬. সন্তানের কারণে ইঙ্গিতে যিানার অপবাদ দেয়া ৩৪৮২. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু হুরায়রা বলেনঃ কাযারা গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার স্ত্রী এক কালো সন্তান প্রসব করেছে। তিনি তার নিকট জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার কি উট আছে? সে বললঃ হ্যাঁ আছে। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেনঃ কোন রংয়ের উট আছে? সে বললোঃ লাল রংয়ের। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ মিশ্রিত (কাল বর্ণের সাথে অন্য বর্ণ মিশ্ৰিত) রংয়ের কোন উট আছে? সে বললোঃ হ্যাঁ, মিশ্রিত রংয়েরও আছে। তিনি বললেনঃ এই মিশ্রিত রংয়ের উট কি করে জন্মালো? সে বললোঃ তা হয়তো কোন পূর্ব রঙের কারণে হয়েছে। এরপর তিনি বললেনঃ এই সন্তানও হয়তো কোন ঊর্ধ্বতন পুরুষের কারণে কালো হয়ে থাকবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০০২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৩ | 3483 | ۳٤۸۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৬. সন্তানের কারণে ইঙ্গিতে যিানার অপবাদ দেয়া ৩৪৮৩. মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবু হুৱায়রা (রাঃ) বলেন, কাযারা গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার স্ত্রী এক কালো সন্তান প্রসব করেছে এবং ঐ বাচ্চার রং কালো। তিনি ঐ কায়ারী ব্যক্তির নিকট জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার কি উট আছে? সে বললোঃ আছে। তিনি বললেনঃ সেগুলোর রং কি? সে ব্যক্তি বললোঃ সেগুলো লাল রংয়ের। তিনি বললেনঃ দেখ সেগুলোর মধ্যে কাল বর্ণের সাথে অন্য বর্ণ মিশ্রিত রংয়ের উট আছে কি? সে বললোঃ হ্যাঁ, আছে। তিনি বলেনঃ মিশ্ৰিত উট কোথা হতে আসলো? সে বললোঃ তা হয়তো কোন পূর্ব রঙের কারণে হয়ে থাকবে। তিনি বললেনঃ এতেও হয়তো কোন ঊর্ধ্বতন পুরুষের কারণে হয়ে থাকবে। এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে সন্তান অস্বীকার করার অবকাশ দিলেন না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৪ | 3484 | ۳٤۸٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৬. সন্তানের কারণে ইঙ্গিতে যিানার অপবাদ দেয়া ৩৪৮৪. আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন মুগীরা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপবিষ্ট ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললোঃ আমার একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, যার গায়ের রং কাল। তিনি বললেনঃ তার এই কালো রং কোথা হতে আসলো? সে বললঃ জানি না কোথা হতে এসেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার নিকট উট আছে কি? সে বললোঃ হ্যাঁ, তিনি বললেনঃ সেগুলোর রং কি? সে বললোঃ লাল বর্ণের। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ এগুলোর মধ্যে কাল উট কাল বর্ণের সাথে অন্য বর্ণ মিশ্রিত আছে কি? সে বললঃ মিশ্রিত রং এর উটও এগুলোর মধ্যে আছে। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ ঐ লাল বর্ণের মিশ্ৰিত উট কোথা হতে আসলো? সে বললোঃ বলতে পারি না কোথা হতে এসেছে, হয়তো কোন ঊর্ধ্বতন পুরুষের কারণে হয়ে থাকবে। বর্ণনাকারী বলেনঃ এইজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন, যে সন্তান তার স্ত্রীর গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে তাকে অস্বীকার করা উচিত নয়। কিন্তু ঐ সময় অস্বীকার করতে পারবে, যখন সে বলে যে, আমি তাকে অশ্লীল কাজে লিপ্ত দেখেছি, আর আমার এই কথাও জানা আছে যে, সে ব্যাভিচারিণী। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৫ | 3485 | ۳٤۸۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৭. সন্তান অস্বীকারকারীর উপর কঠোরতা ৩৪৮৫. মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে লি'আনের আয়াত নাযিল হওয়ার পর বলতে শুনেছেনঃ যে মহিলা এক গোত্রের পুরুষের বীর্য অন্য গোত্রের সাথে মিশ্রিত করে আল্লাহর নিকট এমন মহিলার কোন মূল্য নেই। আর আল্লাহ্ তা'আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। আর যে পুরুষ তার সন্তানকে নিজের ঔরষজাত সন্তান বলে জানার পরেও অস্বীকার করে, আল্লাহ্ তা'আলা তাকে তার রহমত থেকে বঞ্চিত করবেন এবং তাকে কিয়ামতের দিন সকল লোকের সামনে অসম্মান করবেন, যখন পূর্বের এবং পরের সকল লোক একত্রিত হবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। ইবন মাজাহ ২৭৪৩। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৬ | 3486 | ۳٤۸٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৮৬. কুতায়াবা (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সন্তান গৃহস্বামীরই থাকবে, আর ব্যভিচারীর জন্য কিছুই থাকবে না, অর্থাৎ সে সন্তানের মালিক হবে না। অন্য ব্যাখ্যানুসারে তার হবে প্রস্তরাঘাতে মৃত্যু। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৭ | 3487 | ۳٤۸۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৮৭. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সন্তান গৃহস্বামীরই হবে, আর ব্যভিচারী সন্তানের মালিক হবে না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৮ | 3488 | ۳٤۸۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৮৮. কুতায়বা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস এবং আবদুল্লাহ ইবন যাম'আ (রাঃ)-এর মধ্যে একটি সন্তান নিয়ে ঝগড়া হয়। সা'দ (রাঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই বাচ্চা আমার ভাই উৎবা ইবন আবু ওয়াক্কাসের। আমাকে আমার ভাই ওসীয়ত করেছিলেন যে, যাম'আর বাঁদীর ছেলে আমার ঔরষের। তার শরীরের গঠনের প্রতি লক্ষ্য করুন। আবাদ ইবন যাম'আ (রাঃ) বলেনঃ এ আমার ভাই, আমার পিতার দাসীর গর্ভজাত সন্তান। তিনি দেখলেন, তার শরীরের গড়ন উৎবার সাথে মিল রয়েছে। তিনি বললেনঃ হে আবদ ইবন যাম'আ! এই ছেলে তোমার। কেননা সন্তান গৃহস্বামীর আর ব্যভিচারীর জন্য কিছুই নেই। আর তিনি স্বীয় স্ত্রী সওদা (রাঃ)-কে বললেনঃ যাম'আর কন্যা সওদা, এর থেকে পর্দা কর। এরপর তিনি সওদাকে কখনও দেখেন নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০০৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৯ | 3489 | ۳٤۸۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৮৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যাম'আ (রাঃ)-এর একজন বাঁদী ছিল যার সাথে তিনি সহবাস করতেন, আর যাম'আর এজন্য সন্দেহ ছিল যে, এই বাঁদীর সাথে অন্য কেহ যিনা করেছে। এরপর সে একটি বাচ্চা প্রসব করলো, ঐ ব্যক্তির মত, যার সাথে তিনি তার ব্যভিচার করার সন্দেহ করতেন। ইতিমধ্যে যাম'আ ইন্তিকাল করলেন, তখন ঐ বাদী অন্তঃস্বত্ব ছিল। এ কথা সওদা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বৰ্ণনা করলে, তিনি বলেনঃ বাচ্চা বিছানার মালিকেরই থাকে। আর হে সওদা, তুমি তার সাথে পর্দা কর। কেননা সে তোমার ভাই নয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ্ ইবনুয্-যুবায়র (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯০ | 3490 | ۳٤۹۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৯০. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সন্তান বিছানার মালিকেরই হবে। আর ব্যাভিচারকারী সন্তানের মালিক হবে না। আবু আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ আমার মতে ইনি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) নন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯১ | 3491 | ۳٤۹۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৯. বাঁদীর বিছানা বা ফিরাশ হওয়া ৩৪৯১. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেনঃ সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস এবং আবদ ইবন যাম'আ (রাঃ)-এর মধ্যে সন্তান নিয়ে বিবাদ ছিল। সা'দ বলেনঃ যখন আমি মক্কায় আগমন করলাম, তখন আমার ভাই উৎবা আমাকে ওসীয়ত করলেন যে, যাম'আর বাঁদীর সন্তানকে দেখবে; কেননা সে আমার সন্তান। আর আবদ ইবন যাম'আ বর্ণনা করেন, সে আমার পিতার বাদীর সন্তান, সে আমার পিতার আধিপত্যে এবং ফিরাশে প্রসব করেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লক্ষ্য করে দেখলেন, উতবা (রাঃ) এর সাথে তার পরিষ্কার সাদৃশ্য রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সন্তান তাঁরই জন্য, যার জন্য বিছানা। তিনি আরও বললেনঃ হে সওদা! তুমি তার থেকে পর্দা করবে। পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯২. আবু আসিম খুশাইশ ইবন আসরাম (রহঃ) ... যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়ামান দেশে আলী (রাঃ)-এর নিকট তিনজন লোক আসলো, যারা সকলে এক মহিলার সাথে একই তুহরে সহবাস করেছিল। তিনি তাদের দুইজনকে পৃথক করে বললেন, তোমরা উভয়ে কি এই সন্তানকে তৃতীয় ব্যক্তির সন্তান বলে স্বীকার কর? তারা বললোঃ না। পরে তিনি অন্য দুইজনকে বললেনঃ তোমরা দুইজন কি এই সন্তানকে তৃতীয় ব্যক্তির সন্তান বলে স্বীকার কর? তারাও বললোঃ না। এরপর তিনি উক্ত তিন ব্যক্তির নামে লটারী করলেন। লটারীতে যার নাম আসলো, তাকে তিনি সন্তান দিয়ে দিলেন। আর তার উপর দিয়াতের অর্থাৎ মূল্যের দুই-তৃতীয়াংশ সাব্যস্ত করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ঘটনা আমরা বর্ণনা করলে তিনি হাসলেন, যাতে তাঁর দাঁত মুবারক দেখা গিয়েছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯৬৩ ও ১৯৬৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৩ | 3493 | ۳٤۹۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯৩. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় ইয়ামন থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে সেখানকার সংবাদ বর্ণনা করতে লাগলো এবং কথাবার্তা বলতে আরম্ভ করলো। তখন আলী (রাঃ) সেখানে ছিলেন। সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিন ব্যক্তি আলী (রাঃ)-এর নিকট এসে এক সন্তানের ব্যাপারে ঝগড়া করছিল, তার সকলেই এক তুহরে এক মহিলার সাথে সহবাস করেছিল। এভাবে পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৪ | 3494 | ۳٤۹٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯৪. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, তখন আলী (রাঃ) ইয়ামনে ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ একদিন আলী (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তিন ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে এক বাচ্চার দাবী করলো, যে এক রমণীর গর্ভে জন্মায়। তখন আলী (রাঃ) এক ব্যক্তিকে বললোঃ তুমি কি এই বাচ্চার দাবী অন্য জনের জন্য ছেড়ে দেবে? সে অস্বীকার করলো। এরপর তিনি অন্যজনকে বললেনঃ তুমি কি এই বাচ্চাকে তোমার কোন সাথীর জন্য ছেড়ে দেবে? সেও অস্বীকার করলো। এভাবে তৃতীয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করায় সেও অস্বীকার করলো। আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমরা পরস্পর আলাদা এবং ঝগড়া করছো। আমি এখন তোমাদের মধ্যে লটারী করবো। যার নাম লটারীতে আসবে সে এই বাচ্চা পাবে এবং তাকে দিয়াতের দুই-তৃতীয়াংশ দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এই ঘটনা শুনলেন, তখন তিনি হাসলেন, এমনকি তার দাঁত মুবারক প্রকাশ হয়ে পড়লো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৫ | 3495 | ۳٤۹۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯৫. ইসহাক ইবন শাহীন (রহঃ) ... যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে ইয়ামনে পাঠান। একদিন এক বাচ্চা আনা হলো, যাকে তিন ব্যক্তি পাওয়ার জন্য ঝগড়া করছিল। হাদীসের শেষ পর্যন্ত অনুরূপ বর্ণনা করলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৬ | 3496 | ۳٤۹٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯৬. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... সালামা ইবন কুহায়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি শা'বীকে আবুল খলীল অথবা ইবন আবুল খলীল হতে এক হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিন ব্যক্তি একই তুহরে শরীক ছিল। এরপর এভাবে হাদীস বর্ণনা করলেন। কিন্তু তিনি যায়দ ইবন আরকামের নাম উল্লেখ করেন নি। আর এই হাদীসকে হাদীসে মারফুও বলেন নি। আবু আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। ________________________________________ হাদিসের মানঃ তাহকীক পাওয়া যায়নি পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সালামা ইবন কুহায়াল (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৭ | 3497 | ۳٤۹۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫১. কিয়াফা অবগত ব্যক্তি ৩৪৯৭. কুতায়াবা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামআমার নিকট উপস্থিত হলেন, তখন তাঁর চেহারায় খুশীর চিহ্ন প্ৰস্ফুটিত ছিল। তিনি বললেনঃ তুমি কি জান মুজাযিযিয নাম্নী এক ব্যক্তি যায়দ ইবন হারিসা এবং উসামা (রাঃ)-কে দেখে বললোঃ এই উভয় ব্যক্তির পায়ের গড়নের মধ্যে মিল আছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৮ | 3498 | ۳٤۹۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫১. কিয়াফা অবগত ব্যক্তি ৩৪৯৮. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আসলেন তখন তার চেহারায় খুশীর চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। তিনি বললেনঃ হে আয়েশা! মুজাযিযিয মুদলিজী, কিয়াফা অবগত ব্যক্তি আমার নিকট আসলো। তখন উসামা ইবন যায়দ আমার নিকট উপস্থিত ছিল। সে উসামা ইবন যায়ীদ এবং যায়দকে দেখলো। তাদের মুখ চাদরে ঢাকা এবং পা খোলা ছিল। সে বললোঃ এই দু'জনের পায়ের মধ্যে মিল রয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৩৪৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৯ | 3499 | ۳٤۹۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫২. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ মুসলমান হলে ৩৪৯৯. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... আবদুল হামীদ ইবন সালামা আনসারী তাঁর পিতা সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি মুসলমান হলে তাঁর স্ত্রী মুসলমান হতে অস্বীকার করলো। তাদের এক নাবালেগ সস্তান ছিল। সে আসলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পিতাকে এখানে এবং মাতাকে ওখানে বসিয়ে ছেলেকে ইখতিয়ার দিয়ে দু’আ করলেনঃ হে আল্লাহ্ ! এই ছেলেকে হিদােয়ত দান করুন। তখন সেই ছেলে স্বীয় পিতার নিকট চলে গোল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৩৫২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল হামীদ ইবন সালামা পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০০ | 3500 | ۳۵۰۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫২. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ মুসলমান হলে ৩৫০০. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আবু মায়মুনা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম, তখন আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক। আমার স্বামী আমার নিকট হতে আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে চায়। অথচ ঐ বাচ্চার দ্বারা আমার অনেক উপকার হয়ে থাকে। সে বীরে আবু ইনাবা থেকে পানি এনে আমাকে পান করায়। এমন সময় তার স্বামী সেখানে এসে বললোঃ আমার ছেলের ব্যাপারে আমার সাথে কে বিবাদ করছে? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ছেলে! এই তোমার পিতা, আর এই তোমার মাতা, এদের মধ্যে তোমার যাকে ইচ্ছা, তার হাত ধর। তখন ছেলে তার মার হাত ধরল এবং সে তাকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৩৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবু মায়মুনা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০১ | 3501 | ۳۵۰۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৩. খুলা কারিণীর ইদ্দত ৩৫০১. আবু আলী মুহাম্মদ ইবন মারওয়াযী (রহঃ) ... আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রুবাই বিনত মুআওয়ায ইবন আফরা তাকে সংবাদ দিয়েছেন, সাবিত ইবন কায়স ইবন শামমাস তার স্ত্রীকে মারধর করলো এবং তার হাত ভেঙে দিল, তার নাম ছিল জামিলা বিনত আবদুল্লাহ ইবন উবাই। তার ভাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হলো। তিনি ছাবিত (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনলেন। ছবিত উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ তুমি তার নিকট হতে তোমার মাল নিয়ে তাকে ছেড়ে দাও। ছাবিত (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মহিলাকে এক হায়য পর্যন্ত ইদ্দত পালন করার আদেশ করলেন। এরপর তাকে তার মাতাপিতার নিকট চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। পরিচ্ছদঃ ৫৩. খুলা কারিণীর ইদ্দত ৩৫০২. উবায়দুল্লাহ ইবন সা'দ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... রুবাঈ বিনূত মুআওয়ায (রাঃ) বলেন, আমি আমার স্বামীর সাথে খুলা করলাম। এরপর উসমান (রাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমাকে কতদিন ইদ্দত পালন করতে হবে? উসমান (রাঃ) বললেন, তোমার কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না। তবে, যেহেতু তুমি তোমার স্বামীর নিকট অবস্থান করেছ, অতএব তুমি এক হায়য পর্যন্ত অপেক্ষা কর। এরপর তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুকরণ করছি। তিনি মরিয়াম মাগালিয়ার ব্যাপারে এরূপ সমাধান দিয়েছিলেন। আর তিনি ছিলেন ছবিত ইবন কায়স ইবন শামমাসের স্ত্রী। সেই মহিলা তার সাথে খুলা করেছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ২০৫৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ রুবায়্যি‘ বিনতু মু‘আব্বিয (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৩ | 3503 | ۳۵۰۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৪. তালাকপ্রাপ্তাদের মধ্য থেকে যার ইদ্দত পালন থেকে বাদ ৩৫০৩. যাকারিয়া ইবন ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে উক্ত আয়াতঃ (مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا) ইবন আব্বাস সম্পর্কে বলেনঃ বর্ণিত হয়েছে যে, কুরআনে সর্বপ্রথম যা রহিত হয়েছে, তা হলো কিবলার হুকুম। আল্লাহর বাণীঃ (وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَقَالَ وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنْ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنْ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ) এ হতে রহিত করা হয়েছে এবং ইরশাদ করা হয়েছেঃ (وَإِنْ طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَمَسُّوهُنَّ فَمَا لَكُمْ عَلَيْهِنَّ مِنْ عِدَّةٍ تَعْتَدُّونَهَا)। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। ইরওয়া ২০৮০, সহীহ আবু দাউদ ১৯০৫। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৪ | 3504 | ۳۵۰٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৪. হান্নাদ ইবন সারী (রহঃ) ... উম্মে হাবীব (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে স্ত্রীলোক আল্লাহ্ এবং পরকালে বিশ্বাস করে, কারো মৃত্যুর পর তার জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ নয়, স্বীয় স্বামী ব্যতীত। কেননা স্বামীর জন্য তাহার চার মাস দশদিন শোক পালন করা উচিত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আত-তিরমিযী ১২১৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৫ | 3505 | ۳۵۰۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৫. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... হামিদ ইবন নাফে যয়নব (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, আমি বললামঃ যয়নব তার মাতা উম্মে সালামা হতে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কেউ এমন এক স্ত্রীলোক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো, যার স্বামী মারা গেছেন; আমরা কি তার চোখে সুরমা লাগাব? কেননা, আমরা ভয় করছি, সুরমা না লাগালে তার চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি বললেনঃ এর আগে প্রত্যেক স্ত্রীলোক নিজের ঘরে বসে থাকতো আর ঐ রূপ মোটা ও নিকৃষ্ট বস্ত্র পরিধান করতো, যা উটের হাওদার নীচে দেয়া হতো। আর সে এই কষ্টের মধ্যে পূর্ণ এক বছর কাটিয়ে দিত। এখন কি তোমাদের উপর চার মাস দশদিন অধিক কঠিন মনে হয়? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আত-তিরমিযী ১২১৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হামিদ ইবন নাফে (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৬ | 3506 | ۳۵۰٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৬. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) বলেনঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার কন্যার স্বামী ইনতিকাল করেছে। আর আমি ভয় করি, তার চোখ খারাপ না হয়ে যায়। আমি কি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি? তিনি বললেনঃ পূর্বে তো এ ধরনের নাবী এক বছর পর্যন্ত বসে থাকতো, আর এই সময় তো কোন অধিক সময় নয়, মাত্র চার মাস দশদিন। আর যখন এক বছর পূর্ণ হতো, তখন ঐ মহিলা বের হয়ে নিজের পিঠের পেছনে উটের গোবর ছিটাতো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৭ | 3507 | ۳۵۰۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৭. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী হাফসা বিনতে উমর (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা এবং কিয়ামতে বিশ্বাস স্থাপনকারী কোন মহিলার জন্য নিজের স্বামী ব্যতীত কোন মৃতের উপর তিন দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ নয়। তবে স্বামীর উপর চারমাস দশদিন শোক করা উচিত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৮৬, ইরওয়া ২০১৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হাফসাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৮ | 3508 | ۳۵۰۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৮. আবদুল্লাহ্ ইবন সাব্বাহ (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ্ এবং কিয়ামতে বিশ্বাস করে তার জন্য কোন মৃতের উপর তিন দিনের অধিক শোক বৈধ নয়, নিজের স্বামী ব্যতীত। কেননা নিজের স্বামীর জন্য সে চার মাস দশদিন শোক পালন করবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আত-তিরমিযী ১২১৭, সহীহুল জামে’ ৭৬৪৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৯ | 3509 | ۳۵۰۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৯. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ________________________________________ হাদিসের মানঃ তাহকীক পাওয়া যায়নি পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১০ | 3510 | ۳۵۱۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১০. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিছ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, যখন সুবাইয়া আসলামী সন্তান প্রসব করলো, এর কয়েকদিন পূর্বে তার স্বামী মারা গেল। এখন সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিবাহ করার অনুমতি প্রার্থনা করলো। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। পরে সে একজনের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হলো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০২৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১১ | 3511 | ۳۵۱۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১১. নসর ইবন আলী (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবাইয়াকে বিয়ে করার অনুমতি দান করেন যখন সে নিফাস হতে পাক হবে। পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১২. মুহাম্মদ ইবন কুদামা (রহঃ) ... আবু সানাবিল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুবাইয়ার স্বামীর মৃত্যুর তেইশ অথবা পঁচিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সে বাচ্চা প্রসব করলো। যখন তার নিফাসের সময় অতিবাহিত হলো, তখন সে অন্য স্বামী গ্ৰহণ করার প্রস্তুতি গ্ৰহণ করতে লাগলো। ফলে লোকেরা কুৎসা করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর উল্লেখ করা হলে তিনি বললেনঃ এখন তার বিয়ে করতে বাধা কোথায়? কারণ তার ইদ্দত পূর্ণ হয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০২৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবু সানাবিল (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৩ | 3513 | ۳۵۱۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৩. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... আবদে রাব্বিহী ইবন সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমি আবু সালামাকে বলতে শুনেছিঃ আবু হুরায়রা এবং ইবন আব্বাস (রাঃ) ঐ স্ত্রীলোকের ব্যাপারে মতবিরোধ করলেন যার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামীর মৃত্যুর কিছু দিন পর সে সন্তান প্রসব করে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ সেই মহিলা প্রসব করার পর বিবাহ করতে পারবে। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ উভয় মুদ্দতের মধ্যে যেটা দীর্ঘ হবে তা গ্ৰহণ করবে। পরে উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠান হলে তিনি বললেনঃ সুবা'আর স্বামী মারা যাওয়ার পনের দিন পর সে বাচ্চা প্রসব করে। এরপর দুই ব্যক্তি তার কাছে বিবাহের প্রস্তাব করলে সে একজনের দিকে ঝুকে পড়লো। তার পরিবারের লোকেরা আশংকা করলো যে, পাছে সে তাকে বিয়ে করে কিনা। তারা তাকে বললোঃ এখনও তো তোমার ইদ্দত ও পূর্ণ হয়নি। সুবায়আ (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ তুমি বৈধ হয়ে গেছ, কাজেই এখন যার সাথে ইচ্ছা বিবাহ করতে পার। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আত-তিরমিযী ১২১৪, ইরওয়া ২১১৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদে রাব্বিহী ইবন সাঈদ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৪ | 3514 | ۳۵۱٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৪. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিস ইবন মিসকীন (রহঃ) ... আবু সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কেউ আবু হুৱায়রা ও ইবন আব্বাসের নিকট ঐ মহিলার ব্যাপারে প্রশ্ন করলো, যার স্বামী মারা যায় এবং সে তখন গর্ভবতী ছিল। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ সে তার দু'টি ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘ হয়, সে তা গ্ৰহণ করবে। আর আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ যখনই সে প্রসব করেছে তখনই তার ইদ্দত পূর্ণ হয়ে গেছে। আবু সালমা (রহঃ) এই মতবিরোধ শ্রবণ করে উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট গমন করলেন এবং তার নিকট এই মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। উম্মে সালমা (রাঃ) বললেনঃ সুবাইয়ার স্বামীর মৃত্যুর পর অর্ধ মাস অতীত হলে সে সন্তান প্রসব করেছে। এরপর দুই ব্যক্তি তার নিকট বিবাহের পয়গাম পাঠায়, তাদের একজন ছিল যুবক, আর দ্বিতীয় জন ছিল আধা বয়সী। সে যুবকের দিকে ঝুকে গেল। তখন মধ্যম বয়সী ব্যক্তি বললোঃ এখন তোমার বিবাহ করা হালাল হবে না। উম্মে সালামা (রাঃ) বলেনঃ তখন সুবাইয়ার পরিবারের লোক উপস্থিত ছিল না, মধ্য বয়সের লোকটি মনে করলো, যখন তার আত্মীয়-স্বজন আসবে, তখন হয়তো তারা বুঝিয়ে সুবাইয়াকে আমার জন্য রাজী করাবে। পরে ঐ মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ তুমি হালাল হয়ে গেছ, এখন তুমি যাকে ইচ্ছা বিয়ে করতে পার। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৫ | 3515 | ۳۵۱۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৫. মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ বাযী' (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কেউ ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলো, যদি কোন স্ত্রীলোক তার স্বামী মুত্যুবরণ করার বিশ দিনের মধ্যে সন্তান প্রসব করে, তবে কি তার বিবাহ করা বৈধ হবে? ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ না। বিবাহ করা বৈধ হবে না, যতক্ষণ না সে তার দুই ইদ্দতের মধ্যে দীর্ঘ ইদ্দতটি পূর্ণ না করে। আবু সালমা (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ "যার গর্ভে সন্তান রয়েছে, তার ইদ্দত হলো তার সন্তান প্রসব করা।" ইবন আব্বাস (রাঃ) আবু সালাম (রহঃ)-কে উত্তর দিলেন, এই আদেশ তালাকপ্রাপ্ত রমণীর ব্যাপারে। এরপর আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ আমি আমার ভাইপো আবু সালামার সাথে আছি। অর্থাৎ যা সে বলছে তা-ই আমার নিকট উত্তম এবং সহীহ। এই কথার পর তিনি স্বীয় দাস কুরায়বকে ডাকলেন এবং উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন, এ খবরসহ যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সুন্নত আছে কি না। কুরায়ব (রহঃ) উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) যা বলেছেন তা ব্যক্ত করলে উম্মে সালমা (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত এ ব্যাপারে এই যে, সুবাইয়া আসলামী তার স্বামীর মৃত্যুর বিশ দিন পর সন্তান প্রসব করলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করার অনুমতি দেন, আর আবু সানাবিল তার বিবাহের প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৬ | 3516 | ۳۵۱٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৬. কুতায়বা (রহঃ) ... সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু হুরায়রা (রাঃ), ইবন আব্বাস (রাঃ) ও আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) নিজেদের মধ্যে ঐ মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে আলোচনা করেন, যার স্বামী মারা যায়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ দু'টি ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘতর, সেটি পালন করবে। আর আবু সালাম (রহঃ) বললেনঃ সেই মহিলা তার সন্তান প্রসবকাল পর্যন্ত ইদ্দত পালন করবে এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ আমি আমার ভ্রাতুষ্পপুত্রের সাথে একমত। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট এক ব্যক্তিকে পাঠালে তিনি বললেনঃ সুবাইয়া আসলামিয়া তার স্বামীর মৃত্যুর কদিন পর সন্তান প্রসব করলো। এ ব্যাপারে সুবাইয়া রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর সমাধান চাইলে তিনি তাকে বিবাহের অনুমতি প্ৰদান করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৭ | 3517 | ۳۵۱۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৭. আবদুল আ'লা (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুবাইয়া তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর সন্তান প্রসব করলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করার অনুমতি প্রদান করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৮ | 3518 | ۳۵۱۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৮. মুহাম্মদ ইবন সালাম (রহঃ) ... সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস এবং আবু সালামা ইবন আব্দুর রহমান এর মধ্যে ঐ মহিলার ইদ্দতের ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দেয়, যার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর সে সন্তান প্রসব করলো। আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ দুই ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘতর হয়, ঐ মহিলা সেটি পালন করবে। আর আবু সালামা (রহঃ) বলেনঃ যখন সে সন্তান প্রসব করলো, তখন তার ইদ্দত পূর্ণ হলো। এরপর আবু হুরায়রা (রাঃ) আসলে তিনি বললেনঃ আমি আমার ভাতিজা অর্থাৎ আবু সালামা ইবন আব্দুর রহমানের পক্ষ অবলম্বন করছি। এরপর তাঁরা কুরায়ব (রহঃ)-কে উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠান। তিনি এই ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করে এসে তাদেরকে বললেন যে, উম্মে সালামা (রাঃ) বলেছেনঃ সুবাইয়া তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর সন্তান প্রসব করলো। এরপর সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর উল্লেখ করলে, তিনি বললেনঃ তুমি হালাল হয়ে গেছ, অর্থাৎ তোমার ইদ্দত পূৰ্ণ হয়ে গেছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৯ | 3519 | ۳۵۱۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৯. হুসায়ন ইবন মানসূর (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা আমি, ইবন আব্বাস এবং আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ যখন কোন স্ত্রীলোক তার স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তান প্রসব করে, তখন ঐ স্ত্রীলোকের ইদ্দত হবে, দুই ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘতর সেটি। আবু সালামা (রহঃ) বলেনঃ আমরা কুরাইবকে উম্মে সালাম (রাঃ)-এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠালে, কুরাইব উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট থেকে সংবাদ নিয়ে আসলে যে, সুবাইয়ার স্বামীর মৃত্যু হলে কয়েকদিন পর তার সন্তান জন্মগ্রহণ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করার অনুমতি প্ৰদান করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২০ | 3520 | ۳۵۲۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২০. আব্দুল মালিক ইবন শুআয়ব (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, যয়নব বিনত আবু সালামা তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তার মা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে সালামা হতে, বনী আসলাম গোত্রের সুবাইয়া নাম্নী এক মহিলা তার স্বামীর বিবাহে ছিল। তাকে গর্ভবতী অবস্থায় রেখে স্বামী মারা যায়। আবু সানাবিল ইবন বা'কাক তার বিবাহের পয়গাম দেন, কিন্তু সে তার প্রস্তাবে রাযী হলেন না। পরে তিনি বললেনঃ দুই ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘতর, সেটি পূর্ণ করার পূর্বে তোমার বিয়ে করা ঠিক হবে না। সে বিশদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করলো। এরপর যখন সে সন্তান প্রসব করেল, তখন সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি বললেনঃ তুমি এখন বিয়ে করতে পার। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২১ | 3521 | ۳۵۲۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২১. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, একদিন আমি এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম, এমন সময় এক মহিলা উপস্থিত হয়ে তার স্বামীর অবস্থা বর্ণনা করতে লাগলো যে, তার স্বামীর মৃত্যুবরণ করেছে, তখন সে গর্ভবতী ছিল। সে বললোঃ স্বামীর মৃত্যুর দিন থেকে চার মাস পূর্ণ না হতেই সে সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ যে ইদ্দত দীর্ঘতর হবে, তা-ই তোমার ইদ্দত হবে। আবু সালামা (রহঃ) বললেনঃ আমাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী সংবাদ দিয়েছেন যে, সুবাইয়া আসলামী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে নিজের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বললে যে, আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, তখন আমি গর্ভবতী ছিলাম। এরপর আমার সন্তান প্রসব হয়েছে, তখন বাচ্চার পিতার মৃত্যুর পর চার মাস অতিবাহিত হয়নি। তাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ করার অনুমতি দান করেন। তখন আবু হুরায়রা (রাঃ) বলতে লাগলেনঃ আমি এ ব্যাপারে সাক্ষী। পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২২. ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্ বর্ণনা করেন, তাহার পিতা আবদুল্লাহ (রাঃ) উমর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আরকাম যুহরী (রহঃ)-কে লিখলেন, আপনি গিয়ে সুবাইয়া বিনত হারিস আসলামী (রাঃ)-কে তার অবস্থা জিজ্ঞাসা করুন। যখন সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার অবস্থার সমাধান চেয়েছিল, তখন তিনি তাকে কি বলেছিলেন। তখন উমর ইবন আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ্ ইবন উতবাকে লিখলেন যে, সুবাইয়া (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন, তিনি সা'দ ইবন খাওলার বিবাহধীন ছিলেন, আর সা'দ ছিলেন আমির ইবন লুয়াই গোত্রের লোক। আর তিনি বদরী সাহাবীও ছিলেন, তিনি যখন বিদায় হজ্জে ইনতিকাল করেন, তখন আমি গর্ভবতী ছিলাম। কিন্তু তার মৃত্যুর কয়েক দিন পরই বাচ্চ জন্ম নেয়। যখন সুবাইয়া (রাঃ) নিফাস হতে পাক হন। তখন তিনি বিবাহ প্রস্তাবকারীদের জন্য সাজসজ্জা করলেন। আবদুদ্দার গোত্রের আবু সানাবিল ইবন বা'কাক তার নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলোঃ তোমাকে সাজসজ্জা করতে দেখছি কেন? মনে হয় তুমি বিবাহের ইচ্ছা করছে? আল্লাহর শপথ! তোমার জন্য বিবাহ করা ঠিক হবে না। চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার আগে। সুবাইয়া (রাঃ) বলেনঃ যখন সে একথা বললো, তখন আমি সন্ধ্যায় কাপড় পড়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে ফতওয়া দিয়ে বললেনঃ তুমি যখন বাচ্চা প্রসব করেছ, তখনই তোমার ইদ্দত পূর্ণ হয়েছে। তিনি আমাকে আরো বললেনঃ যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে বিবাহ করে নাও। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন ‘উতবাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৩ | 3523 | ۳۵۲۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৩. মুহাম্মদ ইবন ওহাব (রহঃ) ... যুফার ইবন আওস ইবন হাদাছান নসরী বলেন, আবু সানাবিল ইবন বা‘কাক ইবন সাববাক সুবাইয়া আসলামী (রাঃ)-কে বললোঃ চার মাস দশদিন, যা দুই ইদ্দতের মধ্যে দীর্ঘতর, তা শেষ হওয়ার পূর্বে তোমার বিবাহ করা ঠিক হবে না। একথা শুনে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন। সুবাইয়া (রাঃ)-এর কথা দ্বারা বুঝা গেল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এই সমাধান দিলেন যে, তোমার সন্তান প্রসব হলে, তুমি বিয়ে করে নিবে। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর সময় তিনি নয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তিনি সা'দ ইবন খাওলার বিবাহাধীন ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংগে ছিলেন এবং এ সময় তিনি মারা যান। পরে তার সন্তান প্রসব হওয়ার পর সেই গোত্রের এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যুফার ইবন আওস ইবন হাদাছান নসরী পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৪ | 3524 | ۳۵۲٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৪. কাছীর ইবন উবায়দ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ্ ইবন উতবা উমর ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আরকাম যুহরীকে সুবাইয়া (রাঃ)-এর নিকট যাওয়ার জন্য পত্ৰ লিখলেন যে, আপনি গিয়ে সুবাইয়া আসলামী বিনত হারিস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করবেন, তার গর্ভ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কী সমাধান দিয়েছিলেন। রাবী বলেন, উমর ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) তার নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন ; আমি সা’দ ইবন খাওলার স্ত্রী ছিলাম, সা’দ ইবন খাওলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ছিলেন, তিনি বদরীও ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জে ইনতিকাল করেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে আমি সন্তান প্রসব করলাম, চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার আগেই। রাবী বলেনঃ তার নিফাস হতে পাক হওয়ার পর বনী আবদুদ্দারের আবু সানাবিল নাম এক ব্যক্তি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে দেখলেন যে, তিনি সাজসজ্জা করছেন। সে বললোঃ মনে হয় তুমি বিবাহের ইচ্ছা রাখ, চার মাস দশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই। সুবাইয়া (রাঃ) বলেন, আমি আবু সানাবিলের নিকট এ কথা শোনার পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট আমার অবস্থা ব্যক্ত করিলাম। তিনি বললেনঃ তুমি সন্তান প্রসব করার সাথে সাথেই তোমার ইদ্দত পূর্ণ করেছ। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন ‘উতবাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৫ | 3525 | ۳۵۲۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৫. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমি কুফায় আনসারীদের এক বড় মজলিসে বসা ছিলাম, সেখানে আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সুবাইয়া (রাঃ)-এর ব্যাপারে আলোচিত হলো। আমি আবদুল্লাহ ইবন উতবা ইবন মাসউদের বর্ণনার উল্লেখ করলাম, যা ইবন আওনের কথার অনুরূপ ছিল, অর্থাৎ বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত তার ইদ্দত ছিল। ইবন আবু লায়লা বললেনঃ আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ)-এর এ কথার সমর্থক ছিলেন না যে, গৰ্ভধারিণীর ইদ্দত প্রসব পর্যন্ত, বরং তিনি দুই ইদ্দতের মধ্যে যেটি অধিক তাকেই ইদ্দত মনে করতেন। তখন আমি আমার আওয়ায উচু করে বললামঃ আমি কি এরূপ দুঃসাহস করতে পারি যে, আবদুল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করবো? অথচ তিনি কুফায় থাকেন। এরপর মালিকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো। আমি তাঁর নিকট জিজ্ঞাসা করলামঃ আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) সুবাইয়া (রাঃ)-এর ব্যাপারে কি বলতেন? তিনি বললেনঃ ইবন মাসউদ (রাঃ) বলতেনঃ তোমরা তার উপর কঠোর বিধান আরোপ করছো? আর তোমরা তাকে অনুমতি দিতেছ না? অথচ ছােট সূরায় নিসা, যা হলো সূরা তালাক, তা বড় সূরা অর্থাৎ সূরা বাকারার পর নাযিল হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইবনু সীরীন (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৬ | 3526 | ۳۵۲٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৬. মুহাম্মদ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... আলকামা ইবন কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবন মাসউদ (রাঃ) বলেন, যদি কেউ ইচ্ছা করে, আমি তার সাথে এ ব্যাপারে মুবাহালা করতে পারি যে, (وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ) অর্থঃ আর গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত- এ আয়াতটি যে স্ত্রীর স্বামী মারা গেছে তার ইদ্দত সম্পর্কে। এ আয়াতঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাদের স্ত্রীগণ চারমাস দশদিন অপেক্ষায় থাকবে - এরপর নাযিল হয়। যে গৰ্ভবতী স্ত্রীর স্বামী মারা যায়, তার সন্তান ভূমিষ্ট হলে তার ইদ্দত শেষ হয়ে যাবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আলকামাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৭ | 3527 | ۳۵۲۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৭. আবু দাউদ সুলায়মান ইবন সায়ফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ছোট সূরার নিসা, অর্থাৎ সূরায়ে তালাক সূরা বাকারার পর নাযিল হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৮ | 3528 | ۳۵۲۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৭. যে মহিলার স্বামী তার সাথে সহবাসের পূর্বে মারা যায়, তার ইদ্দত ৩৫২৮. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা তার কাছে কেউ জিজ্ঞাসা করলো যে, এক ব্যক্তি এক স্ত্রীলোককে বিবাহ করলো, আর বিবাহের সময় তার জন্য কোন মাহর নির্ধারণ করলো না, এবং তার সাথে সহবাস করার পূর্বেই সে মারা গেল। ইবন মাসউদ (রাঃ) বললেনঃ ঐ মহিলা তার বংশের অন্যান্য মহিলার ন্যায় মহর পাবে, কমও নয় এবং বেশীও নয়। আর তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে এবং সে স্বামীর মীরাছের অংশ পাবে। এ কথা শুনে মাকাল ইবন সিনান আশজায়ী (রঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সম্প্রদায়ের এক মহিলার ফয়সালা এরূপই করেছিলেন, যার নাম ছিল বিরওয়া বিনুত ওয়াশিক, যেরূপ আপনি বললেন। একথা শুনে ইবন মাসউদ (রাঃ) সন্তুষ্ট হলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ১৮৯১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৯ | 3529 | ۳۵۲۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৮. শোক করা ৩৫২৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিজের স্বামী ব্যতীত কোন মহিলার জন্য তিন দিনের অধিক কোন মৃত ব্যক্তির জন্য শোক করা বৈধ নয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৮৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩০ | 3530 | ۳۵۳۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৮. শোক করা ৩৫৩০. মুহাম্মদ ইবন মা’মার (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে, তার জন্য তিন দিনের অধিক শোক করা বৈধ হবে না- নিজের স্বামী ব্যতীত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩১ | 3531 | ۳۵۳۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৯. যে আহলে কিতাব মহিলার স্বামী মারা গেছে, তার শোক ৩৫৩১. ইসহাক ইবন মানসূর (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এই মিম্বরে বলতে শুনেছিঃ যে মহিলা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃত্যুর উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা বৈধ নয়। কিন্তু সে তার স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। পরিচ্ছদঃ ৬০. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, তার উচিত-ইদ্দত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকা ৩৫৩২. মুহাম্মদ ইবন 'আলা (রহঃ) ... ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার স্বামী স্বীয় গোলামের তালাশে বের হলে, তারা তাকে হত্যা করলো। শু'বা এবং ইবন জুরাইজ (রহঃ) বলেনঃ সেই মহিলার ঘর ছিল জনবসতি হতে দূরে। পরে সেই মহিলা তার ভাইকে সাথে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের অবস্থা বর্ণনা করলেন, তিনি তাকে অন্য ঘরে বাস করার অনুমতি দিলেন। যখন সে প্রত্যাবর্তন করছিল, তিনি তাকে ডেকে বললেনঃ তুমি নিজের ঘরেই থাকে, যতক্ষণ না ইদ্দত পূর্ণ হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৩ | 3533 | ۳۵۳۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬০. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, তার উচিত-ইদ্দত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকা ৩৫৩৩. কুতায়বা (রহঃ) ... ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমার স্বামী আজমী গোলামাদেরকে চাকর রাখতেন তার কাজের জন্য। তারা তাকে হত্যা করলে তিনি এই সংবাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌছিয়ে বললেন, আমার স্বামীর কোন ঘরও নেই এবং তিনি খোরপোষের কোন ব্যবস্থাও করে যাননি। আমি আমার পরিবারস্থ লোকের নিকট গিয়ে আমার ইয়াতিম সন্তানদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারি? তিনি তাকে বললেনঃ তুমি এরূপ করতে পার। এরপর তিনি বললেনঃ কী বলেছিলে? তখন সে যা বলেছিল, তা আবার বললো। তিনি বললেনঃ ইদ্দত ঐ স্থানেই পালন কর, যেখানে তুমি তোমার স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনেছ। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৪ | 3534 | ۳۵۳٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬০. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, তার উচিত-ইদ্দত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকা ৩৫৩৪. কুতায়বা (রহঃ) ... ফারি'আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার স্বামী গোলামদের তালাশে বের হয়ে কাদুমের পথে নিহত হলেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমি আমার পরিবারের লোকদের নিকট যেতে চাই এবং তাঁর নিকট ঘটনা বর্ণনা করলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। যখন আমি রওয়ানা হলাম, তখন তিনি আমাকে ডেকে বললোঃ ইদ্দত পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত নিজের স্বামীর ঘরেই থাক। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৫ | 3535 | ۳۵۳۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬১. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা যায়, সে যেখানে চায়, সেখানে থেকে ইদ্দত পালনের অনুমতি ৩৫৩৫. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যে আয়াতে বলা হয়েছে "স্ত্রী তার স্বামীর ঘরে ইদ্দত পূৰ্ণ করবে।" এই আয়াত এখন মানসূখ বা রহিত হয়ে গেছে। এখন তার জন্য যেখানে ইচ্ছা সেখানে থেকে ইদ্দত পূর্ণ করার ইখতিয়ার আছে। (غَيْرَ إِخْرَاجٍ) আয়াত দ্বারা তা রহিত হয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৬ | 3536 | ۳۵۳٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬২. স্বামীর মৃত্যু সংবাদ প্রাপ্তির দিন হতে ইদ্দত পালন ৩৫৩৬. ইসহাক ইবন মানসূর (রহঃ) ... আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর বোন ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) বলেনঃ আমার স্বামী কাদুম নামক স্থানে ইনতিকাল করেন। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমার ঘর লোকালয় হতে বহু দূরে অবস্থিত। তিনি আমাকে আমার পরিবারের কাছে থাকার অনুমতি দান করলেন। এরপর ডেকে বললেনঃ নিজের স্বামীর ঘরেই চার মাস দশ দিন অতিবাহিত কর, তাহলে তোমার ইদ্দত পূর্ণ হবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৭ | 3537 | ۳۵۳۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৩. মুসলমান নারীর স্বামীর শোকপালনে সাজসজ্জা ত্যাগ করা ৩৫৩৭. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিছ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... যয়নব বিনত আবু সালামা (রাঃ) এই তিনটি হাদীস বর্ণনা করেন। যয়নব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবীব (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তাঁর পিতা আবু সুফিয়ান ইবন হারব ইনতিকাল করেন। এ সময় উম্মে হাবীব (রাঃ) সুগন্ধি আনান। তিনি সর্বাগ্রে তা বাঁদীর গায়ে লাগান, পরে তিনি তা নিজের চেহারায় মাখলেন এবং বললেনঃ আল্লাহর শপথ! এখন আমার সুগন্ধি লাগাবার কোন প্রয়োজন ছিল না; কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। এরপর আমি যায়নব বিনতু জাহশ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তার ভাই ইনতিকাল করেছিল। তিনি সুগন্ধি লাগিয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ ! এখন আমার সুগন্ধির প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। যয়নব (রাঃ) বলেনঃ আমি উম্মে সালামা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে এবং তার চোখে ব্যথা, যদি আপনি অনুমতি দেন তবে আমি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি। তিনি বললেনঃ সুরমা লাগাবে না। এখন তো শুধু চার মাস দশদিন শোক করতে হয়, অথচ জাহিলী যুগে এরূপ নারী এক বছর পর গোবর ছিটাতো। হুমাইদ ইবন নাফে' (রহঃ) বলেন, আমি যায়নবকে জিজ্ঞাসা করলামঃ গোবর ছিটাবার অর্থ কী? যয়নব (রাঃ) বর্ণনা করলেন, জাহিলী যুগে যে নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, সে নারী এক ক্ষুদ্র অন্ধকার প্রকোষ্টে প্রবেশ করতো। আর সে নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করতো, এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সে কোন প্রকার সুগন্ধি লাগাতো না, এক বছর পর গাধা, বকরী অথবা অন্য কোন পাখী তার কাছে আনা হতো। পরে সে ঐ জানওয়ারকে নিজের শরীরে মর্দন করতো, ফলে ঐ জন্তু মারা যেত। তারপর সে বের হতো। এরপর তাকে উটের গোবর দেয়া হতো এবং সে তা ছিটাতো। পরে সুগন্ধি মাখতো, অথবা মনে যা চাইতো, তা করতো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২১১৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৮ | 3538 | ۳۵۳۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৪. শোককারীণীর রঙ্গিন কাপড় পরিহার করা ৩৫৩৮. হুসায়ন ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ... উম্মু আতিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন নারী কারো জন্য তিন দিনের অধিককাল শোক করবে না। তবে তার স্বামী ব্যতীত। কেননা, সে তার জন্য চার মাস দশ দিন শোক করবে। আর শোককারীণী কোন রঙ্গিন কাপড় পরিধান করবে না, আর না ঐ কাপড় যার সুতা রং করিয়ে বানানো হয় এবং সুরমা লাগাবে না, আর মাথায় চিরুনী করবে না এবং সুগন্ধি লাগবে না। কিন্তু যখন সে হায়য হতে পাক হবে, তখন কিছু কুসত এবং আযফার (সুগন্ধি জাতীয় জিনিস) ব্যবহার করতে পারে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৮৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৯ | 3539 | ۳۵۳۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৪. শোককারীণীর রঙ্গিন কাপড় পরিহার করা ৩৫৩৯. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী উম্মে সালামা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা যায়, সে কুসুম রঙের কাপড় এবং লাল ফুলদ্বারা রং করা কাপড় পরিধান করবে না এবং খেযাব, সুরমা ইত্যাদিও লাগাবে না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২১২৯, সহীহ আবু দাউদ ১৯৯৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪০ | 3540 | ۳۵٤۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৫. শোককারীণীর খিযাব ব্যবহার ৩৫৪০. মুহাম্মদ ইবন মানসূর (রহঃ) ... উম্মে আতিয়া (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে নারী আল্লাহ্ ও কিয়ামতের দিনে ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশ্যে তিন দিনের অধিক শোক করা বৈধ হবে না, তার স্বামী ব্যতীত। আর সে সুরমা ব্যবহার করবে না, খিযাব লাগবে না এবং রং করা কাপড় পরিধান করবে না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪১ | 3541 | ۳۵٤۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৬. শোককারীণীর জন্য কুলপাতার পানিতে মাথা ধোয়ার অনুমতি ৩৫৪১. আহমদ ইবন আমর ইবন সারাহ (রহঃ) ... উম্মে হাকীম বিনত উসায়দ তাঁর মাতা হতে বর্ণনা করেন; যখন তাঁর স্বামী মারা যায়, তখন তাঁর চােখে ব্যথা ছিল। তখন তিনি ইসমিদ সুরমা লাগান। পরে তিনি তার মুক্ত করা চাকরাণীকে উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট প্রেরণ করেন, তার নিকট চোখের রোগ নিবারক সুরমা চেয়ে। উম্মে সালাম (রাঃ) বললেনঃ কোন সুরমা ব্যবহার করবে না। হ্যাঁ যদি কঠিন প্রয়োজন হয় তবে কোন ক্ষতি নেই। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট ঐ সময় আসেন, যখন আবু সালামা (রাঃ)-এর ইনতিকাল হয়। আর আমি তখন আমার চোখে ইলুয়া লাগিয়ে ছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে উম্মে সালামা! এটা কি ? আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ইহা ইলুয়া। এতে সুগন্ধি নেই। তিনি বললেনঃ হে উম্মে সালামা! এর দ্বারা চেহারায় ঔজ্জ্বল্য আসে। এটা আর লাগবে না। যদি লাগাতেই হয় তবে রাতে লাগাবে। আর সুগন্ধি বস্তু দ্বারা মাথা ধোবে না, মেহেদী দ্বারাও নয়। কেননা, মেহেদীর মধ্যে রং রয়েছে। উম্মে সালাম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কি দিয়ে মাথা ধোব? তিনি বললেনঃ মাথায় কুলপাতা লাগাবে। পরিচ্ছদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ৩৫৪২. রবী' ইবন সুলায়মান (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার চােখে ব্যথা, আমি কি তার চােখে সুরমা লাগিয়ে দেব? আর তার কন্যার স্বামীর মৃত্যুর পর সে ইদ্দত পালন করছিল। তিনি বললেনঃ চার মাস দশদিন পূর্ণ হওয়ার পর লাগাবে। ঐ মহিলা আবার বললোঃ এতে আমি তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছি। তিনি বললেনঃ চার মোস দশদিন পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বৈধ হবে না। তিনি বললেনঃ জাহিলী যুগে প্রত্যেক নারী স্বামীর মৃত্যুর পর এক বছর পর্যন্ত শোক করতো। এক বছর পর তারা গোবর নিক্ষেপ করতো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৩ | 3543 | ۳۵٤۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ৩৫৪৩. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ (রহঃ) ... যায়নব বিনত আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর মাতা উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের কন্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো, যার স্বামী মারা গিয়েছিল, এবং সে চোখের অসুখে আক্রান্ত ছিল। তিনি বললেনঃ তোমরা প্রত্যেক নারী জাহিলী যুগে এক বছর শোক পালন করতে, এবং সাল পূর্ণ হলে গোবর ছিটাতো। এখন তো মাত্র চার মাস দশ দিন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৪ | 3544 | ۳۵٤٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ৩৫৪৪. মুহাম্মদ ইবন মা'দান ইবন ঈসা (রহঃ) ... উম্মে সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কুরাইশ-এর এক রমণী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো যে, আমার কন্যার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, আমার আশংকা হয় তার চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, তার ইচ্ছা ছিল, তিনি তাকে সুরমা লাগাবার অনুমতি দেবেন। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের পূর্বে অর্থাৎ জাহিলী যুগে প্রত্যেক নারী বছর পূর্ণ হলে গোবর ছিটাতো। আর এখন তো মাত্র চার মাস দশদিন। হুমায়দ ইবন নাফি' (রহঃ) বলেন, আমি যায়নব (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ এক বছর পূর্তির ঘটনা কি? যায়নব উত্তর করলেনঃ জাহিলী যুগে যখন কোন নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, তখন সে রমণী তাদের অতি নিকৃষ্ট ঘরে আশ্রয় নিত। যখন এক বছর পূর্ণ হতো, তখন সে নিজের পিঠের পেছনে গোবর ছিটিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৫ | 3545 | ۳۵٤۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ৩৫৪৫. ইয়াহইয়া ইবন হাবীব ইবন আরাবী (রহঃ) ... যয়নব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক মহিলা উম্মে সালামা এবং উম্মে হাবীবা (রাঃ)-এর নিকট স্বামীর মৃত্যু হলে নারীর ইদ্দতের কথা জিজ্ঞাসা করলো, তার সুরমা লাগান বৈধ হবে কি না। তারা বললেনঃ এক নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ তোমাদের পূর্বেই মহিলারা জাহিলী যুগে যখন তার স্বামী মারা যেত, তখন সে এক বছর ইদ্দত পালন করতো, এরপর তার পিঠের পেছনে গোবর ছিটিয়ে বের হতো। আর এখন তো চার মাস দশ দিন পরই তার ইদ্দত শেষ হয়ে যায়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৬ | 3546 | ۳۵٤٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৮. শোক পালনকারীণীর কুসত এবং আযফার ব্যবহার করা ৩৫৪৬. আব্বাস ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ... উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, যে নারীর স্বামী মারা গেছে ঐ নারীকে কুস্ত এবং আযফার লাগানোর অনুমতি দান করেন, তার পবিত্র অবস্থায়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৮৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৭ | 3547 | ۳۵٤۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৯. মীরাছ ফরয হওয়ায় এক বছরের খরচ রহিত ৩৫৪৭. যাকারিয়া ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ) অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্যে সপত্নীক অবস্থায় যাদের মৃত্যু আসন্ন, তারা যেন তাদের স্ত্রীদেরকে ঘর থেকে বের না করে তাদের এক বছরের ভরণপোষণের ওসীয়ত করে'-এই আয়াতটি মীরাছের আয়াত দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। যে আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা স্ত্রীদের জন্য মীরাসের এক চতুর্থাংশ বা এক অষ্টমাংশ অংশ নির্ধারিত করেছেন। আর এক বছর ইদ্দতের আদেশ চার মাস দশ দিনের ইদ্দতের আদেশ দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৮ | 3548 | ۳۵٤۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৯. মীরাছ ফরয হওয়ায় এক বছরের খরচ রহিত ৩৫৪৮. কুতায়বা (রহঃ) ... ইকরামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لِأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ) আয়াতটি (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا) আয়াত দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইকরিমা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৯ | 3549 | ۳۵٤۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৪৯. আব্দুল হামিদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন, তিনি মাখযুম গোত্রের এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন, যিনি তাকে তিন তালাক দেন এবং কোন যুদ্ধে গমন করেন। আর তিনি নিজের উকীলের নিকট বলে যানঃ তুমি তাকে কিছু খরচ দিয়ে দিও। সেই উকীল তাকে কিছু দিল। কিন্তু ফাতিমা (রাঃ) তা কম মনে করে ফিরিয়ে দিলেন এবং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সহধর্মিণীর নিকট গমন করেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করেন, তখন ঐ মহিলা ঐ ঘরে ছিলেন। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি ফাতিমা বিনত কায়স! আমাকে অমুক ব্যক্তি তালাক দিয়েছে। আর অমুকের মারফত আমার খরচ পাঠিয়েছে। আমি একে সামান্য মনে করে তা ফিরিয়ে দিয়েছি। সে বলে, এতটুকু দেয়াও আমার ইহসান। তিনি বললেনঃ সে ব্যক্তি ঠিকই বলেছে। এখন তুমি উম্মে কুলসুমের কাছে গিয়ে তোমার ইদ্দত পূর্ণ করা। এরপর তিনি আবার বললেন, উম্মে কুলসুমের ঘরে লোকের যাতায়াত অধিক হয়। অতএব তুমি এখন আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুমের কাছে গিয়ে থাক। কেননা, ঐ ব্যক্তি অন্ধ। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, আমি আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট চলে গেলাম এবং সেখানে আমার ইদ্দত পূর্ণ করলাম। আমার ইদ্দতের সময় পূর্ণ হলে আবু জাহম এবং মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে আমি পুনরায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে উক্ত দুই ব্যক্তি সম্বন্ধে পরামর্শ নিলাম। তিনি বললেনঃ আমি তো তোমার জন্য জাহামের লাঠির ভয় করি, আর মুআবিয়া তো গরীব লোক। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, এ কথা শুনে আমি উসামা ইবন যায়ীদ (রাঃ)-কে বিবাহ করলাম। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। উম্মে কুলসুমের উল্লেখ মুনকার, মাহফুয হল উম্মু শরীক। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুর রহমান ইবন আসিম (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫০ | 3550 | ۳۵۵۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৫০. মুহাম্মদ ইবন রাফে' (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বলেন, তিনি আবু আমর ইবন হাফস (রাঃ) এর বিবাহাধীনে ছিলেন। তিনি ফাতিমাকে তিন তালাক দেন। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের ঘর হতে বের হওয়ার অনুমতি চাইলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিজের ঘর থেকে ইবন উম্মে মাকতুমের ঘরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন। রাবী বলেনঃ মারওয়ান ইবন হাকাম এই মাসআলা অস্বীকার করেন এবং ফাতিমাকে তিনি এই বর্ণনায় সত্যবাদী মনে করেন না। আর উরওয়া (রহঃ) বলেন, আয়েশা (রাঃ)-ও ফাতিমা (রাঃ)-এর কথা অস্বীকার করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯৮১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫১ | 3551 | ۳۵۵۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৫১. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিয়েছে; এখন আমার ভয় হয়, আমার নিকট কোন চোর আসতে পারে। তখন তিনি তাকে সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার অনুমতি দিলেন। পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৫২. ইয়াকুব ইবন হামান (রহঃ) ... শা'বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ফাতিমা বিনত কায়স আমার নিকট আসলে আমি তাঁর নিকট তার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফয়সালার কথা জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তাঁর স্বামী তাকে তিন তালাক দেন। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার উকীলের সাথে তর্ক করলাম এবং আমি ঘর এবং খরচাদির জন্য কথাবার্তা বললাম। ফাতিমা (রাঃ) বলেনঃ তিনি আমার জন্য ঘর, খরচাদি দেওয়ার কথা বললেন না। আর তিনি আমাকে ইবন উম্মে মাকতুমের ঘরে ইদ্দত পূর্ণ করার আদেশ দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ শা‘বী (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৩ | 3553 | ۳۵۵۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৫৩. আবু বকর ইবন ইসহাক সাগানী (রহঃ) ... শা'বী (রহঃ) সূত্রে ফাতিমা বিনূত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আমার স্বামী তালাক দিল, আমি তার ঘর থেকে চলে যাওয়ার ইচ্ছায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার চাচাত ভাই আমর ইবন উম্মে মাকতুমের ঘরে গিয়ে সেখানে তোমার ইদ্দত পূর্ণ করা। একথা শুনে আসওয়াদ তাঁকে পাথর দ্বারা আঘাত করে বললেনঃ আপনার ধ্বংস হোক। আপনি এরূপ কথা কোন বর্ণনা করছেন? উমর (রাঃ) বললেন, যদি তুমি দুইজন সাক্ষী আনো, যারা এই সাক্ষ্য দিবে যে, আমরা ইহা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি; তাহলে আমি তোমার কথা গ্রহণ করবো। তা-না হলে আমরা একজন মহিলার কথায় আল্লাহর কিতাব ছাড়তে পারি না, আল্লাহর কিতাবে নির্দেশ আছেঃ "ঐ সকল মহিলাদেরকে তাদের ঘর হতে বের করো না, আর তারাও যেন বের না হয়; যদি না তারা প্ৰকাশ্য অশ্লীলতার কাজে লিপ্ত হয়।" ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ শা‘বী (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৪ | 3554 | ۳۵۵٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭১. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, দিনের বেলায় তার বের হওয়া ৩৫৫৪. আব্দুল হামিদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁর খালাকে তালাক দেওয়ার পর তিনি তার খেজুর বাগানে যেতে চাইলেন। পথে এক ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাৎ হলে সে তাকে সেখানে যেতে নিষেধ করলো। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলে, তিনি বললেনঃ তুমি গিয়ে তোমার খেজুর নিয়ে এসো। হয়তো তুমি সাদকা করবে এবং মানুষের উপকারের জন্য দিয়ে দেবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩৪, ইরওয়া ২১৩৪, সহীহাহ ৭২৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৫ | 3555 | ۳۵۵۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭২. বায়িন তালাকা প্ৰাপ্তার খোরপোষ ৩৫৫৫. আহমদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন হাকাম (রহঃ) ... আবু বকর ইবন হাফস (রহঃ) বলেনঃ আমি এবং আবু সালামা ফাতিমা বিনত কায়সের নিকট গেলাম। ফাতিমা বললেন, আমার স্বামী আমাকে তালাক দেয়, কিন্তু আমার জন্য থাকার ঘর ও খোরপোষের ব্যবস্থা করেনি। তিনি বলেন, সে তার চাচাতো ভাইয়ের নিকট আমার জন্য দশ কাফীয রাখল। এর পাঁচ কাফীয ছিল যব, আর পাঁচ কাফীয ছিল খেজুর। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে তা উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ সে যা বলেছে সত্যই বলেছে। তিনি আমাকে আদেশ করলেন, আমি যেন অমুকের ঘরে আমার ইদ্দত পূৰ্ণ করি। তার স্বামী তাকে বায়িন তালাক দিয়েছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবু বকর ইবন হাফস (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৬ | 3556 | ۳۵۵٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৩. বায়িন তালাকপ্ৰাপ্তা গর্ভবতী মহিলার খোরপোষ ৩৫৫৬. আমর ইবন উসমান ইবন সাঈদ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবা (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উসমান সাঈদ ইবন যায়দ এর কন্যাকে তালাক দিল, সেই কন্যার মাতার নাম ছিল হামনা বিনত কায়স। তিনি তাকে এমন তালাক দিলেন, যা দ্বারা সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অর্থাৎ তিন তালাক। সেই মহিলার খালা ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) তাকে বললেনঃ তুমি আবদুল্লাহ ইবন আমার-এর ঘরে চলে যাও। মারওয়ান একথা শুনে আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উসমানের স্ত্রীকে নির্দেশ দিলেনঃ তোমার ইদ্দত পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তুমি নিজের গৃহে অবস্থান কর। আবদুল্লাহ ইবন আমর-এর স্ত্রী মারওয়ানের কাছে লোক পাঠিয়ে জানালেন যে, আমাকে আমার খালা ফাতিমা ঘর হতে চলে যাওয়ার আদেশ করেছেন। আর তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ঐ সময় ঘর হতে বের হয়ে যাওয়ার আদেশ করেন, যখন তাকে তার স্বামী আবু আমর ইবন হাফস তালাক দিয়েছিলেন। মারওয়ান যখন এ ঘটনা জানতে পারলো, তখন তিনি কাবীসা ইবন যুবায়রকে ফাতিমা (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। এ ব্যাপারে ফাতিমাকে কাবীসা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ আমার স্বামী আবু আমার আলী (রাঃ)-এর সাথে চলে যান, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইয়ামনের শাসক নিযুক্ত করেন। সেখানে পিয়ে আমার স্বামী এক তালাক দিয়ে পাঠান, আর তা ছিল ঐ তালাক, যা অবশিষ্ট ছিল। তখন হারিস ইবন হিশাম, এবং আইয়াশ ইবন আবু রবীআকে বলে পাঠান আমাকে খোরপোেষ দেয়ার জন্য। আমি আমার খরচ চাওয়ার জন্য তাদের নিকট লোক পাঠালাম, যা আমার স্বামী আমাকে দিতে বলেছিল। তারা উভয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমাদের নিকট তার জন্য কোন খোরপোেষ নেই। তবে যদি সে গৰ্ভবতী হতো, তা হলে তার জন্য খোরপোষ ছিল। আর আমরা যতক্ষণ না বলি, সে যেন আমাদের ঘরে না থাকে। ফাতিমা (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে এ ঘটনা জানালাম। তিনি তাদের উভয়কে সত্যবাদী মনে করলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি এখন কোথায় যাব? তিনি বললেনঃ ইবন উম্মে মাকতুমের নিকট চলে যাও, ইবন উম্মে মাকতুম অন্ধ লোক, যার জন্য আল্লাহ তা'আলা তার কিতাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। আমি তাঁর নিকট চলে গেলাম। আমি তাঁর নিকট গায়ের কাপড় ফেলে দিতাম। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসামা ইবন যায়ীদ (রাঃ)-এর সাথে আমার বিবাহ দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন ‘উতবাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৭ | 3557 | ۳۵۵۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৪. আকরা সম্পর্কে ৩৫৫৭. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত আবু হুবায়শ (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে রক্ত নির্গমনের কথা ব্যক্ত করলেন। তিনি তাকে বললেনঃ এই রক্ত কোন শিরা হতে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ জরায়ু হতে আসে না। যখন তোমার হায়ায় আরম্ভ হয়, তখন তুমি এর প্রতি লক্ষ্য রাখ। তখন নামায় পড়বে না। হায়যের সময় চলে গেলে তুমি পাক হয়ে যাবে। তিনি বললেনঃ উভয় হয়েযের মধ্যবর্তী সময় নামায পড়বে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত আবু হুবায়শ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৮ | 3558 | ۳۵۵۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৫. তিন তালাকের পর ফিরে আসার বিধান রহিত হওয়া সম্পর্কে ৩৫৫৮. যাকারিয়া ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে (مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا) এ আয়াতের তাফসীরে বর্ণিত যে, "আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা ভুলিয়ে দিলে, তা হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আনি। ইবন আব্বাস (রাঃ) এরপর অন্য একটি আয়াত বর্ণনা করেন, (وَإِذَا بَدَّلْنَا آيَةً مَكَانَ آيَةٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُنَزِّلُ) যখন আমি এক আয়াতের বদলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি, আল্লাহ যা নাযিল করেন, তা তিনি-ই ভাল জানেন, তখন তারা বলে, তুমি তো কেবল মিথ্যা উদ্ভাবনকারী। আল্লাহর বাণীঃ 'আল্লাহর যা ইচ্ছা তা নিশ্চিহ্ন ফরেন এবং যা ইচ্ছা তা প্রতিষ্ঠিত রাখেন, আর তারই নিকট আছে কিতাবের মূল।' এরপর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ সর্বপ্রথম কুরআনে যা রহিত হয়েছিল, তা ছিল কেবলা। ইবন আব্বাস (রাঃ) আরো বলেনঃ আল্লাহ্র বাণীঃ (وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ) 'মহিলারা তিন হায়েয পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, আর তাদের জন্য বৈধ হবে না, আল্লাহ্ তা'আলা তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা।' যদি তারা আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান রাখে। আর তাদের স্বামীগণ এই অবস্থায় তাদের ফিরিয়ে রাখার অধিক হকদার। যদি তারা অপেক্ষা করার ইচ্ছা রাখে।' তিনি এই আয়াত বৰ্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এই অবস্থা এইরূপ ছিল, যখন কোন লোক স্বীয় স্ত্রীকে তালাক দিত, তবে সে-ই তার রাজআত করার অধিকারী ছিল, যদিও সে তাকে তিন তালাক দিত। আল্লাহ্ তা'আলা তা রহিত করে বলেনঃ তালাক দু'বার। এরপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রেখে দেবে, অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দেবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৯ | 3559 | ۳۵۵۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৬. রজ’আত করা ৩৫৫৯. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার স্ত্রীকে তার হয়েয অবস্থায় তালাক দেই। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উমর (রাঃ) এসে এই ঘটনা জানালে তিনি বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়। তারপর যখন সে পাক হবে, তখন ইচ্ছা হলে তাকে রাখবে, অথবা তালাক দেবে। ইবন উমরের শাগরেদ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এই প্রথম তালাকও কি হিসাব করা হবে? তিনি বললেনঃ হিসাবে অসুবিধা কি? তুমি চিন্তা করে দেখ, যদি কোন ব্যক্তি অপরাগ হয়- কিংবা অজ্ঞতার কারণে তালাক দিয়ে বসে- তা তো হিসাবে ধরা হবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬০ | 3560 | ۳۵٦۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৬. রজ’আত করা ৩৫৬০. বিশার ইবন খালিদ (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে তার হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়ে দিলেন। উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এই ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তাকে বলে দাও, অন্য হয়েয না আসা পর্যন্ত সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়। এরপর যখন সে পাক হবে তখন ইচ্ছা করলে সে তাকে তালাক দেবে, বা রেখে দেবে। কেননা, এই তালাক আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী। আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ তাদের তালাক দেবে ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬১ | 3561 | ۳۵٦۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৬. রজ’আত করা ৩৫৬১. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... নাফে' (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবন উমর (রাঃ)-এর নিকট যখন ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়ে দেয়। তিনি বললেনঃ ঐ ব্যক্তির এক অথবা দুই তালাক দেয়ার অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে বরং অন্য হায়েয আসা পর্যন্ত তাকে রাখবে, সে পাক হলে তাকে সহবাসের পূর্বে তালাক দেবে; আর যদি সে তিন তালাক একত্রে দিয়ে থাকে, তবে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে যে আদেশ করেছেন, সে তা আমান্য করলো। [তাহক্বীকঃ সহীহ।] ________________________________________ ৩৫৬২. ইউসুফ ইবন ঈসা মারওয়ায়ী (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হয়েয অবস্থায় তালাক দেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলে তিনি তাকে ফিরিয়ে নেন। [তাহক্বীকঃ সহীহ।] ________________________________________ ৩৫৬৩. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... ইবন তাউস (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি শুনেছেন, আবদুল্লাহ ইবন উমরকে ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলো, যে তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছিল। তিনি বললেনঃ তুমি কি আবদুল্লাহ ইবন উমরকে চিন? সে বললোঃ হ্যা। তিনি বললেনঃ তিনি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেন, পরে উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে এ সংবাদ দিলে তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে আদেশ করেন, পাক হওয়া পর্যন্ত । রাবী বলেনঃ এর অধিক বর্ণনা করতে আমি তাকে শুনিনি। [তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১৩০।] ________________________________________ ৩৫৬৪. আবদ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) সূত্রে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসা (রাঃ)-কে তালাক দেন, পরে তিনি তাঁকে ফিরিয়ে নেন। আল্লাহ্ সম্যক অবগত। [তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০১৬।] ________________________________________ পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯২. উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ সারাখসী (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী ছিল ঋতুমতী। তখন উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর সমাধান চাইলেন। তিনি বললেন, আবদুল্লাহ তার স্ত্রীকে ঋতুমতী অবস্থায় তালাক দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আবদুল্লাহকে বলে দাও সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয় এবং হায়য থেকে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাকে দূরে রাখে। এরপর সে আবার ঋতুমতী হয়ে যখন পবিত্র হবে, তখন সে যদি ইচ্ছা করে তবে তার সাথে সহবাস করার পূর্বেই তাকে তালাক দেবে, আর যদি সে ইচ্ছা করে তাহলে তাকে রেখে দেবে। এটাই তার ঐ ইদ্দত, যে অনুযায়ী আল্লাহ্ তা'আলা আদেশ করেছেন, স্ত্রীদের তালাকের ব্যাপারে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০১৯, ইরওয়া ২০৫৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৩ | 3393 | ۳۳۹۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯৩. মুহাম্মাদ ইবন সালামা (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়। তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তাকে বল, যেন তাকে ফিরিয়ে নেয় এবং পাক হওয়া পর্যন্ত তাকে দূরে রাখে। পরে হায়যের পর পাক হলে যদি সে ইচ্ছা করে তাকে রাখবে, আর যদি ইচ্ছা করে তালাক দেবে-স্পর্শ করার পূর্বে। ইহাই ঐ ইদ্দত, যে অনুযায়ী আল্লাহ্ তা'আলা স্ত্রীদের তালাকের ব্যাপারে আদেশ করেছেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৪ | 3394 | ۳۳۹٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯৪. কাছীর ইবন উবায়দ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবিত থাকাকালে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম হায়য অবস্থায়। উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এই ঘটনা বললেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হয়ে বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। এরপর এক হায়য হওয়া পর্যন্ত তার থেকে দূরে থাকবে এবং যতক্ষণ না সে পবিত্র হবে। এরপর সে যদি তাকে তালাক দিতে চায়, তাহলে তার পাক অবস্থায় তাকে তালাক দেবে-সহবাস করার পূর্বে। এই তালাক হলো ইদ্দতের অনুযায়ী, যেমন আল্লাহ্ তা'আলা নাযিল করেছেন। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলেন, আমি তাকে ফিরিয়ে আনলাম; আর আমি তাকে যে তালাক দিয়েছিলাম, তাকে এক তালাক হিসাবে গণ্য করলাম। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১২৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৫ | 3395 | ۳۳۹۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯৫. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... ইবন জুরায়জ (রহঃ) বলেন, আমাকে আবু যুবায়র সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি আবদুর রহমান ইবন আয়মন (রহঃ)-কে ইবন উমরের নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছেন, আর তখন আবু যুবায়র (রাঃ) শোনেন। কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিলে আপনি তা কিরূপ মনে করেন? তিনি তাকে বললেনঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) তাঁর স্ত্রীকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে হায়য অবস্থায় তালাক দিলে উমর (রাঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। এ কথা বলে তিনি আমার দেওয়া তালাক ফিরিয়ে রদ করলেন। তিনি বললেনঃ যখন সে পাক হবে, তখন ইচ্ছা হলে তাকে তালাক দেবে; আর না হয় তাকে রেখে দেবে। ইবন উমর (রাঃ) বলেনঃ এরপর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمْ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১২৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইবনু জুরায়জ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৬ | 3396 | ۳۳۹٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সময় সম্পর্কে ৩৩৯৬. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে আল্লাহ্ তা'আলার বাণী (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمْ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ) সম্পর্কে বর্ণিত যে, এর অর্থ ইদ্দতের পূর্বে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২০৫৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৭ | 3397 | ۳۳۹۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২. সুন্নত তালাক ৩৩৯৭. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ সুন্নত তালাক হলো, যে পাক অবস্থায় সহবাস করা হয়নি। তাতে এক তালাক দেওয়া। এরপর যখন হায়য় হওয়ার পর পাক হয়, তখন তাকে আর এক তালাক দেওয়া। এরপর যখন সে আবার হয়েয থেকে পাক হয়, তখন আরো এক তালাক দেওয়া, এরপর সে এক হায়েয পর্যন্ত ইদ্দত পালন করবে। আ'মাশ (রহঃ) বলেন, আমি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি এরূপ বললেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২০৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৮ | 3398 | ۳۳۹۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২. সুন্নত তালাক ৩৩৯৮. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুন্নত তালাক হলো স্ত্রীকে সহবাস ব্যতীত পাক অবস্থায় এক তালাক দেওয়া। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২০৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৩৯৯ | 3399 | ۳۳۹۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. হায়েয অবস্থায় এক তালাক দিলে এর হুকুম কি? ৩৩৯৯. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাঁহার স্ত্রীকে হয়েয অবস্থায় এক তালাক দেন। তখন উমর (রাঃ) গিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ সংবাদ দিলে তিনি তাকে বললেন, আবদুল্লাহকে বল, সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে, এবং যখন সে গোসল করবে, তখন তাকে অন্য হয়েয পর্যন্ত সহবাস করবে না, যখন অন্য হায়েয হতে গোসল করবে, তখন তাকে তালাক দেওয়ার আগে স্পর্শ করবে না। যদি তাকে রাখতে চায়, তবে রেখে দেবে। ইহাই সেই ইদ্দত- আল্লাহ পাক যার আদেশ করেছেন যে, স্ত্রীদেরকে ইদ্দতে তালাক দেবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০০ | 3400 | ۳٤۰۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. হায়েয অবস্থায় এক তালাক দিলে এর হুকুম কি? ৩৪০০. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলেন, এই খবর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন, তাকে বল, সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়; এরপর তাকে তালাক দেয় পাক অবস্থায় অথবা গর্ভাবস্থায়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১২৬–১২৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০১ | 3401 | ۳٤۰۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. ইদ্দত ব্যতীত তালাক ৩৪০১. যিয়াদ ইবন আইয়ুব (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার নিকট ফিরিয়ে দেন। পরে তিনি তাকে পাক-পবিত্র অবস্থায় তালাক দেন। পরিচ্ছদঃ ৫. ইদ্দত ব্যতীত তালাক দিলে এর হুকুম কি? ৩৪০২. কুতায়বা (রহঃ) ... ইউনুস ইবন জুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-কে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, যে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। তখন তিনি বলেনঃ তুমি কি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-কে চিন? তিনি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেন, তখন উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে আদেশ করলেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়। এরপর তার ইদ্দতের অপেক্ষা করবে। তখন তাকে আমি বললামঃ এই তালাকের জন্যই কি ইদ্দত পালন করবে? তিনি বললেনঃ আস, যদি সে ফিরিয়ে না নেয় এবং মুর্খতার পরিচয় দেয়, তাহলে কি সে তালাক গণ্য হবে না? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইউনুস ইবন জুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৩ | 3403 | ۳٤۰۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫. ইদ্দত ব্যতীত তালাক দিলে এর হুকুম কি? ৩৪০৩. ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... ইউনুস (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-কে বললাম; এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি আবদুল্লাহ ইবন উমর কে চিন, সে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়। তখন উমর (রাঃ) তার এ বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য বাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে, তিনি তাকে এ নির্দেশ দেন যে, সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়; এরপর তার ইদ্দতের অপেক্ষা করে। আমি তাকে বললামঃ যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়, তখন এই তালাকের জন্যও কি তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে? তিনি বললেনঃ থাম, যদি সে ফিরিয়ে না নেয় এবং মূর্থিতার পরিচয় দেয়, তাহলে কি সে তালাক গণ্য হবে না? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইউনূস বিন উবাইদ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৪ | 3404 | ۳٤۰٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. একত্রে তিন তালাক ৩৪০৪. সুলায়মান ইবন দাউদ (রহঃ) ... ইবন মাখরামা (রহঃ) আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন তাঁর পিতা হতে, তিনি বলেনঃ আমি মাহমুদ ইবন লবীদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এক ব্যক্তি সম্বন্ধে সংবাদ দেওয়া হলো, সে তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক দিয়েছে। এ কথা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে বললেনঃ সে কি আল্লাহর কিতাব নিয়ে খেলা করছে? অথচ আমি তোমাদের মাঝেই রয়েছি! তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কি তাকে হত্যা করবো না? ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। মিশকাত ৩২৯২। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইবন মাখরামা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৫ | 3405 | ۳٤۰۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. এতে অনুমতি ৩৪০৫. মুহাম্মদ ইবন সালাম (রহঃ) ... মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইবন শিহাব আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, সাহল ইবন সা'দ সাঈদী তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, উওয়াইমির আজলানী আসিম ইবন আদীর নিকট আগমন করলো এবং বললোঃ হে আসিম! তুমি কি মনে কর, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়, তাহলে সে কি তাকে হত্যা করবে? যদ্দরুন লোকেরাও তাকে হত্যা করবে অথবা কি করবে? হে আসিম! তুমি আমার পক্ষ হয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর। তখন আসিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রশ্নকারীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলেন এবং ঐ স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা শুনলেন, তা আসিম অতিশয় গুরুতর মনে করলো। আসিম ঘরে ফিরে আসলে উওয়াইমির (রাঃ) তার নিকট এসে বললোঃ হে আসিম ! রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বলেছেন? আসিম উওয়াইমির (রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি তো আমার নিকট ভাল খবর নিয়ে আসোনি, আমি যা জিজ্ঞাসা করেছি, তাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হয়েছেন। উওয়াইমির বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হবে না। এরপর উওয়াইমির লোকের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আগমন করে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে কী বলেন, যে তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে, ফলে আপনারাও তাকে হত্যা করবেন অথবা সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার এবং তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে ফয়সালা নাযিল হয়েছে। অতএব তুমি গিয়ে তাকে নিয়ে এসো। সাহল (রাঃ) বলেন, এরপর উভয়ে এসে লি আন’ করলো। আর তখন আমি অন্যান্য লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম। যখন উওয়াইমির লি'আন শেষ করলো। তখন সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমি তাকে রাখি, তাহলে লোকেরা বলবে, আমি তার উপর মিথ্যা তোহমাত লাগিয়ে ছিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ করার পূর্বেই সে তাকে তিন তালাক দিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৬৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৬ | 3406 | ۳٤۰٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. এতে অনুমতি ৩৪০৬. আহমদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... শা'বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমি আলে খালিদের কন্যা। আর আমার স্বামী অমুক আমার নিকট তালাকের খবর পাঠিয়েছে। আমি তার অভিভাবকের নিকট খোরপোষ এবং বাসস্থান চাইলে তারা তা আমাকে দিতে অস্বীকার করেছে। ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তারা বললোঃ সে তার নিকট তিন তালাকের খবর পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খোরপোষ এবং বাসস্থান স্ত্রীর জন্য ঐ সময় দেওয়া হবে যখন তাকে ফিরিয়ে আনার অধিকার স্বামীর থাকে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহাহ ১৭১১, সহীহ জামে' আস-সগীর ২৩৩৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ শা‘বী (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৭ | 3407 | ۳٤۰۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. এতে অনুমতি ৩৪০৭. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন তালাকপ্ৰাপ্ত নারীর জন্য কোন খোরপোষ ও বাসস্থান নেই। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩৫–২০৩৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৮ | 3408 | ۳٤۰۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. এতে অনুমতি ৩৪০৮. আমর ইবন উসমান (রহঃ) ... আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কাছে ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আবু আমর ইবন হাফস মাখযুমী তাকে তিন তালাক দিলে খালিদ ইবন ওয়ালীদ বনী মাখযুমের সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু আমর ইবন হাফস (রাঃ) ফাতিমাকে তিন তালাক দিয়েছে, এখন কি সে খোরপোষ পাবে? তখন তিনি বললেনঃ তার জন্য কোন খোরপোষ এবং বাসস্থান নেই। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪০৯ | 3409 | ۳٤۰۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৮. স্বামী-স্ত্রীর সংগত হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন সময়ে তিন তালাক দিলে ৩৪০৯. আবু দাউদ সুলায়মান ইবন সায়ফ (রহঃ) ... ইবন তাউস (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন। আবু সাহবা ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট এসে বললোঃ হে ইবন আব্বাস! আপনি কি জানেন না, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এবং আবু বকর ও উমর (রাঃ)-এর প্রথম যুগে তিন তালাককে এক তালাক ধরা হতো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১২২, সহীহ আবু দাউদ ১৯১০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবন তাউস (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১০ | 3410 | ۳٤۱۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. সংগত হওয়ার পূর্বে তালাক ৩৪১০. মুহাম্মদ ইবন 'আলা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলো যে তার স্ত্রীকে তালাক দিলে সে অন্য স্বামী গ্ৰহণ করলো। সে স্বামী তার সাথে নির্জনবাস করলো। এরপর সে তাকে তালাক দিল সহবাসের পূর্বে, সে কি প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না; যতক্ষণ না দ্বিতীয় স্বামী তার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে, আর সেও তার স্বাদ গ্ৰহণ করবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১১ | 3411 | ۳٤۱۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৯. সংগত হওয়ার পূর্বে তালাক ৩৪১১. আব্দুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্দুল হাকম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রিফা'আ' কুরাযীর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আবদুর রহমান ইবন যুবায়রকে বিবাহ করেছি। আল্লাহর কসম তার নিকট আমার এই কাপড় খণ্ডের মত ব্যতীত আর কিছু নেই। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মনে হয় তুমি আবার রিফা'আর নিকট ফিরে যেতে চাও, তা হতে পারে না, যতক্ষণ না তুমি তার মধুর স্বাদ গ্ৰহণ কর, আর সে তোমার মধুর স্বাদ গ্রহণ করে। পরিচ্ছদঃ ১০. নিশ্চিত তালাক ৩৪১২. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রিফাআ কুরাযীর স্ত্রী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলেন, তখন আবু বকর (রাঃ) তাঁর নিকট ছিলেন। সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি রিফাআ কুরাযীর বিবাহাধীনে ছিলাম, সে আমাকে 'আলবাত্তা' অর্থাৎ তিন তালাক দেয়। এরপর আমি আবদুর রহমান ইবন যুবায়রকে বিবাহ করি। আর আল্লাহর কসম! ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই কাপড়ের প্রান্ত ভাগের ন্যায় ব্যতীত তার নিকট কিছু নেই। এই বলে সে তার চাদরের অগ্রভাগ তুলে ধরে। তখন খালিদ ইবন সাঈদ ছিল দরজায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামন তাকে অনুমতি না দিয়ে বললেনঃ হে আবু বকর! তুমি কি শুনছ না, এই মহিলা জোরে জোরে সশব্দে যা বলছে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে! এরপর তিনি বললেনঃ তুমি কি আবার রিফা'আর নিকট প্রত্যাবর্তন করতে চাও? তা হতে পারে না, যতক্ষণ না তুমি তার মধু পান কর আর সে তোমার মধু পান করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৩ | 3413 | ۳٤۱۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১১. “তোমার ব্যাপার তোমার হাতে” বলে তালাক দেয়া ৩৪১৩. আলী ইবন নসর ইবন আলী (রহঃ) ... হাম্মাদ ইবন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আইয়ূব (রাঃ)-কে বললাম, তুমি কি কাউকেও (أَمْرِكِ بِيَدِكِ) অৰ্থাৎ "তোমরা ব্যাপার তোমার হাতে" বলায় তাতে তিনি তালাক বলতে শুনেছ- হাসান ব্যতীত? তিনি বললেনঃ না। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহু ক্ষমা কর। কাতাদা আবু সালাম (রাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, এরূপ বললে- তিন তালাক হয়ে যাবে। এরপর আমি কাছীর (রহঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি তাকে চিনতে পারলেন না। এরপর আমি কাতাদা (রহঃ)-এর নিকট ফিরে আসলাম এবং তাকে এ সংবাদ দিলাম। তিনি বললেনঃ সে ভুলে গেছে। আবু আবদুর রহমান বলেন, এটা মুনকার হাদীস। ________________________________________ তাহক্বীকঃ মারফু’ হিসেবে হাদিসটি যয়ীফ কিন্তু হাসান বসরী (রহঃ) এর কথা হিসেবে হাদিসটি সহীহ। তিরমিযী ১১৯৪। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হাম্মাদ ইবনু যাইদ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৪ | 3414 | ۳٤۱٤ • বাংলা • العربية ৩৪১৪.* ________________________________________ * এই নাম্বারের কোন হাদিস ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বইতে পাওয়া যায় নি। সকল হাদিস ঠিক আছে, শুধু এই নাম্বারটা বাদ পড়েছে। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৫ | 3415 | ۳٤۱۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৫. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রিফা'আর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে বললো, আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দেয়। এরপর আমি আবদুর রহমান ইবন যুবায়র (রাঃ)-কে বিবাহ করি। কিন্তু তার নিকট কাপড়ের আঁচলের মত ব্যতীত কিছু নেই। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে বললেনঃ মনে হয় তুমি রিফা'আর নিকট ফিরে যেতে চাও। না, তা হয় না; যতক্ষণ না সে তোমার স্বাদ গ্ৰহণ করে আর তুমি তার স্বাদ গ্ৰহণ কর। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৬ | 3416 | ۳٤۱٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৬. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিল। এরপর সে অন্য স্বামী গ্ৰহণ করলো, কিন্তু সে তাকে স্পর্শ করার (সংগত হওয়ার) পূর্বেই তালাক দিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হলোঃ সে কি প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে ? তিনি বললেন, না। হালাল হবে না, যতক্ষন দ্বিতীয় স্বামী তার স্বাদ গ্রহণ করে। যেমন প্রথম স্বামী স্বাদ গ্ৰহণ করেছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৭ | 3417 | ۳٤۱۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৭. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, গুমায়সা অথবা রুমায়সা নাম্নী এক মহিলা তার স্বামী সম্বন্ধে অভিযোগ নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলো যে, সে তার নিকট আসে না। অল্পক্ষণ পরেই তার স্বামী আসলো এবং বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সে মিথ্যুক। আমি তার নিকট যেয়ে থাকি, কিন্তু সে তার প্রথম স্বামীর নিকট ফিরে যেতে চায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা হতে পারে না, যতক্ষণ না তুমি তার মধুর স্বাদ গ্ৰহণ কর। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/৩০০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৮ | 3418 | ۳٤۱۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৮. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, সে তার স্ত্রীকে তালাক দিল। এরপর তাকে অন্য এক ব্যক্তি বিবাহ করলো এবং সে তার সাথে সহবাস করার পূর্বে তাকে তালাক দিল। সে কি তার প্রথম স্বামীর নিকট ফিরে যেতে পারবে? তিনি বললেনঃ না, যতক্ষণ না সে স্বামী তার স্বাদ গ্রহণ করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ১৯৩৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪১৯ | 3419 | ۳٤۱۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. তিন তালাক প্রাপ্তাকে হালাল করা প্রসংগে ৩৪১৯. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিল। পরে অন্য এক ব্যক্তি তাকে বিবাহ করলো। সে দরজা বন্ধ করে পর্দা ঝুলিয়ে দিল। এরপর তার সাথে সহবাস করার পূর্বে তাকে তালাক দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে না। যতক্ষণ না দ্বিতীয় স্বামী তার সাথে সহবাস করে। ইমাম আবু আবদুর রহমান নাসাঈ (রহঃ) বলেনঃ হাদীসটি অধিক সঠিক। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২০ | 3420 | ۳٤۲۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৩. তিন তালাকপ্রাপ্ত নারীকে হালাল করা ৩৪২০. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন সে সব নারীদের, যারা উল্কি আঁকায় এবং উল্কি আঁকার জন্য নির্দেশ দেয়। আর যে নারী নিজের চুলের সাথে অন্যের চুল মিলায় এবং যে নারী এরূপ করার আদেশ করে। আর যে সুদ খায় এবং সুদ খাওয়ায়, আর যে হালাল করে এবং যার জন্য হালাল করা হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ১৮৯৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২১ | 3421 | ۳٤۲۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৪. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে সামনা-সামনি তালাক দেওয়া ৩৪২১. হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ কিলাবিয়া গোত্রের মহিলাটি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ আমি আল্লাহর নিকট আপনার থেকে পানাহ চাই। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি এক মহান সত্তার আশ্রয় গ্রহণ করেছ। তুমি তোমার পরিজনের সাথে মিলিত হও। পরিচ্ছদঃ ১৫. স্ত্রীর নিকট পুরুষের তালাক পাঠান ৩৪২২. উবায়দুল্লাহ ইবন সায়ীদ (রহঃ) ... আবু জাহম পুত্র আবু বকর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাতিমা বিনতে কায়সকে বলতে শুনেছি, আমার স্বামী আমার নিকট তালাক প্রেরণ করলে আমি আমার কাপড় পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলাম। তিনি বললেনঃ তোমাকে কয় তালাক দিয়েছে? আমি বললামঃ তিন তালাক। তিনি বললেনঃ তোমার জন্য কোন খোরপোেষ নেই। তুমি তোমার চাচাত ভাই ইবন উম্মে মাকতুমের গৃহে ইদ্দত পালন কর। কেননা সে অন্ধ। তুমি তার সামনে তোমার কাপড় খুলতে পারবে। আর যখন তোমার ইদ্দত পূর্ণ হবে, তখন আমাকে সংবাদ দেবে। এ হাদীস এখানে সংক্ষেপে বৰ্ণিত হয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৬/২০৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৩ | 3423 | ۳٤۲۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৫. স্ত্রীর নিকট পুরুষের তালাক পাঠান ৩৪২৩. উবায়দুল্লাহ ইবন সায়ীদ (রহঃ) ... ফাতিমা (রাঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ________________________________________ হাদিসের মানঃ তাহকীক পাওয়া যায়নি পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৪ | 3424 | ۳٤۲٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৬. (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) উক্ত আয়াতের তাফসীর। ৩৪২৪. আবদুল্লাহ ইবন আব্দুস সামাদ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার নিকট এক ব্যক্তি এসে বললোঃ আমি আমার স্ত্রীকে আমার উপর হারাম করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি মিথ্যা বলছো। সে তোমার উপর হারাম নয়। এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ عَلَيْكَ) তোমার উপর দাসমুক্ত করার ন্যায় কঠিন কাফফার ওয়াজিব হয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। ইরওয়া ২০৮৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৫ | 3425 | ۳٤۲۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৭. এই আয়াতের অন্য ব্যাখ্যা ৩৪২৫. কুতায়বা (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি উবায়দ ইবন উমোয়র (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়নাব (রাঃ) এর নিকট অবস্থান করতেন এবং তাঁর নিকট মধু পান করতেন। আমি এবং হাফসা (রাঃ) পরামর্শ করলাম, আমাদের মধ্যে যার নিকটই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেন, সে যেন বলেঃ আমি আপনার থেকে মাগাফির-এর গন্ধ পাচ্ছি। এরপর তিনি তাদের একজনের নিকট আগমন করলে, তিনি তাকে তা বললেন। তখন তিনি বললেনঃ বরং আমি তো যায়নবের নিকট মধু পান করেছি। তিনি আরও বললেনঃ আমি আর পুনরায় তা পান করবো না। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) আর আয়েশা এবং হাফসা (রাঃ) সম্বন্ধে নাযিল হয়ঃ (إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ) আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উক্তিঃ বরং আমি মধু পান করেছি। এর জন্য (وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا) আয়াত নাযিল হয়। এর সমস্তই আতা (রহঃ)-এর হাদীসে রয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আতা ইবনু আবী রাবাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৬ | 3426 | ۳٤۲٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪২৬. মুহাম্মদ ইবন হাতিম (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন কা'ব ইবন মালিক (রাঃ) বলেনঃ আমি কা'ব ইবন মালিককে তার কথা বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি যখন তাবুক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে অংশ গ্ৰহণ করা থেকে বিরত রইলেন। তাতে তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত এসে আমাকে বললোঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে আদেশ করেছেন যে, আপনি যেন আপনার স্ত্রী থেকে দূরে থাকেন। তখন আমি বললামঃ আমি তাকে তালাক দেব, না কি করবো। তিনি বললেনঃ না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললামঃ তুমি তোমার পরিবারের নিকট যাও, তাদের নিকট থাকে, যতক্ষণ না আল্লাহর পক্ষ হতে এ ব্যাপারে কোন ফয়সালা আল্লাহ তা'আলা করে দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯১২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৭ | 3427 | ۳٤۲۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪২৭. মুহাম্মদ ইবন জাবালা এবং মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন কা'ব ইবন মালিক তাঁর পিতা হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কা'ব ইবন মালিককে বলতে শুনেছিঃ তিনি ঐ তিন ব্যক্তির একজন, যার গুনাহ ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এবং আমার অন্য দুই সাথীর নিকট সংবাদ পাঠান যে, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক। তখন আমি ঐ দূতকে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমি কি আমার স্ত্রীকে তালাক দেব, না কি করবো? তিনি বললেনঃ না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললামঃ তুমি তোমার পরিবারের লোকদের নিকট যাও এবং তাদের সাথে থাক। তখন সে তাদের নিকট চলে যায়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৮ | 3428 | ۳٤۲۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪২৮. ইউসূফ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... ইবন শিহাব (রহঃ) বলেন, আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন কা'ব ইবন মালিক আমাকে সংবাদ দিয়েছেন, আবদুল্লাহ ইবন কা'ব বলেছেনঃ আমি ক’ব (রাঃ)-কে তার ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি, যখন তিনি তাবুক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যোগদান করা থেকে বিরত থাকেন, এতে তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত আমার নিকট এসে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে আপনার স্ত্রী হতে দূরে থাকতে আদেশ করেছেন। তখন আমি জিজ্ঞাসা করিঃ আমি কি তাকে (স্ত্রীকে) তালাক দেব, না কি করবো? তিনি বলেন, না, বরং আপনি তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। আমার দুই সাথীর নিকটও এই সংবাদ পাঠানো হয়। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলিঃ তুমি তোমার পরিবারে গিয়ে তাদের সাথে থাক। যতক্ষণ না আল্লাহ্ তা'আলা এ ব্যাপারে কোন ফয়সালা করে দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইবনু শিহাব আয-যুহরী (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪২৯ | 3429 | ۳٤۲۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪২৯. মুহাম্মাদ ইবন মা'দান ইবন ঈসা (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবন কা'ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কা'বকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এবং আমার দুই সাথীর নিকট এই বলে দূত পাঠালেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাদেরকে আপনাদের বিবিগণ হতে দূরে থাকতে আদেশ করেছেন। তখন আমি দূতকে বললাম, আমার স্ত্রীকে তালাক দেব, না কি করবো? তিনি বললেনঃ না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন। তার কাছে যাবেন না। তখন আমার স্ত্রীকে বললামঃ তুমি তোমার পরিবারস্থ লোকদের নিকট গিয়ে তাদের সাথে থাক। যতদিন আল্লাহ তা'আলা এ ব্যাপারে কোন ফয়সালা করে দেন। তখন সে তাদের নিকট চলে গেল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উবায়দুল্লাহ ইবন কা'ব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩০ | 3430 | ۳٤۳۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না ৩৪৩০. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন কা'ব ইবন মালিক তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত আমার নিকট এসে আমাকে বললেন, আপনি আপনার স্ত্রী হতে দূরে থাকুন। তখন আমি বললাম, আমি কি তাকে তালাক দেব? তিনি বললেন, না, কিন্তু তার কাছে যাবেন না। এতে তিনি “তুমি তোমার পরিবারের সাথে গিয়ে থাক” উল্লেখ করেন নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩১ | 3431 | ۳٤۳۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১৯. ক্রীতদাসের তালাক ৩৪৩১. আমার আলী (রহঃ) ... উমর ইবন মুআত্তিব (রহঃ) বলেন, বনী মওফলের গোলাম আবু হাসান তাকে সংবাদ দিয়েছেন, তিনি বলেছেনঃ আমি এবং আমার স্ত্রী উভয়ে ছিলাম ক্রীতদাস, এমতাবস্থায় আমি তাকে দুই তালাক দিলাম। এরপর আমরা উভয়ে মুক্ত হলাম। আমি ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, যদি তুমি তাকে ফিরিয়ে নাও, তবে সে তোমার নিকট এক তালাকের উপর থাকবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ ফয়সালা করেছেন। পরিচ্ছদঃ ১৯. ক্রীতদাসের তালাক ৩৪৩২. মুহাম্মদ ইবন রাফে' (রহঃ) ... মুআত্তিব (রহঃ) বনী নওফলের ক্রীতদাস আবু হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে ক্রীতদাস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলো যে, সে তার স্ত্রীকে দুই তালাক দিয়েছে। এরপর তাদের উভয়কে মুক্ত করা হয়েছে। সে কি তাকে আবার বিবাহ করতে পারবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। বলা হলো কিরূপে? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ ফয়সালা দিয়াছেন। আবদুর রাযযাক (রহঃ) বলেন, ইবন মুবারক মা’মার (রহঃ)-কে বলেনঃ এই আবু হাসান কে? সে তো নিজের উপর বড় পাথর তুলে নিল, অর্থাৎ এ বর্ণনা যদি সঠিক না হয়, তাহলে অসংখ্য অবৈধ বিবাহের পাপের বোঝা তার উপর বর্তবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উমর ইবন মুআত্তিব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৩ | 3433 | ۳٤۳۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২০. নাবালেগের তালাক ৩৪৩৩. রবী' ইবন সুলায়মান (রহঃ) ... কাছীর ইবন সায়েব (রহঃ) বলেন, কুরাইযার ছেলেরা আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, বনী কুরাইযার যুদ্ধে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পেশ করা হলে তাদের মধ্যে যে বালিগ হয়েছে এবং যার নাভীর নীচের পশম গজিয়েছে, তাদেরকে হত্যা করা হলো এবং যে বালিগ হয়নি এবং তাদের নাভীর নীচের পশমও গজায়নি, তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ কাছীর ইবন সায়েব (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৪ | 3434 | ۳٤۳٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২০. নাবালেগের তালাক ৩৪৩৪. মুহাম্মদ ইবন মানসূর (রহঃ) ... আতিয়্যা কুরাযী (রাঃ) বলেন, বনী কুরাইযার ব্যাপারে সা'দ (রাঃ) এর বিচারক নিযুক্ত হওয়ার দিন আমি ছিলাম একজন বালক। তখন তারা আমার ব্যাপারে সন্দেহ করলো। তখন তারা আমার নাভীর নীচের পশম গজানো দেখলে না, তাই আমি রেহাই পেলাম। আমি সেই বালক, এখন তোমাদের মধ্যে রয়েছি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৫৪১, মিশকাত ৩৯৭৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আতিয়্যা কুরাযী (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৫ | 3435 | ۳٤۳۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২০. নাবালেগের তালাক ৩৪৩৫. উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) বলেন, উহুদের যুদ্ধের দিন তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পেশ করা হলে, তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন না, তখন তিনি ছিলেন ১৪ বছর বয়সের। আর পরিখার যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল পনের বছর, তখন তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৫৪৩, ইরওয়া ১১৮৬। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৬ | 3436 | ۳٤۳٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২১. যার তালাক কার্যকর হবে না ৩৪৩৬. ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন প্রকার ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। ১. নিদ্ৰিত ব্যক্তি, যাবত না সে জাগ্রত হয়। ২. নাবিলেগ, যতক্ষণ না সে বলেগ হয়, এবং ৩ উন্মাদ, যাবত না সে জ্ঞান ফিরে পায়, অথবা সে রোগমুক্ত হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৪১, ইরওয়া ২৯৭, সহীহুল জামে’ ৩৫১৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৭ | 3437 | ۳٤۳۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২২. মনে মনে তালাক দেওয়া ৩৪৩৭. ইবরাহীম ইবন হাসান ও আব্দুর রহমান ইবন মুহাম্মদ ইবন সাল্লাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয়, আল্লাহ তা’আলা তা ক্ষমা করে দেবেন, যতক্ষণ না সে তা করে অথবা বলে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ২০৪০, ইরওয়া ২০৬২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৮ | 3438 | ۳٤۳۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২২. মনে মনে তালাক দেওয়া ৩৪৩৮. উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয় বা খটকা লাগে, আল্লাহ্ তাআলা তা ক্ষমা করে দেবেন, যতক্ষণ না সে তা করে অথবা বলে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৯ | 3439 | ۳٤۳۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২২. মনে মনে তালাক দেওয়া ৩৪৩৯. মূসা ইবন আব্দুর রহমান (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেবেন আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয়, যতক্ষণ না সে তা বলে, অথবা তা করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪০ | 3440 | ۳٤٤۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৩. ইঙ্গিতে তালাক ৩৪৪০. আবু বকর ইবন নাফে' (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন পারশিক প্রতিবেশী ছিল, যে উত্তমরূপে সুরুয়া পাকাতে পারতো। সে একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর থেদমতে আগমন করলো, তখন তাঁর নিকট আয়েশা (রাঃ) ছিলেন, তখন সে তার দিকে হাতের ইশারায় প্রবেশের ইচ্ছা প্রকাশ করলো। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইঙ্গিত করলেন আয়েশা (রাঃ)-এর দিকে অর্থাৎ তিনি রয়েছেন। তখন অন্য একজন তাঁর দিকে হাতে দুই কি তিনবার ইঙ্গিত করলে যে, না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪১ | 3441 | ۳٤٤۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৪. কথা বলে, তার একটি অর্থ উদ্দেশ্য করা ৩৪৪১. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... আলকামা ইবন ওক্কাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের সকল কাজের ফলাফল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যাক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়ত করে। অতএব যার হিজরত আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের দিকে হয়, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকেই হবে। আর যদি কারো হিজরতের উদ্দেশ্য দুনিয়া উপাৰ্জন করা হয়, অথবা কোন রমণীকে বিবাহ করা হয়, তাহলে তার হিজরত হবে যার জন্য সে হিজরত করেছে। পরিচ্ছদঃ ২৫. কোন কথা বলে, এর বাহ্যিক অর্থ না নেয়া ৩৪৪২. ইমরান ইবন বাককার (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দেখ, আল্লাহ তা'আলা কিরূপে আমার থেকে কুরাইশের গালি ও অভিসম্পাত দূর করেছেন। তারা তো গালি দিতেছে মুযাম্মাম বলে, এবং অভিসম্পাত দিতেছে মুযাম্মাম বলে, অথচ আমি হলাম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৩ | 3443 | ۳٤٤۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৬. মত প্রকাশের জন্য সময় দেয়া ৩৪৪৩. ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) বলেছেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আদেশ করা হলো, তাঁর স্ত্রীদেরকে এখতিয়ার দিতে, তখন তিনি আমার থেকে আরম্ভ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমার নিকট একটি কথা বলবো, তুমি এ ব্যাপারে তাড়াহুড়া না করে তোমার মাতাপিতার সাথে পরামর্শ করে উত্তর দেবে। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ তিনি জানতেন, আমার মাতা-পিতা কখনও আমাকে আদেশ করবেন না তার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে। তিনি বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত পাঠ করেনঃ "হে নবী! আপনি আপনার ভার্যগণকে বলে দিন, যদি তোমরা পার্থিব জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ কামনা কর, ইত্যাদি"। তখন আমি বললামঃ এ ব্যাপারে আমি আমার মাতাপিতার কি অনুমতি গ্ৰহণ করবো? আমি আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল এবং পরকালকে গ্ৰহণ করবো। আয়েশা (রাঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যান্য স্ত্রীগণ আমি যা করি তারাও তা-ই করলেন। আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁদেরকে বললেন, আর তারা তাকেই গ্রহণ করলেন, তখন তা তালাক হয়নি তাকে গ্রহণ করার দরুন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৪ | 3444 | ۳٤٤٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৬. মত প্রকাশের জন্য সময় দেয়া ৩৪৪৪. মুহাম্মাদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখন (إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ) নাযিল হয়, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট উপস্থিত হয়ে আমাকেই প্রথম বলেন, হে আয়েশা! আমি তোমার নিকট একটি কথা বলবো, তুমি তাতে তাড়াহুড়া না করে বরং তোমার মাতাপিতার সাথে পরামর্শ করে উত্তর দেবে। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন, আমার মাতাপিতা কখনও আমাকে তঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আদেশ করবেন না। তিনি এরপরও আমার নিকট এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا) তখন আমি বললামঃ এ ব্যাপারে কি আমি আমার মাতাপিতাকে জিজ্ঞাসা করবো? আমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকেই গ্রহণ করছি। আবু আব্দুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ এই রেওয়ায়ত ভুল, বরং প্রথম বৰ্ণনাই সঠিক। আল্লাহ সম্যক অবগত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৫ | 3445 | ۳٤٤۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৫. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার প্রদান করলে আমরা তাকেই গ্ৰহণ করলাম। তাতে কি তালাক হয়েছিল? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৫২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৬ | 3446 | ۳٤٤٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৬. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীদেরকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন, তাতে তালাক হয়নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৭ | 3447 | ۳٤٤۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৭. মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণকে ইখতিয়ার দিলে তাতে তালাক হয়নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৮ | 3448 | ۳٤٤۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৮. মুহাম্মাদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন, তাতে কি তালাক হয়েছিল? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪৯ | 3449 | ۳٤٤۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৪৯. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ যয়ীফ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ইখতিয়ার প্রদান করলে আমরা তাঁকেই গ্রহণ করলাম, তাতে আমাদের উপর কিছুই আরোপিত হয়নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫০ | 3450 | ۳٤۵۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ইখতিয়ার প্রাপ্তা স্বামীকে গ্ৰহণ করে ৩৪৫০. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়েশা (রাঃ)-এর একজন দাস ও একজন দাসী ছিল। তিনি বলেন, আমি তাদেরকে আযাদ করার ইচ্ছা করলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা প্রকাশ করলাম। তিনি বললেনঃ দাসীর পূর্বে দাসকে আযাদ করা। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। ইবন মাজাহ ২৫৩২। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫১ | 3451 | ۳٤۵۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ২৯. দাসীর ইখতিয়ার ৩৪৫১. মুহাম্মদ ইবন সালামা (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাবীরা (রাঃ)-এর মধ্যে তিনটি সুন্নত ছিল। একটি এই যে, তাকে আযাদ করা হলে তার স্বামী সম্বন্ধে তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হয়, দুই, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে আযাদ করবে, মীরাস সেই পাবে। তিন. একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, ডোগে গোশত রান্না হচ্ছে তখন তাঁর সামনে রুটি এবং ঘরের তরকারী উপস্থিত করা হলে, তিনি বলেনঃ আমি কি ডোগে গোশত দেখিনি? তখন তারা বললেনঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ঐ গোশত বারীরাকে সাদকা দেওয়া হয়েছে, আর আপনি তো সাদকার বস্তু খান না। তখন রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ উহা তার জন্য তো সাদকা, কিন্তু তা আমাদের জন্য হাদিয়া। পরিচ্ছদঃ ২৯. দাসীর ইখতিয়ার ৩৪৫২. মুহাম্মদ ইবন আদম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, বারীরার মধ্যে তিনটি বিষয় ছিল, ১, তার মালিকগণ তাকে বিক্রি করার ইচ্ছা করলে এবং তাকে মীরাছ-এর শর্ত আরোপ করলে আমি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রকাশ করি। তিনি বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। কেননা, মীরাছ যে আযাদ করবে, সে-ই পাবে। ২. তাকে আযাদ করা হলে রাসূলুল্লাহ হয় তাকে (তার স্বামী) সম্বন্ধে ইখতিয়ার দিলে সে নিজকেই গ্রহণ করলো। ৩. তাকে সাদক দেওয়া হতো, আর সে তা থেকে আমাদের হাদিয়া দিত। আমি এ বিষয়টি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ তোমরা তা খেতে পার; কেননা, তাতো তার জন্য সাদাকা, আর আমাদের জন্য হাদিয়া। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৩ | 3453 | ۳٤۵۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩০. যে দাসী আযাদ হলো এবং তার স্বামী আগে থেকেই আযাদ তার ইখতিয়ার প্রসংগে ৩৪৫৩. কুতায়বা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ আমি বারীরাকে ক্রয় করলে তার মনিবরা তার মীলাছ দাবী করলো। আমি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এটি বর্ণনা করলে, তিনি বললেনঃ তুমি তাকে আযাদ করে দাও। কেননা, মীরাছ অভিভাবকত্ব যে মুক্ত করে, সে-ই পাবে। তখন আমি তাকে আযাদ করে দিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে তার স্বামী সম্বন্ধে তাকে ইখতিয়ার দিলে, তিনি বলেন, যদি সে এত এতও দান করে, তা হলেও আমি তার নিকট যাব না। সে নিজেকে গ্ৰহণ করলো, তখন তার স্বামী ছিল স্বাধীন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। তবে (وكان زوجها حرا) এ অংশটুকু শায। ইবন মাজাহ ২০৭৪, সহীহ জামে' আস-সগীর ৭১৫৯, ইরওয়া ১৩০৮, ১৬৯৪, ১৭২৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৪ | 3454 | ۳٤۵٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩০. যে দাসী আযাদ হলো এবং তার স্বামী আগে থেকেই আযাদ তার ইখতিয়ার প্রসংগে ৩৪৫৪. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বারীরাকে ক্রয় করতে মনস্থ করলে তার মনিবারা মীরাছের শর্ত আরোপ করে। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। কেননা, যে আযাদ করবে, মীরাছ সে-ই পাবে। তার নিকট কিছু গোশত আনা হলে, বলা হলোঃ ইহা ঐ গোশত, যা বারীরাকে সাদকারূপে দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেনঃ তা তার জন্য সাদক কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইখতিয়ার দেন। আর এ সময় তার স্বামী আযাদ ছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। তবে (وكان زوجها حرا) এ অংশটুকু শায। মাহফুয হল (أنه كان عبدا)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৫ | 3455 | ۳٤۵۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩১. যে দাসী আযাদ হয়েছে এবং তার স্বামী দাস, তার ইখতিয়ার সম্পর্কে ৩৪৫৫. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরা নিজের ব্যাপারে তার মালিকের কাছ থেকে দাসত্বের মুক্তি চুক্তি লিখিয়ে নেয় যে, সে নয় বছরে তার মালিককে নয় আউকিয়া প্রতি বছর এক উকিয়া করে আদায় করলে, সে তাকে মুক্ত করে দেবে। এরপর সে আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট সাহায্য প্রার্থ হয়ে আগমন করলে তিনি বলেন, না, তবে যদি তারা চায়, তাহলে আমি তাদেরকে একত্রে সব পাওনা আদায় করে দেব। আর মীরাছ হবে আমার জন্য। বাবীরা এরপর তার মালিকদের নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে তাদের সাথে আলোচনা করলে তারা তা মানলো না। তারা বললো, মীরাছ আমাদের থাকবে। তখন বারীরা (রাঃ) আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট এসে তার মালিক যা বলেছে, তা তাঁকে বললেন। ইত্যাবসরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেন। আয়েশা (রাঃ) বললেনঃ তা হয় না, মীরাছ আমারই থাকবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কি ব্যাপার? তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! বারীরা তার মালিকের দাসত্ব মুক্তির অর্থ আদায়ের ব্যাপারে আমার নিকট সাহায্য চাইলে, আমি বললামঃ না, তা হবে না, যদি তারা ইচ্ছা করে, তবে আমি একসঙ্গে তাদের পাওনা আদায় করে দেব, কিন্তু মীরাছ আমার থাকবে। সে তার মালিকের নিকট একথা বললে তারা তা মানতে অস্বীকার করে এবং বলে, মীরাছ আমাদের থাকবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে ক্রয় করে নাও তাদের জন্য মীরাছের শর্তে। কেননা, মীরাছ যে মুক্ত করবে তারই থাকবে। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে আল্লাহর হামদ ও প্রশংসা বর্ণনার পর বললেনঃ মানুষের কী হলো, তারা এমন এমন শর্ত করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। তারা বলেঃ অমুককে মুক্ত করে তার মীরাছ আমি পাব। আল্লাহর কিতাব অধিক সত্য। আল্লাহ্ তা'আলা যে শর্ত ঠিক করেছেন, তা খুবই মজবুত। আর যে শর্ত আল্লাহর কিতাবে নেই, তা বাতিল, অসত্য। যদিও তা একশত শর্তও হয়। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারীরা (রাঃ)-কে তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার প্রদান করেন, আর সে ছিল দাস। তখন সে নিজের স্বামীকে ছেড়ে দেয়। উরওয়া (রহঃ) বলেনঃ যদি তার স্বামী স্বাধীন হতো তাহলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইখতিয়ার দিতেন না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৫২১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৬ | 3456 | ۳٤۵٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩১. যে দাসী আযাদ হয়েছে এবং তার স্বামী দাস, তার ইখতিয়ার সম্পর্কে ৩৪৫৬. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরা (রাঃ)-এর স্বামী ছিল দাস। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৭ | 3457 | ۳٤۵۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩১. যে দাসী আযাদ হয়েছে এবং তার স্বামী দাস, তার ইখতিয়ার সম্পর্কে ৩৪৫৭. কাসিম ইবন যাকারিয়া ইবন দীনার (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কয়েকজন আনসারী হতে বারীরা (রাঃ)-কে ক্ৰয় করেন। তারা মীরাছের শর্ত আরোপ করে। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে আযাদ করে, সে-ই মীরাছের হকদার। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইখতিয়ার প্রদান করেন। আর তার স্বামী ছিল দাস। একদা বারীরা (রাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে গোশত হাদিয়া দিলে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আমার জন্য এর কিছু রেখে দিলে ভাল হতো। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ এ তো বারীরাকে সাদকা স্বরূপ দান করা হয়েছে। তখন তিনি বলেন, তা তার জন্য তো সাদকা কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। সহীহ আবু দাউদ ১৯৩৬, ইরওয়া ৬/২৭৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৮ | 3458 | ۳٤۵۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩১. যে দাসী আযাদ হয়েছে এবং তার স্বামী দাস, তার ইখতিয়ার সম্পর্কে ৩৪৫৮. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বারীরা (রাঃ)-এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। আমি বলিঃ আমার ইচ্ছা আমি বারীরা (রাঃ)-কে ক্রয় করি, আর তার মালিকের জন্য মীরাছের শর্ত করি। তিনি বলেন, তুমি তাকে ক্রয় কর। কেননা, যে মুক্ত করে মীরাছ তারই। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারীরাকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন তার স্বামীর ব্যাপারে, আর তার স্বামী ছিল দাস। এরপর রাবী বলেনঃ আমি জানি না, তিনি দাস না স্বাধীন। একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গোশত আনা হলে তার পরিবারস্থ লোক বললেনঃ ইহা কেহ বারীরাকে সাদকা দিয়েছে। তিনি বললেন, তা তার জন্য সাদকা ছিল, এখন তা আমাদের জন্য হাদিয়া। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। সহীহ আবু দাউদ ১৯৩৬, ইরওয়া ৬/২৭৪। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৫৯ | 3459 | ۳٤۵۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩২. ঈলা ৩৪৫৯. আহমদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাকাম বসরী (রহঃ) ... আবু যুহা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু ইয়াকুব (রহঃ) বলেনঃ আমরা তাঁর নিকট মাসের উল্লেখ করলে আমাদের কেউ বললোঃ মাস ত্রিশ দিনের হয়ে থাকে, আবার কেউ বললো, উনত্রিশ দিনের। এর মধ্যে আবু যুহা বললেনঃ ইবন আব্বাস (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। একদিন আমরা সকালে উঠে দেখলাম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণ ক্ৰন্দন করছেন এবং তাদের প্রত্যেকের নিকট তাদের পরিবারের লোক উপস্থিত রয়েছে। এরপর আমি মসজিদে গিয়ে দেখলাম, মসজিদ লোকে ভর্তি। তিনি বললেন, এরপর উমর (রাঃ) আসলেন, এবং উপরে উঠে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কক্ষে ছিলেন। উমর (রাঃ) তাকে সালাম করলেন, কিন্তু কেউ তাঁর সালামের জওয়াব দিলেন না। তিনি আবার সালাম করলেন, এবারও কেউ সালামের উত্তর দিলেন না। তিনি আবার সালাম করলেন, কিন্তু কেউ সালামের উত্তর দিলেন না। তিনি ফিরে এসে বিলাল (রাঃ)-কে ডাকলেন। বিলাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আপনি কি আপনার স্ত্রীগণকে তালাক দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ না। বরং আমি তাদের সাথে এক মাসের জন্য ঈলা করেছি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথায় উনত্রিশ দিন ছিলেন। এরপর তিনি সেখান থেকে অবতরণ করে তার স্ত্রীদের নিকট গমন করেন। ________________________________________ ঈলা - অর্থ কসম খাওয়া - শরীয়তের পরিভাষায় স্ত্রীর নিকট না যাওয়ার কসম খাওয়া। অর্থাৎ স্ত্রীর সাথে চারমাস দশ দিন বা বেশী দিনের জন্য সংগত না হওয়ার কসম করা। চারমাসের ভিতরে স্ত্রীর সাথে সংগত হলে কাফফারা দিতে হবে। চারমাস দশ দিনের মধ্যে সংগত না হলে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হবে। - তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবু যুহা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬০ | 3460 | ۳٤٦۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩২. ঈলা ৩৪৬০. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস বিবিদের নিকট না যাওয়ার কসম করলেন, এ সময় তিনি উনত্রিশ দিন প্রকোষ্ঠে অবস্থান করলেন। তারপর তিনি অবতরণ করলে লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি এক মাসের ঈলা করেন নি? তিনি বললেনঃ মাস উনত্রিশ দিনেরও হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬১ | 3461 | ۳٤٦۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৩. যিহার ৩৪৬১. হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলো, যে তার স্ত্রীর সাথে যিহার করেছিলো। আর কাফফারা আদায় করার পূর্বেই সে তার সাথে সহবাস করে। সে এসে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার স্ত্রীর সাথে যিহার করেছি এবং কাফফারা আদায়ের পূর্বে তার সাথে সহবাস করেছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কেন এরূপ করলে? সে বললোঃ আমি চাদের আলোতে তার পায়ের মল দেখলাম। তিনি বললেনঃ এখন তুমি আল্লাহর আদেশ পালন না করা পর্যন্ত তার নিকট গমন করো না। পরিচ্ছদঃ ৩৩. যিহার ৩৪৬২. মুহাম্মদ ইবন রাফে' (রহঃ) ... ইকরামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে যিহার করে কাফফারা আদায় করার পূর্বেই তার সাথে সহবাস করলো। এরপর সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা বর্ণনা করলো। তিনি বললেনঃ কোন বস্তু তোমাকে এক কাজের প্রতি উদ্ধৃদ্ধ করলো? সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। আমি তার পায়ের মল দেখলাম, অথবা সে বললোঃ আমি চাঁদের আলোতে তার পায়ের গোছা দেখলাম। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার উপর যা আদায় করা জরুরী, তা আদায় না করা পর্যন্ত তুমি তার থেকে দূরে থাকবে। ________________________________________ যিহার - স্ত্রীকে মাতা অথবা অন্য কোন মাহরাম মহিলার এমন কোন অঙ্গের সাথে তুলনা করা, যেই অঙ্গের দিকে নজর করা নিষিদ্ধ। যেমন কেহ স্ত্রীকে বললোঃ তুমি আমার নিকট আমার মাতার পৃষ্ঠ তুল্য , একে যিহার বলা হয়। - তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইকরিমা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৩ | 3463 | ۳٤٦۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৩. যিহার ৩৪৬৩. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... ইকরামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার স্ত্রীর সাথে যিহার করি এবং কাফফারা দেওয়ার পূর্বেই তার সাথে সহবাস করি। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি এরূপ করলে কেন? আর এ কাজ করার জন্য তোমাকে কে উদ্বুদ্ধ করলো? সে বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! চাঁদের আলোতে তার সুন্দর পায়ের গোছা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তোমার উপর যা আদায় করা জরুরী তা আদায় না করা পর্যন্ত দূরে থাক। ইমাম নাসাঈ (রহঃ) বলেনঃ ইসহাক তার বর্ণিত হাদীসে, "তুমি তার থেকে দূরে থাক' বৰ্ণনা করেছেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইকরিমা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৪ | 3464 | ۳٤٦٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৩. যিহার ৩৪৬৪. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর শোকর যিনি শব্দসমূহ শ্রবণ করে থাকেন। খাওলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে তার স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ করলো। সে তার কথা আমার নিকট গোপন রাখলো। তখন আল্লাহ্ তা’আলা আয়াত নাযিল করলেন, আল্লাহ্ তা'আলা ঐ মহিলার কথা শ্ৰবণ করেছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক করছে এবং আল্লাহর নিকট অভিযোগ করছে। আর আল্লাহ তা'আলা তোমাদের উভয়ের প্রশ্নোত্তর শ্রবণ করছেন। নিশ্চয় আল্লাহ শ্রবণকারী এবং দর্শনকারী। এরপর আল্লাহ তা’আলা যিহার এবং এর কাফফারার আদেশ নাযিল করলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ১৮৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৫ | 3465 | ۳٤٦۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৫. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলারা স্বীয় স্বামীর সাথে মনোমালিন্য করে এবং খুলা করে, তারা মুনাফিক এবং ধোঁকাবাজ। ________________________________________ কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর কাছে পাওনা ছেড়ে দেয় এবং তাকে বলে, এর বিনিময়ে তুমি আমাকে ছেড়ে দাও, একে খুলা তালাক বলে। - তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহাহ ৬৩২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৬ | 3466 | ۳٤٦٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৬. মুহাম্মদ ইবন সালামা (রহঃ) ... হাবীবা বিনতে সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি সাবিত ইবন কায়সের স্ত্রী ছিলেন। হাবীব (রাঃ) বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব ভোরে নামায পড়তে গেলেন। তিনি হাবীবা বিনতে সাহলকে দরজায় পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কে? হাবীব (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি হাবীব বিনতে সাহল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ কি ব্যাপার, তুমি কেন এসেছ? তিনি বললেন ? আমার মধ্যে এবং আমার স্বামীর মধ্যে মিল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যখন সাবিত ইবন কায়স আগমন করলো, তখন তিনি বললেন, এই যে হাবীব বিনতে সাহল! আল্লাহ যা ইচ্ছা করেছেন, তা-ই সে বলছে। হাবীব (রাঃ) বলে উঠলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই ব্যক্তি যা আমাকে দান করেছে, তা আমার নিকট রয়েছে। তিনি সাবিত ইবন কায়সকে বললেনঃ তুমি যা দিয়েছ তা তার থেকে নিয়ে নাও। সাবিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ মত তাকে যা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে নিলেন। আর হাবীবা বিনতে সাহল (রাঃ) তার পরিজনদের মধ্যে অবস্থান করলেন, অর্থাৎ সাবিতের ঘর থেকে চলে গেলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১০২–১০৩, সহীহ আবু দাউদ ১৯২৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হাবীবা বিনতে সাহল (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৭ | 3467 | ۳٤٦۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৭. আযহার ইবন জামিল (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাবিত ইবন কায়সের স্ত্রী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সাবিত ইবন কায়সের অভ্যাস এবং ধর্মের ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু আমি ইসলামে নাশোকরীকে অপছন্দ করি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি তাকে বাগান ফিরিয়ে দেবে? সে বললোঃ হ্যাঁ, দেব। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবিত ইবন কায়সকে বললেনঃ তুমি তোমার বাগান নিয়ে নাও এবং তাকে এক তালাক দিয়ে দাও। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৮ | 3468 | ۳٤٦۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৮. হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ আমার স্ত্রী এমন যে, কেউ তাকে গায়ে হাত দেয়, সে তাকে নিষেধ করে না। তিনি বললেনঃ যদি তুমি ইচ্ছা কর, তবে তাকে তালাক দিয়ে দাও। ঐ লোকটি বললোঃ কিন্তু আমার ভয় হয়, আমার মন তার সাথে লেগে থাকবে এবং সবর করতে না পেরে আমি গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাব। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি এরূপ করতে না পার, তবে তাকে নিজের কাজে লাগাও। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৯ | 3469 | ۳٤٦۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৪. খুলা ৩৪৬৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার স্ত্রী সে এমন, যে কোন ব্যক্তি তার গায়ে হাত দিলে সে তাকে বাধা দেয় না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও। সে ব্যক্তি বললোঃ আমি তাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি তাকে রেখে দাও। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭০ | 3470 | ۳٤۷۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৫. লি'আন প্ৰথা আরম্ভ হওয়া সম্পর্কে ৩৪৭০. মুহাম্মদ ইবন মা'মার (রহঃ) ... আসিম ইবন আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আজলান গোত্রের উওয়াইমির আমার নিকট এসে বললোঃ হে আসিম! এ ব্যাপারে তোমার মত কি, কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর সাথে দেখলো, যদি ঐ স্ত্রীর স্বামী তার বন্ধুকে হত্যা করে, তাকে কি তোমরা হত্যা করবে? অথবা কি করবে? অতএব হে আসিম! তুমি আমার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা কর। আসিম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলে, তিনি তা অপছন্দ করলেন। এরপর উওয়াইমির তার নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলো, হে আসিম! তুমি কি করেছ? তিনি বললেনঃ কি করবো, তুমি কল্যাণ নিয়ে আস নাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই কথা উত্থাপন করাকে অপছন্দ করেছেন। উওয়াইমির (রাঃ) বললেন : আল্লাহর কসম! আমি ইহা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করবো। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা তোমার ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে আয়াত নাযিল করেছেন। অতএব, তাকে (তোমার স্ত্রীকে) ডেকে আনো। সাহল (রাঃ) বললেনঃ এ সময় আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। যখন উওয়াইমির (রাঃ) সেই মহিলাকে নিয়ে আসলো এবং উভয়ে লি”আন করলো এবং উওয়াইমির কসম করে বলতে লাগলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমি তাকে রেখে দেই তা হলে আমাকে মিথ্যা দোষারোপকারী বলা হবে। এ বলে তিনি তাকে তালাক দিয়ে দিলেন। এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বলার পূর্বেই পৃথক করে দিলেন। ইহাই পরে লি'আনের নিয়ম হয়ে গেল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৬৬, ইরওয়া ২১০০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আসিম ইবন আদী (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭১ | 3471 | ۳٤۷۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৬. গর্ভাবস্থায় লি'আন করা ৩৪৭১. আহমদ ইবন আলী (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উওয়াইমির আজলানী এবং তার স্ত্রীর মধ্যে লি আন করান। আর এ সময় উওয়াইমির আজলানীর স্ত্রী গর্ভাবস্থায় ছিল। পরিচ্ছদঃ ৩৭. ব্যভিচারে স্ত্রীর সাথে যদি নির্দিষ্ট কোন পুরুষ জড়িত থাকে এ ব্যাপারে লি'আন ৩৪৭২. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল আ'লা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি হিশামের কাছে জিজ্ঞাসা করলো, ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে, যে তার স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করেছে। তখন হিশাম বৰ্ণনা করলে যে, রাবী মুহাম্মদ (রহঃ) আনাস (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করেছিল, কেননা সকলেই অবগত ছিল যে, এ ব্যাপারে তার জানা আছে। এরপর আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করলেন, হিলাল ইবন উমাইয়া স্বীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করে এবং যার সাথে সে ব্যভিচার করতো, তার নাম শরীক ইবন সাহিমা ছিল। আর শরীক ইবন সাহমা বারা ইবন মালিক (রাঃ)-এর মায়ের দিক থেকে ভাই ছিলেন। আন্যাস ইবন মালিক (রাঃ) বলেন, ঐ ব্যক্তিই প্রথম লি”আন করেছিল। এই জন্য লি'আনের নিয়ম পদ্ধতি তার লি'আনের দ্বারা জানা যায়। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ের মধ্যে লি'আন করার আদেশ দেন এবং বলেন, তোমরা ইহা দেখতে থাকে। যদি সে সাদা রং লটকান চুল এবং ত্রুটিযুক্ত চোখ বিশিষ্ট বাচ্চা প্রসব করে, তবে তা হবে হিলাল ইবন উমাইয়ার। আর যদি সে হাল্কা পাতলা পা বিশিষ্ট সুরমা রং এর চক্ষু, আর কোঁকড়ান চুল বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে ঐ সন্তান হবে শরীক ইবন সাহমা-এর। আনাস (রাঃ) বলেন, আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, সে সুরমা চক্ষু, কোঁকড়ান চুল এবং হাল্কা পা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১৮৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আব্দুল আ’লা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৩ | 3473 | ۳٤۷۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৮. লি'আনের নিয়ম ৩৪৭৩. ইমরান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) ... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইসলামে সর্বপ্রথম লি”আন করার নিয়ম হিলাল ইবন উমাইয়া (রাঃ) হতে আরম্ভ হয়। কেননা, তিনি তার স্ত্রীকে শরীক ইবন সমহার সাথে ব্যভিচারের অপবাদ দেন এবং রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এ সংবাদ দেন। তিনি তাকে বলেন, চারজন সাক্ষী আনো, তা না হলে তোমার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে এবং তা তোমার পিঠে পড়বে, তিনি তাকে কয়েকবার এ কথা বললেনঃ তখন হিলাল বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর শপথ, আল্লাহ জানেন আমি সত্যবাদী এবং আল্লাহ্ তা'আলা আপনার উপর আদেশ অবতীর্ণ করবেন। যাতে আমার পিঠ শান্তি হতে নিষ্কৃতি পাবে। এভাবে কথা চলছিল, এমন সময় লি”আনের আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি যিানার অপবাদ আরোপ করে, অথবা নিজেরা ব্যতীত কোন সাক্ষী নেই। তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী এবং পঞ্চমবারে সে বলবে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার উপর আল্লাহর লা'নত হোক। আর স্ত্রীর উপর হতে শাস্তি এভাবে রহিত হবে যে, যদি সে আল্লাহর নামে শপথ করে চারবার। এভাবে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যা বলছে এবং পঞ্চমবারে বলে, তার উপর আল্লাহর গযব, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয়। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিলালকে ডাকলেন, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী, আর পঞ্চমবারে বলেঃ যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার উপর আল্লাহর লা'নত। এরপর স্ত্রী লোককে ডাকা হলো, সেও আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলে, ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী। বর্ণনাকারী বলেন, যখন চারবার অথবা পাঁচবার সাক্ষ্য দেওয়া হলো, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এই মহিলাকে বিরত রাখ, কেননা, এই সাক্ষ্য ঐ রমণীর জন্য ধ্বংসের কারণ হবে, অর্থাৎ আল্লাহর গযব বৃথা যাবে না। বর্ণনাকারী বলেনঃ তখন ঐ রমণী বিব্রত রইলো, আমাদের ধারণা হলো, সে বুঝতে পেরেছে এবং সে এখন স্বীকার করবে। কিন্তু সে বললোঃ আমি আমার সম্প্রদায়কে সর্বদার জন্য কলংকিত করবো না। এই কথা বলে সে কসম পূর্ণ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এই মহিলার প্রতি লক্ষ্য রোখ, যদি সে ফর্সা, কোঁকড়ান চুল বিকৃত গড়নের সস্তান প্রসব করে, তবে সে হবে হিলাল ইবন উমাইয়ার সন্তান। আর যদি সে বাদামী রংয়ের এলোমেলো চুল বিশিষ্ট মধ্যম গড়নের এবং পাতলা পা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে সে সন্তান হবে শরীক ইবন সাহমার সন্তান। রাবী বলেনঃ সে বাদামী রংয়ের সন্তান প্রসব করলো, যে কোঁকড়ান চুল, মধ্যম গড়ন পাতলা পা বিশিষ্ট ছিল, সেই সন্তান প্রসবের পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি আল্লাহর কিতাবের আদেশ না হতো, তা হলে তোমরা আমাকে দেখতে, আমি তার কি অবস্থা করতাম। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৪ | 3474 | ۳٤۷٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৯. ইমামের আল্লাহুম্মা বাইয়্যন বলা ৩৪৭৪. ঈসা ইবন হাম্মদ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট লি'আনের উল্লেখ তুলে আসিম ইবন আলী (রাঃ) সে সম্পর্কে কিছু বললেন এবং পরে প্রস্থান করলেন। এরপর তার নিকট তার গোত্রের এক ব্যক্তি এসে অভিযোগ উত্থাপন করলেন, সে তার স্ত্রীর সাথে এক ব্যক্তিকে পেয়েছে। আসিম ইবন আদী (রাঃ) একথা শুনে বললেন, আমার বলার জন্যই আমার উপর এই মুসীবত এসেছে। এরপর আসিম ইবন আদী (রাঃ) তাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে নিয়ে গেলেন এবং ঐ ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বর্ণনা করলেন। আর ঐ ব্যক্তি ছিল গৌর বর্ণের, হাল্কা পাতলা গড়ন এবং সরু চুল বিশিষ্ট। আর যে ব্যক্তির সাথে তার স্ত্রীকে পেয়েছিল, তার গায়ের রং ছিল বাদামী, পায়ের গোছা এবং শরীর ছিল মাংসল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (اللَّهُمَّ بَيِّنْ) অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আপনি এই মাসআলার বিধান প্রকাশ করে দিন। বর্ণনাকারী বলেন, যখন ঐ স্ত্রীলোকটি বাচ্চা প্রসব করলো, তখন দেখা গেল সে ঐ ব্যক্তির মতই হয়েছে, যার কথা তার স্বামী বলেছিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে লি’আন করার আদেশ দেন। যে মজলিসে ইবন আব্বাস (রাঃ) এই হাদীস বর্ণনা করলেন, সেই মজলিসে এক ব্যক্তি বললেনঃ এই মহিলা কি সেই মহিলা, যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি আমি কাউকে সাক্ষ্য প্রমাণ ব্যতীত রজম করতাম, তা হলে এ মহিলাকে রজম করতাম? ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ না, এই মহিলা মুসলমানদের মধ্যে ইসলামে যার ব্যাভিচার প্রকাশ পেয়েছিল, কিন্তু প্রমাণ বা স্বীকারোক্তি ছিল না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১৮৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৫ | 3475 | ۳٤۷۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৩৯. ইমামের আল্লাহুম্মা বাইয়্যন বলা ৩৪৭৫. ইয়াহইয়া ইবন মুহাম্মদ ইবন সাকান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে লি'আনের আলোচনা হলে আসিম ইবন আদী (রাঃ) সে সম্পর্কে কিছু বললেন এবং প্রস্থান করলেন। তার গোত্রের এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ হলে সে বললোঃ সে তার স্ত্রীর সাথে এক ব্যক্তিকে পেয়েছে। তিনি তাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে গেলেন, এবং যার সাথে তার স্ত্রীকে পেয়েছিলেন, তার কথা বললো। আর সেই ব্যক্তি ছিল গৌর বর্ণের, হাল্কা-পাতলা গড়নের সরু চুল বিশিষ্ট। আর সে যার সাথে তার স্ত্রীকে পেয়েছিল, তার গায়ের রং বাদামী এবং পায়ের গোছা ছিল মাংসল, মোটা লোক আর তার ছিল কোঁকড়ান ছােট চুল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ্! আপনি প্রকাশ করে দিন। রাবী বলেন, ঐ স্ত্রীলোকটি ঐ লোকের মত বাচ্চা প্রসব করলো, যার কথা তার স্বামী বলেছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ের মধ্যে লি'আন করান। ইবন আব্বাস (রাঃ) যে মজলিসে এই হাদীস বর্ণনা করলেন, সেই মজলিসের এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলোঃ এই মহিলা কি সেই মহিলা, যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, যদি আমি কাউকে প্রমাণ ব্যতীত রজম করতাম, তা হলে এই মহিলাকে রজম করতাম? ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ না, সেই মহিলা হচ্ছে যার মন্দ কাজ (যিানা) মুসলমানদের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু প্রমাণ বা স্বীকারোক্তি ছিল না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৬ | 3476 | ۳٤۷٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪০. লি'আনকারীদের মুখে পঞ্চমবারে হাত রাখার আদেশ ৩৪৭৬. আলী ইবন মায়মুন (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুই ব্যক্তিকে লি’আন করার আদেশ দেন, তখন এক ব্যক্তিকে আদেশ করেন যে, যখন সে পঞ্চমবার সাক্ষ্য দিতে থাকবে, তখন তার মুখের উপর হাত রাখবে। কেননা, এই পঞ্চমবারের সাক্ষ্য আল্লাহ তা’আলার শাস্তিকে অবধারিত করে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২/২০১, সহীহ আবু দাউদ ১৯৫২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৭ | 3477 | ۳٤۷۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪১. লি'আন করানোর সময় নসীহত করা ৩৪৭৭. আমর ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... সাঈদ ইবন যুবায়র (রহঃ) বলেন, ইবন যুবায়র (রাঃ)-এর শাসনামলে এক ব্যক্তি আমার কাছে লি”আনকারীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলোঃ লি'আনের পরে ঐ দুইজনের মধ্যে কি পৃথক করে দেয়া হবে? ইবন যুবায়র (রাঃ) বলেনঃ আমি কি উত্তর দেব কিছুই বলতে পারলাম না। এরপর আমি উঠে ইবন উমর (রাঃ)-এর ঘরে গেলাম এবং আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আবু আবদুর রহমান! লি'আন করার পর কি স্বামী-স্ত্রী উভয়কে পৃথক করে দেয়া হবে? ইবন উমর (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি বললেনঃ সর্বপ্রথম এ কথাটি জিজ্ঞাসা করেছেন অমুকের পুত্র অমুক। ইবন উমর (রাঃ) তার নাম উল্লেখ করেন নি। আর সে বলেছিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমাদের কোন ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর সাথে অশ্লীল কাজ করতে দেখে, যদি সে বলে, তবে তো তা বড় মুসীবতের কথা। আর যদি না বলে, তবে এমন মন্দ কাজের উপর চুপ রইলো, তিনি তাকে কোন উত্তর দিলেন না। এরপর সে ব্যক্তি আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ যে কথা আমি আপনার নিকট জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমি নিজেই সেই মুসীবতে পড়েছি। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা সূরা নূরের এ আয়াত নাযিল করেনঃ (وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ) হতে (غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ) অর্থাৎ, আর যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী ... পঞ্চমবারে সে বলেঃ তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব। (সূরা নূরঃ ৬–৯) পর্যন্ত। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে প্রথমে নসীহত করেন এবং বলেন, পরীকালের শান্তি অপেক্ষা ইহকালের শাস্তি অতি সহজ। সেই ব্যক্তি তাঁর নসীহত শ্ৰবণ করে বলতে লাগলোঃ আল্লাহ্ তা'আলার কসম! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, আমি মিথ্যা বলছি না। এরপর তিনি স্ত্রীলোকটিকে নসীহত করলেন এবং তাকে স্মরণ কবিয়ে দিলেন। সেই স্ত্রীলোকটিও বলতে লাগলোঃ আল্লাহ্ তা'আলার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, এ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী। পুরুষ লোকটি সাক্ষ্য প্রদান আরম্ভ করলো। সে আল্লাহর নাম নিয়ে চারবার সাক্ষ্য প্ৰদান করলো, পঞ্চমবারে সে বললোঃ যদি সে মিথ্যা কথা বলে থাকে, তবে তার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। তারপর স্ত্রীলোকটিও আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দিল, নিশ্চয় সে মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবারে সে বললোঃ যদি পুরুষ লোকটি সত্যবাদী হয়, তবে তার নিজের উপর আল্লাহর গযব পড়বে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে পৃথক করে দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২১০২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৮ | 3478 | ۳٤۷۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪২. লি'আনকারীদের মধ্যে পৃথকীকরণ ৩৪৭৮. আমর ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... সাঈদ ইবন যুবায়র (রহঃ) বলেন, মুসআব (রাঃ) লি'আনকারীদের পৃথক করে দেননি। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমরের নিকট তা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী আজলানের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পৃথক করে দিয়েছিলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯৫৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৯ | 3479 | ۳٤۷۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৩. লি'আনের পর তওবা করতে বলা ৩৪৭৯. যিয়াদ ইবন আইউব (রহঃ) ... সাঈদ ইবন যুবায়র (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলামঃ যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, তাহলে কি হবে? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী আজলানের স্বামী-স্ত্রী থেকে পৃথক করে দেন এবং বলেন, আল্লাহ্ তা'আলার জানা আছে, তোমাদের মধ্যে কোন একজন মিথ্যাবাদী, যদি তোমাদের মধ্যে কোন একজন তাওবা করে, তবে ভাল, তিনি উভয়কে একথা তিনবার বলেন। কিন্তু উভয়ে তা করতে অস্বীকার করলে তিনি তাদেরকে পৃথক করে দেন। তিনি বলেনঃ লি'আনকারী পুরুষ ব্যক্তিটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলোঃ ঐ স্ত্রী লোকটির নিকট আমার মাল আছে, আমি তা পাব কি না? তিনি বললেনঃ যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে তুমি ঐ স্ত্রীকে নিজের কাজে ব্যবহার করেছ, কাজেই ঐ মাল তুমি পাবে না। আর যদি তুমি মিথ্যা বলে থাকে, তাহলে ঐ মাল নেয়া এবং ফেরৎ পাওয়া মুশকিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯৫৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮০ | 3480 | ۳٤۸۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৪. লি’আনকারীদের একত্র হওয়া ৩৪৮০. মুহাম্মদ ইবন মানসূর (রহঃ) ... সাঈদ ইবন জুবাইর (রহঃ) বলেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-এর নিকট লি'আনকারীদের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লি'আনকারী পুরুষ এবং স্ত্রীকে বলেন, তোমাদের ব্যাপার আল্লাহর দায়িত্বে। তোমাদের একজন নিশ্চয় মিথ্যাবাদী, তোমার তার উপর কোন কর্তৃত্ব নেই। পুরুষ লোকটি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তার কাছে আমার মাল রয়েছে। তিনি বললেনঃ তার কাছে এখন তুমি কিছুই পাবে না, অর্থাৎ যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে তুমি তো তার লজ্জাস্থান ব্যবহার করেছ, এর বিনিময়ে তোমার মাল নিয়েছ, আর যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে ঐ মাল চাওয়ার তুমি উপযুক্ত নও এবং তোমার মর্যাদার পরিপন্থী। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮১ | 3481 | ۳٤۸۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৫. লি'আনের কারণে পিতার সন্তান না পাওয়া ৩৪৮১. কুতায়বা (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষ এবং স্ত্রীলোকটির মধ্যে লি’আন করার আদেশ দেন এবং তাদের পৃথক করে দেন, আর সন্তানকে তার মায়ের হাতে ন্যাস্ত করেন। পরিচ্ছদঃ ৪৬. সন্তানের কারণে ইঙ্গিতে যিানার অপবাদ দেয়া ৩৪৮২. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু হুরায়রা বলেনঃ কাযারা গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার স্ত্রী এক কালো সন্তান প্রসব করেছে। তিনি তার নিকট জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার কি উট আছে? সে বললঃ হ্যাঁ আছে। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেনঃ কোন রংয়ের উট আছে? সে বললোঃ লাল রংয়ের। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ মিশ্রিত (কাল বর্ণের সাথে অন্য বর্ণ মিশ্ৰিত) রংয়ের কোন উট আছে? সে বললোঃ হ্যাঁ, মিশ্রিত রংয়েরও আছে। তিনি বললেনঃ এই মিশ্রিত রংয়ের উট কি করে জন্মালো? সে বললোঃ তা হয়তো কোন পূর্ব রঙের কারণে হয়েছে। এরপর তিনি বললেনঃ এই সন্তানও হয়তো কোন ঊর্ধ্বতন পুরুষের কারণে কালো হয়ে থাকবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০০২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৩ | 3483 | ۳٤۸۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৬. সন্তানের কারণে ইঙ্গিতে যিানার অপবাদ দেয়া ৩৪৮৩. মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবু হুৱায়রা (রাঃ) বলেন, কাযারা গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার স্ত্রী এক কালো সন্তান প্রসব করেছে এবং ঐ বাচ্চার রং কালো। তিনি ঐ কায়ারী ব্যক্তির নিকট জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার কি উট আছে? সে বললোঃ আছে। তিনি বললেনঃ সেগুলোর রং কি? সে ব্যক্তি বললোঃ সেগুলো লাল রংয়ের। তিনি বললেনঃ দেখ সেগুলোর মধ্যে কাল বর্ণের সাথে অন্য বর্ণ মিশ্রিত রংয়ের উট আছে কি? সে বললোঃ হ্যাঁ, আছে। তিনি বলেনঃ মিশ্ৰিত উট কোথা হতে আসলো? সে বললোঃ তা হয়তো কোন পূর্ব রঙের কারণে হয়ে থাকবে। তিনি বললেনঃ এতেও হয়তো কোন ঊর্ধ্বতন পুরুষের কারণে হয়ে থাকবে। এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে সন্তান অস্বীকার করার অবকাশ দিলেন না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৪ | 3484 | ۳٤۸٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৬. সন্তানের কারণে ইঙ্গিতে যিানার অপবাদ দেয়া ৩৪৮৪. আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন মুগীরা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপবিষ্ট ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললোঃ আমার একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, যার গায়ের রং কাল। তিনি বললেনঃ তার এই কালো রং কোথা হতে আসলো? সে বললঃ জানি না কোথা হতে এসেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার নিকট উট আছে কি? সে বললোঃ হ্যাঁ, তিনি বললেনঃ সেগুলোর রং কি? সে বললোঃ লাল বর্ণের। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ এগুলোর মধ্যে কাল উট কাল বর্ণের সাথে অন্য বর্ণ মিশ্রিত আছে কি? সে বললঃ মিশ্রিত রং এর উটও এগুলোর মধ্যে আছে। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ ঐ লাল বর্ণের মিশ্ৰিত উট কোথা হতে আসলো? সে বললোঃ বলতে পারি না কোথা হতে এসেছে, হয়তো কোন ঊর্ধ্বতন পুরুষের কারণে হয়ে থাকবে। বর্ণনাকারী বলেনঃ এইজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন, যে সন্তান তার স্ত্রীর গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে তাকে অস্বীকার করা উচিত নয়। কিন্তু ঐ সময় অস্বীকার করতে পারবে, যখন সে বলে যে, আমি তাকে অশ্লীল কাজে লিপ্ত দেখেছি, আর আমার এই কথাও জানা আছে যে, সে ব্যাভিচারিণী। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৫ | 3485 | ۳٤۸۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৭. সন্তান অস্বীকারকারীর উপর কঠোরতা ৩৪৮৫. মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে লি'আনের আয়াত নাযিল হওয়ার পর বলতে শুনেছেনঃ যে মহিলা এক গোত্রের পুরুষের বীর্য অন্য গোত্রের সাথে মিশ্রিত করে আল্লাহর নিকট এমন মহিলার কোন মূল্য নেই। আর আল্লাহ্ তা'আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। আর যে পুরুষ তার সন্তানকে নিজের ঔরষজাত সন্তান বলে জানার পরেও অস্বীকার করে, আল্লাহ্ তা'আলা তাকে তার রহমত থেকে বঞ্চিত করবেন এবং তাকে কিয়ামতের দিন সকল লোকের সামনে অসম্মান করবেন, যখন পূর্বের এবং পরের সকল লোক একত্রিত হবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। ইবন মাজাহ ২৭৪৩। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৬ | 3486 | ۳٤۸٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৮৬. কুতায়াবা (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সন্তান গৃহস্বামীরই থাকবে, আর ব্যভিচারীর জন্য কিছুই থাকবে না, অর্থাৎ সে সন্তানের মালিক হবে না। অন্য ব্যাখ্যানুসারে তার হবে প্রস্তরাঘাতে মৃত্যু। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৭ | 3487 | ۳٤۸۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৮৭. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সন্তান গৃহস্বামীরই হবে, আর ব্যভিচারী সন্তানের মালিক হবে না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৮ | 3488 | ۳٤۸۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৮৮. কুতায়বা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস এবং আবদুল্লাহ ইবন যাম'আ (রাঃ)-এর মধ্যে একটি সন্তান নিয়ে ঝগড়া হয়। সা'দ (রাঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই বাচ্চা আমার ভাই উৎবা ইবন আবু ওয়াক্কাসের। আমাকে আমার ভাই ওসীয়ত করেছিলেন যে, যাম'আর বাঁদীর ছেলে আমার ঔরষের। তার শরীরের গঠনের প্রতি লক্ষ্য করুন। আবাদ ইবন যাম'আ (রাঃ) বলেনঃ এ আমার ভাই, আমার পিতার দাসীর গর্ভজাত সন্তান। তিনি দেখলেন, তার শরীরের গড়ন উৎবার সাথে মিল রয়েছে। তিনি বললেনঃ হে আবদ ইবন যাম'আ! এই ছেলে তোমার। কেননা সন্তান গৃহস্বামীর আর ব্যভিচারীর জন্য কিছুই নেই। আর তিনি স্বীয় স্ত্রী সওদা (রাঃ)-কে বললেনঃ যাম'আর কন্যা সওদা, এর থেকে পর্দা কর। এরপর তিনি সওদাকে কখনও দেখেন নি। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০০৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৮৯ | 3489 | ۳٤۸۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৮৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যাম'আ (রাঃ)-এর একজন বাঁদী ছিল যার সাথে তিনি সহবাস করতেন, আর যাম'আর এজন্য সন্দেহ ছিল যে, এই বাঁদীর সাথে অন্য কেহ যিনা করেছে। এরপর সে একটি বাচ্চা প্রসব করলো, ঐ ব্যক্তির মত, যার সাথে তিনি তার ব্যভিচার করার সন্দেহ করতেন। ইতিমধ্যে যাম'আ ইন্তিকাল করলেন, তখন ঐ বাদী অন্তঃস্বত্ব ছিল। এ কথা সওদা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বৰ্ণনা করলে, তিনি বলেনঃ বাচ্চা বিছানার মালিকেরই থাকে। আর হে সওদা, তুমি তার সাথে পর্দা কর। কেননা সে তোমার ভাই নয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ্ ইবনুয্-যুবায়র (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯০ | 3490 | ۳٤۹۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৮. স্বামী অস্বীকার না করলে সন্তান তারই হবে ৩৪৯০. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সন্তান বিছানার মালিকেরই হবে। আর ব্যাভিচারকারী সন্তানের মালিক হবে না। আবু আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ আমার মতে ইনি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) নন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯১ | 3491 | ۳٤۹۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৪৯. বাঁদীর বিছানা বা ফিরাশ হওয়া ৩৪৯১. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেনঃ সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস এবং আবদ ইবন যাম'আ (রাঃ)-এর মধ্যে সন্তান নিয়ে বিবাদ ছিল। সা'দ বলেনঃ যখন আমি মক্কায় আগমন করলাম, তখন আমার ভাই উৎবা আমাকে ওসীয়ত করলেন যে, যাম'আর বাঁদীর সন্তানকে দেখবে; কেননা সে আমার সন্তান। আর আবদ ইবন যাম'আ বর্ণনা করেন, সে আমার পিতার বাদীর সন্তান, সে আমার পিতার আধিপত্যে এবং ফিরাশে প্রসব করেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লক্ষ্য করে দেখলেন, উতবা (রাঃ) এর সাথে তার পরিষ্কার সাদৃশ্য রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সন্তান তাঁরই জন্য, যার জন্য বিছানা। তিনি আরও বললেনঃ হে সওদা! তুমি তার থেকে পর্দা করবে। পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯২. আবু আসিম খুশাইশ ইবন আসরাম (রহঃ) ... যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়ামান দেশে আলী (রাঃ)-এর নিকট তিনজন লোক আসলো, যারা সকলে এক মহিলার সাথে একই তুহরে সহবাস করেছিল। তিনি তাদের দুইজনকে পৃথক করে বললেন, তোমরা উভয়ে কি এই সন্তানকে তৃতীয় ব্যক্তির সন্তান বলে স্বীকার কর? তারা বললোঃ না। পরে তিনি অন্য দুইজনকে বললেনঃ তোমরা দুইজন কি এই সন্তানকে তৃতীয় ব্যক্তির সন্তান বলে স্বীকার কর? তারাও বললোঃ না। এরপর তিনি উক্ত তিন ব্যক্তির নামে লটারী করলেন। লটারীতে যার নাম আসলো, তাকে তিনি সন্তান দিয়ে দিলেন। আর তার উপর দিয়াতের অর্থাৎ মূল্যের দুই-তৃতীয়াংশ সাব্যস্ত করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ঘটনা আমরা বর্ণনা করলে তিনি হাসলেন, যাতে তাঁর দাঁত মুবারক দেখা গিয়েছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯৬৩ ও ১৯৬৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৩ | 3493 | ۳٤۹۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯৩. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় ইয়ামন থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে সেখানকার সংবাদ বর্ণনা করতে লাগলো এবং কথাবার্তা বলতে আরম্ভ করলো। তখন আলী (রাঃ) সেখানে ছিলেন। সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিন ব্যক্তি আলী (রাঃ)-এর নিকট এসে এক সন্তানের ব্যাপারে ঝগড়া করছিল, তার সকলেই এক তুহরে এক মহিলার সাথে সহবাস করেছিল। এভাবে পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৪ | 3494 | ۳٤۹٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯৪. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, তখন আলী (রাঃ) ইয়ামনে ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ একদিন আলী (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তিন ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে এক বাচ্চার দাবী করলো, যে এক রমণীর গর্ভে জন্মায়। তখন আলী (রাঃ) এক ব্যক্তিকে বললোঃ তুমি কি এই বাচ্চার দাবী অন্য জনের জন্য ছেড়ে দেবে? সে অস্বীকার করলো। এরপর তিনি অন্যজনকে বললেনঃ তুমি কি এই বাচ্চাকে তোমার কোন সাথীর জন্য ছেড়ে দেবে? সেও অস্বীকার করলো। এভাবে তৃতীয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করায় সেও অস্বীকার করলো। আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমরা পরস্পর আলাদা এবং ঝগড়া করছো। আমি এখন তোমাদের মধ্যে লটারী করবো। যার নাম লটারীতে আসবে সে এই বাচ্চা পাবে এবং তাকে দিয়াতের দুই-তৃতীয়াংশ দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এই ঘটনা শুনলেন, তখন তিনি হাসলেন, এমনকি তার দাঁত মুবারক প্রকাশ হয়ে পড়লো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৫ | 3495 | ۳٤۹۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯৫. ইসহাক ইবন শাহীন (রহঃ) ... যায়দ ইবন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে ইয়ামনে পাঠান। একদিন এক বাচ্চা আনা হলো, যাকে তিন ব্যক্তি পাওয়ার জন্য ঝগড়া করছিল। হাদীসের শেষ পর্যন্ত অনুরূপ বর্ণনা করলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৬ | 3496 | ۳٤۹٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫০. সন্তান নিয়ে বিবাদ হলে, লটারীর ব্যবস্থা করা ৩৪৯৬. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... সালামা ইবন কুহায়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি শা'বীকে আবুল খলীল অথবা ইবন আবুল খলীল হতে এক হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিন ব্যক্তি একই তুহরে শরীক ছিল। এরপর এভাবে হাদীস বর্ণনা করলেন। কিন্তু তিনি যায়দ ইবন আরকামের নাম উল্লেখ করেন নি। আর এই হাদীসকে হাদীসে মারফুও বলেন নি। আবু আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। ________________________________________ হাদিসের মানঃ তাহকীক পাওয়া যায়নি পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সালামা ইবন কুহায়াল (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৭ | 3497 | ۳٤۹۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫১. কিয়াফা অবগত ব্যক্তি ৩৪৯৭. কুতায়াবা (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামআমার নিকট উপস্থিত হলেন, তখন তাঁর চেহারায় খুশীর চিহ্ন প্ৰস্ফুটিত ছিল। তিনি বললেনঃ তুমি কি জান মুজাযিযিয নাম্নী এক ব্যক্তি যায়দ ইবন হারিসা এবং উসামা (রাঃ)-কে দেখে বললোঃ এই উভয় ব্যক্তির পায়ের গড়নের মধ্যে মিল আছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৮ | 3498 | ۳٤۹۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫১. কিয়াফা অবগত ব্যক্তি ৩৪৯৮. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আসলেন তখন তার চেহারায় খুশীর চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। তিনি বললেনঃ হে আয়েশা! মুজাযিযিয মুদলিজী, কিয়াফা অবগত ব্যক্তি আমার নিকট আসলো। তখন উসামা ইবন যায়দ আমার নিকট উপস্থিত ছিল। সে উসামা ইবন যায়ীদ এবং যায়দকে দেখলো। তাদের মুখ চাদরে ঢাকা এবং পা খোলা ছিল। সে বললোঃ এই দু'জনের পায়ের মধ্যে মিল রয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৩৪৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৪৯৯ | 3499 | ۳٤۹۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫২. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ মুসলমান হলে ৩৪৯৯. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... আবদুল হামীদ ইবন সালামা আনসারী তাঁর পিতা সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি মুসলমান হলে তাঁর স্ত্রী মুসলমান হতে অস্বীকার করলো। তাদের এক নাবালেগ সস্তান ছিল। সে আসলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পিতাকে এখানে এবং মাতাকে ওখানে বসিয়ে ছেলেকে ইখতিয়ার দিয়ে দু’আ করলেনঃ হে আল্লাহ্ ! এই ছেলেকে হিদােয়ত দান করুন। তখন সেই ছেলে স্বীয় পিতার নিকট চলে গোল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৩৫২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল হামীদ ইবন সালামা পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০০ | 3500 | ۳۵۰۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫২. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ মুসলমান হলে ৩৫০০. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ'লা (রহঃ) ... আবু মায়মুনা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম, তখন আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক। আমার স্বামী আমার নিকট হতে আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে চায়। অথচ ঐ বাচ্চার দ্বারা আমার অনেক উপকার হয়ে থাকে। সে বীরে আবু ইনাবা থেকে পানি এনে আমাকে পান করায়। এমন সময় তার স্বামী সেখানে এসে বললোঃ আমার ছেলের ব্যাপারে আমার সাথে কে বিবাদ করছে? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ছেলে! এই তোমার পিতা, আর এই তোমার মাতা, এদের মধ্যে তোমার যাকে ইচ্ছা, তার হাত ধর। তখন ছেলে তার মার হাত ধরল এবং সে তাকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২৩৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবু মায়মুনা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০১ | 3501 | ۳۵۰۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৩. খুলা কারিণীর ইদ্দত ৩৫০১. আবু আলী মুহাম্মদ ইবন মারওয়াযী (রহঃ) ... আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রুবাই বিনত মুআওয়ায ইবন আফরা তাকে সংবাদ দিয়েছেন, সাবিত ইবন কায়স ইবন শামমাস তার স্ত্রীকে মারধর করলো এবং তার হাত ভেঙে দিল, তার নাম ছিল জামিলা বিনত আবদুল্লাহ ইবন উবাই। তার ভাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হলো। তিনি ছাবিত (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনলেন। ছবিত উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ তুমি তার নিকট হতে তোমার মাল নিয়ে তাকে ছেড়ে দাও। ছাবিত (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মহিলাকে এক হায়য পর্যন্ত ইদ্দত পালন করার আদেশ করলেন। এরপর তাকে তার মাতাপিতার নিকট চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। পরিচ্ছদঃ ৫৩. খুলা কারিণীর ইদ্দত ৩৫০২. উবায়দুল্লাহ ইবন সা'দ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... রুবাঈ বিনূত মুআওয়ায (রাঃ) বলেন, আমি আমার স্বামীর সাথে খুলা করলাম। এরপর উসমান (রাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমাকে কতদিন ইদ্দত পালন করতে হবে? উসমান (রাঃ) বললেন, তোমার কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না। তবে, যেহেতু তুমি তোমার স্বামীর নিকট অবস্থান করেছ, অতএব তুমি এক হায়য পর্যন্ত অপেক্ষা কর। এরপর তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুকরণ করছি। তিনি মরিয়াম মাগালিয়ার ব্যাপারে এরূপ সমাধান দিয়েছিলেন। আর তিনি ছিলেন ছবিত ইবন কায়স ইবন শামমাসের স্ত্রী। সেই মহিলা তার সাথে খুলা করেছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ২০৫৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ রুবায়্যি‘ বিনতু মু‘আব্বিয (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৩ | 3503 | ۳۵۰۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৪. তালাকপ্রাপ্তাদের মধ্য থেকে যার ইদ্দত পালন থেকে বাদ ৩৫০৩. যাকারিয়া ইবন ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে উক্ত আয়াতঃ (مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا) ইবন আব্বাস সম্পর্কে বলেনঃ বর্ণিত হয়েছে যে, কুরআনে সর্বপ্রথম যা রহিত হয়েছে, তা হলো কিবলার হুকুম। আল্লাহর বাণীঃ (وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَقَالَ وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنْ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنْ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ) এ হতে রহিত করা হয়েছে এবং ইরশাদ করা হয়েছেঃ (وَإِنْ طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَمَسُّوهُنَّ فَمَا لَكُمْ عَلَيْهِنَّ مِنْ عِدَّةٍ تَعْتَدُّونَهَا)। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। ইরওয়া ২০৮০, সহীহ আবু দাউদ ১৯০৫। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৪ | 3504 | ۳۵۰٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৪. হান্নাদ ইবন সারী (রহঃ) ... উম্মে হাবীব (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে স্ত্রীলোক আল্লাহ্ এবং পরকালে বিশ্বাস করে, কারো মৃত্যুর পর তার জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ নয়, স্বীয় স্বামী ব্যতীত। কেননা স্বামীর জন্য তাহার চার মাস দশদিন শোক পালন করা উচিত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আত-তিরমিযী ১২১৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৫ | 3505 | ۳۵۰۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৫. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... হামিদ ইবন নাফে যয়নব (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, আমি বললামঃ যয়নব তার মাতা উম্মে সালামা হতে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কেউ এমন এক স্ত্রীলোক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো, যার স্বামী মারা গেছেন; আমরা কি তার চোখে সুরমা লাগাব? কেননা, আমরা ভয় করছি, সুরমা না লাগালে তার চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি বললেনঃ এর আগে প্রত্যেক স্ত্রীলোক নিজের ঘরে বসে থাকতো আর ঐ রূপ মোটা ও নিকৃষ্ট বস্ত্র পরিধান করতো, যা উটের হাওদার নীচে দেয়া হতো। আর সে এই কষ্টের মধ্যে পূর্ণ এক বছর কাটিয়ে দিত। এখন কি তোমাদের উপর চার মাস দশদিন অধিক কঠিন মনে হয়? ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আত-তিরমিযী ১২১৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হামিদ ইবন নাফে (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৬ | 3506 | ۳۵۰٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৬. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) বলেনঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমার কন্যার স্বামী ইনতিকাল করেছে। আর আমি ভয় করি, তার চোখ খারাপ না হয়ে যায়। আমি কি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি? তিনি বললেনঃ পূর্বে তো এ ধরনের নাবী এক বছর পর্যন্ত বসে থাকতো, আর এই সময় তো কোন অধিক সময় নয়, মাত্র চার মাস দশদিন। আর যখন এক বছর পূর্ণ হতো, তখন ঐ মহিলা বের হয়ে নিজের পিঠের পেছনে উটের গোবর ছিটাতো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৭ | 3507 | ۳۵۰۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৭. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী হাফসা বিনতে উমর (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা এবং কিয়ামতে বিশ্বাস স্থাপনকারী কোন মহিলার জন্য নিজের স্বামী ব্যতীত কোন মৃতের উপর তিন দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ নয়। তবে স্বামীর উপর চারমাস দশদিন শোক করা উচিত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৮৬, ইরওয়া ২০১৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হাফসাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৮ | 3508 | ۳۵۰۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৮. আবদুল্লাহ্ ইবন সাব্বাহ (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ্ এবং কিয়ামতে বিশ্বাস করে তার জন্য কোন মৃতের উপর তিন দিনের অধিক শোক বৈধ নয়, নিজের স্বামী ব্যতীত। কেননা নিজের স্বামীর জন্য সে চার মাস দশদিন শোক পালন করবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আত-তিরমিযী ১২১৭, সহীহুল জামে’ ৭৬৪৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫০৯ | 3509 | ۳۵۰۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৫. স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর ইদ্দত সম্পর্কে ৩৫০৯. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ________________________________________ হাদিসের মানঃ তাহকীক পাওয়া যায়নি পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১০ | 3510 | ۳۵۱۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১০. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিছ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, যখন সুবাইয়া আসলামী সন্তান প্রসব করলো, এর কয়েকদিন পূর্বে তার স্বামী মারা গেল। এখন সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিবাহ করার অনুমতি প্রার্থনা করলো। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। পরে সে একজনের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হলো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০২৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১১ | 3511 | ۳۵۱۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১১. নসর ইবন আলী (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবাইয়াকে বিয়ে করার অনুমতি দান করেন যখন সে নিফাস হতে পাক হবে। পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১২. মুহাম্মদ ইবন কুদামা (রহঃ) ... আবু সানাবিল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুবাইয়ার স্বামীর মৃত্যুর তেইশ অথবা পঁচিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সে বাচ্চা প্রসব করলো। যখন তার নিফাসের সময় অতিবাহিত হলো, তখন সে অন্য স্বামী গ্ৰহণ করার প্রস্তুতি গ্ৰহণ করতে লাগলো। ফলে লোকেরা কুৎসা করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর উল্লেখ করা হলে তিনি বললেনঃ এখন তার বিয়ে করতে বাধা কোথায়? কারণ তার ইদ্দত পূর্ণ হয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০২৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবু সানাবিল (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৩ | 3513 | ۳۵۱۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৩. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... আবদে রাব্বিহী ইবন সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমি আবু সালামাকে বলতে শুনেছিঃ আবু হুরায়রা এবং ইবন আব্বাস (রাঃ) ঐ স্ত্রীলোকের ব্যাপারে মতবিরোধ করলেন যার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামীর মৃত্যুর কিছু দিন পর সে সন্তান প্রসব করে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ সেই মহিলা প্রসব করার পর বিবাহ করতে পারবে। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ উভয় মুদ্দতের মধ্যে যেটা দীর্ঘ হবে তা গ্ৰহণ করবে। পরে উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠান হলে তিনি বললেনঃ সুবা'আর স্বামী মারা যাওয়ার পনের দিন পর সে বাচ্চা প্রসব করে। এরপর দুই ব্যক্তি তার কাছে বিবাহের প্রস্তাব করলে সে একজনের দিকে ঝুকে পড়লো। তার পরিবারের লোকেরা আশংকা করলো যে, পাছে সে তাকে বিয়ে করে কিনা। তারা তাকে বললোঃ এখনও তো তোমার ইদ্দত ও পূর্ণ হয়নি। সুবায়আ (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ তুমি বৈধ হয়ে গেছ, কাজেই এখন যার সাথে ইচ্ছা বিবাহ করতে পার। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আত-তিরমিযী ১২১৪, ইরওয়া ২১১৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদে রাব্বিহী ইবন সাঈদ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৪ | 3514 | ۳۵۱٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৪. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিস ইবন মিসকীন (রহঃ) ... আবু সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কেউ আবু হুৱায়রা ও ইবন আব্বাসের নিকট ঐ মহিলার ব্যাপারে প্রশ্ন করলো, যার স্বামী মারা যায় এবং সে তখন গর্ভবতী ছিল। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ সে তার দু'টি ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘ হয়, সে তা গ্ৰহণ করবে। আর আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ যখনই সে প্রসব করেছে তখনই তার ইদ্দত পূর্ণ হয়ে গেছে। আবু সালমা (রহঃ) এই মতবিরোধ শ্রবণ করে উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট গমন করলেন এবং তার নিকট এই মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। উম্মে সালমা (রাঃ) বললেনঃ সুবাইয়ার স্বামীর মৃত্যুর পর অর্ধ মাস অতীত হলে সে সন্তান প্রসব করেছে। এরপর দুই ব্যক্তি তার নিকট বিবাহের পয়গাম পাঠায়, তাদের একজন ছিল যুবক, আর দ্বিতীয় জন ছিল আধা বয়সী। সে যুবকের দিকে ঝুকে গেল। তখন মধ্যম বয়সী ব্যক্তি বললোঃ এখন তোমার বিবাহ করা হালাল হবে না। উম্মে সালামা (রাঃ) বলেনঃ তখন সুবাইয়ার পরিবারের লোক উপস্থিত ছিল না, মধ্য বয়সের লোকটি মনে করলো, যখন তার আত্মীয়-স্বজন আসবে, তখন হয়তো তারা বুঝিয়ে সুবাইয়াকে আমার জন্য রাজী করাবে। পরে ঐ মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ তুমি হালাল হয়ে গেছ, এখন তুমি যাকে ইচ্ছা বিয়ে করতে পার। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৫ | 3515 | ۳۵۱۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৫. মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ বাযী' (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কেউ ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলো, যদি কোন স্ত্রীলোক তার স্বামী মুত্যুবরণ করার বিশ দিনের মধ্যে সন্তান প্রসব করে, তবে কি তার বিবাহ করা বৈধ হবে? ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ না। বিবাহ করা বৈধ হবে না, যতক্ষণ না সে তার দুই ইদ্দতের মধ্যে দীর্ঘ ইদ্দতটি পূর্ণ না করে। আবু সালমা (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ "যার গর্ভে সন্তান রয়েছে, তার ইদ্দত হলো তার সন্তান প্রসব করা।" ইবন আব্বাস (রাঃ) আবু সালাম (রহঃ)-কে উত্তর দিলেন, এই আদেশ তালাকপ্রাপ্ত রমণীর ব্যাপারে। এরপর আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ আমি আমার ভাইপো আবু সালামার সাথে আছি। অর্থাৎ যা সে বলছে তা-ই আমার নিকট উত্তম এবং সহীহ। এই কথার পর তিনি স্বীয় দাস কুরায়বকে ডাকলেন এবং উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন, এ খবরসহ যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সুন্নত আছে কি না। কুরায়ব (রহঃ) উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) যা বলেছেন তা ব্যক্ত করলে উম্মে সালমা (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত এ ব্যাপারে এই যে, সুবাইয়া আসলামী তার স্বামীর মৃত্যুর বিশ দিন পর সন্তান প্রসব করলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করার অনুমতি দেন, আর আবু সানাবিল তার বিবাহের প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৬ | 3516 | ۳۵۱٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৬. কুতায়বা (রহঃ) ... সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু হুরায়রা (রাঃ), ইবন আব্বাস (রাঃ) ও আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) নিজেদের মধ্যে ঐ মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে আলোচনা করেন, যার স্বামী মারা যায়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ দু'টি ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘতর, সেটি পালন করবে। আর আবু সালাম (রহঃ) বললেনঃ সেই মহিলা তার সন্তান প্রসবকাল পর্যন্ত ইদ্দত পালন করবে এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ আমি আমার ভ্রাতুষ্পপুত্রের সাথে একমত। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট এক ব্যক্তিকে পাঠালে তিনি বললেনঃ সুবাইয়া আসলামিয়া তার স্বামীর মৃত্যুর কদিন পর সন্তান প্রসব করলো। এ ব্যাপারে সুবাইয়া রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর সমাধান চাইলে তিনি তাকে বিবাহের অনুমতি প্ৰদান করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৭ | 3517 | ۳۵۱۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৭. আবদুল আ'লা (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুবাইয়া তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর সন্তান প্রসব করলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করার অনুমতি প্রদান করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৮ | 3518 | ۳۵۱۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৮. মুহাম্মদ ইবন সালাম (রহঃ) ... সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস এবং আবু সালামা ইবন আব্দুর রহমান এর মধ্যে ঐ মহিলার ইদ্দতের ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দেয়, যার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর সে সন্তান প্রসব করলো। আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ দুই ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘতর হয়, ঐ মহিলা সেটি পালন করবে। আর আবু সালামা (রহঃ) বলেনঃ যখন সে সন্তান প্রসব করলো, তখন তার ইদ্দত পূর্ণ হলো। এরপর আবু হুরায়রা (রাঃ) আসলে তিনি বললেনঃ আমি আমার ভাতিজা অর্থাৎ আবু সালামা ইবন আব্দুর রহমানের পক্ষ অবলম্বন করছি। এরপর তাঁরা কুরায়ব (রহঃ)-কে উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠান। তিনি এই ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করে এসে তাদেরকে বললেন যে, উম্মে সালামা (রাঃ) বলেছেনঃ সুবাইয়া তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর সন্তান প্রসব করলো। এরপর সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এর উল্লেখ করলে, তিনি বললেনঃ তুমি হালাল হয়ে গেছ, অর্থাৎ তোমার ইদ্দত পূৰ্ণ হয়ে গেছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৯ | 3519 | ۳۵۱۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫১৯. হুসায়ন ইবন মানসূর (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা আমি, ইবন আব্বাস এবং আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ যখন কোন স্ত্রীলোক তার স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তান প্রসব করে, তখন ঐ স্ত্রীলোকের ইদ্দত হবে, দুই ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘতর সেটি। আবু সালামা (রহঃ) বলেনঃ আমরা কুরাইবকে উম্মে সালাম (রাঃ)-এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠালে, কুরাইব উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট থেকে সংবাদ নিয়ে আসলে যে, সুবাইয়ার স্বামীর মৃত্যু হলে কয়েকদিন পর তার সন্তান জন্মগ্রহণ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করার অনুমতি প্ৰদান করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২০ | 3520 | ۳۵۲۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২০. আব্দুল মালিক ইবন শুআয়ব (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, যয়নব বিনত আবু সালামা তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তার মা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে সালামা হতে, বনী আসলাম গোত্রের সুবাইয়া নাম্নী এক মহিলা তার স্বামীর বিবাহে ছিল। তাকে গর্ভবতী অবস্থায় রেখে স্বামী মারা যায়। আবু সানাবিল ইবন বা'কাক তার বিবাহের পয়গাম দেন, কিন্তু সে তার প্রস্তাবে রাযী হলেন না। পরে তিনি বললেনঃ দুই ইদ্দতের মধ্যে যেটি দীর্ঘতর, সেটি পূর্ণ করার পূর্বে তোমার বিয়ে করা ঠিক হবে না। সে বিশদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করলো। এরপর যখন সে সন্তান প্রসব করেল, তখন সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি বললেনঃ তুমি এখন বিয়ে করতে পার। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২১ | 3521 | ۳۵۲۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২১. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, একদিন আমি এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম, এমন সময় এক মহিলা উপস্থিত হয়ে তার স্বামীর অবস্থা বর্ণনা করতে লাগলো যে, তার স্বামীর মৃত্যুবরণ করেছে, তখন সে গর্ভবতী ছিল। সে বললোঃ স্বামীর মৃত্যুর দিন থেকে চার মাস পূর্ণ না হতেই সে সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ যে ইদ্দত দীর্ঘতর হবে, তা-ই তোমার ইদ্দত হবে। আবু সালামা (রহঃ) বললেনঃ আমাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী সংবাদ দিয়েছেন যে, সুবাইয়া আসলামী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে নিজের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বললে যে, আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, তখন আমি গর্ভবতী ছিলাম। এরপর আমার সন্তান প্রসব হয়েছে, তখন বাচ্চার পিতার মৃত্যুর পর চার মাস অতিবাহিত হয়নি। তাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ করার অনুমতি দান করেন। তখন আবু হুরায়রা (রাঃ) বলতে লাগলেনঃ আমি এ ব্যাপারে সাক্ষী। পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২২. ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্ বর্ণনা করেন, তাহার পিতা আবদুল্লাহ (রাঃ) উমর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আরকাম যুহরী (রহঃ)-কে লিখলেন, আপনি গিয়ে সুবাইয়া বিনত হারিস আসলামী (রাঃ)-কে তার অবস্থা জিজ্ঞাসা করুন। যখন সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার অবস্থার সমাধান চেয়েছিল, তখন তিনি তাকে কি বলেছিলেন। তখন উমর ইবন আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ্ ইবন উতবাকে লিখলেন যে, সুবাইয়া (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন, তিনি সা'দ ইবন খাওলার বিবাহধীন ছিলেন, আর সা'দ ছিলেন আমির ইবন লুয়াই গোত্রের লোক। আর তিনি বদরী সাহাবীও ছিলেন, তিনি যখন বিদায় হজ্জে ইনতিকাল করেন, তখন আমি গর্ভবতী ছিলাম। কিন্তু তার মৃত্যুর কয়েক দিন পরই বাচ্চ জন্ম নেয়। যখন সুবাইয়া (রাঃ) নিফাস হতে পাক হন। তখন তিনি বিবাহ প্রস্তাবকারীদের জন্য সাজসজ্জা করলেন। আবদুদ্দার গোত্রের আবু সানাবিল ইবন বা'কাক তার নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলোঃ তোমাকে সাজসজ্জা করতে দেখছি কেন? মনে হয় তুমি বিবাহের ইচ্ছা করছে? আল্লাহর শপথ! তোমার জন্য বিবাহ করা ঠিক হবে না। চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার আগে। সুবাইয়া (রাঃ) বলেনঃ যখন সে একথা বললো, তখন আমি সন্ধ্যায় কাপড় পড়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে ফতওয়া দিয়ে বললেনঃ তুমি যখন বাচ্চা প্রসব করেছ, তখনই তোমার ইদ্দত পূর্ণ হয়েছে। তিনি আমাকে আরো বললেনঃ যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে বিবাহ করে নাও। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন ‘উতবাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৩ | 3523 | ۳۵۲۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৩. মুহাম্মদ ইবন ওহাব (রহঃ) ... যুফার ইবন আওস ইবন হাদাছান নসরী বলেন, আবু সানাবিল ইবন বা‘কাক ইবন সাববাক সুবাইয়া আসলামী (রাঃ)-কে বললোঃ চার মাস দশদিন, যা দুই ইদ্দতের মধ্যে দীর্ঘতর, তা শেষ হওয়ার পূর্বে তোমার বিবাহ করা ঠিক হবে না। একথা শুনে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন। সুবাইয়া (রাঃ)-এর কথা দ্বারা বুঝা গেল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এই সমাধান দিলেন যে, তোমার সন্তান প্রসব হলে, তুমি বিয়ে করে নিবে। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর সময় তিনি নয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তিনি সা'দ ইবন খাওলার বিবাহাধীন ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংগে ছিলেন এবং এ সময় তিনি মারা যান। পরে তার সন্তান প্রসব হওয়ার পর সেই গোত্রের এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যুফার ইবন আওস ইবন হাদাছান নসরী পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৪ | 3524 | ۳۵۲٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৪. কাছীর ইবন উবায়দ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ্ ইবন উতবা উমর ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আরকাম যুহরীকে সুবাইয়া (রাঃ)-এর নিকট যাওয়ার জন্য পত্ৰ লিখলেন যে, আপনি গিয়ে সুবাইয়া আসলামী বিনত হারিস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করবেন, তার গর্ভ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কী সমাধান দিয়েছিলেন। রাবী বলেন, উমর ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) তার নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন ; আমি সা’দ ইবন খাওলার স্ত্রী ছিলাম, সা’দ ইবন খাওলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ছিলেন, তিনি বদরীও ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জে ইনতিকাল করেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে আমি সন্তান প্রসব করলাম, চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার আগেই। রাবী বলেনঃ তার নিফাস হতে পাক হওয়ার পর বনী আবদুদ্দারের আবু সানাবিল নাম এক ব্যক্তি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে দেখলেন যে, তিনি সাজসজ্জা করছেন। সে বললোঃ মনে হয় তুমি বিবাহের ইচ্ছা রাখ, চার মাস দশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই। সুবাইয়া (রাঃ) বলেন, আমি আবু সানাবিলের নিকট এ কথা শোনার পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট আমার অবস্থা ব্যক্ত করিলাম। তিনি বললেনঃ তুমি সন্তান প্রসব করার সাথে সাথেই তোমার ইদ্দত পূর্ণ করেছ। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন ‘উতবাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৫ | 3525 | ۳۵۲۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৫. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল আ'লা (রহঃ) ... মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমি কুফায় আনসারীদের এক বড় মজলিসে বসা ছিলাম, সেখানে আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সুবাইয়া (রাঃ)-এর ব্যাপারে আলোচিত হলো। আমি আবদুল্লাহ ইবন উতবা ইবন মাসউদের বর্ণনার উল্লেখ করলাম, যা ইবন আওনের কথার অনুরূপ ছিল, অর্থাৎ বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত তার ইদ্দত ছিল। ইবন আবু লায়লা বললেনঃ আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ)-এর এ কথার সমর্থক ছিলেন না যে, গৰ্ভধারিণীর ইদ্দত প্রসব পর্যন্ত, বরং তিনি দুই ইদ্দতের মধ্যে যেটি অধিক তাকেই ইদ্দত মনে করতেন। তখন আমি আমার আওয়ায উচু করে বললামঃ আমি কি এরূপ দুঃসাহস করতে পারি যে, আবদুল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করবো? অথচ তিনি কুফায় থাকেন। এরপর মালিকের সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো। আমি তাঁর নিকট জিজ্ঞাসা করলামঃ আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) সুবাইয়া (রাঃ)-এর ব্যাপারে কি বলতেন? তিনি বললেনঃ ইবন মাসউদ (রাঃ) বলতেনঃ তোমরা তার উপর কঠোর বিধান আরোপ করছো? আর তোমরা তাকে অনুমতি দিতেছ না? অথচ ছােট সূরায় নিসা, যা হলো সূরা তালাক, তা বড় সূরা অর্থাৎ সূরা বাকারার পর নাযিল হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইবনু সীরীন (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৬ | 3526 | ۳۵۲٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৬. মুহাম্মদ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... আলকামা ইবন কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবন মাসউদ (রাঃ) বলেন, যদি কেউ ইচ্ছা করে, আমি তার সাথে এ ব্যাপারে মুবাহালা করতে পারি যে, (وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ) অর্থঃ আর গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত- এ আয়াতটি যে স্ত্রীর স্বামী মারা গেছে তার ইদ্দত সম্পর্কে। এ আয়াতঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাদের স্ত্রীগণ চারমাস দশদিন অপেক্ষায় থাকবে - এরপর নাযিল হয়। যে গৰ্ভবতী স্ত্রীর স্বামী মারা যায়, তার সন্তান ভূমিষ্ট হলে তার ইদ্দত শেষ হয়ে যাবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আলকামাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৭ | 3527 | ۳۵۲۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৬. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দত ৩৫২৭. আবু দাউদ সুলায়মান ইবন সায়ফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ছোট সূরার নিসা, অর্থাৎ সূরায়ে তালাক সূরা বাকারার পর নাযিল হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৮ | 3528 | ۳۵۲۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৭. যে মহিলার স্বামী তার সাথে সহবাসের পূর্বে মারা যায়, তার ইদ্দত ৩৫২৮. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা তার কাছে কেউ জিজ্ঞাসা করলো যে, এক ব্যক্তি এক স্ত্রীলোককে বিবাহ করলো, আর বিবাহের সময় তার জন্য কোন মাহর নির্ধারণ করলো না, এবং তার সাথে সহবাস করার পূর্বেই সে মারা গেল। ইবন মাসউদ (রাঃ) বললেনঃ ঐ মহিলা তার বংশের অন্যান্য মহিলার ন্যায় মহর পাবে, কমও নয় এবং বেশীও নয়। আর তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে এবং সে স্বামীর মীরাছের অংশ পাবে। এ কথা শুনে মাকাল ইবন সিনান আশজায়ী (রঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সম্প্রদায়ের এক মহিলার ফয়সালা এরূপই করেছিলেন, যার নাম ছিল বিরওয়া বিনুত ওয়াশিক, যেরূপ আপনি বললেন। একথা শুনে ইবন মাসউদ (রাঃ) সন্তুষ্ট হলেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ১৮৯১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫২৯ | 3529 | ۳۵۲۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৮. শোক করা ৩৫২৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিজের স্বামী ব্যতীত কোন মহিলার জন্য তিন দিনের অধিক কোন মৃত ব্যক্তির জন্য শোক করা বৈধ নয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৮৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩০ | 3530 | ۳۵۳۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৮. শোক করা ৩৫৩০. মুহাম্মদ ইবন মা’মার (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে, তার জন্য তিন দিনের অধিক শোক করা বৈধ হবে না- নিজের স্বামী ব্যতীত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩১ | 3531 | ۳۵۳۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৫৯. যে আহলে কিতাব মহিলার স্বামী মারা গেছে, তার শোক ৩৫৩১. ইসহাক ইবন মানসূর (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এই মিম্বরে বলতে শুনেছিঃ যে মহিলা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃত্যুর উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা বৈধ নয়। কিন্তু সে তার স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। পরিচ্ছদঃ ৬০. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, তার উচিত-ইদ্দত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকা ৩৫৩২. মুহাম্মদ ইবন 'আলা (রহঃ) ... ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার স্বামী স্বীয় গোলামের তালাশে বের হলে, তারা তাকে হত্যা করলো। শু'বা এবং ইবন জুরাইজ (রহঃ) বলেনঃ সেই মহিলার ঘর ছিল জনবসতি হতে দূরে। পরে সেই মহিলা তার ভাইকে সাথে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের অবস্থা বর্ণনা করলেন, তিনি তাকে অন্য ঘরে বাস করার অনুমতি দিলেন। যখন সে প্রত্যাবর্তন করছিল, তিনি তাকে ডেকে বললেনঃ তুমি নিজের ঘরেই থাকে, যতক্ষণ না ইদ্দত পূর্ণ হয়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৩ | 3533 | ۳۵۳۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬০. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, তার উচিত-ইদ্দত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকা ৩৫৩৩. কুতায়বা (রহঃ) ... ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমার স্বামী আজমী গোলামাদেরকে চাকর রাখতেন তার কাজের জন্য। তারা তাকে হত্যা করলে তিনি এই সংবাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌছিয়ে বললেন, আমার স্বামীর কোন ঘরও নেই এবং তিনি খোরপোষের কোন ব্যবস্থাও করে যাননি। আমি আমার পরিবারস্থ লোকের নিকট গিয়ে আমার ইয়াতিম সন্তানদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারি? তিনি তাকে বললেনঃ তুমি এরূপ করতে পার। এরপর তিনি বললেনঃ কী বলেছিলে? তখন সে যা বলেছিল, তা আবার বললো। তিনি বললেনঃ ইদ্দত ঐ স্থানেই পালন কর, যেখানে তুমি তোমার স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনেছ। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৪ | 3534 | ۳۵۳٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬০. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, তার উচিত-ইদ্দত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকা ৩৫৩৪. কুতায়বা (রহঃ) ... ফারি'আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার স্বামী গোলামদের তালাশে বের হয়ে কাদুমের পথে নিহত হলেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমি আমার পরিবারের লোকদের নিকট যেতে চাই এবং তাঁর নিকট ঘটনা বর্ণনা করলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। যখন আমি রওয়ানা হলাম, তখন তিনি আমাকে ডেকে বললোঃ ইদ্দত পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত নিজের স্বামীর ঘরেই থাক। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৫ | 3535 | ۳۵۳۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬১. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা যায়, সে যেখানে চায়, সেখানে থেকে ইদ্দত পালনের অনুমতি ৩৫৩৫. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যে আয়াতে বলা হয়েছে "স্ত্রী তার স্বামীর ঘরে ইদ্দত পূৰ্ণ করবে।" এই আয়াত এখন মানসূখ বা রহিত হয়ে গেছে। এখন তার জন্য যেখানে ইচ্ছা সেখানে থেকে ইদ্দত পূর্ণ করার ইখতিয়ার আছে। (غَيْرَ إِخْرَاجٍ) আয়াত দ্বারা তা রহিত হয়েছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৬ | 3536 | ۳۵۳٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬২. স্বামীর মৃত্যু সংবাদ প্রাপ্তির দিন হতে ইদ্দত পালন ৩৫৩৬. ইসহাক ইবন মানসূর (রহঃ) ... আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর বোন ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) বলেনঃ আমার স্বামী কাদুম নামক স্থানে ইনতিকাল করেন। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমার ঘর লোকালয় হতে বহু দূরে অবস্থিত। তিনি আমাকে আমার পরিবারের কাছে থাকার অনুমতি দান করলেন। এরপর ডেকে বললেনঃ নিজের স্বামীর ঘরেই চার মাস দশ দিন অতিবাহিত কর, তাহলে তোমার ইদ্দত পূর্ণ হবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফারি'আ বিনত মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৭ | 3537 | ۳۵۳۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৩. মুসলমান নারীর স্বামীর শোকপালনে সাজসজ্জা ত্যাগ করা ৩৫৩৭. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিছ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... যয়নব বিনত আবু সালামা (রাঃ) এই তিনটি হাদীস বর্ণনা করেন। যয়নব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবীব (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তাঁর পিতা আবু সুফিয়ান ইবন হারব ইনতিকাল করেন। এ সময় উম্মে হাবীব (রাঃ) সুগন্ধি আনান। তিনি সর্বাগ্রে তা বাঁদীর গায়ে লাগান, পরে তিনি তা নিজের চেহারায় মাখলেন এবং বললেনঃ আল্লাহর শপথ! এখন আমার সুগন্ধি লাগাবার কোন প্রয়োজন ছিল না; কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। এরপর আমি যায়নব বিনতু জাহশ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তার ভাই ইনতিকাল করেছিল। তিনি সুগন্ধি লাগিয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ ! এখন আমার সুগন্ধির প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। যয়নব (রাঃ) বলেনঃ আমি উম্মে সালামা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে এবং তার চোখে ব্যথা, যদি আপনি অনুমতি দেন তবে আমি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি। তিনি বললেনঃ সুরমা লাগাবে না। এখন তো শুধু চার মাস দশদিন শোক করতে হয়, অথচ জাহিলী যুগে এরূপ নারী এক বছর পর গোবর ছিটাতো। হুমাইদ ইবন নাফে' (রহঃ) বলেন, আমি যায়নবকে জিজ্ঞাসা করলামঃ গোবর ছিটাবার অর্থ কী? যয়নব (রাঃ) বর্ণনা করলেন, জাহিলী যুগে যে নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, সে নারী এক ক্ষুদ্র অন্ধকার প্রকোষ্টে প্রবেশ করতো। আর সে নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করতো, এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সে কোন প্রকার সুগন্ধি লাগাতো না, এক বছর পর গাধা, বকরী অথবা অন্য কোন পাখী তার কাছে আনা হতো। পরে সে ঐ জানওয়ারকে নিজের শরীরে মর্দন করতো, ফলে ঐ জন্তু মারা যেত। তারপর সে বের হতো। এরপর তাকে উটের গোবর দেয়া হতো এবং সে তা ছিটাতো। পরে সুগন্ধি মাখতো, অথবা মনে যা চাইতো, তা করতো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২১১৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৮ | 3538 | ۳۵۳۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৪. শোককারীণীর রঙ্গিন কাপড় পরিহার করা ৩৫৩৮. হুসায়ন ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ... উম্মু আতিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন নারী কারো জন্য তিন দিনের অধিককাল শোক করবে না। তবে তার স্বামী ব্যতীত। কেননা, সে তার জন্য চার মাস দশ দিন শোক করবে। আর শোককারীণী কোন রঙ্গিন কাপড় পরিধান করবে না, আর না ঐ কাপড় যার সুতা রং করিয়ে বানানো হয় এবং সুরমা লাগাবে না, আর মাথায় চিরুনী করবে না এবং সুগন্ধি লাগবে না। কিন্তু যখন সে হায়য হতে পাক হবে, তখন কিছু কুসত এবং আযফার (সুগন্ধি জাতীয় জিনিস) ব্যবহার করতে পারে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৮৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৯ | 3539 | ۳۵۳۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৪. শোককারীণীর রঙ্গিন কাপড় পরিহার করা ৩৫৩৯. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী উম্মে সালামা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা যায়, সে কুসুম রঙের কাপড় এবং লাল ফুলদ্বারা রং করা কাপড় পরিধান করবে না এবং খেযাব, সুরমা ইত্যাদিও লাগাবে না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ২১২৯, সহীহ আবু দাউদ ১৯৯৫। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪০ | 3540 | ۳۵٤۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৫. শোককারীণীর খিযাব ব্যবহার ৩৫৪০. মুহাম্মদ ইবন মানসূর (রহঃ) ... উম্মে আতিয়া (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে নারী আল্লাহ্ ও কিয়ামতের দিনে ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশ্যে তিন দিনের অধিক শোক করা বৈধ হবে না, তার স্বামী ব্যতীত। আর সে সুরমা ব্যবহার করবে না, খিযাব লাগবে না এবং রং করা কাপড় পরিধান করবে না। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪১ | 3541 | ۳۵٤۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৬. শোককারীণীর জন্য কুলপাতার পানিতে মাথা ধোয়ার অনুমতি ৩৫৪১. আহমদ ইবন আমর ইবন সারাহ (রহঃ) ... উম্মে হাকীম বিনত উসায়দ তাঁর মাতা হতে বর্ণনা করেন; যখন তাঁর স্বামী মারা যায়, তখন তাঁর চােখে ব্যথা ছিল। তখন তিনি ইসমিদ সুরমা লাগান। পরে তিনি তার মুক্ত করা চাকরাণীকে উম্মে সালামা (রাঃ)-এর নিকট প্রেরণ করেন, তার নিকট চোখের রোগ নিবারক সুরমা চেয়ে। উম্মে সালাম (রাঃ) বললেনঃ কোন সুরমা ব্যবহার করবে না। হ্যাঁ যদি কঠিন প্রয়োজন হয় তবে কোন ক্ষতি নেই। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট ঐ সময় আসেন, যখন আবু সালামা (রাঃ)-এর ইনতিকাল হয়। আর আমি তখন আমার চোখে ইলুয়া লাগিয়ে ছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে উম্মে সালামা! এটা কি ? আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ইহা ইলুয়া। এতে সুগন্ধি নেই। তিনি বললেনঃ হে উম্মে সালামা! এর দ্বারা চেহারায় ঔজ্জ্বল্য আসে। এটা আর লাগবে না। যদি লাগাতেই হয় তবে রাতে লাগাবে। আর সুগন্ধি বস্তু দ্বারা মাথা ধোবে না, মেহেদী দ্বারাও নয়। কেননা, মেহেদীর মধ্যে রং রয়েছে। উম্মে সালাম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কি দিয়ে মাথা ধোব? তিনি বললেনঃ মাথায় কুলপাতা লাগাবে। পরিচ্ছদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ৩৫৪২. রবী' ইবন সুলায়মান (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার চােখে ব্যথা, আমি কি তার চােখে সুরমা লাগিয়ে দেব? আর তার কন্যার স্বামীর মৃত্যুর পর সে ইদ্দত পালন করছিল। তিনি বললেনঃ চার মাস দশদিন পূর্ণ হওয়ার পর লাগাবে। ঐ মহিলা আবার বললোঃ এতে আমি তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছি। তিনি বললেনঃ চার মোস দশদিন পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বৈধ হবে না। তিনি বললেনঃ জাহিলী যুগে প্রত্যেক নারী স্বামীর মৃত্যুর পর এক বছর পর্যন্ত শোক করতো। এক বছর পর তারা গোবর নিক্ষেপ করতো। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৩ | 3543 | ۳۵٤۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ৩৫৪৩. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ (রহঃ) ... যায়নব বিনত আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর মাতা উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের কন্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো, যার স্বামী মারা গিয়েছিল, এবং সে চোখের অসুখে আক্রান্ত ছিল। তিনি বললেনঃ তোমরা প্রত্যেক নারী জাহিলী যুগে এক বছর শোক পালন করতে, এবং সাল পূর্ণ হলে গোবর ছিটাতো। এখন তো মাত্র চার মাস দশ দিন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৪ | 3544 | ۳۵٤٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ৩৫৪৪. মুহাম্মদ ইবন মা'দান ইবন ঈসা (রহঃ) ... উম্মে সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কুরাইশ-এর এক রমণী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো যে, আমার কন্যার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, আমার আশংকা হয় তার চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, তার ইচ্ছা ছিল, তিনি তাকে সুরমা লাগাবার অনুমতি দেবেন। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের পূর্বে অর্থাৎ জাহিলী যুগে প্রত্যেক নারী বছর পূর্ণ হলে গোবর ছিটাতো। আর এখন তো মাত্র চার মাস দশদিন। হুমায়দ ইবন নাফি' (রহঃ) বলেন, আমি যায়নব (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ এক বছর পূর্তির ঘটনা কি? যায়নব উত্তর করলেনঃ জাহিলী যুগে যখন কোন নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, তখন সে রমণী তাদের অতি নিকৃষ্ট ঘরে আশ্রয় নিত। যখন এক বছর পূর্ণ হতো, তখন সে নিজের পিঠের পেছনে গোবর ছিটিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসত। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৫ | 3545 | ۳۵٤۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা ৩৫৪৫. ইয়াহইয়া ইবন হাবীব ইবন আরাবী (রহঃ) ... যয়নব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক মহিলা উম্মে সালামা এবং উম্মে হাবীবা (রাঃ)-এর নিকট স্বামীর মৃত্যু হলে নারীর ইদ্দতের কথা জিজ্ঞাসা করলো, তার সুরমা লাগান বৈধ হবে কি না। তারা বললেনঃ এক নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ তোমাদের পূর্বেই মহিলারা জাহিলী যুগে যখন তার স্বামী মারা যেত, তখন সে এক বছর ইদ্দত পালন করতো, এরপর তার পিঠের পেছনে গোবর ছিটিয়ে বের হতো। আর এখন তো চার মাস দশ দিন পরই তার ইদ্দত শেষ হয়ে যায়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৬ | 3546 | ۳۵٤٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৮. শোক পালনকারীণীর কুসত এবং আযফার ব্যবহার করা ৩৫৪৬. আব্বাস ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ... উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, যে নারীর স্বামী মারা গেছে ঐ নারীকে কুস্ত এবং আযফার লাগানোর অনুমতি দান করেন, তার পবিত্র অবস্থায়। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৮৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৭ | 3547 | ۳۵٤۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৯. মীরাছ ফরয হওয়ায় এক বছরের খরচ রহিত ৩৫৪৭. যাকারিয়া ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ) অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্যে সপত্নীক অবস্থায় যাদের মৃত্যু আসন্ন, তারা যেন তাদের স্ত্রীদেরকে ঘর থেকে বের না করে তাদের এক বছরের ভরণপোষণের ওসীয়ত করে'-এই আয়াতটি মীরাছের আয়াত দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। যে আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা স্ত্রীদের জন্য মীরাসের এক চতুর্থাংশ বা এক অষ্টমাংশ অংশ নির্ধারিত করেছেন। আর এক বছর ইদ্দতের আদেশ চার মাস দশ দিনের ইদ্দতের আদেশ দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৮ | 3548 | ۳۵٤۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৬৯. মীরাছ ফরয হওয়ায় এক বছরের খরচ রহিত ৩৫৪৮. কুতায়বা (রহঃ) ... ইকরামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لِأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ) আয়াতটি (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا) আয়াত দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ইকরিমা (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৯ | 3549 | ۳۵٤۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৪৯. আব্দুল হামিদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন, তিনি মাখযুম গোত্রের এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন, যিনি তাকে তিন তালাক দেন এবং কোন যুদ্ধে গমন করেন। আর তিনি নিজের উকীলের নিকট বলে যানঃ তুমি তাকে কিছু খরচ দিয়ে দিও। সেই উকীল তাকে কিছু দিল। কিন্তু ফাতিমা (রাঃ) তা কম মনে করে ফিরিয়ে দিলেন এবং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সহধর্মিণীর নিকট গমন করেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করেন, তখন ঐ মহিলা ঐ ঘরে ছিলেন। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি ফাতিমা বিনত কায়স! আমাকে অমুক ব্যক্তি তালাক দিয়েছে। আর অমুকের মারফত আমার খরচ পাঠিয়েছে। আমি একে সামান্য মনে করে তা ফিরিয়ে দিয়েছি। সে বলে, এতটুকু দেয়াও আমার ইহসান। তিনি বললেনঃ সে ব্যক্তি ঠিকই বলেছে। এখন তুমি উম্মে কুলসুমের কাছে গিয়ে তোমার ইদ্দত পূর্ণ করা। এরপর তিনি আবার বললেন, উম্মে কুলসুমের ঘরে লোকের যাতায়াত অধিক হয়। অতএব তুমি এখন আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুমের কাছে গিয়ে থাক। কেননা, ঐ ব্যক্তি অন্ধ। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, আমি আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট চলে গেলাম এবং সেখানে আমার ইদ্দত পূর্ণ করলাম। আমার ইদ্দতের সময় পূর্ণ হলে আবু জাহম এবং মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে আমি পুনরায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে উক্ত দুই ব্যক্তি সম্বন্ধে পরামর্শ নিলাম। তিনি বললেনঃ আমি তো তোমার জন্য জাহামের লাঠির ভয় করি, আর মুআবিয়া তো গরীব লোক। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, এ কথা শুনে আমি উসামা ইবন যায়ীদ (রাঃ)-কে বিবাহ করলাম। ________________________________________ তাহক্বীকঃ যয়ীফ। উম্মে কুলসুমের উল্লেখ মুনকার, মাহফুয হল উম্মু শরীক। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুর রহমান ইবন আসিম (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫০ | 3550 | ۳۵۵۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৫০. মুহাম্মদ ইবন রাফে' (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বলেন, তিনি আবু আমর ইবন হাফস (রাঃ) এর বিবাহাধীনে ছিলেন। তিনি ফাতিমাকে তিন তালাক দেন। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের ঘর হতে বের হওয়ার অনুমতি চাইলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিজের ঘর থেকে ইবন উম্মে মাকতুমের ঘরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন। রাবী বলেনঃ মারওয়ান ইবন হাকাম এই মাসআলা অস্বীকার করেন এবং ফাতিমাকে তিনি এই বর্ণনায় সত্যবাদী মনে করেন না। আর উরওয়া (রহঃ) বলেন, আয়েশা (রাঃ)-ও ফাতিমা (রাঃ)-এর কথা অস্বীকার করেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। সহীহ আবু দাউদ ১৯৮১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫১ | 3551 | ۳۵۵۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৫১. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিয়েছে; এখন আমার ভয় হয়, আমার নিকট কোন চোর আসতে পারে। তখন তিনি তাকে সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার অনুমতি দিলেন। পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৫২. ইয়াকুব ইবন হামান (রহঃ) ... শা'বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ফাতিমা বিনত কায়স আমার নিকট আসলে আমি তাঁর নিকট তার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফয়সালার কথা জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তাঁর স্বামী তাকে তিন তালাক দেন। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার উকীলের সাথে তর্ক করলাম এবং আমি ঘর এবং খরচাদির জন্য কথাবার্তা বললাম। ফাতিমা (রাঃ) বলেনঃ তিনি আমার জন্য ঘর, খরচাদি দেওয়ার কথা বললেন না। আর তিনি আমাকে ইবন উম্মে মাকতুমের ঘরে ইদ্দত পূর্ণ করার আদেশ দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ শা‘বী (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৩ | 3553 | ۳۵۵۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭০. তালাকপ্রাপ্তা নারীর জন্য ইদ্দতের সময় তার ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ৩৫৫৩. আবু বকর ইবন ইসহাক সাগানী (রহঃ) ... শা'বী (রহঃ) সূত্রে ফাতিমা বিনূত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আমার স্বামী তালাক দিল, আমি তার ঘর থেকে চলে যাওয়ার ইচ্ছায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার চাচাত ভাই আমর ইবন উম্মে মাকতুমের ঘরে গিয়ে সেখানে তোমার ইদ্দত পূর্ণ করা। একথা শুনে আসওয়াদ তাঁকে পাথর দ্বারা আঘাত করে বললেনঃ আপনার ধ্বংস হোক। আপনি এরূপ কথা কোন বর্ণনা করছেন? উমর (রাঃ) বললেন, যদি তুমি দুইজন সাক্ষী আনো, যারা এই সাক্ষ্য দিবে যে, আমরা ইহা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি; তাহলে আমি তোমার কথা গ্রহণ করবো। তা-না হলে আমরা একজন মহিলার কথায় আল্লাহর কিতাব ছাড়তে পারি না, আল্লাহর কিতাবে নির্দেশ আছেঃ "ঐ সকল মহিলাদেরকে তাদের ঘর হতে বের করো না, আর তারাও যেন বের না হয়; যদি না তারা প্ৰকাশ্য অশ্লীলতার কাজে লিপ্ত হয়।" ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ শা‘বী (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৪ | 3554 | ۳۵۵٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭১. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, দিনের বেলায় তার বের হওয়া ৩৫৫৪. আব্দুল হামিদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁর খালাকে তালাক দেওয়ার পর তিনি তার খেজুর বাগানে যেতে চাইলেন। পথে এক ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাৎ হলে সে তাকে সেখানে যেতে নিষেধ করলো। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলে, তিনি বললেনঃ তুমি গিয়ে তোমার খেজুর নিয়ে এসো। হয়তো তুমি সাদকা করবে এবং মানুষের উপকারের জন্য দিয়ে দেবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৩৪, ইরওয়া ২১৩৪, সহীহাহ ৭২৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৫ | 3555 | ۳۵۵۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭২. বায়িন তালাকা প্ৰাপ্তার খোরপোষ ৩৫৫৫. আহমদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন হাকাম (রহঃ) ... আবু বকর ইবন হাফস (রহঃ) বলেনঃ আমি এবং আবু সালামা ফাতিমা বিনত কায়সের নিকট গেলাম। ফাতিমা বললেন, আমার স্বামী আমাকে তালাক দেয়, কিন্তু আমার জন্য থাকার ঘর ও খোরপোষের ব্যবস্থা করেনি। তিনি বলেন, সে তার চাচাতো ভাইয়ের নিকট আমার জন্য দশ কাফীয রাখল। এর পাঁচ কাফীয ছিল যব, আর পাঁচ কাফীয ছিল খেজুর। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে তা উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ সে যা বলেছে সত্যই বলেছে। তিনি আমাকে আদেশ করলেন, আমি যেন অমুকের ঘরে আমার ইদ্দত পূৰ্ণ করি। তার স্বামী তাকে বায়িন তালাক দিয়েছিল। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবু বকর ইবন হাফস (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৬ | 3556 | ۳۵۵٦ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৩. বায়িন তালাকপ্ৰাপ্তা গর্ভবতী মহিলার খোরপোষ ৩৫৫৬. আমর ইবন উসমান ইবন সাঈদ (রহঃ) ... উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবা (রাঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উসমান সাঈদ ইবন যায়দ এর কন্যাকে তালাক দিল, সেই কন্যার মাতার নাম ছিল হামনা বিনত কায়স। তিনি তাকে এমন তালাক দিলেন, যা দ্বারা সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অর্থাৎ তিন তালাক। সেই মহিলার খালা ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) তাকে বললেনঃ তুমি আবদুল্লাহ ইবন আমার-এর ঘরে চলে যাও। মারওয়ান একথা শুনে আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উসমানের স্ত্রীকে নির্দেশ দিলেনঃ তোমার ইদ্দত পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তুমি নিজের গৃহে অবস্থান কর। আবদুল্লাহ ইবন আমর-এর স্ত্রী মারওয়ানের কাছে লোক পাঠিয়ে জানালেন যে, আমাকে আমার খালা ফাতিমা ঘর হতে চলে যাওয়ার আদেশ করেছেন। আর তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ঐ সময় ঘর হতে বের হয়ে যাওয়ার আদেশ করেন, যখন তাকে তার স্বামী আবু আমর ইবন হাফস তালাক দিয়েছিলেন। মারওয়ান যখন এ ঘটনা জানতে পারলো, তখন তিনি কাবীসা ইবন যুবায়রকে ফাতিমা (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। এ ব্যাপারে ফাতিমাকে কাবীসা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ আমার স্বামী আবু আমার আলী (রাঃ)-এর সাথে চলে যান, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইয়ামনের শাসক নিযুক্ত করেন। সেখানে পিয়ে আমার স্বামী এক তালাক দিয়ে পাঠান, আর তা ছিল ঐ তালাক, যা অবশিষ্ট ছিল। তখন হারিস ইবন হিশাম, এবং আইয়াশ ইবন আবু রবীআকে বলে পাঠান আমাকে খোরপোেষ দেয়ার জন্য। আমি আমার খরচ চাওয়ার জন্য তাদের নিকট লোক পাঠালাম, যা আমার স্বামী আমাকে দিতে বলেছিল। তারা উভয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমাদের নিকট তার জন্য কোন খোরপোেষ নেই। তবে যদি সে গৰ্ভবতী হতো, তা হলে তার জন্য খোরপোষ ছিল। আর আমরা যতক্ষণ না বলি, সে যেন আমাদের ঘরে না থাকে। ফাতিমা (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে এ ঘটনা জানালাম। তিনি তাদের উভয়কে সত্যবাদী মনে করলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি এখন কোথায় যাব? তিনি বললেনঃ ইবন উম্মে মাকতুমের নিকট চলে যাও, ইবন উম্মে মাকতুম অন্ধ লোক, যার জন্য আল্লাহ তা'আলা তার কিতাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। আমি তাঁর নিকট চলে গেলাম। আমি তাঁর নিকট গায়ের কাপড় ফেলে দিতাম। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসামা ইবন যায়ীদ (রাঃ)-এর সাথে আমার বিবাহ দেন। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন ‘উতবাহ (রহঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৭ | 3557 | ۳۵۵۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৪. আকরা সম্পর্কে ৩৫৫৭. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত আবু হুবায়শ (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে রক্ত নির্গমনের কথা ব্যক্ত করলেন। তিনি তাকে বললেনঃ এই রক্ত কোন শিরা হতে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ জরায়ু হতে আসে না। যখন তোমার হায়ায় আরম্ভ হয়, তখন তুমি এর প্রতি লক্ষ্য রাখ। তখন নামায় পড়বে না। হায়যের সময় চলে গেলে তুমি পাক হয়ে যাবে। তিনি বললেনঃ উভয় হয়েযের মধ্যবর্তী সময় নামায পড়বে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত আবু হুবায়শ (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৮ | 3558 | ۳۵۵۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৫. তিন তালাকের পর ফিরে আসার বিধান রহিত হওয়া সম্পর্কে ৩৫৫৮. যাকারিয়া ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে (مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا) এ আয়াতের তাফসীরে বর্ণিত যে, "আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা ভুলিয়ে দিলে, তা হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আনি। ইবন আব্বাস (রাঃ) এরপর অন্য একটি আয়াত বর্ণনা করেন, (وَإِذَا بَدَّلْنَا آيَةً مَكَانَ آيَةٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُنَزِّلُ) যখন আমি এক আয়াতের বদলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি, আল্লাহ যা নাযিল করেন, তা তিনি-ই ভাল জানেন, তখন তারা বলে, তুমি তো কেবল মিথ্যা উদ্ভাবনকারী। আল্লাহর বাণীঃ 'আল্লাহর যা ইচ্ছা তা নিশ্চিহ্ন ফরেন এবং যা ইচ্ছা তা প্রতিষ্ঠিত রাখেন, আর তারই নিকট আছে কিতাবের মূল।' এরপর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ সর্বপ্রথম কুরআনে যা রহিত হয়েছিল, তা ছিল কেবলা। ইবন আব্বাস (রাঃ) আরো বলেনঃ আল্লাহ্র বাণীঃ (وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ) 'মহিলারা তিন হায়েয পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, আর তাদের জন্য বৈধ হবে না, আল্লাহ্ তা'আলা তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা।' যদি তারা আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান রাখে। আর তাদের স্বামীগণ এই অবস্থায় তাদের ফিরিয়ে রাখার অধিক হকদার। যদি তারা অপেক্ষা করার ইচ্ছা রাখে।' তিনি এই আয়াত বৰ্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এই অবস্থা এইরূপ ছিল, যখন কোন লোক স্বীয় স্ত্রীকে তালাক দিত, তবে সে-ই তার রাজআত করার অধিকারী ছিল, যদিও সে তাকে তিন তালাক দিত। আল্লাহ্ তা'আলা তা রহিত করে বলেনঃ তালাক দু'বার। এরপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রেখে দেবে, অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দেবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৯ | 3559 | ۳۵۵۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৬. রজ’আত করা ৩৫৫৯. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার স্ত্রীকে তার হয়েয অবস্থায় তালাক দেই। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উমর (রাঃ) এসে এই ঘটনা জানালে তিনি বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়। তারপর যখন সে পাক হবে, তখন ইচ্ছা হলে তাকে রাখবে, অথবা তালাক দেবে। ইবন উমরের শাগরেদ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এই প্রথম তালাকও কি হিসাব করা হবে? তিনি বললেনঃ হিসাবে অসুবিধা কি? তুমি চিন্তা করে দেখ, যদি কোন ব্যক্তি অপরাগ হয়- কিংবা অজ্ঞতার কারণে তালাক দিয়ে বসে- তা তো হিসাবে ধরা হবে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬০ | 3560 | ۳۵٦۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৬. রজ’আত করা ৩৫৬০. বিশার ইবন খালিদ (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে তার হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়ে দিলেন। উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এই ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তাকে বলে দাও, অন্য হয়েয না আসা পর্যন্ত সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়। এরপর যখন সে পাক হবে তখন ইচ্ছা করলে সে তাকে তালাক দেবে, বা রেখে দেবে। কেননা, এই তালাক আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী। আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ তাদের তালাক দেবে ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে। ________________________________________ তাহক্বীকঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ২৭/ তালাক (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ৩৫৬১ | 3561 | ۳۵٦۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ৭৬. রজ’আত করা ৩৫৬১. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... নাফে' (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবন উমর (রাঃ)-এর নিকট যখন ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়ে দেয়। তিনি বললেনঃ ঐ ব্যক্তির এক অথবা দুই তালাক দেয়ার অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে বরং অন্য হায়েয আসা পর্যন্ত তাকে রাখবে, সে পাক হলে তাকে সহবাসের পূর্বে তালাক দেবে; আর যদি সে তিন তালাক একত্রে দিয়ে থাকে, তবে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে যে আদেশ করেছেন, সে তা আমান্য করলো। [তাহক্বীকঃ সহীহ।] ________________________________________ ৩৫৬২. ইউসুফ ইবন ঈসা মারওয়ায়ী (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হয়েয অবস্থায় তালাক দেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলে তিনি তাকে ফিরিয়ে নেন। [তাহক্বীকঃ সহীহ।] ________________________________________ ৩৫৬৩. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... ইবন তাউস (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি শুনেছেন, আবদুল্লাহ ইবন উমরকে ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলো, যে তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছিল। তিনি বললেনঃ তুমি কি আবদুল্লাহ ইবন উমরকে চিন? সে বললোঃ হ্যা। তিনি বললেনঃ তিনি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেন, পরে উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে এ সংবাদ দিলে তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে আদেশ করেন, পাক হওয়া পর্যন্ত । রাবী বলেনঃ এর অধিক বর্ণনা করতে আমি তাকে শুনিনি। [তাহক্বীকঃ সহীহ। ইরওয়া ৭/১৩০।] ________________________________________ ৩৫৬৪. আবদ ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ইবন আব্বাস (রাঃ) সূত্রে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসা (রাঃ)-কে তালাক দেন, পরে তিনি তাঁকে ফিরিয়ে নেন। আল্লাহ্ সম্যক অবগত। [তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ পরিচ্ছদঃ ১০/১. ঘৃণ্য বৈধ বিষয়। ১/২০১৬। ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসা (রাঃ)-কে তালাক দেন, অতঃপর তাকে ফিরিয়ে নেন। ________________________________________ আবূ দাউদ ২২৮৩, দারেমী ২২৬৪, ইরওয়া ২০৭৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মাসরুক ইবনুল মারযুবান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। সালিহ বিন মুহাম্মাদ বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯০৪, ২৭/৪৫৮ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০১৭ | 2017 | ۲۰۱۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১. ঘৃণ্য বৈধ বিষয়। ২/২০১৭। আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেদের কী হলো যে, তারা আল্লাহর বিধান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে? তোমাদের কেউ বলে, তোমাকে তালাক দিলাম, তোমাকে আবার ফিরিয়ে নিলাম, তোমাকে আবার তালাক দিলাম। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যঈফাহ ৪৪৩১। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুআম্মাল (বিন ইসমাইল) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইসহাক বিন রাহওয়াহ বলেন, তিনি সিকাহ। মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল ও সন্দেহ করেন। ইবনু কানি' বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৩১৯, ২৯/১৭৬ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০১৮ | 2018 | ۲۰۱۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১. ঘৃণ্য বৈধ বিষয়। ৩/২০১৮। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘৃণ্য বৈধ কাজ হচ্ছে তালাক। ________________________________________ আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী উবায়দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ আল-ওয়াসসাফী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক দুর্বল। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী, আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম বিন হিব্বান ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৯৪, ১৯/১৭৩ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০১৯ | 2019 | ۲۰۱۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২. যথার্থ নিয়মে তালাক। ১/২০১৯। ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে তার হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে পর ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর গোচরে আনেন। তিনি বলেনঃ তাকে নির্দেশ দাও, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়, যাবত না সে পবিত্রাবস্থায় ফিরে আসে, অতঃপর পুনরায় তার মাসিক ঋতু হয়, অতঃপর পবিত্রাবস্থায় ফিরে আসে। অতঃপর সে চাইলে তাকে তালাক দিতে পারে তার সাথে সহবাস করার পুর্বে। আর চাইলে সে তাকে স্ত্রী হিসাবে রেখেও দিতে পারে। এই হলো সেই উদ্দাত যা পালনের জন্য আল্লাহ্ নির্দেশ দিয়েছেন। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৪৯০৮, ৫২৫২, ৫২৫৩, ৫২৫৮, ৫৩৩২, ৬০৩৩, ৭১৬০, মুসলিম ১৪৭১, তিরমিযী ১১৭৫, ১১৭৬, নাসায়ী ৩৩৮৯, ৩৩৯০, ৩৩৯১, ৩৩৯২, ৩৩৯৬, ৩৩৯৭, ৩৩৯৮, ৩৩৯৯, ৩৪০০, ৩৫৫৫, ৩৪৪৫, ৩৫৫৬, ৩৫৫৭, ৩৫৫৮, ৩৫৫৯, আবূ দাউদ ২১৭৯, ২১৮১, ২১৮২, ২১৮৪, ২১৮৫, আহমাদ ৪৪৮৬, ৪৭৭৪, ৫০০৫, ৫১০০, ৫১৫২, ৫২০৬, ৫২৪৬, ৫২৭৭, ৫২৯৯, ৫৪১০, ৫৪৬৫, ৫৪৮০, ৫৪৯৯, ৫৫০০, ৫৭০৮, ৬০২৫, ৬০৮৪, ৬১০৬, ৬২৯৩, মুয়াত্তা মালেক ১২২০, ২২৬২, ২২৬৩, ইরওয়াহ ২০৫৯, সহীহ আবী দাউদ ১৮৯২, ১৮৯৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২০ | 2020 | ۲۰۲۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২. যথার্থ নিয়মে তালাক। ২/২০২০। ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সহবাসমুক্ত পবিত্র অবস্থায় (তুহরে) তালাক প্রদান হচ্ছে যথার্থ নিয়মের (সুন্নাত) তালাক। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০২১, নাসায়ী ৩৩৯৪, ৩৩৯৫, ইরওয়াহ ২০৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২১ | 2021 | ۲۰۲۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২. যথার্থ নিয়মে তালাক। ৩/২০২১। ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সুন্নাত (যথার্থ নিয়মের) তালাক সম্পর্কে বলেন, স্বামী স্ত্রীকে তার (সহবাসমুক্ত) প্রতি তুহরে এক তালাক দিবে এবং সে তৃতীয় তুহরে পৌঁছলে তাকে শেষ তালাক দিবে। এরপর সে এক হায়েয কাল ইদ্দাত পালন করবে। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০২০, নাসায়ী ৩৩৯৪, ৩৩৯৫, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২২ | 2022 | ۲۰۲۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২. যথার্থ নিয়মে তালাক। ৪/২০২২। ইউনুস ইবনু জুবাইর আবূ গাল্লাব (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যে তার স্ত্রীকে তার হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। তিনি বলেন, তুমি কি ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমারকে চেনো? সে তার স্ত্রীকে তার মাসিক ঋতু চলাকালে তালাক দিয়েছিলো। ‘উমার (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে আসলে তিনি তাকে নির্দেশ দেনঃ সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি তালাক হিসাবে গণনায় ধরা হবে? তিনি বলেন, তুমি কি মনে করো, সে যদি অক্ষম হয়ে থাকে, আর আহম্মকী করে (তাহলে কে দায়ী)! ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৪৯০৮, ৫২৫২, ৫২৫৩, ৫২৫৮, ৫৩৩২, ৬০৩৩, ৭১৬০, মুসলিম ১৪৭১, তিরমিযী ১১৭৫, ১১৭৬, নাসায়ী ৩৩৮৯, ৩৩৯০, ৩৩৯১, ৩৩৯২, ৩৩৯৬, ৩৩৯৭, ৩৩৯৮, ৩৩৯৯, ৩৪০০, ৩৫৫৫, ৩৪৪৫, ৩৫৫৬, ৩৫৫৭, ৩৫৫৮, ৩৫৫৯, আবূ দাউদ ২১৭৯, ২১৮১, ২১৮২, ২১৮৪, ২১৮৫, আহমাদ ৪৪৮৬, ৪৭৭৪, ৫০০৫, ৫১০০, ৫১৫২, ৫২০৬, ৫২৪৬, ৫২৭৭, ৫২৯৯, ৫৪১০, ৫৪৬৫, ৫৪৮০, ৫৪৯৯, ৫৫০০, ৫৭০৮, ৬০২৫, ৬০৮৪, ৬১০৬, ৬২৯৩, মুয়াত্তা মালেক ১২২০, ২২৬২, ২২৬৩, ইরওয়াহ ৭/১৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২৩ | 2023 | ۲۰۲۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩. গর্ভবতী মহিলাকে তালাক প্রদান। ১/২০২৩। ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার স্ত্রীকে তার হায়য অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উত্থাপন করলে তিনি বলেনঃ তাকে বলো, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়, এরপর সে চাইলে তাকে তুহর অথবা গর্ভবতী অবস্থায় তালাক দেয়। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৪৯০৮, ৫২৫২, ৫২৫৩, ৫২৫৮, ৫৩৩২, ৬০৩৩, ৭১৬০, মুসলিম ১৪৭১, তিরমিযী ১১৭৫, ১১৭৬, নাসায়ী ৩৩৮৯, ৩৩৯০, ৩৩৯১, ৩৩৯২, ৩৩৯৬, ৩৩৯৭, ৩৩৯৮, ৩৩৯৯, ৩৪০০, ৩৫৫৫, ৩৪৪৫, ৩৫৫৬, ৩৫৫৭, ৩৫৫৮, ৩৫৫৯, আবূ দাউদ ২১৭৯, ২১৮১, ২১৮২, ২১৮৪, ২১৮৫, আহমাদ ৪৪৮৬, ৪৭৭৪, ৫০০৫, ৫১০০, ৫১৫২, ৫২০৬, ৫২৪৬, ৫২৭৭, ৫২৯৯, ৫৪১০, ৫৪৬৫, ৫৪৮০, ৫৪৯৯, ৫৫০০, ৫৭০৮, ৬০২৫, ৬০৮৪, ৬১০৬, ৬২৯৩, মুয়াত্তা মালেক ১২২০, ২২৬২, ২২৬৩, ইরওয়াহ ৭/১২৬, ১৩০, সহীহ, আবী দাউদ ১৮৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২৪ | 2024 | ۲۰۲٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৪. যে ব্যক্তি একই মজলিসে তিন তালাক দেয়। ১/২০২৪। আমের আশ-শাবী (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাতেমাহ বিনতে কায়েস (রাঃ)-কে বললাম, আপনার তালাকের ঘটনাটি আমাকে বলুন। তিনি বলেন, আমার স্বামী ইয়ামনে থাকা অবস্থায় আমাকে তিন তালাক দেয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাকে জায়েয গণ্য করেন। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০৩২, ২০৩৩, মুসলিম ১৪৮০, সহীহ আবী দাউদ ১৯৭৬-১৯৮২, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল জুরজানী বলেন, তার সানাদ মা মাতান কোনটিরই কেউ অনুসরণ করেননি। আবু বকর আল বুরকানী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মাতরুক বা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু বকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু ইয়ালা আল খালীলী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৭, ২/৪৪৬ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু ইসহাক বিন আবদুল্লাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৯ টি শাহিদ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ দারাকুতনী ৩৮৭২, ৩৮৭৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২৫ | 2025 | ۲۰۲۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৫. তালাক দেয়ার পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া (রাজআত) ১/২০২৫। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তাকে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর তার সাথে সহবাস করেছে, কিন্তু তাকে তালাক দেয়া এবং ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কোন সাক্ষী রাখেনি। ইমরান (রাঃ) বলেন, তুমি সুন্নাত নিয়মের বহির্ভূত তালাক দিয়েছো এবং সুন্নাত নিয়ম বহির্ভূতভাবে ফিরিয়ে নিয়েছো। তুমি তাকে তালাক দেয়া ও ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সাক্ষী রাখো। পরিচ্ছদঃ ১০/৬. গর্ভাবস্থায় তালাকপ্রাপ্তা নারীর সন্তান প্রসবের সাথে সাথে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়। ১/২০২৬। যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মু কুলসুম বিনতে উকবা (রাঃ) ছিলেন তার স্ত্রী। তিনি তার গর্ভাবস্থায় যুবাইর (রাঃ)-কে বলেন, আমাকে এক তালাক দিয়ে সন্তুষ্ট করুন। তিনি তাকে এক তালাক দিলেন, অতঃপর সলাত পড়তে চলে গেলেন। তিনি ফিরে এসে দেখেন যে, তার স্ত্রী একটি সন্তান প্রসব করেছে। যুবাইর (রাঃ) বললেন, সে কেন আমাকে প্রতারিত করলো! আল্লাহ্ যেন তাকেও প্রতারিত করেন। এরপর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বলেন : আল্লাহর কিতাবে বর্ণিত তার ইদ্দাত পূর্ণ হয়ে গেছে। তাকে বিবাহের প্রস্তাব দাও। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ২১১৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী কাবিসাহ বিন উকবাহ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আব্দুর রহমান বিন ইউসুফ বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮৪৩, ২৩/৪৮১ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২৭ | 2027 | ۲۰۲۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৭. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে, সন্তান প্রসবের পরপরই সে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারে। ১/২০২৭। আবূস সানাবিল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আসলাম গোত্রের হারিসের কন্যা সুবাইআ তার স্বামীর মৃত্যুর বিশাধিক দিন পর একটি সন্তান প্রসব করেন। তিনি নিফাস (সন্তান প্রসবজনিত ঋতু) হওয়ার পর নতুন পরিচ্ছদ পরতে লাগলেন (অর্থাৎ সাজগোজ করতে লাগলেন)। এতে তার প্রতি দোষারোপ হতে থাকলে বিষয়টি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে অবহিত হয়। তিনি বলেনঃ সে তা করতে পারে, কারণ তার ইদ্দাতকাল পূর্ণ হয়েছে। ________________________________________ তিরমিযী ১১৯৩, আহমাদ ১৮২৩৮, ১৮২৩৯, দারেমী ২২৮১, সহীহ আবী দাউদ ১৯৯৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২৮ | 2028 | ۲۰۲۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৭. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে, সন্তান প্রসবের পরপরই সে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারে। ২/২০২৮। মাসরূক ও ‘আমর ইবনু উত্বা (রহ.) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ে হারিস কন্যা সুবাইআ (রাঃ)-কে তার বিষয়টি জানতে চেয়ে তাকে পত্র লিখেন। সুবাইআ (রাঃ) উত্তরে তাদের নিকট লেখে পাঠান যে, তিনি তার স্বামীর মৃত্যুর ২৫ দিন পর সন্তান প্রসব করেন এবং পুনর্বিবাহের জন্য প্রস্তুতি নেন। আবূস সানাবিল ইবনু বাকাক তার নিকট দিয়ে গমনকালে বলেন, তুমি খুব তাড়াহুড়া করে ফেললে। ইদ্দাতের দু’ মেয়াদকালের মধ্যে দীর্ঘতর মেয়াদ অর্থাৎ চার মাস দশ দিন অতিবাহিত করো। অতএব আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বলেনঃ তা কি ব্যাপারে? আমি তাঁকে ঘটনাটি খুলে বললাম। তিনি বলেনঃ তুমি সৎকর্মপরায়ণ স্বামী পেয়ে গেলে বিবাহ করো। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৫৩১৯, মুসলিম ১৪৮৪, নাসায়ী ৩৫১৮, ৩৫১৯, ৩৫২০, আবূ দাউদ ২৩০৬, ২৬৮৮৯, সহীহাহ ২৭২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০২৯ | 2029 | ۲۰۲۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৭. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে, সন্তান প্রসবের পরপরই সে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারে। ৩/২০২৯। মিস্ওয়ার ইবনু মাখ্রামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবাই‘আ (রাঃ)-কে তার নিফাস থেকে পবিত্র হওয়ার পরপরই বিবাহ করার অনুমতি দেন। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৫৩২০, নাসায়ী ৫৩০৬, ৫৩০৭, আহমাদ ১৮৪৩৮, মুয়াত্তা মালেক ১২৫২, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩০ | 2030 | ۲۰۳۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৭. গর্ভবতী মহিলার স্বামী মারা গেলে, সন্তান প্রসবের পরপরই সে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারে। ৪/২০৩০। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! কেউ ইচ্ছা করলে আমার থেকে লিআন জাতীয় শপথ গ্রহণ করতে পারে যে, নিশ্চয় এই ক্ষুদ্র সূরা নিসা (অর্থাৎ সূরা তালাক) ‘‘চার মাস দশ দিন’’ সম্বলিত আয়াত (সূরা বাকারা) নাযিল হওয়ার পরে নাযিল হয়েছে। ________________________________________ আবূ দাউদ ২৩০৭, সহীহ আবী দাউদ ১৯৯৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩১ | 2031 | ۲۰۳۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৮. বিধবা স্ত্রী যেখানে ইদ্দাত পালন করবে। ১/২০৩১। ফুরাইআ বিনতে মালিক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার স্বামী তার (পলাতক) গোলামের খোঁজে রওয়ানা হয়ে কাদূম নামক স্থানে তাদের ধরে ফেলেন। তারা আমার স্বামীকে হত্যা করে। যখন আমার স্বামীর মৃত্যুসংবাদ আসে, তখন আমি আমার পরিবার-পরিজন থেকে অনেক দূরে আনসারদের বসতিতে অবস্থান করছিলাম। আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! যখন আমার স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ এলো তখন আমি আমার পরিজন ও ভাইদের বাড়ি থেকে দূরে বসবাস করছিলাম। তিনি আমার ভরণপোষণের জন্য কোন মাল রেখে যাননি এবং তার এমন কোন মালও নেই, আমি যার ওয়ারিস হতে পারি, এমনকি তার মালিকানাভুক্ত কোন ঘরও নাই। আপনি আমাকে অনুমতি দিলে আমি আমার পরিবার ও ভাইদের বাড়িতে গিয়ে উঠতে পারি। আর এটা আমার জন্য অধিক প্রিয় এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে সুবিধাজনকও। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি চাইলে তা করতে পারো। মহিলাটি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখে আমার জন্য আল্লাহর এই ফায়সালা শুনে খুশি মনে ফিরে যেতে লাগলাম। আমি মাসজিদে অথবা তাঁর কোন এক হুজরার নিকটে পৌঁছতেই, তিনি আমাকে ডেকে বলেন : তুমি জানি কী বলেছিলে? মহিলাটি বললো, আমি পুনরায় তাকে আমার বিবরণ শুনালাম। তিনি বলেনঃ তুমি ঐ ঘরেই অবস্থান করো, যেখানে তোমার স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পেয়েছো, যতক্ষণ না তোমার ইদ্দাত পূর্ণ হয়। ফুরাইআ (রাঃ) বলেন, এরপর আমি সেখানেই চার মাস দশ দিন ইদ্দাত পালন করলাম। ________________________________________ তিরমিযী ১২০৪, নাসায়ী ৩৫২৮, ৩৫২৯, ৩৫৩০, ৩৫৩২, আবূ দাউদ ২৩০০, আহমাদ ২৬৫৪৭, ২৬৮১৭, মুয়াত্তা মালেক ১২৫৪, দারেমী ২২৮৭, ইরওয়াহ ২১৩১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল-আহমার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হুজ্জাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ রাবীর সদৃশ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩২ | 2032 | ۲۰۳۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৯. ইদ্দাত পালনরত অবস্থায় নারীরা কি বাড়ির বাইরে যেতে পারে? ১/২০৩২। উরওয়া (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মারওয়ানের নিকট প্রবেশ করে তাকে বললাম, আপনার পরিবারের এক মহিলাকে তালাক দেয়া হয়েছে। আমি তার ওখান দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম যে, সে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। সে বললো, ফাতেমাহ বিনতে কায়েস (রাঃ) আমাদের এরূপ নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি আমাদের বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (ইদ্দাত পালনকালে) স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছেন। মারওয়ান বলেন, ফাতেমাহ বিনতে কায়েস (রাঃ) তাদের এরূপ নির্দেশ দিয়েছেন। উরওয়া (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) তা আপত্তিকর বলেছেন। ‘আয়িশাহ (রহ.) বলেন, ফাতেমাহ হিংস্র পশুর উৎপাতের এলাকায় বাস করতেন বলে তার জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। আর এ কারণেই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বেলায় এরূপ অনুমতি দিয়েছিলেন। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০২৪, ২০৩৩,মুসলিম ১৪৮০, সহীহ আবী দাউদ ১৯৮৪। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আবু যিনাদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট হাফিয নয়। আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না। আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮১৬, ১৭/৯৫ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩৩ | 2033 | ۲۰۳۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৯. ইদ্দাত পালনরত অবস্থায় নারীরা কি বাড়ির বাইরে যেতে পারে? ২/২০৩৩। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমাহ বিনতে কায়েস (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার আশঙ্কা হয় যে, কেউ হয়তো আমার ঘরে জোরপূর্বক ঢুকে আমার ক্ষতি করবে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অন্য স্থানে চলে যাওয়ার অনুমতি দেন। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০৩২, ২০২৪, মুসলিম ১৪৮০, সহীহ আবী দাউদ ১৯৮১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩৪ | 2034 | ۲۰۳٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৯. ইদ্দাত পালনরত অবস্থায় নারীরা কি বাড়ির বাইরে যেতে পারে? ৩/২০৩৪। জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার খালা তালাকপ্রাপ্তা হওয়ার পর তিনি তার খেজুর বাগানে গিয়ে ফল কাটতে চেয়েছিলেন। এক ব্যক্তি তাকে এই উদ্দেশে বের হতে কঠোরভাবে নিষেধ করে। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট আসলে তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তুমি তোমার বাগানের খেজুর সংগ্রহ করো। হয়তো তুমি দান-খয়রাত করবে অথবা অন্য কোন সৎকাজ করবে। ________________________________________ মুসলিম ১৪৮৩, নাসায়ী ৩৫৫০, আবূ দাউদ ২২৯৭, আহমাদ ১৪০৩৫, নাসায়ী ২২৮৮, ইরওয়াহ ২১৩৪, সহীহাহ ৭২৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩৫ | 2035 | ۲۰۳۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১০. তিন তালাকপ্রাপ্তা নারী কি বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে? ১/২০৩৫। আবূ বাকর বিন ‘আলী জাহ্ম বিন সুখাইর আদাবী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ফাতেমাহ্ বিনতে কায়েস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তার স্বামী তাকে তিন তালাক দিলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষের নির্দেশ দেননি। পরিচ্ছদঃ ১০/১০. তিন তালাকপ্রাপ্তা নারী কি বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে? ২/২০৩৬। ফাতেমাহ বিনতে কায়েস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সময় আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দেয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষ নাই। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০৩২, ২০৩৩, মুসলিম ১৪৮০, বায়হাকী ১০/৬১, আল হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ২/১৯৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩৭ | 2037 | ۲۰۳۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১১. তালাকের উপঢৌকন (মুত‘আ)। ১/২০৩৭। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জাওন-কন্যা ‘আমরাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট পেশ করা হলে সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (আল্লাহর) আশরয় প্রার্থনা করে। তিনি বলেনঃ তুমি এক মহান সত্তার নিকটই আশ্রয় প্রার্থনা করেছো। অতঃপর তিনি তাকে তালাক দিলেন এবং উসামাহ অথবা আনাস (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তদনুযায়ী তিনি তাকে (উপঢৌকনস্বরূপ) তিনখানা সাদা লম্বা কাপড় দেন। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৫২৫৪, নাসায়ী ৩৪১৭, বায়হাকী ৭/৩১৮, ইরওয়াহ ৭/১৪৬। তাহকীক আলবানীঃ আবূ উসাইদ নির্দেশ দেওয়ার শব্দে সহীহ এবং উসামাহ ও আনাস উল্লেখের সাথে মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী উবায়দ ইবনুল কাসিম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার ব্যাপারে জাল (বানিয়ে) হাদিস বর্ণনার অভিযোগ রয়েছে। আবু নুয়ায়ম আল-আসবাহানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। সালিহ বিন মুহাম্মাদ বলেন, তিনি মিথ্যুক। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৩৩, ১৯/২২৯ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ মুনকার (সর্বদা পরিত্যক্ত) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩৮ | 2038 | ۲۰۳۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১২. স্বামী তালাক অস্বীকার করলে। ১/২০৩৮। ‘আবদুল্লাহ্ বিন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, স্ত্রী তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে বলে দাবি করলে এবং এর স্বপক্ষে একজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী উপস্থিত করলে তার স্বামীকে শপথ করানো হবে। সে শপথ করলে সাক্ষীর সাক্ষ্য বাতিল হয়ে যাবে। আর সে (স্বামী) শপথ করতে অস্বীকৃত হলে তার এ অস্বীকৃতি আরেকজন সাক্ষী স্থানীয় গণ্য হবে এবং তার তালাক কার্যকর হবে। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/৩১৯, যঈফাহ ২২১০। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আমর বিন আবু সালামাহ সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৩৭৮, ২২/৫১ নং পৃষ্ঠা) ২. যুহায়র সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু আবদুল বার আল-আন্দালাসী বলেন, তিনি সকলের নিকট দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০১৭, ৯/৪১৪ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৩৯ | 2039 | ۲۰۳۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৩. যে ব্যক্তি উপহাসোচ্ছলে তালাক দিলো, বিবাহ করলো অথবা তালাক প্রত্যাহার করলো। ১/২০৩৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি বিষয়ে বাস্তবিকই বলা হলেও যথার্থ বিবেচিত হবে অথবা উপহাসোচ্ছলে বলা হলেও যথার্থ গণ্য হবেঃ বিবাহ, তালাক ও প্রত্যাহার। ________________________________________ তিরমিযী ১১৮৪, বায়হাকী ৩১৮, ইরওয়াহ ১৮২৬, সহীহ আবী দাউদ ১৯০৪, মিশকাত ৩২৮৪। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন হাবীব বিন আরদাক সম্পর্কে আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি মুনকার অর্থাৎ কুফুরী নয় এমন কোন কওলী বা আমলী ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৯২, ১৭/৫২ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি হাসান কিন্তু আব্দুর রহমান বিন হাবীব বিন আরদাক এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৯ টি অধিক দুর্বল, ২৭ টি দুর্বল, ১৩ টি হাসান, ৭ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১১৮৪, আবু দাউদ ২১৯৪, দারাকুতনী ৩৫৯৩, ৩৫৯৫, ৩৫৯৬, ৩৮৯৫, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১০২৪৯, ১০২৫০ শারহুস সুন্নাহ ২৩৫৬। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪০ | 2040 | ۲۰٤۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৪. যে ব্যক্তি মনে মনে তালাক দিয়ে মুখে সে সম্পর্কে কিছু বলেনি। ১/২০৪০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ আমার উম্মাতের মনে মনে বলা কথা উপেক্ষা (ক্ষমা) করেছেন, যাবত না সে তদনুযায়ী কাজ করে অথবা মুখে উচ্চারণ করে। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ২৫২৮, ৫২৬৯, ৬৬৬৪, মুসলিম ১২৭, তিরমিযী ১১৮৩, নাসায়ী ৩৪৩৩, ৩৪৩৪, ৩৪৩৫, আবূ দাউদ ২২০৯, আহমাদ ৮৮৬৪, ৯২১৪, ৯৭৮৬, ৯৮৭৮, ৯৯৯০, সহীহ আবী দাউদ ১৯১৫, ইরওয়াহ ২০৬২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪১ | 2041 | ۲۰٤۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৫. জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি, নাবালেগ ও ঘুমন্ত ব্যক্তির তালাক। ১/২০৪১। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। অধস্তন রাবী আবূ বাকর (রহ.)-এর বর্ণনায় আছেঃ বেহুঁশ ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুঁশ ফিরে পায়। ________________________________________ নাসায়ী ৩৪৩২, আবূ দাউদ ৪৩৯৮, আহমাদ ২৪১৭৩, ২৪১৮২, ২৪৫৯০, দারেমী ২২৯৬, ইরওয়াহ ২৯৭, মিশকাত ৩২৮৭-৩২৮৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হাম্মাদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে মুরজিয়া মতাবলম্বী। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল ও সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪৮৩, ৭/২৬৯ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪২ | 2042 | ۲۰٤۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৫. জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি, নাবালেগ ও ঘুমন্ত ব্যক্তির তালাক। ২/২০৪২। ‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নাবালেগ, পাগল ও ঘুমন্ত ব্যক্তি থেকে কলম তুলে রাখা হয়। ________________________________________ তিরমিযী ১৪২৩, ইরওয়া ২৯৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী কাসিম বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮৩৬, ২৩/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু কাসিম বিন ইয়াযীদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৯১ টি শাহিদ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১৪২৩, আবু দাউদ ৪৩৯৮, ৪৪০২, ৪৪০৩, দারিমী ২২৯৬, আহমাদ ৯৪৩, ৯৫৯, ১১৮৭, ১৩৩০, ১৩৬৬, ২৪১৭২, ২৪১৮১, ২৪৫৮৯, দারাকুতনী ৩২৪০, মু'জামুল আওসাত ৩৪০৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪৩ | 2043 | ۲۰٤۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৬. বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়ে অথবা ভুলবশত প্রদত্ত তালাক। ১/২০৪৩। আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ আমার উম্মাতের ভুল, বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৬২৮৪, ইরওয়া ৮২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আয়্যুব বিন সুওয়ায়দ সম্পর্কে আবু বকর আল-ইসমাইলী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬১৬, ৩/৪৭৪ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু বাকর আল-হুযালী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয় তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন জা'ফার বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলতেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭২৬৮, ৩৩/১৫৯ নং পৃষ্ঠা) ৩. শাহর বিন হাওশাব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান এবং আল-আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। শু'বাহ ইবনুল হাজ্জাজ তাকে বর্জন করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৭৮১, ১২/৫৭৮ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আয়্যুব বিন সুওয়ায়দ ও আবু বাকর আল-হুযালী এবং শাহর বিন হাওশাব এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৫৯ টি শাহিদ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ দারাকুতনী ৪৩০৬, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১১৪১৬, মুজামুল আওসাত ২১৩৭, ৮২৭৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪৪ | 2044 | ۲۰٤٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৬. বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়ে অথবা ভুলবশত প্রদত্ত তালাক। ২/২০৪৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ্ আমার উম্মাতের মনের মন্দ কল্পনা, যতক্ষণ না সে তা কার্যকর করে অথবা মুখে উচ্চারণ করে এবং তার উপর বলপ্রয়োগে কৃত কর্ম উপেক্ষা করেছেন। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ২৫২৮, ৫২৬৯, ৬৬৬৪, মুসলিম ১২৭, বুখারী, মুসলিম বল প্রয়োগের কথা ব্যতীত। তিরমিযী ১১৮৩, নাসায়ী ৩৪৩৩, ৩৪৩৪, ৩৪৩৫, আবূ দাউদ ২২০৯, আহমাদ ৮৮৬৪, ৯২১৪, ৯৭৮৬, ৯৮৭৮, ৯৯৯০, সহীহ আবী দাউদ ১৯১৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪৫ | 2045 | ۲۰٤۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৬. বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়ে অথবা ভুলবশত প্রদত্ত তালাক। ৩/২০৪৫। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ আমার উম্মাতকে ভুল, বিস্মৃতি ও জোরপূর্বক কৃত কাজের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৬২৮৪, রাওদুন নাদীর ৪০৪, ইরওয়াহ ৮২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা) পরিচ্ছদঃ ১০/১৬. বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়ে অথবা ভুলবশত প্রদত্ত তালাক। ৪/২০৪৬। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জোরপূর্বক আদায়কৃত তালাক ও দাসমুক্তি কার্যকর হবে না। ________________________________________ আবূ দাউদ ২১৯৩, আহমাদ ২৫৮২৮, ইরওয়াহ ২০৪৭, সহীহ আবী দাউদ ১৯০৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ২. উবায়দ বিন আবু সালিহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৪২, ২৬/৬২ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু উবায়দ বিন আবু সালিহ এর কারণে কারণে সানাদটি দুর্বল। তবে সঠিক নামটি হলঃ মুহাম্মাদ বিন উবায়দ বিন আবু সালিহ। হাদিসটির ২০০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২ টি জাল, ২৩ টি অধিক দুর্বল, ৫১ টি দুর্বল, ৬৬ টি হাসান, ৫৮ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আবু দাউদ ২১৯৩, আহমাদ ২৫৮২৭, দারাকুতনী ৩৮৯১, ৩৮৯২, ৩৮৯৪, ৩৯৪২, ৩৯৪৩, ৩৯৪৪, ৪৩২২, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১১৪৫০, ১১৪৫৭, ১১৪৫৮, ১৩৮৯৭, ১৩৮৯৯, ১৫৯১৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪৭ | 2047 | ۲۰٤۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৭. বিবাহের পূর্বে কোন তালাক নেই। ১/২০৪৭। ‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না। ________________________________________ তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আমির আল-আহওয়াল সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার রেওয়াত বর্ণনায় আম কোন অসুবিধা দেখি না। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০৫৪, ১৪/৬৫ নং পৃষ্ঠা) ২. আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন, অন্যত্র বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৮৭, ১৭/৩৭ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪৮ | 2048 | ۲۰٤۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৭. বিবাহের পূর্বে কোন তালাক নেই। ২/২০৪৮। মিস্ওয়ার ইবনু মাখ্রামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের আগে তালাক নাই এবং মালিকানা লাভের আগে দাসমুক্তি নাই। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৭/৩১৪, সহীহ ইরওয়াহ ৭/১৫২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহিহ। আলী ইবনুল হুসায়ন বিন ওয়াকীদ সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৫২, ২০/৪০৬ নং পৃষ্ঠা) ২. হিশাম বিন সা'দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার মুখস্তশক্তি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীলযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৭৭, ৩০/২০৪ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৪৯ | 2049 | ۲۰٤۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৭. বিবাহের পূর্বে কোন তালাক নেই। ৩/২০৪৯। ‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবী জুওয়ায়বির (বিন সাঈদ) সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৮৫, ৫/১৬৭ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু জুওয়ায়বির (বিন সাঈদ) এর কারণে সানাদটি খুবই দুর্বল। হাদিসটির ২০০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২ টি জাল, ২৩ টি অধিক দুর্বল, ৫১ টি দুর্বল, ৬৬ টি হাসান, ৫৮ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আবু দাউদ ২১৯৩, আহমাদ ২৫৮২৭, দারাকুতনী ৩৮৯০, ৩৮৯২, ৩৮৯৪, ৩৯৪৩, ৩৯৪৪, ৪৩২২, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১১৪৫০, ১১৪৫৭, ১১৪৫৮, ১৩৮৯৭, ১৩৮৯৯, ১৫৯১৯। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫০ | 2050 | ۲۰۵۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৮. যেসব বাক্যে তালাক সংঘটিত হয়। ১/২০৫০। আল-আওযাঈ (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যুহ্রী (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কোন্ স্ত্রী তাঁর থেকে আশরয় চেয়েছিলেন? তিনি বলেন, উরওয়া (রহ.) ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) -এর বরাতে আমাকে অবহিত করেন যে, জাওন-এর কন্যা যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট আসে এবং তিনি তার সান্নিধ্যে যান তখন সে বলে, আমি আপনার থেকে আল্লাহর নিকট আশরয় চাই। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি এক সুমহান সত্তার নিকট আশরয় প্রার্থনা করেছ। অতএব তুমি তোমার পরিবারের সাথে গিয়ে মিলিত হও (চলে যাও)। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৫২৫৪, নাসায়ী ৩৪১৭, ইরওয়াহ ২০৬৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫১ | 2051 | ۲۰۵۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/১৯. চূড়ান্ত (বাত্তা) তালাক। ১/২০৫১। বিন রুকানাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি (ইয়াযীদ) তার স্ত্রীকে চূড়ান্ত (বাত্তা) তালাক দিলেন। অতঃপর তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে তাঁকে (বিধান) জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেনঃ তুমি এর দ্বারা কিনিয়াত করেছিলে? ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, এক তালাকের। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহর শপথ! তুমি কি এক তালাকেরই নিয়াত করেছিলে? ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি এক তালাকেরই ইচ্ছা করেছিলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তাঁর স্ত্রী ফেরত দিলেন। মুহাম্মাদ বিন মাজাহ বলেন, আমি আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মাদ ত্বানাফিসী কে বলতে শুনেছি, এ হাদীস খুব ভাল মানের নয়। ইবনু মাজাহ বলেন, আবূ উবাইদাহ নাজিয়াহ বর্জন করেছেন ও আহমাদ তাকে কাপুরুষ বলেছেন। ________________________________________ তিরমিযী ১১৭৭, আবূ দাউদ ২২০৬, ২২০৮, দারেমী ২২৭২, ইরওয়াহ ২০৬৩, মিশকাত ৩২৮২। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী যুবায়র বিন সাঈদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৯৬৩, ৯/৩০৪ নং পৃষ্ঠা) ২. আবদুল্লাহ বিন আলী বিন ইয়াযীদ বিন রুকানাহ সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন,তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৩৪, ১৫/৩২৩ নং পৃষ্ঠা) ৩. আলী বিন ইয়াযীদ বিন রুকানাহ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার কিছু বিষয় অজ্ঞাত। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস বিশুদ্ধ নয়। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৫২, ২১/১৭৪ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫২ | 2052 | ۲۰۵۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২০. স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের এখতিয়ার প্রদান করলে। ১/২০৫২। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে (তাঁর স্ত্রীত্বে থাকা বা তাঁকে ত্যাগ করার) এখতিয়ার প্রদান করেন। আমরা তাঁকেই গ্রহণ করি। সুতরাং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একে তালাক গণ্য করেননি। ________________________________________ মাজাহ ২০৫৩, সহীহুল বুখারী ৪৭৮৬,৫২৬২, ৫২৬৪, মুসলিম ১৪৭৫, ১৪৭৭, তিরমিযী ১১৭৯, ৩২০৪, নাসায়ী ৩২০১, ৩২০২, ৩২০৩, ৩৪৩৯, ৩৪৪১, ৩৪৪২, ৩৪৪৩, ৩৪৪৪, ৩৪৪৫,আবূ দাউদ ২২০৩, আহমাদ ২৩৬৬১, ২৩৭৮৮, ২৪২০০, ২৪৬৬৭, ২৪৭৭১, ২৪৮৪৮, ২৪৮৭৩, ২৪৯৯১, ২৫১৩৮, ২৫১৭৫, ২৫৪৯২, ২৫৫০৫, ২৫৫৭৭, ২৫৭৩৯, দারেমী ২২৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯১৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫৩ | 2053 | ۲۰۵۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২০. স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের এখতিয়ার প্রদান করলে। ২/২০৫৩। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াতটি নাযিল হলো (অনুবাদ) ‘‘যদি তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টি চাও’’ (সূরা আল-আহযাব ৩৩ঃ ২৯), তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট প্রবেশ করে বলেন, হে ‘আয়িশাহ! আমি তোমাকে একটি কথা জিজ্ঞেস করবো। তুমি তোমার পিতা-মাতার সাথে পরামর্শ না করে সে সম্পর্কে তাড়াহুড়া করে কিছু বলবে না। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! তিনি জানতেন যে, নিশ্চয় আমার পিতা-মাতা কখনো তাঁর থেকে আমার বিচ্ছেদের পক্ষে মত দিবেন না। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, এরপর তিনি আমাকে এ আয়াতটি পড়ে শুনান (অনুবাদ) ‘‘হে নাবী! আপনি আপনার স্ত্রীদের বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও এর ভূষণ চাও..(সূরা আল-আহযাব ৩৩ঃ ২৮)। তখন আমি বললাম, এ সম্পর্কে আমার পিতা-মাতার সাথে আমি আর কী পরামর্শ করবো! আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলকেই গ্রহণ করলাম। ________________________________________ মাজাহ ২০৫২, সহীহুল বুখারী ৪৭৮৬,৫২৬২, ৫২৬৪, মুসলিম ১৪৭৫, ১৪৭৭, তিরমিযী ১১৭৯, ৩২০৪, নাসায়ী ৩২০১, ৩২০২, ৩২০৩, ৩৪৩৯, ৩৪৪১, ৩৪৪২, ৩৪৪৩, ৩৪৪৪, ৩৪৪৫,আবূ দাউদ ২২০৩, আহমাদ ২৩৬৬১, ২৩৭৮৮, ২৪২০০, ২৪৬৬৭, ২৪৭৭১, ২৪৮৪৮, ২৪৮৭৩, ২৪৯৯১, ২৫১৩৮, ২৫১৭৫, ২৫৪৯২, ২৫৫০৫, ২৫৫৭৭, ২৫৭৩৯, দারেমী ২২৬৯, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫৪ | 2054 | ۲۰۵٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২১. নারীর জন্য খোলা তালাক নিন্দনীয়। ১/২০৫৪। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে স্ত্রীলোক একান্ত অনন্যোপায় অবস্থা ছাড়া, স্বামীর নিকট তালাক দাবি করে, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ চল্লিশ বছরের (পথের) দূরত্ব থেকে পাওয়া যাবে। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৭/১০১, যঈফাহ ৪৭৭৭, যইফ আল-জামি' ৬২১। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী উমারাহ বিন সাওবান সম্পর্কে আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার কিছু বিষয় অজ্ঞাত। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। আবদুল হাক বিন আব্দুর রহমান বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৭৭, ২১/২৩১ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫৫ | 2055 | ۲۰۵۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২১. নারীর জন্য খোলা তালাক নিন্দনীয়। ২/২০৫৫। সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে নারী তার স্বামীর কাছে একান্ত অসুবিধা ছাড়া তালাক দাবি করে, তার জন্য জান্নাতের সুঘ্রাণ হারাম। পরিচ্ছদঃ ১০/২২. খোলা তালাক দাবিকারিণী স্ত্রীকে প্রদত্ত সম্পদ ফেরত নেয়া প্রসঙ্গে। ১/২০৫৬। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। সালূল-কন্যা জামীলা (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি সাবিতের দ্বীনদারী ও চরিত্রের ব্যাপারে কোন ত্রুটির অভিযোগ করছি না। কিন্তু আমি দ্বীন ইসলামে (থেকে) কুফরী আচরণ অপছন্দ করি। আমি যে তাকে মনের দিক থেকে মোটেই বরদাশত করতে পারছি না। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি কি সাবিতের দেয়া বাগানটি ফেরত দিবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ। অতএব রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবিত (রাঃ)-কে তার থেকে বাগানটি ফেরত নিতে বলেন এবং অতিরিক্ত কিছু নিতে বারণ করেন। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৫২৭৩, ৫২৭৫, ৫২৭৭, নাসায়ী ৩৪৬৩, ইরওয়াহ ২০৩৬, সহীহ আবী দাউদ, ১৯২৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫৭ | 2057 | ۲۰۵۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২২. খোলা তালাক দাবিকারিণী স্ত্রীকে প্রদত্ত সম্পদ ফেরত নেয়া প্রসঙ্গে। ২/২০৫৭। ‘আবদুল্লাহ্ বিন ‘আমর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহল-কন্যা হাবীবা (রাঃ) সাবিত ইবনু কায়েস ইবনু সামমাস (রাঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন। সাবিত (রাঃ) ছিলেন কুৎসিত চেহারাবিশিষ্ট। হাবীবা (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর শপথ! আল্লাহর ভয় না থাকলে সাবিত যখন আমার নিকট আসে তখন অবশ্যই আমি তার মুখে থুথু নিক্ষেপ করতাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কি তার বাগানটি ফেরত দিতে রাজি আছো? তিনি বলেন, হ্যাঁ। রাবী বলেন, তিনি তার বাগানটি তাকে ফেরত দিলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু’জনকে পৃথক করে দিলেন। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৭/১০৩/২০৩৭। সহীহ আবু দাউদ ১৯২৯। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১.আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা'দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫৮ | 2058 | ۲۰۵۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৩. খোলাকারিণী মহিলার ইদ্দাত। ১/২০৫৮। উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুআবিবয ইবনু আফরার কন্যা রুবাই (রাঃ)-কে বললাম, তুমি তোমার ঘটনাটি আমাকে বলো তো। সে বললো, আমি আমার স্বামীর থেকে খোলা তালাক নিয়েছিলাম। অতঃপর আমি ‘উসমান (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে কিরূপে ইদ্দাত পালন করতে হবে? তিনি বলেন, তোমাকে কোন ইদ্দাত পালন করতে হবে না। তবে তোমার স্বামী খুব কাছাকাছি সময়ে তোমার সাথে সহবাস করে থাকলে তোমাকে তার নিকট এক হায়েয কাল থাকতে হবে। রুবাই (রাঃ) বলেন, ‘উসমান (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সেই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করছেন, যা তিনি মিরয়ম আল-মাগালিয়ার ব্যাপারে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সাবিত ইবনু কায়েস (রাঃ)-এর স্ত্রী এবং তিনি স্বামী থেকে খোলা তালাক নিয়েছিলেন।, ________________________________________ নাসায়ী ৩৪৯৮, সহীহ আবী দাউদ ১৯৩১, বায়হাকী ৭/৩৩৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৫৯ | 2059 | ۲۰۵۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৪. ঈলা (স্ত্রীসহবাস না করার শপথ)। ১/২০৫৯। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মর্মে শপথ করেন, এক মাস যাবত তাঁর স্ত্রীদের সংস্পর্শে যাবেন না। তিনি একাধারে ঊনত্রিশ দিন এভাবে কাটিয়ে দিলেন। অবশেষে তিরিশ দিনের সন্ধ্যা হলে তিনি আমার নিকট আসেন। আমি বললাম, আপনি তো শপথ করেছিলেন যে, আপনি এক মাস ধরে আমাদের সংস্পর্শে আসবেন না। তিনি বলেনঃ মাস এভাবেও হয়। তিনি তাঁর দু’ হাতের আঙ্গুলসমূহ তিনবার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রেখে ইশারায় বলেনঃ মাস এভাবেও হয়, তিনি পুনরায় (দু’বার পূর্বোক্ত নিয়মে দেখান) কিন্তু তৃতীয় বারে তিনি একটি আঙ্গুল মুষ্টিবদ্ধ রাখেন (অর্থাৎ মাস ঊনতিরিশ দিনেও হয়)। ________________________________________ আহমাদ ২৩৫৩০, তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন আবু রিজাল সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮১৩, ১৯/৩৭৪ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬০ | 2060 | ۲۰٦۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৪. ঈলা (স্ত্রীসহবাস না করার শপথ)। ২/২০৬০। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। যয়নব (রা) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত উপঢৌকন তাঁকে ফেরত দেয়ার কারণে তিনি ঈলা করেছিলেন। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেছিলেন, যয়নব তো আপনাকে অপমান করেছে! এতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের সংস্পর্শে না আসার শপথ (ঈলা) করেন। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। তা’লীক, ইবনু মাজাহ। উক্ত হাদিসের রাবী হারিসাহ বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু যুরআহ আর-রাযী তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও মুনকার। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬১ | 2061 | ۲۰٦۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৪. ঈলা (স্ত্রীসহবাস না করার শপথ)। ৩/২০৬১। উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কতক স্ত্রীর সংস্পর্শে না আসার জন্য এক মাসের ঈলা করেছিলেন। ঊনতিরিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিকালে অথবা সকালে তিনি (স্ত্রীদের নিকট) আসেন। বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! ঊনতিরিশ দিন তো অতিবাহিত হয়েছে? তিনি বলেনঃ মাস ঊনতিরিশ দিনেও হয়। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ১৯১০, মুসলিম ১০৮৫, আহমাদ ২৬১৪৩, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬২ | 2062 | ۲۰٦۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৫. যিহার প্রসঙ্গে। ১/২০৬২। সালামাহ্ ইবনু সাখ্র আল-বায়াদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নারীদের প্রতি অধিক আসক্ত ছিলাম। অন্য পুরুষের তুলনায় আমি তাদের সাথে বেশি সহবাসে লিপ্ত হতাম। রমযান মাস শুরু হলে আমি আমার স্ত্রীর সাথে যিহার করলাম। রমযান মাস প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। একদা রাতের বেলা সে আমার সাথে কথাবার্তা বলছিল। তখন তার দেহের একটি অংশ আমার সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেলো। আমি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম এবং তার সাথে সহবাস করলাম। ভোর হলে আমি সকাল সকাল আমার সম্প্রদায়ের লোকেদের নিকট উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আমার ঘটনাটি জানালাম। আমি তাদের বললাম, তোমরা আমার ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করো। তারা বললো, আমরা তা করতে পারবো না। হয়ত বা আল্লাহ্ আমাদের সম্পর্কে কিতাব (কুরআনের আয়াত) নাযিল করবেন অথবা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এমন কিছু বলবেন, যা আমাদের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে থাকবে। বরং আমরা তোমার অপরাধসহ তোমাকে সোপর্দ করবো। তুমি নিজেই গিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট তোমার ঘটনাটি বলো। রাবী বলেন, আমি রওয়ানা হয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে আমার বিষয়টি তাঁকে জানালাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি এটা করেছো? আমি বললাম, আমিই এটা করেছি। আমি এখানে আছি হে আল্লাহর রসূল! আমার প্রতি আল্লাহর যে হুকুম হয় তাতে আমি ধৈর্য ধারণ করবো তিনি বলেনঃ একটি গোলামকে দাসত্বমুক্ত করো। আমি বললাম, সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন! আমি আমার দেহটি ছাড়া আর কিছুর মালিক নই। তিনি বলেন : তাহলে একাধারে দু’ মাস রোযা রাখো। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার উপর যে বিপদ এসেছে, তা তো এই রোযার কারণেই। তিনি বলেন : তাহলে দান-খয়রাত করো অথবা ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও। রাবী বলেন, আমি বললাম, সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন! আমরা এ রাতটি নিরন্ন অবস্থায় অতিবাহিত করেছি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি বনু যুরাইক-এর যাকাত বণ্টনকারীর নিকট যাও এবং তাকে বলো, সে যেন তোমাকে যাকাতের কিছু মাল দান করে। তা দিয়ে তুমি ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও এবং অবশিষ্ট যা থাকে তা নিজের উপকারে লাগাও। সহীহ,[1] ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০৬৪, তিরমিযী ১১৯৮, ১২০০, ৩২৯৯, আবূ দাউদ ২২১৩, আহমাদ ২৩১৮৮, দারেমী ২২৭৩, ইরওয়াহ ২০৯১, সহীহআবী দাউদ ১৯১৭। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬৩ | 2063 | ۲۰٦۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৫. যিহার প্রসঙ্গে। ২/২০৬৩। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেছেন, বরকতময় সেই সত্তা যাঁর শরবণশক্তি সব কিছুতে পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে। আমি সা‘লাবার কন্যা খাওলা (রাঃ)-এর কিছু কথা শুনলাম এবং কিছু কতা আমার অজ্ঞাত থেকে যায়। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! সে আমার যৌবন উপভোগ করেছে এবং আমি আমার পেট থেকে তাকে অনেক সন্তান উপহার দিয়েছি। অবশেষে আমি যখন বার্ধক্যে উপনীত হলাম এবং সন্তানদানে অক্ষম হলাম, তখন সে আমার সাথে যিহার করেছে। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকটে আমার অভিযোগ পেশ করছি। অতঃপর বেশি সময়ে অতিবাহিত না হতেই জিবরাঈল (আঃ)- এ আয়াতগুলো নিয়ে অবতরণ করলেন (অনুবাদ) ‘‘আল্লাহ্ অবশ্যই শুনেছেন সেই নারীর কথা, যে নিজের স্বামীর বিষয়ে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহর নিকটও ফরিয়াদ করছে...’’ (সূরা মুজাদালাঃ ১)। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ১৮৮, নাসায়ী ৩৪৬০, ইরওয়াহ ৭/১৭৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬৪ | 2064 | ۲۰٦٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৬. যিহারকারী কাফ্ফারা আদায়ের পূর্বে সহবাসে লিপ্ত হলে। ১/২০৬৪। সালামাহ্ ইবনু সাখ্র আল-বায়াদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। কাফ্ফারা আদায়ের পূর্বে সহবাসে লিপ্ত হওয়া যিহারকারী সম্পর্কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ একই কাফফারা হবে (অর্থাৎ সহবাসের জন্য স্বতন্ত্র কাফফারা হবে না)। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০৬২, তিরমিযী ১১৯৮, ১২০০, ৩২৯৯, আবূ দাউদ ২২১৩, আহমাদ ২৩১৮৮, দারেমী ২২৭৩, মুখতাসারুল হাদীস (২০৬২)। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬৫ | 2065 | ۲۰٦۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৬. যিহারকারী কাফ্ফারা আদায়ের পূর্বে সহবাসে লিপ্ত হলে। ২/২০৬৫। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে যিহার করে এবং কাফফারা আদায়ের পূর্বে তার সাথে সহবাস করে। অতঃপর সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করে। তিনি বলেনঃ এরূপ করতে তোমাকে কিসে প্ররোচিত করলো! সে বললো, হে আল্লাহর রসূল! চাঁদের আলোতে আমি তার পদদ্বয়ের মলের ঔজ্জ্বল্য দেখে ফেলি এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তার সাথে সহবাস করে বসি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বর্ণনা শুনে হাসলেন এবং তাকে কাফফারা আদায় না করা পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস না করার নির্দেশ দিলেন। ________________________________________ তিরমিযী ১১৯৯, নাসায়ী ৩৪৫৭, ৩৪৫৮, ৩৪৫৯, আবূ দাউদ ২২২১, ২২২২, ইরওয়াহ ৭/১৭৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আব্বাস বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মাসলামাহ ইবনুল কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৪৬, ১৪/২৬১ নং পৃষ্ঠা) ২. হাকাম বিন আবান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪২২, ৭/৮৬ নং পৃষ্ঠা) পরিচ্ছদঃ ১০/২৭. লি‘আন (অভিশাপযুক্ত শপথ)। ১/২০৬৬। সাহল ইবনু সা‘দ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উয়াইমির (রাঃ) আসেম ইবনু আদী (রাঃ)-এর নিকট এসে বলেন, আপনি আমার পক্ষ থেকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করুন যে, কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর সাথে অপর কোন পুরুষ লোককে পেয়ে তাকে হত্যা করে, তাহলে কি এর প্রতিশোধে তাকেও হত্যা করা হবে অথবা কী করা হবে? আসিম (রাঃ) এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নকারির প্রশ্ন অপছন্দ করেন। উয়াইমির (রাঃ) আসেম(রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কী করেছেন? আসেম (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করেছি। তুমি কোন শুভ বিষয় আমার নিকট পৌঁছাওনি। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা অপছন্দ করেন। উয়াইমির (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করবো। অতএব তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট পৌঁছে দেখেন যে, এইমাত্র তাদের ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর ওহী নাযিল হয়েছে। তিনি তাদের উভয়কে লি‘আন করান। উয়াইমির (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ,হে আল্লাহর রসূল! আমি যদি তাকে নিয়ে (স্ত্রী হিসাবে) বাড়ি যাই, তাহলে আমি তার উপর যেনার মিথ্যা অভিযোগ আরোপকারী সাব্যস্ত হবো। এই বলে তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ দানের আগেই তাকে তালাক দেন। পরবর্তীতে লি‘আনকারীদ্বয়ের ব্যাপারে এটাই বিধানরূপে ধার্য হয়। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা এই নারীর প্রতি লক্ষ্য রাখো। সে যদি কৃষ্ণকায়, বড় চোখবিশিষ্ট ও মোটা নিতম্ববিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে আমি মনে করবো যে, উয়াইমির সত্যবাদী। আর যদি সে এমন লাল বর্ণের সন্তান প্রসব করে, যা মনে হয় লাল রংয়ের কীট, তবে আমি মনে করবো যে, উয়াইমির মিথ্যাবাদী। রাবী বলেন, সেই নারী একটি কৃষ্ণকায় সন্তান প্রসব করেছিল। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৪২৩, ৪৭৪৫, ৪৭৪৬, ৫২৫৯, ৫৩০৮, ৫৩০৯, ৬৮৫৪, ৭১৬৬, ৭৩০৪, মুসলিম ১৪৯২, নাসায়ী ৩৪০২, ৩৪৬৬, আবূ দাউদ ২২৪৫, ২২৪৮, ২২৫১, আহমাদ ২২৩২০, ২২৩৩০, ২২৩৪৪, ২২৩৪৬, মুয়াত্তা মালেক ১২০১, দারেমী ২২২৯, ইরওয়া ২১০০ সহীহ, আবী দাউদ ১৯৪২-১৯৪৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল-উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬৭ | 2067 | ۲۰٦۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৭. লি‘আন (অভিশাপযুক্ত শপথ)। ২/২০৬৭। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। হেলাল ইবনু উমাইয়্যা (রাঃ) তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট শরীক ইবনু সাহ্মার সাথে যেনায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রমাণ পেশ করো অন্যথায় তোমার পিঠে হদ্দ কার্যকর হবে। হেলাল ইবনু উমাইয়্যা (রাঃ) বলেন, সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন! আমি অবশ্যই সত্যবাদী এবং আল্লাহ্ আমার অভিযোগের ব্যাপারে এমন বিধান নাযিল করবেন, যা আমার পিঠকে হদ্দ থেকে রক্ষা করবে। তখন এই আয়াত নাযিল হলো (অনুবাদ) ‘‘আর যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি যেনার অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নাই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী এবং পঞ্চমবারে বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর লানত’’ (সূরা নূরঃ ৬৭)। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখ ফিরিয়ে তাদের দু’জনকে ডেকে পাঠান। তারা উপস্থিত হলে প্রথমে হেলাল ইবনু উমাইয়্যা (রাঃ) দাঁড়িয়ে শপথ করেন এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ অবশ্যই জানেন যে, তোমাদের মধ্যে একজন মিথ্যাবাদী। অতএব কেউ তওবা করবে কি? অতঃপর স্ত্রীলোকটি দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিলো। পঞ্চমবারে সে যখন বলতে যাচ্ছিল যে, সে (স্বামী) সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর আল্লাহর গযব পতিত হোক, তখন লোকেরা তাকে বললো, এটি কিন্তু অবধারিতকারী বাক্য। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, সেই নারী তখন আর কিছু না বলে থেমে গিয়ে পিছনে হটে গেলো। শেষে আমরা মনে করলাম, সে হয়তো ফিরে যাবে (বিরত থাকবে)। কিন্তু সে বললো, আল্লাহর শপথ! আমি আমার সম্প্রদায়কে চিরদিনের জন্য কালিমালিপ্ত করতে পারি না। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য রেখো। সে যদি সুরমাদীপ্ত চোখ, গোশতবহুল নিতম্ব ও গোশতবহুল পদযুগলবিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তবে এটি শরীক ইবনু সাহ্মার। অতঃপর সে এই ধরনের সন্তানই প্রসব করলো। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহর কিতাবে আগেই যদি (লি‘আনকারীর) বিধান না দেয়া থাকতো, তাহলে তার ও আমার মধ্যে একটা কিছু ঘটে যেত (তাকে শাস্তি দিতাম)। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ২৬৭১, ৪৭৪৭, ৫৩০৭,তিরমিযী ৩১৭৯, আবূ দাউদ ২২৫৪, ২২৫৫, ২২৫৬, আহমাদ ২৪৬৪, ইরওয়াহ ২০৯৮, সহীহ আবী দাঊদ ১৯৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬৮ | 2068 | ۲۰٦۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৭. লি‘আন (অভিশাপযুক্ত শপথ)। ৩/২০৬৮। ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জুমু‘আহর রাতে মাসজিদে অবস্থানরত ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি বললো, কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর সাথে অপর কোন ব্যক্তিকে (অপকর্মে লিপ্ত) পেয়ে তাকে হত্যা করে, তাহলে তোমরা তাকে হত্যা করবে। আর যদি সে যেনার অপবাদ দেয়, তাহলে তোমরা তাকে অবশ্যি বেত্রাঘাতে জর্জরিত করবে। আল্লাহর শপথ! আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে বিষয়টি তুলে ধরবো। অতএব সে তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পেশ করলে আল্লাহ্ তা‘আলা লি‘আন সংক্রান্ত আয়াত নাযিল করেন। অতঃপর লোকটি তার স্ত্রীর প্রতি যেনার অপবাদসহ হাযির হলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে লিআন করার এবং সাথে সাথে আরও বলেনঃ হয়তো সে একটি কৃষ্ণকায় সন্তান প্রসব করবে। পরে সে কৃষ্ণকায় ও কোঁকড়ানো চুলবিশিষ্ট একটি বাচ্চা প্রসব করে। ________________________________________ মুসলিম ১৪৯৫, আবূ দাউদ ২২৫৩, সহীহ আবী দাউদ ১৯৫০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৬৯ | 2069 | ۲۰٦۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৭. লি‘আন (অভিশাপযুক্ত শপথ)। ৪/২০৬৯। ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে লি‘আন করায় এবং তার গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে। রসূলুল্লাহ তাদের দু’জনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেন এবং সন্তানটি উক্ত নারীর সাথে যুক্ত করেন। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৪৭৪৮, ৫৩০৬, ৫৩১১, ৫৩১২, ৫৩১৩, ৫৩১৪, ৫৩১৫, ৫৩৪৯, ৬৭৪৮, মুসলিম ১৪৯৩, ১৪৯৪, তিরমিযী ১২০৩, নাসায়ী ৩৪৭৩, ৩৪৭৪, ৩৪৭৫, ৩৪৭৬, ৩৪৭৭, আবূ দাউদ ২২৫৮, ২২৫৯, আহমাদ ৪৪৬৩, ৪৫১৩, ৪৫৮৯, ৪৬৭৯, ৪৯২৬, ৪৯৮৯, ৫১৮০, ৫২৯০,৬০৬৩ মুয়াত্তা মালেক ১২০২, দারেমী ২২৩২, সহীহ আবী দাউদ ১৯৫৫, ইরওয়াহ ৭/১৮৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭০ | 2070 | ۲۰۷۰ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৭. লি‘আন (অভিশাপযুক্ত শপথ)। ৫/২০৭০। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বালইজলান গোত্রের এক নারীকে বিবাহ করে। অতঃপর সে তার ঘরে প্রবেশ ক’রে তার সাথে রাত কাটায়। ভোর হলে সে বললো, আমি তাকে কুমারী পাইনি। তার বিষয়টি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকটে পেশ করা হলে তিনি যুবতীকে ডেকে পাঠান। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বললো, হ্যাঁ, অবশ্যই আমি কুমারী ছিলাম। তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিলে তারা উভয়েই লি‘আন করে। তিনি তাকে মোহরানা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। ________________________________________ আহমাদ ২৩৬৩, তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭১ | 2071 | ۲۰۷۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৭. লি‘আন (অভিশাপযুক্ত শপথ)। ৬/২০৭১। ‘আবদুল্লাহ্ বিন ‘আমর (রহ.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ চার ধরনের দম্পতির মধ্যে লিআনের বিধান প্রযোজ্য নয়ঃ মুসলিম ব্যক্তির বিবাহাধীন খ্রিস্টান নারী, মুসলিম ব্যক্তির বিবাহাধীন ইহূদী নারী, ক্রীতদাসের বিবাহাধীন স্বাধীনা নারী এবং স্বাধীন পুরুষের বিবাহাধীন ক্রীতদাসী। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যইফাহ ৪১২৭। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. দমারাহ বিন রাবীআহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। আবু সাঈদ বিন ইয়ুনুস আল-মিসরী বলেন, তিনি তাদের যুগে একজন ফকিহ ছিলেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী ও আহমাদ বিন সালেহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কিছু সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৩৮, ১৩/৩১৬ নং পৃষ্ঠা) ২. (উসমান) ইবনু আতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৪৬, ১৯/৪৪১ নং পৃষ্ঠা) ৩. আতা বিন আবু মুসলিম সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। শু'বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি হাদিস ভুলে যেয়েন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৪১, ২০/১০৬ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭২ | 2072 | ۲۰۷۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৮. কোন বৈধ বিষয় হারাম করা সম্পর্কে। ১/২০৭২। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের সংস্পর্শে না আসার শপথ (ঈলা) করে হালালকে হারাম করেন। ফলে তিনি (তাঁর জন্য) হালাল বিষয়টি হারাম করলেন এবং শপথ ভঙ্গের জন্য কাফফারা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। ________________________________________ তিরমিযী ১২০১, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। তা’লীক ইবনু মাজাহ্। উক্ত হাদিসের রাবী মুসলিম বিন আলকামাহ সম্পর্কে আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আব্দুর রহমান বিন মাহদী তার হাদিস বর্জন করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৫৭, ২৭/৫৬৫ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭৩ | 2073 | ۲۰۷۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৮. কোন বৈধ বিষয় হারাম করা সম্পর্কে। ২/২০৭৩। সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, হালাল বস্তু (নিজের উপর) হারাম করা শপথরূপে গণ্য হবে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলতেনঃ ‘‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে রয়েছে অনুসরণীয় আদর্শ’’ (সূরা আহযাবঃ ২১)। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৪৯১১, মুসলিম ১৪৭৩, নাসায়ী ৩৪২০, ইরওয়াহ ২০৮৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭৪ | 2074 | ۲۰۷٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৯. দাসী দাসত্বমুক্ত হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ রদের এখতিয়ার লাভ করে। ১/২০৭৪। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বারীরাকে দাসত্বমুক্ত করে দিলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (তার বিবাহ বন্ধন বহাল রাখা বা না রাখার) এখতিয়ার দেন। তার স্বামী ছিল স্বাধীন পুরুষ। ________________________________________ ইবনু মাজাহ ২০৭৬,সহীহুল বুখারী ৪৫৬, ১৪৯৩, ২১৫৫, ২১৫৬, ২১৬৮, ২১৬৯, ২৫৩৬, ২৫৬১, ২৫৬৩, ২৫৬৪, ২৫৬৫, ২৫৭৮, ২৭১৭, ২৭২৬, ২৭২৯, ২৭৩৫, ৫০৯৭, ৫২৭৯, ৫২৮৪, ৫৪৩০, ৬৭১৭, ৬৭৫১, ৬৭৫৪, ৬৭৫৮, ৬৭৬০, মুসলিম ১০৭৫, ১৫০৪, তিরমিযী ১১৫৪, ১১৫৫, ২১২৪, ২১২৫, নাসায়ী ২৬১৪, ৩৪৪৭, ৩৪৪৮, ৩৪৪৯, ৩৪৫১, ৩৪৫২,৩৪৫৩, ৩৪৫৪, ৪৬৪২, ৪৪৪৬, ৪৬৫৫, ৪৪৫৬,আবূ দাউদ ২২৩৩, ২২৩৬, ২৯১৬, ৩৯২৯, আহমাদ ২৩৫৩৩, ২৩৬৩০, ২৩৬৬৭, ২৪০০১, ২৪৩১৮, ২৪৩৭৫, ২৪৩৯৮, ২৪৫১০, ২৪৬৪৪, ২৪৭৫৬, ২৪৮৩৮, ২৪৮৬৫, ২৪৮৯৮, ২৪৯২৪, ২৪৯৪০, ২৫০০৬, ২৫০৩৬, ২৫০৫৭, ২৫১৯৮, ২৫২২৭, ২৫২৫৮, ২৫৭৮৫, ২৫৮০৩, মুয়াত্তা মালেক ১১৯২, ১৫১৯, দারেমী ২২৮৯, ইরওয়াহ ৭/২৭৬, সহীহ আবী দাউদ ১৯৩৭। তাহকীক আলবানীঃ স্বাধীন শব্দ ব্যতীত সহীহ, এ শব্দে শায, কিন্তু আবদ বা দাস শব্দে মাহফূয। হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত] পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭৫ | 2075 | ۲۰۷۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৯. দাসী দাসত্বমুক্ত হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ রদের এখতিয়ার লাভ করে। ২/২০৭৫। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরার স্বামী মুগীছ ছিল ক্রীতদাস। আমি যেন তাকে দেখছি যে, সে বারীরার পিছে পিছে ছুটছে আর কাঁদছে এবং তার চোখের অশ্রু তার গাল বেয়ে পড়ছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলেনঃ হে ‘আব্বাস! বারীরার প্রতি মুগীছের ভালবাসা এবং মুগীছের প্রতি বারীরার ঘৃণাতে কি আপনি আশ্চর্যান্বিত হচ্ছে না! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারীরাকে বললেনঃ তুমি যদি তার কাছে ফিরে যেতে। কেননা সে তোমার সন্তানের পিতা। সে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি আমাকে আদেশ করছেন? তিনি বলেনঃ আমি কেবল সুপারিশ করছি। সে বললো, তাকে আমার প্রয়োজন নাই। পরিচ্ছদঃ ১০/২৯. দাসী দাসত্বমুক্ত হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ রদের এখতিয়ার লাভ করে। ৩/২০৭৬। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরার প্রসঙ্গ থেকে শরীআতের তিনটি বিধান জারী হয়েছে। তাকে দাসত্বমুক্ত করার পর তাকে তার ক্রীতদাস স্বামীর বিবাহাধীনে থাকা বা না থাকার এখতিয়ার দেয়া হয়। লোকেরা তাকে পর্যাপ্ত দান-খয়রাত করতো। সে তা থেকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে উপঢৌকন দিতো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ তা তার জন্য সদাকা (দান) কিন্তু আমাদের বেলায় উপঢৌকন। তার প্রসঙ্গে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আযাদকারী ব্যক্তিই ওয়ালাআর (অভিভাবকত্বের) অধিকারী। ________________________________________ মাজাহ ২০৭৪, সহীহুল বুখারী ৪৫৬, ১৪৯৩, ২১৫৫, ২১৫৬, ২১৬৮, ২১৬৯, ২৫৩৬, ২৫৬১, ২৫৬৩, ২৫৬৪, ২৫৬৫, ২৫৭৮, ২৭১৭, ২৭২৬, ২৭২৯, ২৭৩৫, ৫০৯৭, ৫২৭৯, ৫২৮৪, ৫৪৩০, ৬৭১৭, ৬৭৫১, ৬৭৫৪, ৬৭৫৮, ৬৭৬০, মুসলিম ১০৭৫, ১৫০৪, তিরমিযী ১১৫৪, ১১৫৫, ২১২৪, ২১২৫, নাসায়ী ২৬১৪, ২৪৪৭, ২৪৪৮, ২৪৪৯, ২৪৫৪, ৪৬৪২, ৪৪৪৬, ৪৬৫৫, ৪৪৫৬,আবূ দাউদ ২২৩৩, ২২৩৬, ২৯১৬, ৩৯২৯, আহমাদ ২৩৫৩৩, ২৩৬৩০, ২৩৬৬৭, ২৪০০১, ২৪৩১৮, ২৪৩৭৫, ২৪৩৯৮, ২৪৫১০, ২৪৬৪৪, ২৪৭৫৬, ২৪৮৩৮, ২৪৮৬৫, ২৪৮৯৮, ২৪৯২৪, ২৪৯৪০, ২৫০০৬, ২৫০৩৬, ২৫০৫৭, ২৫১৯৮, ২৫২২৭, ২৫২৫৮, ২৫৭৮৫, ২৫৮০৩, মুয়াত্তা মালেক ১১৯২, ১৫১৯, দারেমী ২২৮৯, ইরওয়াহ ২/২৭৪, সহীহ আবী দাউদ ১৪৫৯, ২৪৮৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজলী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৭, ২/৩৪৭ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭৭ | 2077 | ۲۰۷۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৯. দাসী দাসত্বমুক্ত হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ রদের এখতিয়ার লাভ করে। ৪/২০৭৭। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরাকে তিন হায়েযকাল ইদ্দাত পালনের নির্দেশ দেয়া হয়। ________________________________________ তিরমিযী ১১৮২, আবূ দাউদ ২১৮৯, দারেমী ২২৯৪, ইরওয়াহ ২১২০, সহীহ, আবী দাউদ ১৯৩৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭৮ | 2078 | ۲۰۷۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/২৯. দাসী দাসত্বমুক্ত হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ রদের এখতিয়ার লাভ করে। ৫/২০৭৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারীরাকে (বৈবাহিক সম্পর্ক বহাল রাখা বা না রাখার) এখতিয়ার প্রদান করেন। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ১/১৮৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ, তা’লীক ইবনু মাজাহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন আবু ইসহাক সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন অসুবিধা নেই। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৭৮৩, ৩১/১৯৯ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৭৯ | 2079 | ۲۰۷۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩০. দাসীর তালাক ও তার ইদ্দাতকাল। ১/২০৭৯। ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্রীতদাসীর তালাক হচ্ছে দু’বার এবং তার ইদ্দাত দু’ হায়েযকাল। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৭/১৫০। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আমর বিন শু'আয়ব আল-মুসলী সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৫৬, ২১/৩৯০ নং পৃষ্ঠা) ২. আতিয়্যাহ (বিন সা'দ) সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য হবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল পেশ করা সঠিক নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস গ্রহনে শিথিল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৫৬, ২০/১৪৫ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮০ | 2080 | ۲۰۸۰ • বাংলা • English • العربية ২/২০৮০। মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার-আবূ ‘আসিম, ইবনু জুরাইয-মুজাহির বিন আসলাম, কাসিম ‘আয়িশাহ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, ‘‘দাসীর তালাক হলো দুটি এবং তার ইদ্দত হলো দু’ হায়েয।’’ ________________________________________ ২/২০৮০ (১)। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ক্রীতদাসীর তালাক হচ্ছে দুটি এবং তার ইদ্দাত দু’ হায়েযকাল। ________________________________________ তিরমিযি ১১৮৫২, আবু দাউদ ২১৮৯, দারেমী ২২৮৯, ইরওয়াহ ২০৬৬, যঈফ আবী দাউদ ৩৭৭। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুযাহির বিন আসলাম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি একজন অপরিচিত ব্যাক্তি। আহমাদ বিন শু'আয়ব ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০১৬, ২৮/৯৬ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮১ | 2081 | ۲۰۸۱ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩১. ক্রীতদাসের তালাক। ১/২০৮১। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮২ | 2082 | ۲۰۸۲ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩২. কেউ দাসীকে দু’ তালাক দেয়ার পর তাকে ক্রয় করলে। ১/২০৮২। বনূ নাওফালের মুক্তদাস আবূল হাসান (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে একটি গোলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, সে তার স্ত্রীকে দু’ তালাক দিয়েছে, পরে তাদের উভয়কে দাসত্বমুক্ত করা হয়েছে, সে কি তাকে বিবাহ করতে পারে? তিনি বলেন, হ্যাঁ। অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কার বরাতে বলছেন? তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ ফয়সালা দিয়েছেন। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আবদুল্লাহ বিন মুবারক বলেছেন, আবূল হাসান যে মস্তবড় পাথর তার গর্দানে চাপিয়ে নিয়েছে। ________________________________________ নাসায়ী ৩৪২৮, আবূ দাউদ ২১৮৭, যঈফ আবী দাউদ ৩৭৫-৩৭৬। তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী উমার বিন মুআত্তিব সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, আমরা তাকে চিনি না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি তার দু'আফা গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৩০৯, ২১/৫০৮ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮৩ | 2083 | ۲۰۸۳ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩৩. উম্মুল ওয়ালাদ-এর ইদ্দাত। ১/২০৮৩। ‘আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা আমাদের সামনে আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সুন্নাতকে বিপর্যস্ত করো না। উম্মুল ওয়ালাদের উদ্দাত চার মাস দশ দিন। ________________________________________ আবূ দাউদ ২৩০৮, ইরওয়াহ ২১৪১, সহীহ আবী দাউদ ১৯৯৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মাতারিল ওয়াররাক সম্পর্কে আবু বকর আল-বাযযার বলেন, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এ মর্মে আমার জানা নেই। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, এই সানাদে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৯৪, ২৮/৫১ নং পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮৪ | 2084 | ۲۰۸٤ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩৪. যে মহিলার স্বামী মারা গেছে ইদ্দাত চলাকালে তার রূপচর্চা করা মাকরূহ। ১/২০৮৪। যয়নব বিনতে উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উম্মু সালামাহ ও উম্মু হাবীবা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, এক স্ত্রীলোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, আমার মেয়ের স্বামী মারা গেছে। এখন তার চোখে অসুখ দেখা দিয়েছে, তাই সে তার চোখে সুরমা লাগাতে চায়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের অবস্থা এরূপ ছিলো যে, কোন নারী এক বছর পূর্ণ হলে পর গোবর ছিটিয়ে ইদ্দাত সমাপ্ত করতো। এখন তা কেবল চার মাস দশ দিন। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ১২৮০, ১২৮২, ৫৩৩৪, ৫৩৩৭, ৫৩৩৯, ৫৩৪৫, ৫৭০৭, মুসলিম ১৪৮৬, ১৪৮৯, ১৪৮৮, ১৪৮৬, তিরমিযী ১১৯৫, ১১৯৭, নাসায়ী ৩৫০০, ৩৫০১,৩৫০২, ৩৫০৪, ৩৫২৭, ৩৫৩৩, ৩৫৩৫, ৩৫৩৮, ৩৫৩৯, ৩৫৪০, ৩৫৪১, আবূ দাউদ ২২৯৯,আহমাদ ২৫৯৬২, ২৬১১২, ২৬২২৫, ২৬২২৬, আহমাদ ২৬৮৫২, মুয়াত্তা মালেক ১২৬৮, ১২৭০, দারেমী ২২৮৪, সহীহ আবী দাউদ ১৯৯২, ইরওয়াহ ২১১৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮৫ | 2085 | ۲۰۸۵ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩৫. স্বামী ব্যতীত অপরের মৃত্যুতে মহিলারা কি রূপচর্চা বর্জন করবে? ১/২০৮৫। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন নারীর জন্য স্বামী ব্যতীত অপর কারো মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক রূপচর্চা বর্জন (বা শোক পালন) করা বৈধ নয়। ________________________________________ মুসলিম ১৪৯০, আবূ দাউদ ২৩৫৭২, ২৪৯৮৬, ২৫৫৯০, ২৫৮৭২, ২৫৯১৩, ২৫৯১৭, মুয়াত্তা মালেক ১২৭১, দারেমী ২২৮৩, ইরওয়াহ ৭./১৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। পরিচ্ছদঃ ১০/৩৫. স্বামী ব্যতীত অপরের মৃত্যুতে মহিলারা কি রূপচর্চা বর্জন করবে? ২/২০৮৬। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রী হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে নারী আল্লাহ্ ও আখেরাতের দিনের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য স্বামী ব্যতীত অন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক রূপচর্চা বর্জন করা (বা শোক পালন করা) বৈধ নয়। ________________________________________ মুসলিম ১৪৯০, নাসায়ী ৩৫০৩, আবূ দাউদ ২৪৯৮৬, আহমাদ ২৫৯১৩, ২৫৯১৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮৭ | 2087 | ۲۰۸۷ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩৫. স্বামী ব্যতীত অপরের মৃত্যুতে মহিলারা কি রূপচর্চা বর্জন করবে? ৩/২০৮৭। উম্মু আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন নারী মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করবে না। তবে স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। সে রঙ্গীন বস্ত্র পরিধান করবে না, তবে ইয়ামনের বিশেষ ধরনের রঙ্গীন চাদর পরতে পারবে। সুরমা ও সুগন্ধি ব্যবহার করবে না, তবে হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার সময় গোসলের বেলায় সামান্য কস্তুরী ও চন্দন ব্যবহার করতে পারবে। ________________________________________ সহীহুল বুখারী ৩১৩, ১২৭৯, ৫৩৪০, ৫৩৪১, ৫৩৪৩, মুসলিম ৯৩৮, নাসায়ী ৩৫৩৪, ৩৫৩৬, আবূ দাউদ ২৩০২, আহমাদ ২০২৭০, ২৬৭৫৯, দারেমী ২২৮৬, ইরওয়াহ ৭/১৯৪-১৯৫, সহীহ আবী দাউদ ১৯৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮৮ | 2088 | ۲۰۸۸ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩৬. পিতা পুত্রকে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে নির্দেশ দিলে। ১/২০৮৮। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার এক স্ত্রী ছিলো। তাকে আমি খুব ভালোবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে উল্লেখ করেন। তিনি তাকে তালাক দেয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ দেন। অতএব আমি তাকে তালাক দিলাম। ________________________________________ তিরমিযী ১১৮৯, আবূ দাউদ ৫১৩৮, সহীহাহ ৯১৩। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ১০/ ত্বালাক্ব (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২০৮৯ | 2089 | ۲۰۸۹ • বাংলা • English • العربية পরিচ্ছদঃ ১০/৩৬. পিতা পুত্রকে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে নির্দেশ দিলে। ২/২০৮৯। আবূ ‘আবদুর রহমান (রহ.) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তিকে তার পিতা অথবা তার মা তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার নির্দেশ দেয়। এদিকে সে শপথ করে বললো যে, সে তার স্ত্রীকে তালাক দিলে তাকে এক শত গোলাম দাসত্বমুক্ত করতে হবে। এমতাবস্থায় সে আবূ দারদা (রাঃ)-এর নিকট হাযির হলো। তখন তিনি চাশতের সলাত পড়ছিলেন এবং তিনি তা দীর্ঘায়িত করেন। আর যোহর ও আসরের মাঝেও তিনি সলাত পড়তেন। লোকটি তাকে তার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, তোমার মানত পূর্ণ করো এবং তোমার পিতা-মাতার হুকুমও পালন করো। আবূ দারদা (রাঃ) আরও বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ পিতা হচ্ছে জান্নাতের উত্তম দরজা। অতএব তুমি তোমার পিতা-মাতার অধিকার সংরক্ষণ করো কিম্বা ত্যাগ করো। ________________________________________ হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ৯১৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আতা ইবনুস সায়িব সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় পরিবর্তন করেছেন। আয়্যুব বিন আবু তামিমাহ আস-সাখতিয়ানী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৩৪, ২০/৮৬ নং পৃষ্ঠা) পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সুন্নাত পদ্ধতি ২৩০১. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেন। ‘উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ ব্যাপারে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তাকে নির্দেশ দাও যে, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং নিজের কাছে রেখে দেয় যতক্ষণ না সে মহিলা পবিত্র হয়ে আবার ঋতুমতী হয় এবং আবার পবিত্র হয়। অতঃপর সে যদি ইচ্ছে করে, তাকে রেখে দিবে আর যদি ইচ্ছে করে তবে সহবাসের পূর্বে তাকে তালাক দেবে। আর এটাই তালাকের সময়কাল, যে সময়ে স্ত্রীদের তালাক দেয়ার জন্য আল্লাহ্ তা’আলা এর বিধান দিয়েছেন।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: মালিক, তালাক ৫৩ সহীহ সনদে; বুখারী, তালাক ৫২৫১; মুসলিম, তালাক ১৪৭১। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৪০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৬৩, ৪২৬৪ তে। এছাড়াও, বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার ১১/১৭৯ নং ১৫১৭৩; দেখুন, ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ১০/১৬৪। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩০২ | 2302 | ۲۳۰۲ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১. তালাকের সুন্নাত পদ্ধতি ২৩০২. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, যখন ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার স্ত্রীকে তালাক দিলেন, তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন তিনি বললেন: “তাকে নির্দেশ দাও যে, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয় এবং অতঃপর সে যেন সেই মহিলার পবিত্রাবস্থায় তাকে তালাক দেয়।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, ইবনুল মুবারাক ও ওয়াকী’ (রহঃ) (এর সাথে অতিরিক্ত) বর্ণনা করেছেন: “অথবা, গর্ভবতী অবস্থায়।”[2] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: আগের ও পরের টীকা দু’টি দেখুন। [2] আর ওয়াকী’র হাদীসটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম, তালাক ১৪৭১ (৫); আবূ ইয়ালা, আল মুসনাদ নং ৫৪৪০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩০৩ | 2303 | ۲۳۰۳ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ২. (তালাক দেয়ার পর) রাজা’আত বা ফিরিয়ে নেয়া সম্পর্কে ২৩০৩. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে তালাক দেন, অতঃপর তাকে (পূনরায় স্ত্রী হিসেবে) ফিরিয়ে নেন।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৩, ১৭৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৭৫ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৩২৪ তে। ((আবূ দাউদ, তালাক ২২৮৩; ইবনু মাজাহ, তালাক ১০১৬।– অনুবাদক)) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩০৪ | 2304 | ۲۳۰٤ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ২. (তালাক দেয়ার পর) রাজা’আত বা ফিরিয়ে নেয়া সম্পর্কে ২৩০৪. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে তালাক দেন, অতঃপর তাকে (পূনরায় স্ত্রী হিসেবে) ফিরিয়ে নেন।[1]আবূ মুহাম্মদ বলেন, আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ) এ হাদীসকে অস্বীকার করতেন এবং তিনি বলতেন: আমাদের নিকট বাসরায় এ হাদীস হুমাইদ থেকে বর্ণিত হয়নি। ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৮১৫ তে। এছাড়াও: হাকিম ২/১৯৭; হাকিম বলেন, এ হাদীস বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ যদিও তারা এটি বর্ণনা করেননি।’ আর যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন। আর এটি সেরূপই যেমনটি তারা বলেছেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩০৫ | 2305 | ۲۳۰۵ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ৩. বিয়ের পূর্বে তালাক কার্যকর নয় ২৩০৫. হাকাম বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু হামযাহ আমাকে পৃথকভাবে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা ইয়ামান বাসীদের নিকট লিখে পাঠান যে, “পবিত্র ব্যক্তি ব্যতীত কুরআন স্পর্শ করবে না; (বিবাহের মাধ্যমে তালাকের) অধিকারী হওয়ার পূর্বে তালাক নেই এবং ক্রয় করার পূর্বে দাসমুক্তি নেই।”[1]আবূ মুহাম্মদ কে বলা হলো, সুলাইমান কে? তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, তিনি উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) এর কাতিব বা লিখকদের অন্যতম।’ ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৫৫৯ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ৭৯৩ তে। আর এ হাদীসের এ অংশ “তালাক নেই....” এর শাহিদ হলো আব্দুল্লাহ ইবন উমার এর হাদীস যা আমরা পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেছি মাওয়ারিদুয যামআন এ। আর এ অংশটি গত হয়েছে ১৬৬১ নং এ। আরও দেখুন, মাওয়ারিদুয যামআন ১৫৩৬, ১৫৩৬, ১৫৩৮। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩০৬ | 2306 | ۲۳۰٦ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. যে লোক তার স্ত্রীকে চুড়ান্ত তালাক দিয়েছে, তার স্ত্রী তার জন্য হালাল নয় ২৩০৬. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রিফাআ কুরাযীর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো। তখন তাঁর নিকট আবূ বাকর অবস্থান করছিলেন এবং খালিদ ইবনু সাঈদ ইবনুল আস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রবেশের অনুমতির জন্য দ্বারপ্রান্তে অপেক্ষায় ছিলেন। এরপর সেই মহিলা বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি রিফাআর নিকট (স্ত্রী হিসেবে) ছিলাম। কিন্তু সে আমাকে বায়েন (চুড়ান্ত) তালাক দিয়ে দিল। (পরে আমি ‘আবদুর রহমান ইবনু যুবাইরকে বিয়ে করলাম।) তখন তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে কি তুমি রিফাআর নিকট ফিরে যেতে চাও? না, তা হয় না, যতক্ষণ না তুমি তার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে আর সে তোমার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে।”[1]তখন খালিদ ইবনু সাঈদ ইবনু ‘আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আবু বাকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে ডেকে বললেন, এই নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে উচ্চ আওয়াজে যা বলছে, তা কি আপনি শুনতে পাচ্ছেন না? ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত। তাখরীজ: বুখারী, শাহাদাত ২৬৩৯; মুসলিম, নিকাহ ১৪৩৩। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪২৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১২১ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩০৭ | 2307 | ۲۳۰۷ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ৪. যে লোক তার স্ত্রীকে চুড়ান্ত তালাক দিয়েছে, তার স্ত্রী তার জন্য হালাল নয় ২৩০৭. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী কুরাইযার রিফা’আ নামক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। পরে ‘আবদুর রহমান ইবনু যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে বিয়ে করেন। ফলে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর কসম! তার নিকট আমার এ কাপড়ের আঁচলের মতো (নরম) বস্তু ব্যতীত আর কিছুই নেই (অর্থাৎ তার পুরুষত্ব নাই)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “সম্ভবত: তুমি রিফা’আর নিকট ফিরে যেতে চাও। না, তা হয় না, যতক্ষণ না সে তোমার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে।” অথবা তিনি বলেছেন, “তুমি তার মধুর স্বাদ গ্রহণ করবে।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত। তাখরীজ: পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩০৮ | 2308 | ۲۳۰۸ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ৫. 'ইখতিয়ার' প্রদান প্রসঙ্গে ২৩০৮. মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ‘খিয়ারাত’ বা ‘ইখতিয়ার’ প্রদান করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম (এতে তালাক হবে কি-না)। তখন তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (নিজেই) আমাদেরকে ‘ইখতিয়ার’ প্রদান করেছিলেন। তবে সেটা কি তালাক ছিল?[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত। তাখরীজ: বুখারী, তালাক ৫২৬২, ৫২৬৩; মুসলিম, তালাক ১৪৭৩। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৭১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৬৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৩৬ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ মাসরূক (রহঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩০৯ | 2309 | ۲۳۰۹ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ৬. কোনো স্ত্রীলোকের জন্য তার স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া নিষেধ ২৩০৯. ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনরূপ আপত্তিকর বিষয় ছাড়াই যে মহিলা তার স্বামীর নিকট তালাক চায়, জান্নাতের সুগন্ধও তার জন্য হারাম।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৮৪ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৩২০ তে। ((আবূ দাউদ, তালাক ২২২৬ ; তিরমিযী, তালাক ১১৮৭ ; নাসাঈ, তালাক ৩৪৯১।– অনুবাদক)) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সাওবান (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১০ | 2310 | ۲۳۱۰ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ৭. 'খুলা' করা প্রসঙ্গে ২৩১০. আমরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, সাবিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হাবীবা বিনতু সাহাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে বিয়ে করেন। এছাড়াও তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিয়ে করতে ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। আর সে ছিল তাঁর প্রতিবেশিনী মহিলা। একদিন ছাবিত তাকে মারধর করে। ফলে সে খুব ভোরে অন্ধকারের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরজায় উপস্থিত হয়। যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের নামায আদায়ের জন্য) বের হন, তখন তিনি একটি মনুষ্য আকৃতি দেখতে পান। ফলে তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ “ওটা কে?” সে বলে, আমি হাবীবা বিনত সাহাল। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ “তোমার কী হয়েছে? সে বলে, আমিও (একত্রে বসবাস করতে চাই) না; আর সাবিতও না। এরপর সাবিত আগমণ করলে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, “তুমি তার নিকট হতে (যা দিয়েছো) গ্রহণ করো। আর তার রাস্তা ছেড়ে দাও।” সে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে আমাকে যা দিয়েছে, তা সবই আমার নিকট রয়েছে। অতঃপর সে (সাবিত) তার নিকট হতে সব গ্রহণ করে এবং সে (হাবীবা) তার পিত্রালয়ে গিয়ে অবস্থান করে।[1] পরিচ্ছদঃ ৮. বায়িন (চুড়ান্ত) তালাক প্রসঙ্গে ২৩১১. আব্দুল্লাহ ইবনু আলী ইবনু ইয়াযীদ ইবনু রুকানা তার পিতার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, সে (তার দাদা) তার এক স্ত্রীকে (একবারেই) ‘আল বাত্তা’ বা বায়িন তালাক দিলো। এরপর সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলো। তখন তিনি বললেন: “এতে তুমি (কত তালাকের) ইচ্ছা করেছ?” তখন সে বললো: এক (তালাকের)। তিনি বললেন: “আল্লাহর কসম?” সে বললো: আল্লাহর কসম। তিনি বললেন: “তবে তুমি যা নিয়্যাত করেছ, সেটি সেরূপই হবে।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৫৩৭, ১৫৩৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৭৪ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৩২১ তে। আরও দেখুন, নাইলুল আওতার ৭/১১-২০। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১২ | 2312 | ۲۳۱۲ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ৮. (স্ত্রীর সাথে) যিহার করা প্রসঙ্গে ২৩১২. সালামা ইবন সাখর আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন একজন পুরুষ যে নারী সংসর্গে এত বেশি অভ্যস্ত যে অন্য কেউই আমার মতো ছিল না। রমযান মাস আসলে আমার আশংকা হয় যে, হয়তো কোন রাত্রে যদি স্ত্রী সঙ্গত হয়ে পড়ব, অত:পর হয়তো সকাল পর্যন্ত তাতে লিপ্ত থাকবো। ফলে তা আতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করি। এক রাতে আমার স্ত্রী আমার খেদমত করছিল। হঠাৎ তার শরীরের এমন কিছু আমার সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে যার ফলে আমি তার উপর উপগত হওয়া হতে আর বিলম্ব করতে পারলাম না। সকাল হয়ে এলে আমি ভোরেই আমার কাওমের লোকদের কাছে যাই এবং তাদেরকে আমার বিষয়ে অবহিত করে বলি, তোমরা আমার সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চল। তারা বললঃ না, আল্লাহর কসম, আমরা তোমার সাথে যাবোনা। আমাদের আশংকা হয়, তোমার বিষয়ে হয়তো কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়ে যাবে অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয়তো তোমার বিষয়ে এমন কোন কথা বলে বসবেন যার লজ্জা আমাদের উপর থেকে যাবে। বরং তোমার অপকর্মের দরুণ অবশ্যই আমরা তোমাকে সোপর্দ করছি। এরপর আমি নিজেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম এবং আমার বিষয়টি তাকে বিস্তারিত বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)? আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)। তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)? আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)। তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)? আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)। আর এইতো আমি এখানেই আছি। আর আমার প্রতি সবর করে আছি। আপনি আমার বিষয়ে আল্লাহর বিধান জারী করুন। তিনি বললেনঃ “একটা গোলাম আযাদ কর।” আমি আমার ঘাড়ের উপর হাত দিয়ে আঘাত করে বললামঃ সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করছেন, আজ সকাল পর্যন্ত আমার এ গর্দানটি ছাড়া আমি আর কারো গর্দানের মালিক নই। তিনি বললেনঃ “তাহলে দুই মাস লাগাতার সিয়াম পালন কর।” আমি বললামঃ যে মুসীবতে পড়লাম, তা কি এ সিয়াম ছাড়া আর কোন কারণে ছিল? তিনি বললেনঃ “তবে ষাট জন মিসকীনকে এক ওয়াসাক (ষাট সা’আ) খেজুর খাওয়াও।” আমি বললামঃ কসম সে সত্তার, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করেছেন, আজকের এ রাতটিও তো আমরা ভুখা কাটিয়েছি। রাতের খাবার বলতেও কিছু ছিলনা আমাদের। তিনি বললেনঃ “বানু যুরায়কের সাদাকা প্রদানকারীর কাছে যাও এবং (তাকে বল,) সে যেন তোমাকে সেই সাদকা দিয়ে দেয়। আর (তাথেকে) তুমি এক ওয়াসাক (ষাট সা’) খাদ্য ষাট জন মিসকীনকে তোমার পক্ষ থেকে আহার করাও। আর বাকীটা তুমি ও তোমার পরিবারের আহার্যের ব্যাবস্থা কর।” তিনি বলেন, এর পর আমি আমার কওমে ফিরে এলাম। তাদের বললামঃ তোমাদের কাছে তো কেবল সংকীর্ণতা ও মন্দ পরামর্শই পেলাম আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পেলাম উদারতা এবং উত্তম পরামর্শ। আর তোমাদের সাদকা সমূহ আমার কাছে দিয়ে দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর বর্ণনাকারীগণ সকলেই বিশ্বস্ত, তবে ইবনু ইসহাক এটি ‘আন ‘আন’ শব্দে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি মুদাল্লিস (শাইখের নাম গোপনকারী) রাবী। আবার এ সনদটি বিচ্ছিন্নও বটে। তাখরীজ: আহমাদ ৫/৪৩৬; আবূ দাউদ, তালাক ২২১৩, ২২১৭ ; তিরমিযী, তালাক ১১৯৮, ১২০০, তাফসীর ৩২৯৫ তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান; ইবনু মাজাহ, তালাক ২০৬২, ২০৬৪; তাবারাণী, কাবীর ৭/৪৩-৪৪, নং ৬৩৩৩, ৬৩৩৪; আবু আসিম, আল আহাদ ওয়াল মাছানী নং ২১৮৫, ২১৮৬; ইবনুল জারুদ, নং ৭৪৪, ৭৪৫; হাকিম ২/২০৩, ২০৪; হাকিম বলেন, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শার্তানুযায়ী সহীহ…। যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন; বাইহাকী, যিহার ৭/৩৯০-৩৯১; ইবনুল আছীর, আসাদুল গাবাহ ২/৪৩০-৪৩১; আব্দুর রাযযাক, নং ১১৫২৭; ইবনুল কানি’ মু’জামুস সাহাবাহ, তরজমাহ ৩২৬ এর সনদে অজ্ঞাত পরিচয় রাবী ও বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। দেখুন, তালখীসুল হাবীর ৩/২২১ ও ফাতহুল বারী ৯/৪৩৩; নাইলুল আওতার ৭/৫০-৫৩। এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আবী দাউদ, তালাক ২২২৩, ২২২৫; তিরমিযী, তালাক ১১৯৯; নাসাঈ, তালাক ৬.১৬৭; ইবনু মাজাহ, তালাক ২০৬৫; হাকিম ২/২০৪; বাইহাকী, যিহার ৭/৩৮৬; ইবনুল জারুদ, নং ৭৪৭ সহীহ সনদে। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১৩ | 2313 | ۲۳۱۳ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১০. তিন তালাক প্রাপ্তা নারী বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে কি-না ২৩১৩. ফাতিমা বিনতু কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে তাকে তার স্বামী তিন তালাক দিয়েছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বাসবাসের ঘরও নির্ধারণ করেননি এবং খোরপোষও না।[1] রাবী সালামাহ বলেন, আমি ইবরাহীমের নিকট এই রিওয়ায়াতটি উল্লেখ করলে তিনি বললেন, এই বিষয়ে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, একজন মহিলার কথায় এই ক্ষেত্রে আমরা আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবীর সুন্নাহ পরিত্যাগ করতে পারি না। এরপর তিনি এই ক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য বাসস্থান ও খোরপোষ ব্যবস্থা করেছেন।[2] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি সহীহ। তাখরীজ: মুসলিম, তালাক ১৪৮০; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৪৯, ৪২৫০ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১২৪২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৬৭ তে। দেখুন, শারহে মুসলিম ৩/৬৯১-৬৯২। [2] ইবরাহীম নাখঈ উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে; এ সনদটি মুনকাতি ফলে যয়ীফ। তবে হাদীস সহীহ। পরবর্তী টীকাদুটি’ও দেখুন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১৪ | 2314 | ۲۳۱٤ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১০. তিন তালাক প্রাপ্তা নারী বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে কি-না ২৩১৪. ফাতিমা বিনতু কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে তাকে তার স্বামী তিন তালাক দিয়েছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার চাচাতো ভাই (অন্ধ সাহাবী) ইবনু উম্মু মাকতুম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ঘরে ইদ্দত পালন করতে নির্দেশ দেন।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির অংশবিশেষ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১৫ | 2315 | ۲۳۱۵ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১০. তিন তালাক প্রাপ্তা নারী বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে কি-না ২৩১৫. উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, একজন মহিলার কথায় আমরা আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নাবীর সুন্নাহ পরিত্যাগ করতে পারি না: “তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ তবে হাদীসটি সহীহ। তাখরীজ: মুসলিম, তালাক ১৪৮০; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৫০। এর পুর্ববর্তী টীকাটি ও পরবর্তী টীকাদুটিও দেখুন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১৬ | 2316 | ۲۳۱٦ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১০. তিন তালাক প্রাপ্তা নারী বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে কি-না ২৩১৬. অপর সূত্রে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: এর পুর্ববর্তী টীকাগুলি দেখুন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১৭ | 2317 | ۲۳۱۷ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১০. তিন তালাক প্রাপ্তা নারী বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে কি-না ২৩১৭. উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমরা আল্লাহর দীনের ব্যাপারে একজন মহিলার কথাকে আইনগত মর্যাদা দিতে পারি না: “তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, আমার মতে, তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীলোকের জন্য বাসস্থান ও খোরপোষ নেই।[2] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: এর পুর্ববর্তী টীকাদু’টি দেখুন। [2] এ মত গ্রহন করেছেন ইবনু আব্বাস আহমাদ, উমার, আবী হানীফা ও অন্যান্যরা। তারা বলেন: বাসস্থান ও খোরপোষ পাবে। আর মালিক, শাফিঈ ও অন্যান্যরা বলেন: তার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ওয়াজিব, তবে সে খোরপোষ পাবে না।’ দেখুন, তিরমিযী হা/১১৮০ এর টীকা এবং নববী’র শারহে মুসলিম ৩/৬৯১-৬৯২। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১৮ | 2318 | ۲۳۱۸ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১১. যে গর্ভবতী স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে তার এবং তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীলোকের ইদ্দত সম্পর্কে ২৩১৮. আবূ সালামাহ ইবনু আব্দুর রহমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ও ইবনু ‘আববাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে ছিলেন, এমন সময় তারা এক ব্যক্তির কথা আলোচনা করলেন যে তার স্ত্রী রেখে মৃত্যুবরণ করেছে, এরপর তার স্ত্রী অল্প কয়েক দিন পর বাচ্চা প্রসব করেছে। (সে এখন কীভাবে ইদ্দত পালন করবে?) তখন ইবনু ‘আববাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ইদ্দত সম্পর্কিত হুকুম্ দু’টির যেটি দীর্ঘ, তাকে সেটি পালন করতে হবে। অত:পর সে হালাল হবে। আবূ সালামাহ (রহ.) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর হুকুম তো হলঃ (গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল) যখন সন্তান প্রসব করবে, তখন সে হালাল হয়ে যাবে। তখন আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি আমার ভ্রাতুষ্পুত্র অর্থাৎ আবূ সালামাহর সঙ্গে আছি। তখন ইবনু ‘আববাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বিষয়টি জিজ্ঞেস করার জন্য তাঁর ক্রীতদাস কুরাইবকে উম্মু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে পাঠালেন। তখন উম্মু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উল্লেখ করলেন, সুবাই’আ বিনতুল হারিছ আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর স্বামী মারা গেলো (তখন তিনি তখন গর্ভবতী ছিলেন।) স্বামীর মৃত্যুর অল্প কয়েকদিন পর তিনি সন্তান প্রসব করলেন। এরপরই বনী আব্দুদ্ দ্বারের এক ব্যক্তি যাকে আবী সানাবিল নামে ডাকা হতো, সে তার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাল এবং তাকে সংবাদ দিল যে, সে হালাল হয়ে গিয়েছে। এরপর সে স্ত্রীলোকটি সেই লোকটিকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে বিয়ের ইচ্ছা করলো। আবী সানাবিল তাকে বলল, নিশ্চয় তুমি হালাল (ইদ্দতমুক্ত) হওনি। তখন সুবাই’আ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা উল্লেখ করলে তিনি তাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত। তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর ৪৯০৯; মুসলিম, তালাক ১৪৮৬। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৯৭৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৯৫, ৪২৯৬, ৪২৯৭ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩১৯ | 2319 | ۲۳۱۹ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১১. যে গর্ভবতী স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে তার এবং তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীলোকের ইদ্দত সম্পর্কে ২৩১৯. উম্মু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুবাই’আ বিনতুল হারিছ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর স্বামী মারা গেলো। স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর তিনি সন্তান প্রসব করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি সহীহ। তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটি সংক্ষিপ্তসার। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২০ | 2320 | ۲۳۲۰ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১১. যে গর্ভবতী স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে তার এবং তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীলোকের ইদ্দত সম্পর্কে ২৩২০. আবী সানাবিল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুবাই’আ বিনতুল হারিছ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-তার স্বামীর মৃত্যুর বিশদিনেরও অধিক সময় পর সন্তান প্রসব করলেন। এরপর যখন তিনি তার নিফাসের মেয়াদ শেষে পবিত্র হলেন এবং সাজ-সজ্জা করলেন ও বরের খোঁজ করতে লাগলেন, তখন এর জন্য তাকে দোষারোপ করা হলো। তখন তার বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন: “তুমি যদি এরূপ করে থাকো, তবে তুমি এর ইদ্দত সমাপ্ত করেছো।”[1] পরিচ্ছদঃ ১১. যে গর্ভবতী স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে তার এবং তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীলোকের ইদ্দত সম্পর্কে ২৩২১. আসওয়াদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, সুবাই’আ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর সন্তান প্রসব করলেন। এরপর যখন তিনি (তার নিফাসের মেয়াদ শেষে পবিত্র হয়ে) সাজ-সজ্জা করলেন ও বরের খোঁজ করতে লাগলেন, তখন আবী সানাবিল এর জন্য তাকে দোষারোপ করতে লাগলো। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলে কিংবা তার বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি তাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি সহীহ। তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আসওয়াদ (রহঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২২ | 2322 | ۲۳۲۲ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. স্বামীর (মৃত্যুতে) স্ত্রীলোকের শোক পালন (এর মেয়াদ) ২৩২২. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা-থেকে থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে মহিলা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, কিংবা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে, কোন ব্যক্তির মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক শোক পালন করা তার জন্য জায়িয নয়। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করবে।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: মুসলিম, তালাক ১৪৯১। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪২৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২০১, ৪২০২, ৪২০৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২২৯ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২৩ | 2323 | ۲۳۲۳ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. স্বামীর (মৃত্যুতে) স্ত্রীলোকের শোক পালন (এর মেয়াদ) ২৩২৩. উম্মু হাবীবা বিনতে আবী সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তার এক ভাই কিংবা একজন নিকট আত্নীয় মৃত্যুবরণ করেন। এপর তিনি হলুদ বর্ণের সুগন্ধি নিয়ে এলেন এবং তার তার দুই হাতে মলতে থাকলেন। এরপর বললেন, আমি তা এ জন্য করলাম যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে কারো মৃত্যুতে তিনদিনের বেশী শোক পালন করা হানাল নয়। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করবে।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: বুখারী, জানাইয ১২৮১; মুসলিম, তালাক ১৪৮৬। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৯৬১, ৭১২৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩০৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০৮ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২৪ | 2324 | ۲۳۲٤ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১২. স্বামীর (মৃত্যুতে) স্ত্রীলোকের শোক পালন (এর মেয়াদ) ২৩২৪. যায়নাব বিনত উম্মু সালামা থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর মা (উম্মু সালামাহ) কিংবা নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। মুসলিম ১৪৮৬ (৫৯) হাদীসের পরে, যেটি মুলত আগের হাদীসটি, আবার নং ১৪৮৭ এর পরে বলেন: যাইনাব তার মা হতে; এবং নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী যাইনাব হতে; অথবা নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণের কারো কারো থেকে বর্ণনা করেন।” হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২৫ | 2325 | ۲۳۲۵ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৩. স্ত্রীলোকের জন্য তার (স্বামীর মৃত্যুজনিত শোকপালনের) ইদ্দতের মধ্যে সাজ-সজ্জা করা নিষেধ ২৩২৫. উম্মু আতিয়্যা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কোন মহিলা তার কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করবে না। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত শোক পালন করতে হবে। (এই সময় সীমায় ইদ্দতের মেয়াদকালে) সে রঙীন কাপড় চোপড় পরিধান করবে না । তবে হালকা রঙিন পোশাক পরিধান করতে পারবে। সে চোখে সুরমা লাগাবে না এবং কোন সুগন্ধি ব্যবহার করবে না। তবে হায়িয থেকে পবিত্রতার নিকটবর্তী সময়ে যখন সে হায়িযের গোসল করবে, তখন সে (পবিত্রতার নির্দশন স্বরুপ) কুসতু’ ও ‘আযফার’ নামক সুগন্ধির নির্যাস ব্যবহার করতে পারবে।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত। তাখরীজ: বুখারী, তালাক ৫৩৪১, ৫৩৪২, ৫৩৪৪; মুসলিম, তালাক ৯৩৮ (৬৬)। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩০৫ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২৬ | 2326 | ۲۳۲٦ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৪. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, তার (ঘর থেকে) বের হওয়া প্রসঙ্গে ২৩২৬. ফুরাই’আ বিনতু মালিক ইবন সিনান রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, তিনি তার স্বজনদের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য তাকে অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন। কেননা, তার স্বামী তার কতকগুলি পলাতক গোলামের খোঁজে বের হয়েছিলেন। ‘তারাফুল কাদুম’ নামক স্থানে তাঁদের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়। সেখানে তাঁরা তাকে মেরে ফেলে। তিনি বললেন, “নির্ধারিত সময় (ইদ্দত) পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার পূর্ব গৃহেই অবস্থান করবে।” তখন আমি বললাম, স্বামী আমার জন্য এমন কোন বাসস্থান রেখে যাননি, যা তার মালিকানায় ছিল এবং আর না কোন খোরপোষের ব্যবস্থা ছিল। অনন্তর তিনি বললেন, “নির্ধারিত সময় (ইদ্দত) পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার পূর্ব গৃহেই অবস্থান করবে।” অত:পর তিনি সেখানেই চারমাস দশ দিন ইদ্দত পালন করলেন। তিনি বলেন, পরে উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন (খলীফা) হলেন, তখন তিনি আমার নিকট লোক পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আমি তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। অনন্তর তিনি এর অনুসরণ করলেন এবং এতদনুসারেই ফায়সালা দিলেন।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৯২, ৪২৯৩ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৩৩১, ১৩৩২ তে। এছাড়াও, ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ১০/৩০১-৩০২। ((আবী দাউদ, তালাক ২৩০০; তিরমিযী, তালাক ১২০৪; নাসাঈ, তালাক বাব ৬০।– ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী হা/২২৮৭ এর টীকা হতে।–অনুবাদক)) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ ফুরাইয়াহ বিনতে মালিক (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২৭ | 2327 | ۲۳۲۷ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৪. যে স্ত্রীলোকের স্বামী মারা গেছে, তার (ঘর থেকে) বের হওয়া প্রসঙ্গে ২৩২৭. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার খালা তালাকপ্রাপ্তা হওয়ার পর তিনি তার খেজুর বাগানে গিয়ে ফল কাটতে চেয়েছিলেন। এক ব্যক্তি তাকে বললো, তুমি বের হতে পারবে না। তিনি বলেন, তখন আমি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাকে বিষয়টি অবহিত করলাম, তখন তিনি বললেন: “তুমি তোমার বাগানের খেজুর সংগ্রহ করো। হয়তো তুমি দান-খয়রাত করবে অথবা অন্য কোন সৎকাজ করবে।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: মুসলিম, তালাক ১৪৮৩। ((আবী দাউদ, তালাক ২২৯৭; নাসাঈ, তালাক ৬/২০৯; ইবনু মাজাহ, তালাক ২০৩৪)) তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১৯২ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২৮ | 2328 | ۲۳۲۸ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৫. ক্রীতদাসের সাথে বিবাহিতা ক্রীতদাসী মুক্তিলাভ করলে তাকে (ক্রীতদাসের বিবাহাধীন থাকা-না থাকার ব্যাপারে) ইখতিয়ার প্রদান করা ২৩২৮. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি আযাদ করার জন্য (বাঁদী) বারীরাহকে ক্রয় করতে চাইলেন। কিন্তু তার মালিক পক্ষ শর্ত আরোপ করল যে, তার ওয়ালা তাদেরই থাকবে। ফলে তিনি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তুমি তাকে ক্রয় করো। কেননা ওয়ালা তারই হবে, যে আযাদ করবে।” ফলে তিনি তাকে ক্রয় করে মুক্ত করে দিলেন। আর তাকে তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার দেওয়া হলো, যে ছিল স্বাধীন পুরুষ। আর নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু গোশত নিয়ে আসা হলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন: “এটা কার নিকট হতে এসেছে?” তাঁকে বলা হলো, এটা বারীরাহকে সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তখন তিনি বললেন: “এটি তার জন্য সাদাকাহ, আর আমাদের জন্য হাদিয়াহ।”[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত। ((তবে বুখারী মুসলিমে, (তার স্বামী) ‘স্বাধীন পুরুষ’ কথাটি নেই। বরং বুখারী ও অন্যান্য গ্রন্থে ‘দাস’ বা ক্রীতদাস’ বলা হয়েছে। এজন্যই আলবানী, (রহঃ) ‘স্বাধীন পুরুষ’ শব্দটিসহ একে শায’ বলেছেন। এ শব্দদু’টি বাদে সহীহ বলেছেন। দেখুন, ইবনু মাজাহ হা/২০৭৪, ২০৭৫, আবু দাউদ ২২৩১, ২২৩২- অনুবাদক)) তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২১৬৮; মুসলিম, ইতক্ব ১৫০৪। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪৩৫,৪৪৩৬, ৪৪৫০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৬৯, ৪২৭১, ৪২৭২ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩২৯ | 2329 | ۲۳۲۹ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৫. ক্রীতদাসের সাথে বিবাহিতা ক্রীতদাসী মুক্তিলাভ করলে তাকে (ক্রীতদাসের বিবাহাধীন থাকা-না থাকার ব্যাপারে) ইখতিয়ার প্রদান করা ২৩২৯. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট প্রবেশ করলে আমি তাঁর সম্মুখে কিছু খাবার পেশ করলাম, যার মধ্যে গোশত ছিল না। তখন তিনি বললেন: “আমি কি তোমাদের নিকট তুলে রাখা একটি পাত্র (তে গোশত) দেখলাম না?” আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তা হলো বারীরাহকে সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, এরপর সে তা আমাদেরকে হাদিয়া হিসেবে দিয়েছে। তিনি বললেন: “সেটি তার জন্য সাদাকাহ, কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়াহ হিসেবে গণ্য।” আর তার স্বামী ছিল; যখন তাকে আযাদ করা (মুক্তি দেওয়া) হলো, তখন তাকে তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছিলো।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের অংশবিশেষ। তাহলো, “তা আমাদের জন্য হাদিয়াহ স্বরুপ।” ((বুখারী, তালাক ৫২৭৯-অনুবাদক)) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩৩০ | 2330 | ۲۳۳۰ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৫. ক্রীতদাসের সাথে বিবাহিতা ক্রীতদাসী মুক্তিলাভ করলে তাকে (ক্রীতদাসের বিবাহাধীন থাকা-না থাকার ব্যাপারে) ইখতিয়ার প্রদান করা ২৩৩০. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, যখন আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বারীরাকে মুক্ত করেন, তখন তার স্বামী ছিল একজন ক্রীতদাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার স্বামীর (সাথে সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন রাখার) প্রতি উৎসাহিত করতে থাকলেন। তখন সে বলতে থাকলো, আমার কি এ অধিকার নেই যে, আমি তার থেকে বিচ্ছিন্ন হব? তিনি বলেন: “হাঁ, অবশ্যই আছে।” তখন সে বলল, তাহলে আমি নিজেকে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করছি।[1] পরিচ্ছদঃ ১৫. ক্রীতদাসের সাথে বিবাহিতা ক্রীতদাসী মুক্তিলাভ করলে তাকে (ক্রীতদাসের বিবাহাধীন থাকা-না থাকার ব্যাপারে) ইখতিয়ার প্রদান করা ২৩৩১. ইবনু ‘আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, বারীরার স্বামী ক্রীতদাস ছিল। তাকে মুগীস নামে ডাকা হত। আমি যেন এখনও তাকে দেখতে পাচ্ছি যে, সে বারীরার পিছে ছুটছে আর কাঁদছে। আর তার দাড়ি বেয়ে অশ্রু ঝরছে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বললেনঃ “হে ‘আববাস! বারীরার প্রতি মুগীসের গভীর ভালবাসা এবং মুগীসের প্রতি বারীরার চরম অনাসক্তি দেখে তুমি কি আশ্চর্যান্বিত হওনা?” এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “(হে বারীরা!) তুমি যদি তার কাছে আবার ফিরে যেতে! কেননা, সে তো তোমার সন্তানের পিতা।”সে বললঃ ইয়া রাসূলূল্লাহ! আপনি কি আমাকে আদেশ করছেন? তিনি বললেনঃ “আমি কেবল সুপারিশ করছি।” সে বললঃ তাকে আমার কোন প্রয়োজন নেই।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত। ((যদিও মুসলিমে এর অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।–অনুবাদক)) তাখরীজ: বুখারী, তালাক ৫২৮৩। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৭০, ৪২৭৩ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩৩২ | 2332 | ۲۳۳۲ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৬. সন্তানকে (বিবাহ-বিচ্ছেদকারী) পিতা-মাতার মাঝে কোনো একজনকে বেছে নেওয়ার ইখতিয়ার বা স্বাধীনতা দেওয়া সম্পর্কে ২৩৩২. হিলাল ইবন উসামা (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ মায়মূনা সুলাইমান যিনি মদীনার কোন এক ব্যক্তির আযাদকৃত গোলাম ছিলেন। তিনি বলেন, একদা আমি যখন হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, তখন সেখানে জনৈক স্ত্রীলোক আগমন করে বলে: আমার স্বামী (যে আমাকে তালাক দিয়েছিল) আমার সন্তানটিকে নিয়ে যেতে চায়। তখন আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সেখানে জনৈক স্ত্রীলোক আগমন করে বলে: আমার স্বামী (যে আমাকে তালাক দিয়েছিল) আমার সন্তানটিকে বা আমার ছেলেটিকে নিয়ে যেতে চায়। আর অবস্থা এই যে, সে (সন্তান) সে আমার খিদমত করে এবং আমাকে আবূ উকবার কুপ হতে এনে পানি পান করায়। নবী করীম (সাঃ) বলেন, “এদের উভয়ের মধ্যে সন্তানের ব্যাপারে লটারীর ব্যবস্থা করো।” তখন তার স্বামী এসে বললো, আমার থেকে আমার সন্তান কিংবা পুত্র কে নিয়ে আমার সাথে বিবাদ করে কে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সন্তানকে সম্বোধন করে বলেন, “হে ছেলে! এ তোমার পিতা এবং এ তোমার মাতা। তুমি এতদুভয়ের মধ্যে যার হাত ইচ্ছা ধারণ করো।” আবূ আসিম বর্ণনা করেন, “তুমি এতদুভয়ের মধ্যে যাকে ইচ্ছা অনুসরণ করো।” তখন সে (সন্তান) তার মাতার হাত ধারণ করলে তাকে নিয়ে সে (মাতা) চলে যায়।[1] ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যামআন নং ১২০০ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৩১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১১৪ তে। ((আবূ দাউদ, তালাক ২২৭৭; তিরমিযী, আহকাম ১৩৫৭; ইবনু মাজাহ, আহকাম ২৩৫১; আহমাদ ২/২৪৬।– মুহাক্কিক্বের তাহক্বীক্বকৃত আবী ইয়ালা হা/৬১৩১ এর টীকা হতে। - অনুবাদক)) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ হিলাল ইবনে উসামা আল-ফিহরী (রহঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩৩৩ | 2333 | ۲۳۳۳ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৭. ক্রীতদাসীর তালাক প্রসঙ্গে ২৩৩৩. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“ দাসীর জন্য তালাক হ‘ল দু‘টি এবং তার ইদ্দতের মেয়াদ হ‘ল দু‘হায়েয পর্যন্ত।”[1] আবূ আসিম বলেন, আমি মুযাহির হতে এটি শুনেছি। ________________________________________ [1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। মুযাহির ইবনু আসলাম যয়ীফ হওয়ার কারণে। তাখরীজ: আবূ দাউদ, তালাক ২১৭৯; তিরমিযী, তালাক ১১৮৩; ইবনু মাজাহ, আহকাম ২০৮০; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২৪৪১; দারুকুতনী ৪/৩৯; হাকিম ২/২০৫; বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান ১৪৮৮৪; ইবনুল জাওযী, ইলালুল মুতানাহিয়্যাহ নং ১০৭০। এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে ইবনু মাজাহ, তালাক ২০৭৯ …তে। মারফু’ হিসেবে যয়ীফ তবে মাওকুফ হিসেবে সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ) পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস / গ্রন্থঃ সুনান আদ-দারেমী / অধ্যায়ঃ ১২.তালাক্ব অধ্যায় (كتاب الطلاق) হাদিস নম্বরঃ ২৩৩৪ | 2334 | ۲۳۳٤ • বাংলা • العربية পরিচ্ছদঃ ১৮. ক্রীতদাসীর (গর্ভ) খালাস হওয়া প্রসঙ্গে ২৩৩৪. আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেন, আওতাস যুদ্ধের বন্দীনী সম্পর্কে তিনি বলেছেন: “কোন গর্ভবতী বন্দিনীর সাথে তার সন্তান প্রসবের আগে সহবাস করবে না এবং যে বন্দিনী গর্ভবতী নয়, তার সাথে তার এক হায়েয (অতিক্রান্ত) হওয়ার পূর্বে সহবাস করবে না।”[1] ১। আবু আবদুর রহমান আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বলেনঃ আমাকে আমার পিতা আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বিন হিলাল বিন আসাদ তদীয় পুস্তক থেকে জানিয়েছেন এবং বলেছেনঃ আমাকে আবদুল্লাহ বিন নুমায়ের বলেছেন, আমাকে ইসমাঈল (অর্থাৎ খালিদের পিতা) কায়েস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন আবু বাকর (রাঃ) জনসমক্ষে দাঁড়ালেন, আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর বললেনঃ হে জনগণ! তোমাদের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি এ আয়াত পাঠ করে থাকেঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ অর্থাৎ “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের ব্যাপারে সাবধান হও। তোমরা নিজেরা যখন হিদায়াত লাভ করবে (সৎপথে চলবে) তখন যে ব্যক্তি বিপথগামী হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না”। (মায়েদাঃ ১০৫) কিন্তু আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “লোকেরা যখন অন্যায় সংঘটিত হতে দেখবে, অথচ তার প্রতিরোধ করবে না, তখন অচিরেই আল্লাহ্ তাদের ওপর সর্বব্যাপী আযাব নাযিল করবেন।” (অর্থাৎ অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী-সকলেই সেই আযাবে নিপতিত হবে।) [১] ________________________________________ [১]. হুমায়দী, ইবনে আবি শায়বাহ আবদ বিন হুমাইদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, বাযযার, মারওয়ায, আবু ইয়ালা, তাহাবী, ইবনে হিব্বান, বাইহাকী ও বাগাওয়ী নিজ নিজ হাদীস গ্রন্থে এবং আত্তাবারী তদীয় তাফসীরে এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। অত্র মুসনাদেও ১৬, ২৯, ৩০ ও ৫৩ নং হাদীসে এর পুনরাবৃত্তি লক্ষণীয়। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২ | 2 | ۲ • বাংলা • العربية ২। আলী (রাঃ) বলেনঃ আমি যখন সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে কোন হাদীস শুনতাম, তখন তা দ্বারা আল্লাহ আমাকে যতটা ইচ্ছা উপকৃত করতেন। আর যখন অন্য কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে শ্রুত কোন হাদীস আমাকে জানাতো, তখন আমি তারকাছ থেকে শপথ নিতাম (যে, সে সত্যই নিজ কানে হাদীসটি হুবহু শুনেছে কিনা) যখন সে শপথ করতো, কেবল তখনই আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। আবু বাকর আমাকে একটা হাদীস শুনিয়েছেন এবং তিনি সত্যই বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি কোন গুনাহর কাজ করে, তার অব্যবহিত পর খুব ভালভাবে ওযূ করে, (মিসয়ারের বর্ণনা মুতাবিক, অতঃপর নামায পড়ে, সুফিয়ানের বর্ণনা মুতাবিক, অতঃপর দুরাক’আত নামায পড়ে) অতঃপর মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায়, তখন অবশ্যই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।[১] ________________________________________ [১] তায়ালিসী, হুমাইদী, ইবনে আবী শাইবা, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, বাযযার, আবু ইয়ালা, আত-তাবারী, উকাইলী, মারওয়াযী, ইবনু হিব্বান, তাবারানী, তুম্মাম, আবু নাঈম, বাগাওয়ী ও ইবনে আবি হাতেম নিজ নিজ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। মুসনাদে আহমাদেও ৪৭ ও ৪৮ নং হাদীসে এর পুনরাবৃত্তি হয়েছে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ৩ | 3 | ۳ • বাংলা • العربية ৩। বারা ইবন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার হযরত আবু বাকর আযিবের কাছ থেকে তেরো দিরহাম দিয়ে একটি জিন (উট বা ঘোড়ার পিঠে বসার কাঠ নির্মিত আসন) কিনলেন। অতঃপর আবু বাকর (রাঃ) আযিব (রাঃ) কে বললেন, বারাকে আদেশ দাও সে যেন জিনটি আমার বাড়িতে পৌছিয়ে দেয়। আযিব বললেনঃ না, আপনি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাথে নিয়ে (মদীনা অভিমুখে হিজরাত করতে) বের হয়েছিলেন, তখনকার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আমাকে না বলা পর্যন্ত আমি বারাকে জিন পৌছে দিতে আদেশ দেব না। তখন আবু বাকর নিম্নরূপ বিবরণ দিলেনঃ “আমরা রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে বের হলাম। পুরো একদিন ও একরাত বাহক জন্তুটিকে দ্রুত গতিতে চালাতে লাগলাম। যখন দুপুর হলো, চারদিকে তাকিয়ে খুঁজতে লাগলাম, কোথাও একটু ছায়া পাওয়া যায় কিনা যার নিচে আমরা আশ্রয় নিতে পারি। একটু পরে একটা ছোট পাহাড় দেখেই সেদিকে ছুটে গেলাম। দেখলাম তার ছায়ার কিছু অংশ অবশিষ্ট আছে। তাই আমি সেই ছায়াটুকুতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবস্থানের ব্যবস্থা করলাম এবং একটি পশুর চামড়া তাঁকে বিছিয়ে দিলাম। তারপর আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এখানে শুয়ে পড়ুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুয়ে পড়লেন। এরপর আমি বেরিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে লাগলাম, আমাদের তালাশ করছে এমন কাউকে দেখা যায় কিনা। সহসা দেখলাম, আমার কাছেই একজন রাখাল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে কিশোর, তুমি কার মেষপাল চরাও? সে বললোঃ কুরাইশের এক ব্যক্তির। সে ঐ ব্যক্তির নাম বললো এবং আমি তাকে চিনলাম। আমি বললামঃ তোমার মেষপালে কি দুধ আছে? সে বললোঃ আছে। আমি বললামঃ তুমি কি আমার জন্য একটু দুধ দুইয়ে দেবে? সে বললোঃ দেব। অতঃপর আমি তাকে একটা ছাগল বাঁধতে আদেশ দিলে সে একটা ছাগল বাঁধলো। তারপর আমি তার স্তন থেকে ধুলো মুছতে আদেশ দিলে সে তা মুছে ফেললো। তারপর আমি বললামঃ তোমার দুই হাতের তালুর ধুলো মুছে ফেল। সে মুছে ফেললো। আমার কাছে একটা পাত্র ছিল- যার মুখ ন্যাকড়া দিয়ে ঢাকা ছিল। রাখাল আমার জন্য বেশ খানিকটা দুধ দোহালো। অতঃপর আমি পেয়ালায় পানি ঢেলে তার তলা ঠাণ্ডা করলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলাম এবং তাকে জাগ্রত অবস্থায় পেলাম। বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুধ পান করুন। তিনি পান করলেন এবং তা দেখে আমি তৃপ্তি বোধ করলাম। তারপর বললামঃ এখন কি রওনা হবার সময় হয়েছে? অতঃপর আমরা রওনা হলাম। তখনো কুরাইশের লোকেরা আমাদের তালাশ করছিল। তাদের মধ্য থেকে একজন ঘোড় সওয়ার সুরাকা ইবনে মালিক আমাদেরকে দেখে ফেললো। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, ঐ যে একজন সন্ধানকারী আমাদের সন্ধান পেয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দুশ্চিন্তা করো না। আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। সুরাকা আমাদের দিকে আরো এগিয়ে এল এবং এত কাছে এল যে, আমাদেরও তার মধ্যে একটা, দুইটা বা তিনটে বর্শার ব্যবধান ছিল। আমি আবার বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই যে সন্ধানকারীরা আমাদের সন্ধান পেয়ে গেছে। আমি কেঁদে ফেললাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কাঁদছ কেন? আমি বললামঃ আল্লাহর কসম! আমি নিজের জন্য কাঁদছিনা। আমি শুধু আপনার জন্য কাঁদছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুরাকার বিরুদ্ধে এই বলে বদদেয়া করলেন- اللهُمَّ اكْفِنَاهُ بِمَا شِئْتَ “হে আল্লাহ, তুমি যেভাবে চাও, ওকে প্রতিহত করতে যথেষ্ট হয়ে যাও।” সঙ্গে সঙ্গে তার ঘোড়ার পাগুলো কঠিন মাটিতে তার পেট পর্যন্ত দেবে গেল। সুরাকা তার পিঠের ওপর থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়লো। অতঃপর সে বললোঃ হে মুহাম্মাদ, আমি বুঝেছি, এটা তোমার কাজ। সুতরাং তুমি আল্লাহর কাছে দু’আ কর। যেন আমি যে দুর্দশায় পতিত হয়েছি, তা থেকে তিনি আমাকে নিষ্কৃতি দেন। আল্লাহর কসম! আমার পেছনে অন্য যারা তোমার অনুসন্ধান করছে, তাদের কাউকে আমি তোমাদের খবর জানাবো না। এই যে আমার তীর ধনুক। এখান থেকে একটা তীর নিয়ে নাও। তুমি অমুক জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময় আমার উট ও মেষপাল পাবে। সেখান থেকে যে কটা দরকার নিয়ে নিও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওগুলোর আমার প্রয়োজন নেই। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুরাকার জন্য দু’আ করলেন। সে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেল এবং তার দলবলের কাছে ফিরে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলতে লাগলেন। আমিও তার সাথে চলতে লাগলাম। অবশেষে মদীনায় পৌছলাম। মদীনাবাসী রাস্তায় নেমে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অভ্যর্থনা জানালো। রাস্তায় শিশু কিশোররা প্রবল ভীড় জমিয়ে ধ্বনি তুললোঃ “আল্লাহু আকবার, রাসূলুল্লাহ এসেছেন, মুহাম্মাদ এসেছেন”। এরপর মদীনাবাসী প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে গেল কে আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেহমানদারী করবে তা নিয়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- আজকের রাতটা আবদুল মুত্তালিবের মামাবাড়ি বনু নাজ্জারদের বাড়িতে কাটিয়ে তাদেরকে সম্মানিত করবো। পরদিন সকালে যে দিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ পেলেন সেদিকে রওনা হলেন। বারা বিন আযিব বলেনঃ আমাদের কাছে প্রথম হিজরাত করে যিনি এলেন, তিনি ছিলেন বনু আবদুদ্দারের মুসয়াব বিন উমাইর। তারপর বনু ফিহরের অন্ধ ইবনে উম্মে মাকতুম। তারপর বিশজন আরোহীসহ উমার ইবনুল খাত্তাব। আমরা উমারকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায়? তিনি বললেন, তিনি আমার পরে আসছেন। এরপরই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বাকর এলেন, তখন আমি কয়েকটি লম্বা সূরা মুখস্থ করে ফেলেছি। বর্ণনাকারী ইসরাইল বলেছেনঃ বারা ছিলেন বনু হারেসা নামক আনসার গোত্রের লোক। [বুখারী, ৩৬১৫, মুসলিম, ২০০৯, ইবনু হিব্বান ২৬৮১, বুখারী এটিকে সহীহ সাব্যস্ত করেছেন।] ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ৪ | 4 | ٤ • বাংলা • العربية ৪। যায়িদ বিন ইউসাই হযরত আবু বকর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মক্কাবাসীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করলেন। সেই সাথে তাকে এ ঘোষণা দিতেও আদেশ দেন যে, এ বছরের (৯ম হিজরীর অর্থাৎ বিদায় হজ্জের পূর্ববর্তী বছরের) পর আর কোন মুশরিক হজ্জ করতে পারবে না। আর কোন নগ্ন ব্যক্তি পবিত্র কাবা ঘরের তাওয়াফ করতে পারবে না। মুসলিম ব্যক্তি ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যার কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত নিরাপত্তার চুক্তি হয়েছে, তার চুক্তি সেই মেয়াদ পর্যন্ত বহাল থাকবে। অতঃপর আল্লাহ ও তার রাসূলের মুশরিকদের সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না। এই ঘোষণা দেয়ার জন্য হযরত আবু বকরের রওনা হয়ে যাওয়ার পর তিন দিন অতিবাহিত হলো। অতঃপর তিনি আলী (রাঃ) কে বললেন, তুমি গিয়ে আবু বাকরের সাথে মিলিত হও। তাকে আমার কাছে ফেরত পাঠাও এবং এ ঘোষণাগুলো তুমি নিজে দাও। আলী (রাঃ) তাই করলেন। অতঃপর আবু বাকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ফিরে এসেই কাঁদতে লাগলেন এবং বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার দ্বারা কি কিছু ঘটেছে? (অর্থাৎ কোন অন্যায় কাজ হয়েছে?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার দ্বারা ভালো কাজ ছাড়া কিছুই সংঘটিত হয়নি। তবে আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে যে, এই কথাগুলো যেন আমি স্বয়ং অথবা আমার কোন লোক ব্যতীত আর কেউ ঘোষণা না করে।[১] ________________________________________ [১]. হাদীসটির সনদ দুর্বল। ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ এটি একটি দুর্বল হাদীস। ইমাম ইবনে তাইমিয়া তাঁর গ্রন্থ মিনহাজের ৫ম খণ্ডের ৬৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ “আমার পক্ষ থেকে আলী ব্যতীত আর কেউ এ দায়িত্ব পালন করবে না” এ উক্তি মিথ্যা। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ৫ | 5 | ۵ • বাংলা • العربية ৫। একবার আবু বাকর (রাঃ) তাঁর ভাষণে বলেন: গত বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নামায পড়িয়েছিলেন। এ কথা বলে আবু বাকর (রাঃ) কাঁদতে লাগলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট সুস্থতা কামনা কর। কেননা ইয়াকীনের (দৃঢ় বিশ্বাস বা মজবুত ঈমান) পর কেউ সুস্থতার চেয়ে উত্তম কোন জিনিস প্রাপ্ত হয়নি। (অর্থাৎ ঈমানের পর সুস্থতা আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত।) তোমরা সত্যবাদিতাকে আঁকড়ে ধর। কেননা তা পুণ্যের সাথে যুক্ত। এই দুটোই জান্নাতে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা মিথ্যাচার থেকে সাবধান থাক। কেননা মিথ্যাচার পাপাচারের অন্তর্ভুক্ত। এই দুটোই জাহান্নামে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা পরস্পরে হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না। একে অন্যের পেছনে লেগো না। বরঞ্চ আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক ভাই ভাই হয়ে থাক।[১] ________________________________________ [১]. ইবনু হিব্বান (৯৫২), ও আল হাকেম (১/৫২৯) কর্তৃক সহীহ বলে অভিহিত। আলবানী বলেছেনঃ সহীহ। (ইবনু মাজাহ-৩৮৪৯) অত্র হাদীস গ্রন্থে ১৭, ৩৪ ও ৪৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ৬ | 6 | ٦ • বাংলা • العربية ৬। আবু বাকর (রাঃ) একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিম্বরে দাঁড়িয়ে বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা উচ্চারণের সাথে সাথে আবু বাকর কেঁদে ফেললেন, অতঃপর শান্ত হলেন। তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গত বছর ঠিক এই গ্রীষ্মে বলতে শুনেছিঃ “তোমরা আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা, সুস্থতা ও মজবুত ঈমান কামনা কর।”[১] ________________________________________ [১]. তিরমিযী বলেছেনঃ এটি একটি ভালো ও বিরল হাদীস। (তিরমিযী-৩৫৫৮) (অত্র গ্রন্থের ৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ৭ | 7 | ۷ • বাংলা • العربية ৭। আবু বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দাঁত মাজা মুখ পবিত্র করে ও আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ৮ | 8 | ۸ • বাংলা • العربية ৮। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছিলেন আমাকে এমন একটি দু’আ শিখিয়ে দিন, যা দ্বারা আমি নামাযের মধ্যে দু’আ করতে পারি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই দু’আটি পড়ঃ اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি নিজের ওপর অনেক অত্যাচার করেছি। তুমি তোমার পক্ষ হতে আমার গুনাহ মাফ করে দাও এবং আমার প্রতি করুণা কর। নিশ্চয়ই তুমিই ক্ষমাশীল ও দয়াশীল”। (হাদীস নং ২৮ দ্রষ্টব্য) অন্য বর্ণনায় “অনেক অত্যাচার” এর পরিবর্তে “বিরাট অত্যাচার” বলা হয়েছে। [১] ________________________________________ [১]. [ইমাম বুখারী (৮৩৪) ইমাম মুসলিম (২৭০৫) ইবনু খুযাইমা (৮৪৫) ও ইবনু হিব্বান (১৯৭৬) এ হাদীসকে সহীহ আখ্যায়িত করেছেন] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ৯ | 9 | ۹ • বাংলা • العربية ৯। ফাতিমা (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ) আবু বাকরের কাছে এলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকার চাইলেন। তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফাদাকের জমি ও খাইবারের জমির অংশ চাইছিলেন। আবু বকর (রাঃ) তাঁদেরকে বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ আমাদের সম্পত্তির কোন উত্তরাধিকারী হয় না। আমরা (নবীরা) যা রেখে যাই, তা সাদাকা। মুহাম্মাদের বংশধরগণ, স্বগোত্রীয়রা, আত্মীয়স্বজন ও সঙ্গী সাথীরা সবাই এ সম্পত্তি ভোগ করবে। আল্লাহর কসম! আমি প্রতিটি ব্যাপারেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যা করতে দেখেছি, তা ছাড়া অন্য কিছু করবো না।[১] ________________________________________ [১]. বুখারী (৪০৩৫), মুসলিম (১৭৫৯), ও ইবনু হিব্বান (৪৮২৩) কর্তৃক সহীহ আখ্যায়িত) অত্র গ্রন্থের হাদীস নং ২৫, ৫৫ ও ৫৮ দ্রষ্টব্য। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১০ | 10 | ۱۰ • বাংলা • العربية ১০। আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আমি এই মিম্বারে (অর্থাৎ মসজিদে নববীর মিম্বারে) দাঁড়িয়ে আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গত বছর এই দিনে বলতে শুনেছি ... পর্যন্ত বলেই আবু বকর (রাঃ) অশ্রু বর্ষণ করতে লাগলেন ও কাঁদতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “আল্লাহর একত্বের বাণীর পর তোমাদেরকে সুস্থতার সমতুল্য আর কোন জিনিস দেয়া হয়নি। সুতরাং তোমরা আল্লাহর কাছে সুস্থতা প্রার্থনা কর।[১] ১১। আনাস (রাঃ) বলেন, আবু বাকর আস সিদ্দিক তাকে বলেছেনঃ “আমি গুহার ভেতরে থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললামঃ তাদের (কুরাইশদের) কেউ যদি তার পায়ের নিচের দিকে তাকায় তাহলে আমাদেরকে দেখতে পাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবু বাকর, যে দু’জনের তৃতীয় সাথী আল্লাহ, তাদের সম্পর্কে তুমি কী ধারণা পোষণ করা? (অর্থাৎ এই গুহায় আল্লাহ আমাদের সাথী। তোমার দুশ্চিন্তার কোন প্রয়োজন নেই। - অনুবাদক)[১] ________________________________________ [১]. ইমাম বুখারী (৩৬৫৩), ইমাম মুসলিম (২৩৮১) এবং ইবনু হিব্বান, (৬২৭৮) একে সহীহ আখ্যায়িত করেছেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১২ | 12 | ۱۲ • বাংলা • العربية ১২। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেনঃ প্রাচ্যের খোরাসান নামক একটি জায়গা থেকে দাজ্জাল আবির্ভূত হবে। এমন কিছু জনগোষ্ঠী তার অনুসরণ করবে যাদের মুখমণ্ডল হাতুড়ি পিটিয়ে বানানো ঢাল সদৃশ।[১] ________________________________________ [১]. ইমাম তিরমিযীর মতে এটি একটি ভালো ও বিরল (হাসান গরীব) হাদীস। আলবানীর মতে সহীহ। [তিরমিযী-২২৩৭, ইবনু মাজাহ-৪০৭২, অত্র গ্রন্থে ৩৩ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১৩ | 13 | ۱۳ • বাংলা • العربية ১৩। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন কৃপণ, ছদ্মবেশধারী ধোঁকাবাজ, খিয়ানতকারী ও অসচ্চরিত্র ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না। সর্বপ্রথম যারা জান্নাতের দরজার কড়া নাড়বে তারা হবে দাসদাসী যদি তারা আল্লাহর সাথে ও তাদের মনিবের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করে। (ইমাম তিরমিযীর মতে, এটি গরীব অর্থাৎ বিরল হাদীস।)[১] ________________________________________ [১]. তিরমিযী-১৯৪৬, ১৯৬৩ এই গ্রন্থে ৩১ ও ৩২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১৪ | 14 | ۱٤ • বাংলা • العربية ১৪। আবুত তুফাইল (রাঃ) বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করলেন, তখন ফাতিমা আবু বাকরের নিকট দূত পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী আপনি, না রাসূলের পরিবার? আবু বাকর আস সিদ্দিক জবাব দিলেনঃ রাসূলের পরিবার। ফাতিমার পক্ষ থেকে বলা হলোঃ তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অংশ কোথায়? আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যখন আল্লাহ কোন নবীকে কোন খাবার খাওয়ান অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান, তখন সেই খাবারকে (সম্পত্তি) তার পরবর্তীদের সম্পত্তিতে পরিণত করেন। তাই আমি স্থির করেছি, তার পরিত্যক্ত সম্পত্তিকে মুসলিমদের সম্পত্তিতে রূপান্তরিত করবো। তখন ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ বেশ, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে যা শুনেছেন, সে সম্পর্কে আপনিই সবচেয়ে ভালো জানেন।[১] ________________________________________ [১]. ইবনে কাছীরের মতে হাদীসের ভাষা বিরল ও দুর্বল। আলবানীর মতে এটি হাসান বা উত্তম। (আবু দাউদ ২৯৭৩) (এই গ্রন্থের ৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য) হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১৫ | 15 | ۱۵ • বাংলা • العربية ১৫। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে উঠলেন, ফজরের নামায পড়লেন। তারপর একই জায়গায় বসে রইলেন। দুপুরের আগে তিনি হাসলেন, তারপর আবার যথাস্থানে বসে রইলেন। অতঃপর একে একে জোহর, আছর ও মাগরিব পড়লেন। সব কিছুই নীরবে করলেন। অতঃপর সর্বশেষ নামায ইশা পড়লেন। তারপর নিজ পরিবারের নিকট চলে গেলেন। এরপর লোকেরা আবু বাকরকে বললোঃ আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন না কেন, তার কী হয়েছে? আজ তিনি যা করলেন, তা তো আর কখনো করেন নি। অতঃপর আবু বাকর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, আমার সামনে দুনিয়া ও আখিরাতের ভবিষ্যতের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। পূর্বের ও পরের সকলকে একই ময়দানে সমবেত করা হলো। লোকেরা আতংকিত হয়ে আদম (আঃ) এর নিকট উপস্থিত হলো। তখন ঘাম তাদেরকে প্রায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত করে ফেলেছে। সবাই বললোঃ হে আদম, আপনি তো মানব জাতির পিতা এবং আল্লাহ আপনাকে বিশেষভাবে মনোনীত করেছেন। আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আদম (আঃ) বললেনঃ তোমরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন, আমিও তদ্ৰপ পরিস্থিতির সম্মুখীন। তোমরা তোমাদের পিতার পরবর্তী পিতা নূহের নিকট যাও। আল্লাহ বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ আদমকে, নূহকে, ইবরাহীমের বংশধরকে ও ইমরানের বংশধরকে সমগ্ৰ বিশ্ববাসীর ওপরে অগ্ৰাধিকার দিয়েছেন”। অতঃপর তারা নূহ (আঃ) এর নিকট গেল। তাঁকে বললোঃ আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করুন। কেননা আল্লাহ আপনাকে বিশেষভাবে মনোনীত করেছেন এবং আপনার দু’আ কবুল করেছেন। আপনার দু’আর কারণে তিনি পৃথিবীতে কোন কাফির গৃহবাসীকে জ্যান্ত ছাড়েননি। নূহ (আঃ) বললেনঃ আমার দ্বারা ওটা হবে না। তোমরা বরং ইবরাহীম (আঃ) এর কাছে যাও। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাকে ‘খলীল’ তথা বন্ধুরূপে গ্ৰহণ করেছেন। সবাই ইবরাহীম (আঃ) এর নিকট যাবে। ইবরাহীম (আঃ) বলবেনঃ আমার কিছু করার নেই। তবে তোমরা মূসার নিকট যাও। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাঁর সাথে বিশেষভাবে কথোপকথন করেছেন। মূসা (আঃ) বলবেনঃ আমার দ্বারা ওটা হবে না। তোমরা বরং ঈসার (আঃ) এর নিকট যাও। তিনি তো অন্ধ ও কুণ্ঠরোগীকে আরোগ্য করতেন এবং মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতেন। ঈসা (আঃ) বলবেনঃ ওটা আমার দ্বারা হবে না। তোমরা বরং আদম সন্তানদের যিনি সরদার, তার কাছে যাও। কিয়ামাতের দিন তিনিই সর্ব প্রথম জীবিত হয়ে কবর থেকে বেরিয়ে আসবেন। তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যাও। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করবেন। অতঃপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রওয়ানা হবেন। এই সময়ে জিবরীল (আঃ) তাঁর প্রতিপালকের নিকট আসবেন। আল্লাহ তাঁকে বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। জিবরীল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রওয়ানা হবেন। অতঃপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় যাবেন এবং প্রায় এক জুমুআর সময় ব্যাপী সিজদায় থাকবেন। তখন আল্লাহ বলবেনঃ হে মুহাম্মাদ! তোমার মাথা ওঠাও। বল, শ্রবণ করা হবে। সুপারিশ কর, সুপারিশ গ্ৰহণ করা হবে। তারপর তিনি মাথা ওঠাবেন। তারপর যখন তাঁর প্রতিপালকের দিকে তাকাবেন, আবার সিজদায় পড়বেন এবং আরেক জুমুআহ পরিমাণ থাকবেন। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ তোমার মাথা ওঠাও, বল শ্রবণ করা হবে, সুপারিশ কর, গ্ৰহণ করা হবে। অতঃপর তিনি (পুনরায়) সিজদা করতে উদ্যত হবেন। তখন জিবরীল তাঁকে এমন দু’আ শিক্ষা দেবেন, যা আর কোন মানুষকে কখনো দেননি। অতঃপর (মুহাম্মাদ) বলবেনঃ হে আমার প্রতিপালক, আমাকে আদম সন্তানদের সরদাররূপে সৃষ্টি করেছেন। এতে আমার কোন গর্ব নেই। আমাকে সর্ব প্রথম জীবিত করে কবর থেকে উঠিয়েছেন, এতেও কোন গর্ব নেই। এমনকি আমার নিকট হাউজ (কাউসার) আনা হবে- যা বিস্তৃত থাকবে সানয়া’ থেকে আইলা পর্যন্ত। তারপর বলা হবেঃ সিদ্দিকগণকে ডাক, তারা সুপারিশ করুক। পুনরায় বলা হবেঃ নবীগণকে ডাক, তারা সুপারিশ করুক। অতঃপর এক একজন নবী তাঁর দলসহ আসবেন। এক একজন নবী আসবেন পাঁচজন ছয়জন করে সাথী নিয়ে। এক একজন নবী আসবেন কোন সাথী ছাড়াই। পুনরায় বলা হবেঃ শহীদদেরকে ডাক, তারা যার যার জন্য ইচ্ছা সুপারিশ করুক। শহীদগণ যখন আসবেন ও সুপারিশ করবেন, তখন আল্লাহ বলবেনঃ আমি সকল দয়াবানের চেয়ে বড় দয়াবান। যারা আমার সাথে কাউকে শরীক করতো না তাদের সকলকে আমার জান্নাতে প্রবেশ করাও। অতঃপর তারা সবাই জান্নাতে প্ৰবেশ করবে। পুনরায় আল্লাহ বলবেনঃ জাহান্নামের ভেতরে খুঁজে দেখ, সেখানে এমন কেউ আছে কিনা যে, কখনো কোন সৎকাজ করেছে। তখন তারা (ফেরেশতারা) জাহান্নামে এক ব্যক্তিকে পাবে। আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তুমি কি কখনো কোন ভালো কাজ করেছ? সে বলবেঃ না। তবে ক্রয় বিক্রয়ের সময় আমি মানুষের প্রতি উদারতা প্ৰদৰ্শন করতাম। তখন তোমরা (ফেরেশতারা) তেমনি তার প্রতি উদারতা দেখাও। ফেরেশতারা পুনরায় জাহান্নাম থেকে অপর এক ব্যক্তিকে বের করে আনবে। আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তুমি কি কখনো ভাল কাজ করেছ? সে বলবেঃ না। তবে আমি আমার সন্তানদের বলেছি, আমি মারা গেলে তোমরা আমাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিও। অতঃপর আমাকে (আমার পোড়া লাশকে) চুৰ্ণ করো। যখন আমি সুরমার মত হয়ে যাবো, তখন আমাকে সমুদ্রের কাছে নিয়ে বাতাসে উড়িয়ে দিও। তাহলে আল্লাহর কসম! বিশ্ব প্ৰভু আমাকে শাস্তি দিতে পারবেন না। তখন আল্লাহ বলবেনঃ তুমি এরূপ করেছিলে কেন? সে বলবেঃ আপনার ভয়ে। তখন আল্লাহ বলবেনঃ তাকাও সর্বশ্রেষ্ঠ রাজার রাজ্যের দিকে। তোমার জন্য অনুরূপ রাজ্য ও অদ্ৰপ আরো দশটি রাজ্য নির্ধারিত রয়েছে। সে বলবেঃ আপনি বিশ্ব সম্রাট হয়েও আমার সাথে ঠাট্টা করছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলবেনঃ দুপুরের পূর্বে আমি যে হেসেছিলাম, তা এই কারণেই।[১] ________________________________________ [১]. ইবনু হিব্বানের মতে, এটি সহীহ হাদীস (৬৪৭৬) ইসহাক থেকে এই মর্মে উক্তি উদ্ধৃত হয়েছে যে, এটি একটি শ্ৰেষ্ঠ হাদীস। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১৬ | 16 | ۱٦ • বাংলা • العربية ১৬। একদিন আবু বাকর (রাঃ) ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর বললেনঃ হে জনমণ্ডলী, তোমরা নিশ্চয়ই এ আয়াতটি পড়ে থাকঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের ব্যাপারে সাবধান হও, তোমরা সৎপথে চললে বিপথগামীরা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।” (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) তবে তোমরা এ আয়াতের ভুল অর্থ গ্রহণ করে থাক। আমি তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, মানুষ যখন খারাপ কাজ সংঘটিত হতে দেখে, অথচ তাকে পাল্টে দেয় না (প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের মাধ্যমে তা বন্ধ করেনা) তখন অচিরেই আল্লাহ তাদের ওপর তার সর্বব্যাপী আযাব নাযিল করেন। আবু বাকর (রাঃ) আরো বললেনঃ সাবধান, মিথ্যা বলোনা। মিথ্যা কথা ঈমানের পরিপন্থী। (অত্র গ্রন্থের ১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১৭ | 17 | ۱۷ • বাংলা • العربية ১৭। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গত বছর আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) কাঁদলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সত্যবাদিতাকে আঁকড়ে ধর। কেননা সত্যবাদিতা সততার সাথী। এই দুটোই জান্নাতে যাওয়ার উপকরণ। সাবধান, মিথ্যা বলোনা। মিথ্যা পাপাচারের সাথী। আর এই দুটোই (মিথ্যা ও পাপাচার) জাহান্নামে যাওয়ার উপকরণ। আল্লাহর কাছে সুস্থতা চাও। কেননা কোন ব্যক্তি ঈমানের পরে সুস্থতার চেয়ে ভালো কোন নিয়ামত লাভ করেনি। তারপর বললেনঃ তোমরা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। একে অপরের পেছনে লেগো না। হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করো না। আল্লাহর বান্দা ও ভাই ভাই হয়ে যাও। (৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)। ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১৮ | 18 | ۱۸ • বাংলা • العربية ১৮। হুমাইদ বিন আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইন্তিকাল করেন, তখন আবু বাকর (রাঃ) মদীনায় একটি দলের সাথে অবস্থান করছিলেন। তিনি এলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেহারা খুললেন, তাঁকে চুমু খেলেন এবং বললেনঃ আপনার উপর আমার পিতামাতা উৎসর্গ হোক। জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায় আপনি মহাপবিত্র। কা’বার প্রভুর শপথ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেছেন। (অতঃপর বর্ণনাকারী পুরো হাদীস উল্লেখ করেন।) অতঃপর বলেনঃ এরপর আবু বাকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) দূতিয়ালীর ভঙ্গিতে রওনা হয়ে তাদের (যেসব মুহাজির ও আনসার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উত্তরসূরী নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন তাদের) কাছে উপনীত হলেন। আবু বাকর (রাঃ) ভাষণ দিলেন। এই ভাষণে তিনি এমন একটি কথাও বলতে বাদ রাখলেন না, যা আনসারদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছেন। তিনি বললেনঃ আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সবাই যদি এক পথে চলে, আর আনসারগণ আরেক পথে চলে, তবে আমি আনসারদের পথে চলবো। হে সাদ, আপনি বসা থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বলেছিলেন, কুরাইশ এই (ইসলামী) রাষ্ট্রের শাসক, তা আপনি অবশ্যই জানেন। সৎ লোকেরা সৎ লোকদের অনুগত হয়। আর অসৎ লোকেরা অসৎ লোকদের অনুগত হয়। সা’দ বললেনঃ আপনি সত্যই বলেছেন। আমরা উজীর (মন্ত্রণা দাতা) আর আপনারা শাসক। (অর্থাৎ আনসারগণ মন্ত্রী তথা পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করবে, আর মুহাজিররা শাসকের ভূমিকা।) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ১৯ | 19 | ۱۹ • বাংলা • العربية ১৯। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা যে আমল করি (ভাল হোক কি মন্দ) তা কি পূর্ব-নির্ধারিত (তাকদীদের লিখন) নাকি আমরা নতুনভাবে করি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং তা পূর্ব-নির্ধারিত। আবু বাকর (রাঃ) বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! (যদি সবকিছু পূর্ব-নির্ধারিত হয়ে থাকে) তাহলে আমাদের আমলের কী প্রয়োজন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্ৰত্যেকের জন্য সে কাজটি সহজ করা হয় যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। (সুতরাং তোমরা আমল করতে থাকো)। ________________________________________ টীকাঃ মূলত: তাকদীর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কথা হচ্ছে, আল্লাহ তা’আলা আলীমুল গায়েব। অনাদিতেই তিনি জানেন কি হবে আর কি হবে না। সে অনুসারেই ‘লাওহে মাহফুযে’ তিনি সব লিখে রেখেছেন। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা লিখে রেখেছেন বলে কেউ ভালো বা মন্দ কাজ করে না। বরং তার দ্বারা ঐ কাজটি যে সংঘটিত হবে সে সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত। তাই তিনি লিখে রেখেছেন। যেমন একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার তার রুগীর সমস্ত অবস্থা জানেন বলে তার ডায়েরীতে লিখে রাখলেন, এ রুগী অমুক সময় অমুক অবস্থায় মারা যাবে এবং রুগী সেভাবেই মারা গেল। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের লিখন তার মৃত্যুর কারণ নয়। মৃত্যুর কারণ হলো তার রোগ। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা’আলা সব কিছু জানেন বলেই লিখে রেখেছেন। সুতরাং পরিণামের জন্য ব্যক্তির কর্মই দায়ী, আল্লাহর লিখন নয়। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২০ | 20 | ۲۰ • বাংলা • العربية ২০। আয যুহরী বলেনঃ মদীনার আনসারগণের মধ্য থেকে অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা উসমান বিন আফফান (রাঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালে তাঁর কিছু সংখ্যক সাহাবী ভীষণ মর্মাহত হলেন, এমনকি তাদের কেউ কেউ নানা রকম দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হবার উপক্রম হলো। আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। এই সময় একদিন আমি যখন বসে আছি, তখন উমার (রাঃ) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে সালাম দিলেন। কিন্তু তিনি যে আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং আমাকে সালাম করেছেন তা আমি টের পাইনি। উমার (রাঃ) চলে গেলেন এবং আবু বাকরের (রাঃ) নিকট উপস্থিত হলেন। উমার (রাঃ) আবু বকর (রাঃ) কে বললেনঃ আমি উসমানের কাছ দিয়ে আসছিলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। কিন্তু তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন না। এটা কি আপনার কাছে বিস্ময়কর লাগছে না? অতঃপর আবু বাকরের শাসনকালে একদা আবু বাকর ও উমার আমার কাছে এলেন এবং উভয়ে আমাকে সালাম করলেন। তারপর আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমার কাছে আপনার ভাই উমার এসেছিলেন। তিনি জানালেন যে, তিনি আপনার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যাওয়ার সময় সালাম করেছিলেন। কিন্তু আপনি জবাব দেননি। এর কারণ কী? আমি বললামঃ আমি এটা করিনি? উমার (রাঃ) বললেনঃ অবশ্যই, আপনি করেছেন। তবে হে বনী উমাইয়া, এ কাজটি (সালামের জবাব দেয়া) আপনাদেরকে ক্লান্ত ও বিরক্ত করে তুলেছে। আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ! আমি টেরই পাইনি যে, আপনি আমার কাছ দিয়ে গিয়েছেন এবং সালাম করেছেন। আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ উসমান সত্য কথা বলেছে। আচ্ছা, (হে উসমান) কোন বিষয়ের ব্যস্ততা আপনাকে তা থেকে (সালামের জবাব দেয়া থেকে) বিরত রেখেছিল? (অর্থাৎ কোন দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগের কারণে কি আপনি ব্যাপারটা টের পাননি এবং সেদিকে লক্ষ্য করতে পারেননি?)। আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ জিনিসটি কী? উসমান (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবীকে তুলে নিলেন আমরা তাঁকে এ কথা জিজ্ঞেস করার আগে যে, এই সমাজের মুক্তির উপায় কী? আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমি এ প্রশ্ন তাঁকে করেছি। উসমান বলেনঃ এ কথা শ্ৰবণ করা মাত্ৰই আমি তার কাছে উঠে গেলাম, অতঃপর তাঁকে বললামঃ আমার পিতামাতা আপনার ওপর উৎসর্গ হোক। আপনিই এ কথা জিজ্ঞাসা করার অধিকতর যোগ্য। আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে রাসূলুল্লাহ, এই জাতির মুক্তির উপায় কী? তিনি বললেনঃ যে কালেমা আমি আমার চাচার নিকট পেশ করলে তিনি তা প্ৰত্যাখ্যান করেছিলেন সেই কালেমা যে ব্যক্তি গ্ৰহণ করবে, সেটিই তার মুক্তির পথ।” (২৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য) ২১। ইয়াযীদ বিন আবু সুফিয়ান বলেনঃ আবু বাকর (রাঃ) আমাকে সিরিয়ায় প্রেরণের সময় বললেনঃ হে ইয়াযীদ, তোমার তো কিছু আত্মীয়-স্বজন আছে। তোমাকে নিয়ে আমার সবচেয়ে বড় আশঙ্কা এই যে, তুমি হয়তো তাদেরকে কর্তৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্ৰাধিকার দেবে। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুসলিমদের কোন বিষয়ে দায়িত্বশীল হবে, অতঃপর সে স্বজনগ্ৰীতির ভিত্তিতে কাউকে তাদের কর্মকর্তা নিয়োগ করবে, তার ওপর আল্লাহর অভিশাপ। আল্লাহ তার কাছ থেকে কোন সুপারিশ বা অব্যাহতির আবেদন গ্ৰহণ করবে না। তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তিকে আল্লাহর সীমানা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হলো এবং সে ঐ সীমানা অন্যায়ভাবে অতিক্রম করলো, তার ওপর আল্লাহর অভিশাপ। (বৰ্ণনাকারী বলেন) অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তার নিরাপত্তার ব্যাপারে আল্লাহর কোন দায়-দায়িত্ব নেই।[১] ________________________________________ [১]. আল হাকেমের মতে হাদীসটি সহীহ, ৪/৯৩ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২২ | 22 | ۲۲ • বাংলা • العربية ২২। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে এমন ৭০ হাজার লোক দেয়া হয়েছে যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। তাদের সকলের মুখমণ্ডল পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত হবে এবং তাদের মন এক ব্যক্তির মনের মত হবে (অর্থাৎ তারা এক মনা ও একমত থাকবে)। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট আরো বেশি চাইলাম। তখন তিনি আমাকে প্ৰতিজনের সাথে ৭০ হাজার জন করে বাড়িয়ে দিলেন। আবু বাকর (রাঃ) বলেনঃ আমার মনে হয়, এই বক্তব্য গ্রামবাসীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং মরুভূমির আশপাশের লোকজন এ রকম হবে। ________________________________________ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২৩ | 23 | ۲۳ • বাংলা • العربية ২৩। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমি আবু বাকর (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খারাপ কাজ করে, সে দুনিয়াতে তার প্রতিফল পায়।[১] ________________________________________ [১]. (তিরমিযী-৩০৩৯) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২৪ | 24 | ۲٤ • বাংলা • العربية ২৪। উসমান (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইন্তিকাল করলেন, তখন রাসূলের সাহাবীগণ খুব বেশি শোকাহত ও মর্মাহত হলেন। এমনকি তাদের অনেকে নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হবার উপক্রম করলেন। আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। এরপর শোয়াইব থেকে আবুল ইয়ামান কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটির বক্তব্য তুলে ধরলেন। (হাদীস নং ২০ দ্রষ্টব্য) ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২৫ | 25 | ۲۵ • বাংলা • العربية ২৫। আয়িশা (রাঃ) জানানঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর ফাতিমা (রাঃ) আবু বাকর (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সেই সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ ভাগ করে দিতে অনুরোধ করলেন, যা আল্লাহ তা’আলা তাকে দিয়েছেন। আবু বাকর (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের (অর্থাৎ নবীদের) সম্পত্তির কোন উত্তরাধিকারী থাকে না। আমরা যে সম্পত্তি রেখে যাই, তা সাদাকা মাত্র। এতে ফাতিমা (রাঃ) রেগে গেলেন। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) এর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন এবং ফাতিমার মৃত্যু অবধি তিনি এই সম্পর্কচ্ছেদ অব্যাহত রাখলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর ফাতিমা (রাঃ) ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ফাতিমা (রাঃ) আবু বাকরের নিকট খাইবার ও ফাদাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ও মদীনায় তাঁর সাদাকাস্বরূপ রেখে যাওয়া সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ চাইলেন। আবু বাকর (রাঃ) তা দিতে অস্বীকার করলেন এবং বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছুই করতেন, আমি তার কিছুই করতে বাদ রাখবো না। বাদ রাখলে আমার আশঙ্কা যে, আমি বিপথগামী হয়ে যাবো। অবশ্য মদীনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাদাকাস্বরূপ যে সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন, উমার (রাঃ) সে সম্পত্তিকে আলী (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ) এর দায়িত্বে সমর্পণ করেন। পরে আলী (রাঃ) তার ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। আর খাইবার ও ফাদাকের সম্পত্তি উমার (রাঃ) নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে দেন এবং বলেনঃ এ দুটো সম্পত্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাদাকা। এ দুটো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজের ও তাঁর স্থলাভিষিক্তের অধিকারভুক্ত ছিল। যিনি শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন, তিনিই এ দুটোর তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন। আজও পর্যন্ত এ দুটো সম্পত্তি সেইভাবেই রয়েছে।[১] ________________________________________ [১]. বুখারীর মতে হাদীসটি সহীহ, ৩০৯২, মুসলিমের মতেও সহীহ, ১৭৫৯) (অত্র গ্রন্থের ৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২৬ | 26 | ۲٦ • বাংলা • العربية ২৬। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আবু বাকর (রাঃ) যখন মৃত্য শয্যায়, তখন তিনি (আয়িশা) নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ করে আবু বাকরের উদাহরণ পেশ করলেন: وَأَبْيَضَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ... رَبِيعُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلْأَرَامِل “তিনি এমন শুভ্ৰ-উজ্জ্বল, যে তাঁর মুখমণ্ডলের দোহাই দিয়ে মেঘের কাছে বৃষ্টি কামনা করা হয়। তিনি ইয়াতীমদের আশ্রয়স্থল এবং বিধবাদের রক্ষক।” এ কথা শুনেই আবু বাকর (রাঃ) বলে উঠলেন, “আল্লাহর কসম! এই পংক্তিতে যার উদাহরণ পেশ করা হয়েছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া আর কেউ নন।” ________________________________________ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২৭ | 27 | ۲۷ • বাংলা • العربية ২৭। ইবনে জুরাইজ বলেনঃ আমার পিতা জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর সাহাবায়ে কিরাম তাঁর কবর কোথায় খোঁড়া হবে তা কিছুতেই স্থির করতে পারছিলেন না। অবশেষে যখন আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোন নবীকেই কখনো যেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন সেখানে ছাড়া কবর দেয়া হয়না, তখন তাঁর বিছানা সরানো হলো এবং বিছানার নিচে তাঁর কবর খোঁড়া হলো। ________________________________________ হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২৮ | 28 | ۲۸ • বাংলা ২৮। হাদীস নং ৮ দ্রষ্টব্য। [৮। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছিলেন আমাকে এমন একটি দু’আ শিখিয়ে দিন, যা দ্বারা আমি নামাযের মধ্যে দু’আ করতে পারি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই দু’আটি পড়ঃ اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি নিজের ওপর অনেক অত্যাচার করেছি। তুমি তোমার পক্ষ হতে আমার গুনাহ মাফ করে দাও এবং আমার প্রতি করুণা কর। নিশ্চয়ই তুমিই ক্ষমাশীল ও দয়াশীল”। (হাদীস নং ২৮ দ্রষ্টব্য) অন্য বর্ণনায় “অনেক অত্যাচার” এর পরিবর্তে “বিরাট অত্যাচার” বলা হয়েছে।] ________________________________________ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ পাবলিশারঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / গ্রন্থঃ মুসনাদে আহমাদ / অধ্যায়ঃ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر) হাদিস নম্বরঃ ২৯ | 29 | ۲۹ • বাংলা ২৯। হাদীস নং ১ দ্রষ্টব্য (এ হাদীসটিতে অন্যায়ের প্রতিরোধের পরিবর্তে ‘অত্যাচারীর প্রতিরোধ’ উল্লেখ করা হয়েছে।) [১। আবু আবদুর রহমান আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বলেনঃ আমাকে আমার পিতা আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বিন হিলাল বিন আসাদ তদীয় পুস্তক থেকে জানিয়েছেন এবং বলেছেনঃ আমাকে আবদুল্লাহ বিন নুমায়ের বলেছেন, আমাকে ইসমাঈল (অর্থাৎ খালিদের পিতা) কায়েস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন আবু বাকর (রাঃ) জনসমক্ষে দাঁড়ালেন, আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর বললেনঃ হে জনগণ! তোমাদের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি এ আয়াত পাঠ করে থাকেঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ অর্থাৎ “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের ব্যাপারে সাবধান হও। তোমরা নিজেরা যখন হিদায়াত লাভ করবে (সৎপথে চলবে) তখন যে ব্যক্তি বিপথগামী হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না”। (মায়েদাঃ ১০৫) কিন্তু আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “লোকেরা যখন অন্যায় সংঘটিত হতে দেখবে, অথচ তার প্রতিরোধ করবে না, তখন অচিরেই আল্লাহ্ তাদের ওপর সর্বব্যাপী আযাব নাযিল করবেন।” (অর্থাৎ অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী-সকলেই সেই আযাবে নিপতিত হবে।)] ________________________________________

No comments:

Post a Comment

আপনার সুন্দর মতামতটি জানানোর জন্য আপনাকে শুকরিয়া আমাদের সাথেই থকুন